আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

কক্সবাজারে রিসোর্ট থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৫ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল এলাকার সিকদার রিসোর্ট থেকে মোহাম্মদ ফায়সাল ওরফে হৃদয় (২১) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে টুরিস্ট পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে হোটেল শহরের কলাতলী মোটেল জোনের সিকদার রিসোর্টের ১০৮ নম্বর কক্ষ থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।

হোটেল সূত্র মতে মোহাম্মদ ফায়সাল কুমিল্লা দেবিদ্বারের বাসিন্দা ও বিজিবির সাবেক সুবেদার আলী আকবরের ছেলে। তারা বর্তমানে ঢাকার কামরাঙ্গীচরের মায়ের সাথে বসবাস করেন। হোটেল কর্তৃপক্ষ ও পরিবারের বরাত দিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশেরর পরিদর্শক রুহুল আমিন বলেন, বুধবার সকালে কলাতলীর হোটেল-মোটেল জোনের সিকদার রিসোর্টে কক্ষ ভাড়া নেয় হৃদয়। বৃহস্পতিবার সকালেও তাকে নাস্তা করতে দেখেছে রিসোর্টের লোকজন। কিন্তু দুপুরে বের না হওয়ায় তাকে ডাকাডাকি করে হোটেলের লোকজন। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরেও সাড়া না পাওয়ায় পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করে।

ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচনে দলীয় নেতাদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্দেশ বিএনপির

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বর্তমান সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন বর্জনের ধারাবাহিকতায় ৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছে বিএনপি। এবার দলের যেসব নেতাকর্মী নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার এবং ভোট বর্জনের নির্দেশ দিয়েছে দলটি।

বিএনপি নেতারা বলছেন, বিএনপি দলীয়ভাবে ভোট বর্জন করলেও তৃণমূলে দলের ৪০ থেকে ৪৫ জন প্রার্থী ভোটে থেকে যায়। তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনুরোধ করেন। এরপর দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে অনেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেও নিয়েছেন। আগামী রোববার বাকিরা প্রত্যাহার করে নেবে বলে আশা করে বিএনপি।

এই প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদকরা জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কাজ করছে। আমারও কেন্দ্র থেকে ফোন করে প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলছি। অনেকে ইতোমধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন খুব বেশি নেতাকর্মী ভোটে নেই। নাটোরে একজন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে বিএনপির এক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আসলে এবার নির্বাচনে যেহেতু দলীয় প্রতীক নেই, আমাদের উচিত ছিল ভোটে যাওয়া। এতে করে তৃণমূলে দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়তো নির্বাচনী কর্মকাণ্ড ঘিরে।

তিনি আরও বলেন, দলের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যারা ভোটে অংশ নিয়েছে তাদের সরে যেতে। সেই অনুযায়ী ভোটে অংশ নেওয়া নেতাদের ফোন করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করছি। এরপর যারা নির্বাচনে থেকে যাবে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে। যদিও এতে দলের সাংগঠনিক শক্তির ক্ষতি হবে।


আরও খবর



স্ত্রীর জড়িত থাকার বিষয়ে যা বললেন কারিগরির সাবেক চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের হাজার-হাজার সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় ওএসডি হওয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর এ বিষয়ে নিজ স্ত্রীকে নির্দোষ দাবি করেছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় ডিবি কার্যালয়ে থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ দাবি করেন। এদিন সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় তাকে তলব করে প্রায় ৩ ঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

আপনার স্ত্রী বিনা অপরাধে জেল খাটছে বলে মনে করেন? প্রশ্নের জবাবে আলী আকবর বলেন, আমার স্ত্রী কোনো ভুল করেছে কি না আমি জানি না। আমি তার বিষয়ে কিছুই জানি না। গোয়েন্দা সংস্থা তার কাছে কি তথ্য পেয়েছে সেটিও জানি না। আমি মনে করি বিনা অপরাধেই জেল খাটছে।

তাহলে আপনাকে ওএসডি করা হয়েছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিডিয়ায় একটি সংবাদ চলে আসছে এবং ডিবির কাছে তথ্য আছে, সেজন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। এক্ষেত্রে আমরা লজ্জিত ও দুঃখিত।

কী পরিমাণ সার্টিফিকেট বাণিজ্য হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিডিয়াতে শুনতে পেয়েছি পাঁচ কি সাড়ে পাঁচ হাজার। তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই কতগুলো হয়েছে।

সার্টিফিকেট বাণিজ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা বের করেছে, এর বেশি কিছু জানি না। সার্টিফিকেটের কাগজ ওয়েবসাইটে পাইনি।

২০ লাখ টাকা ঘুষের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এটির তদন্ত চলছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের হাজার-হাজার সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় ওএসডি হয়েছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর তার স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



খোলাবাজারে ডলার ১২৫ টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডলারের দাম ১১০ থেকে ১১৭ টাকা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে ক্রলিং পেগ নামের নতুন পদ্ধতিতে ডলার কেনাবেচা হবে। এই পদ্ধতিতে ডলারের রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। এর সঙ্গে এক টাকা যোগ বা বিয়োগ করতে পারবে ব্যাংকগুলো। সেক্ষেত্রে ডলারের দাম আরও বেড়ে হতে পারে ১১৮ টাকা।

অন্যদিকে ডলারের দাম ব্যাংকে ৭ টাকা বাড়লেও মানি এক্সচেঞ্জলোতে বেড়েছে ৯ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা। ডলারের সঙ্গে অন্য মুদ্রায়ও এর প্রভাব পড়েছে কার্ব মার্কেটে (খোলাবাজার)। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর ফকিরাপুল, পল্টন, মতিঝিল এলাকার মানি এক্সচেঞ্জগুলো ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

খোলাবাজারের পাশাপাশি ব্যাংকের এলসি খোলার দামও বেড়েছে। বুধবার (৮ মে) ১১৫ টাকায় এলসি খুলেছিল যেসব ব্যাংক তারাও আজ বৃহস্পতিবার ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা দর নিচ্ছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।

উল্লিখিত এলাকাগুলোতে বুধবার প্রতি ডলার কেনার রেট ছিল ১১৪ টাকা ৫০ পয়সা, বিক্রি হয়েছে ১১৬ টাকায়। বৃহস্পতিবার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা। আর কেনার ক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো যে যার মতো করে দর ঠিক করে দিচ্ছে।

এদিন পল্টন এলাকায় মিলন নামে একজনের সঙ্গে কথা হয়। একটি মানি এক্সচেঞ্জের নির্বাহী হিসেবে আছেন তিনি। ক্রেতা সেজে মিলনের কাছে ডলার কিনতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত হয়েছে বিকেলে। এখনো সিদ্ধান্তই নিতে পারিনি কত দামে বিক্রি করবো। বিকেলের দিকে ভিসা-পাসপোর্ট নিয়ে আসেন দেখি কী করা যায়।

পরে চলে আসার সময় পেছন থেকে ডাক দেন তিনি। বলেন, মামা যদি কিনতে চান এক দাম লাগবে ১২৫ টাকা। যদি নিতে চান তাহলে ওই চায়ের দোকানে আসেন।

সাইদুল নামে অন্য একজন বলেন, মামা এখন গোয়েন্দা-এনএসআই-ডিজিএফআই আছে। আপনি সত্যিকারের ক্রেতা নাকি গোয়েন্দা বুঝি কেমনে। এখনো বিক্রি শুরু করিনি, অল্প পরিমাণ আছে, সন্ধ্যায় কল দিয়ে আসবেন। দোকানের বাইরে গিয়ে দিয়ে আসবো।

তবে দাম কত নেবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে আসেন, তারপর বাধবে না (দাম নিয়ে)। তবে ১২৫ টাকার নিচে দেওয়া যাবে না।

এদিকে ডলারের সঙ্গে অন্য মুদ্রা বিনিময় দামও বেশি চাওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ মানি একচেঞ্জের কর্মকর্তারা বলেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় অন্য মুদ্রার দামও বেড়েছে। বুধবার পর্যন্ত ভারতীয় মুদ্রা এক টাকা ৪০ পয়সা ছিল, আজ (বৃহস্পতিবার) এক টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। অন্য দেশের মুদ্রার দামও বাড়িয়েছেন তারা।


আরও খবর



সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে: সিইসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচনের ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সে ব্যাপারে কমিশনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে সেটাই বড় কথা। কোনো দল এলো কি এলো না, সেটা বড় কথা নয়। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে এ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সে ব্যাপারে কমিশন চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ভোটে কেউ যাতে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সে ব্যাপারে ইসির অবস্থান স্পষ্ট। প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা। ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশকারীরা যাতে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ইসি কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। উৎসাহ-উদ্দীপনা থেকে ভোটের মাঠে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশনা রয়েছে কমিশনের।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথভাবে মোতায়েন করা সম্ভব হবে। প্রার্থী ও প্রার্থীদের কর্মীদের নির্বাচনে সহযোগিতার আহ্বান জানান ‍তিনি। গণমাধ্যমের মাধ্যমেও শৃঙ্খলা ভঙ্গের চিত্র দেখা গেলে কমিশন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান সিইসি।

বুধবার (৮ এপ্রিল) প্রথম ধাপে ১৪০টি উপজেলায় ভোট হবে। প্রথম ধাপে পাঁচটি উপজেলার প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছে বলে জানান সিইসি।


আরও খবর



জলবায়ু পরিবর্তনের মূল আঘাত যাচ্ছে এশিয়ার ওপর দিয়ে: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এশিয়া মহাদেশভুক্ত দেশগুলো। জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য।

ডব্লিউএমও’র মতে, অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টানা ও দীর্ঘ তাপপ্রবাহে এক দিকে এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহগুলো গলে যাচ্ছে, অন্য দিকে জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে— যা অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের পানির নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ব্যাপক সংকট সৃষ্টি করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ডব্লিউএমও’র প্রতিবেদনে।

মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে ডব্লিউএমওর শীর্ষ নির্বাহী কেলেস্টে সাউলো বলেন, এশিয়ার অধিকাংশ দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সাল ছিল উষ্ণতম বছর। বিশ্বে খরা, তাপপ্রবাহ, ঝড়, বন্যার মতো যত বিপর্যয় ঘটেছে, সেসবের অধিকাংশই ঘটেছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। জলবায়ু পরিবর্তনের গভীর প্রভাব ইতোমধ্যে জনজীবন ও পরিবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতিতেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধি, হিমবাহ গলে যাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রভাব আরও ব্যাপক হবে।’

ডব্লিউেএমও’র তথ্য অনুয়ায়ী, তাপমাত্রা বাড়ছে সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া, পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত। জাপানের ইতিহাসে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৩ সাল। একই সঙ্গে এ সময় প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ এশীয় অংশের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জেরে এশিয়ার হিমালয় পবর্তমালা এবং এই পর্বতমালার হিন্দুকুশ ও তিব্বত রেঞ্জের ২২ টি হিমবাহের মধ্যে অন্তত ২০টির বরফের মজুত ২০২৩ সালে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলসৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হচ্ছে এশিয়াকে। ২০২৩ সালে এশিয়ায় বড় আকারের ঝড়, বন্যা ও তুমুল বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৭৯টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৯০ লাখ।

জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোর আবহাওয়া কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাসে জোর দেওয়া হয়েছে ডব্লিউএমওর প্রতিবেদনে।

এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, আবহাওয়া কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে খানিকটা হলেও সহায়তা করবে। তবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমণ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এই মুহূর্তে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাস কেবল একটি বিকল্প নয়, বরং জরুরি কর্তব্য।’


আরও খবর