আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

কিম জং উনের পর রাশিয়া সফরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image
নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়ে আলোচনা করতে রাশিয়া সফরে গেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের ছয় দিনের রাশিয়া সফরের পরপরই তিনি মস্কো সফরে গেলেন। আজ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনের সমর্থন চেয়ে আসছে রাশিয়া। তবে এ যুদ্ধে মস্কোকে সরাসরি সমর্থন না দিলেও পরোক্ষভাবে বেইজিং সহায়তা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কৌশলগত নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়ে আলোচনা করতে চার দিনের জন্য রাশিয়া সফর করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং।

ক্রেমলিনের বরাত দিয়ে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে দেখা করবেন ওয়াং। তাদের আলোচনায় ইউক্রেন যুদ্ধ গুরুত্ব পাবে।

এবারের সফরে ওয়াং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চীন সফরের ভিত্তি তৈরি করবেন। চলতি মাসের শুরুতে পুতিন বলেছিলেন, তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন। তবে কখন তাদের বৈঠক হবে, তা না জানাননি। আগামী মাসে পুতিন বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামে যোগ দিতে পারেন বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গত মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর থেকে তিনি আর বিদেশ সফরে যাননি। সবশেষ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বেলারুশ ও কিরগিজস্তান সফর করেছিলেন পুতিন।

পশ্চিমাদের সতর্কবার্তা সত্ত্বেও গত মঙ্গলবার রাশিয়া সফর শুরু করেন কিম জং উন। ছয় দিনের রাশিয়া সফর শেষ করে রোববার ট্রেনে চেপে উত্তর কোরিয়া ফেরেন কিম।


আরও খবর
নেদারল্যান্ডসে বন্দুক হামলায় নিহত ৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




কুড়িগ্রামে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা, বিএসএফের নামে মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

কু‌ড়িগ্রা‌মের রৌমারী সীমা‌ন্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বা‌হিনীর (‌বিএসএফ) গু‌লি‌তে বাংলা‌দে‌শি যুবক নিহ‌তের ঘটনায় বা‌হিনী‌টির অজ্ঞাতনামা সদস‌্যদের আসা‌মি ক‌রে রৌমারী থানায় মামলা হ‌য়ে‌ছে।

সোমবার (৪ সে‌প্টেম্বর) নিহত যুবক মা‌নিক মিয়ার (৩০) বাবা বাদী হ‌য়ে মামলা ক‌রে‌ছেন ব‌লে নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপ কুমার সরকার।

এর আগে গত শ‌নিবার (২ সে‌প্টেম্বর) দিবাগত রা‌তে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বেহুলারচর সীমান্তে বিএসএফ'র 'গুলিতে' বাংলাদেশি যুবক মা‌নিক মিয়া নিহত হন। তি‌নি বেহুলারচর গ্রা‌মের আব্দুল বা‌তে‌নের ছে‌লে।

এলাকাবাসী জানায়, মা‌নিক মিয়া তার ক‌য়েকজন সহ‌যোগীসহ সীমা‌ন্তে গরু চোরাকারবা‌রের জন‌্য গিয়ে‌ছি‌লেন। প‌রে বিএসএফ তা‌দের লক্ষ‌্য ক‌রে ক‌য়েক রাউন্ড গু‌লি ছো‌ড়ে। এতে মা‌নিক মিয়া গু‌লি‌বিদ্ধ হ‌য়ে নিহত হন। আইনি জ‌টিলতা এড়া‌তে মা‌নি‌কের সহ‌যোগী ও প‌রিবা‌রের সদস‌্যরা লাশ নি‌য়ে সট‌কে প‌ড়ে। প‌রের‌ দিন দুপু‌রে পাশ্ববর্তী বন্দ‌বের ইউ‌নিয়‌নের বাঞ্চারচর গ্রামে মা‌নি‌কের এক আত্মীয়ের বা‌ড়ি থে‌কে গু‌লি‌বিদ্ধ লাশ উদ্ধার ক‌রে পু‌লিশ।

এদিকে মামলার এজাহা‌রের বরা‌তে ওসি রূপ কুমার সরকার জানান, বাদী উল্লেখ ক‌রে‌ছেন, তা‌দের বা‌ড়ির এক‌টি গরু হা‌রি‌য়ে‌ছিল। মা‌নিক মিয়া শ‌নিবার গভীর রা‌তে তা‌দের বা‌ড়ি থে‌কে ৩০০ গজ পূ‌র্বে সীমা‌ন্তের কা‌ছে বাংলা‌দে‌শের অভ‌্যন্ত‌রে সেই গরু খুঁজ‌তে গি‌য়ে‌ছি‌লেন। এসময় বিএসএফ সদস‌্যরা তা‌কে লক্ষ‌্য ক‌রে গুলি কর‌লে গু‌লি‌বিদ্ধ হ‌য়ে মা‌নিক নিহত হন।

ওসি ব‌লেন, অজ্ঞাত বিএসএফ‌ সদস‌্যদের আসা‌মী ক‌রে নিহ‌তের বাবা মামলা ক‌রে‌ছেন। বিষয়‌টি তদন্ত চল‌ছে।

এদিকে সীমা‌ন্তে গু‌লি‌তে বাংলা‌দে‌শি যুবক নিহ‌তের ঘটনায় সোমবার বিকা‌লে বি‌জি‌বি ও বিএসএফের ম‌ধ্যে পতাকা বৈঠক হ‌য়ে‌ছে। এ বিষ‌য়ে রৌমারী সীমা‌ন্তের দা‌য়ি‌ত্বে থাকা জামালপুর বিজিবি-৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মাশরুকী বলেন, পতাকা বৈঠকে বিএসএফ জা‌নি‌য়ে‌ছে, তা‌দের সীমানায় স‌ন্দেহভাজন‌দের অনুপ্রবে‌শের কার‌ণে তারা গু‌লি ছু‌ড়ে‌ছে। গু‌লির ঘটনায় আমরা প্রতিবাদ জা‌নি‌য়ে‌ছি।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




মার্কিন আইন লঙ্ঘন: শাস্তির মুখে বিএনপির দুই ‘লবিস্ট’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মার্কিন আইন ভঙ্গ করে আইনি গ্যাড়াকলে পড়েছেন মার্কিন সাবেক দুই কূটনীতিক। তারা হলেন, উইলিয়াম বি. মিলাম এবং জন ড্যানিলোভিজ। তারা মার্কিন আইন ভঙ্গ করায় শাস্তি পেতে পারেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির পক্ষে লবিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। বাহিনীর সাতজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে অভিযোগ করে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পরে সরকার এবং ক্ষমতাসীন দল অভিযোগ করে যে, বিরোধী দল লবিস্ট নিয়োগ করে র‌্যাবের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছে। আর এই লবিস্টরা নিষেধাজ্ঞার পেছনে চালিকা শক্তি ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের লবিং ব্যয় ডেটাবেস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ২০০৭ সাল থেকে শুরু করে বিএনপি পর্যায়ক্রমে আটটি লবিং ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করে। তাদের দলের প্রধান লবিস্ট ফার্ম ছিল ব্লু স্টার এবং সাব-কন্ট্রাক্টর রাস্কি পার্টনার্স। সম্প্রতি মার্কিন দুই সাবেক কূটনীতিক উইলিয়াম বি মিলাম ও জন ড্যানিলোভিজ বিএনপির পক্ষে লবিস্ট হিসেবে কাজ করেছে। তবে তারা মার্কিন আইন অনুসারে আনুষ্ঠানিকভাবে লবিস্ট হিসাবে তালিকাভুক্ত না হয়েই এভাবে কাজ করেছে। এতে করে দেশটির ফরেন এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট (এফএআরএ)-এ বর্ণিত প্রবিধান লঙ্ঘন হয়েছে।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস বলছে, কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এফএআরএ লঙ্ঘন করে, তবে তাদের সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার জরিমান বা উভয় দণ্ড হতে পারে। তবে  ছোট পরিসরে এ আইন লঙ্ঘন করলে ছয় মাসের জেল বা ৫ হাজার ডলার জরিমান বা উভয় দণ্ড হতে পারে। 

উইলিয়াম বি. মিলাম, জন ড্যানিলোভিজ এবং একজন ব্রিটিশ নাগরিক মুশফিকুল ফজল আনসারির  ক্রিয়াকলাপ এফএআরএ লঙ্ঘনের দিকেই ইঙ্গিত করে। কেননা তারা গণমাধ্যমের সোর্স হওয়ার কথা বলে স্পষ্টত বিএনপির মতো অতি-ইসলামবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী দলের হয়ে কাজ করেছে। তারা সংবাদের উৎস হওয়ার অজুহাতে লবিস্ট হিসাবে তাদের ভূমিকা অস্পষ্ট করে; যদিও বাস্তবে, এ সব সংস্থাগুলো নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জন্য লবিস্ট হিসাবে কাজ করছে, একটি অতি-ইসলামবাদী এজেন্ডা দ্বারা চালিত হয়ে। অথচ এফএআরএর অধীনে মার্কিন আইন অনুযায়ী, বিদেশিদের তথ্য দেওয়া বা তাদের হয়ে কাজ করতে হলে তাদের রেজিস্ট্রেশনের স্বচ্ছ ডকুমেন্ট থাকতে হবে। তাদের কার্যকলাপ থেকে অর্জিত অর্থের বিবরণ এবং ব্যয়গুলোর স্বচ্ছ বিবরণ দিতে হয়। কিন্তু উইলিয়াম বি. মিলাম, জন ড্যানিলোভিজ ও মুশফিকুল আনসারে এফএআরএর অধীনে লবিস্ট হিসাবে নিবন্ধনের আইনি প্রয়োজনীয়তা মেনে চলেননি না বলে মনে হচ্ছে। 

আরও পড়ুন>> রক্তের বিনিময়ে আমরা ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

জন ড্যানিলোভিজ আগে বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসে ডেপুটি চিফ অব মিশন হিসাবে কাজ করেছিলেন। তিনি ইসলামপন্থী ও জিহাদিদের পক্ষে প্রচারকারী হিসাবে পরিচিত। এখন তিনি সক্রিয়ভাবে রাইট অব ফ্রিডম নামের একটি গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত। তিনি বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কাছ থেকে অর্থ পান বলেও অভিযোগ রয়েছে। তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছিলেন বলেও তথ্য রয়েছে।

জন ড্যানিলোভিজের টুইটার অনুসারে, তিনি বাংলাদেশ এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরোধিতায় সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত। বাংলাদেশ সম্পর্কে ক্ষতিকারক ও ভুল তথ্য ছড়ানোকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন তিনি। নেতিবাচক তথ্য প্রচারের চলমান প্রচারণার পাশাপাশি, জন সম্প্রতি তার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে সাউথ এশিয়া পারসপেক্টিভস নামে বাংলাদেশ সম্পর্কে অবমাননাকর বিষয়বস্তু প্রকাশ করেছেন।

মুশফিকুল আনসারে উইলিয়াম বি মিলামের সঙ্গে জাস্ট নিউজ নামে একটি অননুমোদিত ওয়েবসাইটের স্থায়ী সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করতেন। মিলার ডেমোক্রেটিক পার্টির একজন শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব। মিলারের সঙ্গে রাইট অব ফ্রিডম পরিচালনা করেন আনসারে। বাংলাদেশ, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দল ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বানোয়াট তথ্য ছাড়ানোই ছিল তাদের কাজ। 

তারেক রহমানের কুখ্যাত হাওয়া ভবনের প্রেক্ষাপটে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে আবির্ভূত হন আনসারে। তিনি খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সহকারী প্রেস সচিবের দায়িত্বে ছিলেন।  

আরও পড়ুন>> নিজেদের স্বার্থে বিদেশে সরকার পতনে কাজ করে যুক্তরাষ্ট্র

যদিও, প্রাথমিক ফোকাস বিএনপির লবিংকে ঘিরে নয়, বরং অর্থের উৎস ঘিরে। ২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এক বিবৃতিতে বলেন, বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগের জন্য ৩.৭ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। এ কাজে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বিএনপি প্রতি বছর ২.৭ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে। যা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েবসাইট গুলিতে প্রকাশিত হয়েছে। 

উদ্বেগের বিষয় হলো, লবিস্ট নিয়োগে আন্তর্জাতিকভাবে তহবিল স্থানান্তরের আইনি জটিলতা রয়েছে, এর মধ্যে বিএনপি কীভাবে তা করলো? বিষয়টি সরকার তদন্ত করছে।


আরও খবর
খালেদা জিয়ার কোনও উন্নতি দেখছেন না চিকিৎসকরা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




হিলিতে বেড়েছে আলুর দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে আলুর দাম। কেজি প্রতি প্রকারভেদে ২ থেকে ৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে কাটিলাল আলু কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকায় এবং গুটি আলু কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা দরে। আলুর সরবরাহ কমের কারণে বেড়েছে দাম বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। তবে কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। কাঁচামরিচ কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায় এবং পেঁয়াজ দুই টাকা কেজিতে কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা কেজি দরে। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে হিলির কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়। 

আরও পড়ুন>> লিবিয়ায় বন্যায় রাজবাড়ীর দুই যুবকের মৃত্যু

হিলি বাজারে কাঁচাবাজার করতে আসা লুৎফর রহমান বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে হিলির বাজারে বেড়েছে আলুর দাম। আলু প্রতি দিন আমাদের খাবারের মেনুতে রাখতেই হয়। যার ফলে আলুর প্রয়োজন বেশি। আর এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা আলুর বাজারে সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছে। যার ফলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। আলুর দাম বেশি হওয়ার কারণে এক কেজি আলু কিনলাম।

হিলি বাজারের আলু বিক্রেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, দেশের বাজারে আলুর সরবরাহ কমার কারণে মোকামগুলোতে বেড়েছে আলুর চাহিদা। যার ফলে কিছুটা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। বর্তমানে কাটিলাল আলু ৩৭ থেকে ৩৮ টাকায় এবং গুটি আলু ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা দরে বিক্রি করছি। 

আরও পড়ুন>> রামগতিতে স্ত্রী-শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যা, শাশুড়ি আশঙ্কাজনক

তবে আগের থেকে ক্রেতা অনেক কমে গেছে। তবে কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। কাঁচামরিচ কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায় এবং পেঁয়াজ দুই টাকা কেজিতে কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা কেজি দরে।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা চলবে

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা চলবে। আজ বুধবার (৩০ আগস্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলার অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ১৭ মে নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। গত ১৯ মার্চ নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। 

আরও পড়ুন>> ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুই ঘণ্টা ছিলাম, সিন্ডিকেট বিষয়ে কথা হয়নি’

অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। 

আরও পড়ুন>> জাতীয় নির্বাচনে দেশের অর্থনীতিতে কোন প্রভাব পড়বে না: পরিকল্পনামন্ত্রী

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডার কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন। ২০০৮ সালের ৫ মে এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।


আরও খবর



রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে এলো আরও ৩১ হাজার ৩০০ টন কয়লা

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আরও ৩১ হাজার ৩০০ টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেস।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টায় বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া-১১ নম্বরে নোঙর করে জাহাজটি। এরপর সকালের শিফট থেকে জাহাজটি থেকে আমদানি করা কয়লা লাইটার ভেসেলে খালাস শুরু হয়েছে। সক্ষমতানুযায়ী লাইটারে বোঝাই শেষে ওই লাইটারেজে করে কয়লা নেওয়া হবে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে। এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার মুয়ারা পাত্তাই বন্দর থেকে ৪৯ হাজার ৭০০ টন কয়লা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেস। 

আরও পড়ুন>> খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে: আইনমন্ত্রী

জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেড, খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেস জাহাজটি ৪৯ হাজার ৭০০ টন কয়লা নিয়ে বাংলাদেশে আসে। সেখান থেকে প্রথমে ১৮ হাজার ৪০০ টন কয়লা চট্রগ্রাম বন্দরে খালাস করা হয়। সেগুলো লাইটার যোগে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আনা হয়। জাহাজে থাকা অবশিষ্ট ৩১ হাজার ৩০০ টন কয়লা নিয়ে আজ ভোরে এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেস নামক জাহাজটি মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় নোঙর করে।

তিনি জানান, কয়লা খালাস শুরু হয়েছে। খালাস শেষে এই কয়লা লাইটার জাহাজে করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে নিয়ে সেখান থেকে ইয়ার্ডে রাখা হবে।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩