আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

করাচিতে বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১২

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের করাচিতে এক বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে। শনিবার দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে শেরশাহ এলাকার পারাচা চকে একটি গ্যাস পাইপলাইনে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।

বেনজির ভুট্ট হাসপাতাল ট্রমা সেন্টারের প্রধান ডা. সাবির মেমন নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আরও ১১ জন তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের সবার অবস্থা গুরুতর।

ডা. সাবির মেমন জানান, শেরশাহ বিস্ফোরণের ঘটনায় তারা আটটি মরদেহ পেয়েছেন আর বাকি চারজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। হাসপাতালের কর্মকর্তারা জিও নিউজকে জানিয়েছেন, হাসপাতালে যাদের আনা হয়েছে তাদের বেশিরভাগেরই শরীরের ওপরের অংশ আহত হয়েছে।

করাচি পুলিশের মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন গ্যাস পাইপলাইনেই বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে একটি বেসরকারি ব্যাংকের ভবন এবং কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী এবং আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকেন। আহতদের করাচির ট্রমা সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় বেলা একটা ৫০ মিনিটের দিকে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন ভবনের ধ্বংসস্তুপের নিচে অনেকেই আটকা পড়ে রয়েছেন। ধ্বংসস্তুপ সরাতে এবং কেউ আটকা পড়ে থাকলে তাদের উদ্ধারে ভারি যন্ত্রপাতি নেওয়া হয়েছে।

সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দ মুরাদ আলি শাহ বিস্ফোরণের কারণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া অবিলম্বে আহতদের চিকিৎসা সুবিধা দেওয়ার নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: বিস্ফোরণ করাচি

আরও খবর



রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় ওআইসির সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারের দাবিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় আইনি ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

ওআইসি সম্মেলনের শেষ দিনের অধিবেশনে স্থানীয় সময় রোববার (৫ মে) বিকেলে ওআইসি মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহার উপস্থিতিতে ওআইসি নেতৃবৃন্দের সামনে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার অগ্রগতি তুলে ধরেন পরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অধিবেশনে ড. হাছান মাহমুদ মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গাদের আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করায় গাম্বিয়াকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আইন ও আর্থিক বিষয়ে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর সহযোগিতা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে সহায়ক হবে।

সভায় সৌদি আরব, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, প্যালেস্টাইনসহ উপস্থিত সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ সময় গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদৌ তাঙ্গারা মিয়ানমার হতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।


আরও খবর



কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ভোটার কত, তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ জুনের মধ্যে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, নির্বাচন কমিশনসহ তিনজনকে এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে কক্সবাজারের ঈদগাহ ইউনিয়নের ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে গতকাল ২৩ এপ্রিল স্থানীয় ভোটার মো. হামিদুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া একটি রিট দায়ের করেন। রিটে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কতজন রোহিঙ্গা কক্সবাজারে নাগরিকত্ব পেয়ে ভোটার হয়েছেন তা খুঁজে বের করতে উচ্চপর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি করতে সরকারের সংশ্লিষ্টাদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়।

একই সঙ্গে ভোটার তালিকা থেকে রোহিঙ্গাদের বাদ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। এছাড়া সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত ঘোষিত তফসিলে নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ বন্ধ বা স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়।

রিটকারী আইনজীবী জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ৪০ রোহিঙ্গা। তাদের তালিকা যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়েছে।

এছাড়া একই ইউনিয়নে কয়েকশ (সাড়ে তিনশ) রোহিঙ্গা নাগরিক হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে তাদের নাগরিকত্ব থেকে বাদ দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়েছে রিটে বলেও জানান রিটকারী আইনজীবী।


আরও খবর



স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার খাসকান্দি এলাকায় স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়েছে যাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে স্বামী মো. শাহজালালের  (৩৮) বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৫ মে) সকাল ৯টার দিকে স্বামীর বসতঘর থেকে স্ত্রী জিয়াসমিন আক্তারের (২৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতের যে কোনো সময় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে শাহ জালাল।

নিহত জিয়াসমিনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। স্বামী শাহজালাল খাসকান্দি এলাকার মৃত হাসান আলীর ছেলে। ময়নাতদন্তের জন্য স্ত্রী জিয়াসমিনের লাশ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, খাসকান্দি এলাকার শাহজালাল ২ মাস আগে এক নারীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর নিজের স্ত্রী বলে পরিচয় দেয়। ওই নারী সনাতন ধর্মাবলম্বীর। শাহজালাল বিয়ে করার পর মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করে ওই নারী। তার নাম হয় জিয়াসমিন।

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে স্বামীর বসতঘর থেকে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে মঙ্গলবার দিবাগত রাতের স্বামী শাহজালাল তার স্ত্রীকে লাঠি দ্বারা আঘাত করে। এতে স্ত্রী জিয়াসমিনের মৃত্যু হয়।

তিনি আরো জানান, শাহজালাল এলাকার চিহ্নিত চোর ও ফৌজদারি মামলার আসামি। কিছুদিন আগেও তিনি ফৌজদারি মামলায় ৬ মাস কারাভোগ করেছেন। স্বামী শাহজালালকে গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে নেমেছে।


আরও খবর



বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে মোংলা থানার ওসি তদন্তকে প্রত্যাহার

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে এক মুসলিম নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মোংলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিরন্ময় সরকারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে বাগেরহাট পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট জেলা পুলিশ (এসপি) মো. আবুল হাসনত খাঁন।

এরআগে ভুক্তভোগী ওই নারী মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সহকারী পুলিশ সুপার ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ অভিযোগ করেন।

ওই অভিযোগে যশোর জেলার বাসিন্দা ভুক্তভোগী নারী উল্লেখ করেন, পাঁচ বছর আগে পুলিশ কর্মকর্তা হিরন্ময় সরকারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই সময় হিরন্ময় সরকার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) চাকরিরত ছিলেন। সনাতন ধর্মাবলম্বী হয়েও নিজেকে মুসলিম ধর্মাবলম্বী পরিচয় দিয়ে ওই নারীর সাথে ঘনিষ্ট হন হিরন্ময় সরকার। গোপন রাখেন তার আগের সংসারের কথাও। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেম, পরে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

ওই নারী অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, তাদের এমন সম্পর্কের কিছুদিন পর তিনি গর্ভধারণ করেন। এ সময় নানা অজুহাত দেখিয়ে হিরন্ময় সরকার ভ্রূণ নষ্ট করেন। এরপর ওসি হিরন্ময় ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।

গেল বৃহস্পতিবার (৯ মে) যশোর থেকে এসে মোংলার একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান নেন ওই নারী। পরে মোংলা থানায় গিয়ে বিষয়টি অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম ও সহকারী পুলিশ সুপার মোংলা সার্কেল মুশফিকুর রহমান তুষারকে অবহিত করেন।

শনিবার (১১ মে) বিকেলে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ওই নারী। পরে পুলিশ সুপারের আশ্বাসে ওই নারী রোববার (১২ মে) মোংলা থেকে নিজ জেলা যশোর ফিরে যান।

সোমবার (১৩ মে) দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খাঁন বলেন, হিরন্ময় সরকারকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ওই নারীর অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ পরিদর্শক হিরন্ময় সরকার বলেন, কয়েক মাস আগে তার সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় হয়। ওই নারী শুধু বন্ধু ছিল। তার সাথে শারীরিক বা প্রেমের সম্পর্ক হয়নি।


আরও খবর



ঠিকাদারের হাতে জিম্মি রোগীরা, দেওয়া হয় বাসি-পঁচা খাবার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:

দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে একজন ঠিকাদার ঝিনাইদহের মহেশপুর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহ করে আসছেন। একটানা ১৭ বছর একই ঠিকাদার খাবার সরবরাহের কারণে ঠিকাদারের কাছে জিম্মি রোগীরা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ খাবারের মান ও পরিমাপ নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠলেও উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে গেছে কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি বরাদ্দে যে খাবার সরবরাহ করার তালিকা রয়েছে, সেসব খাবার কখনো পূরণ না করে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এখানকার রোগীরা।

সরকার নির্ধারিত বরাদ্দে (২০২২-২০২৩) অর্থছরের তালিকা অনুয়ায়ী প্রতিটি রোগীর জন্য সকালের নাস্তা রুটি, কলা, ডিম- ৩৯ টাকা, দুপুরে ও রাতে মাছ, সবজি, ডাল ও সাপ্তাহে ৩ দিন মাংস- ১৩৬ টাকা। দিন প্রতিজন রোগীর জন্য ১৭৫ টাকা বরাদ্ধ থাকলেও যে ধরনের খাবার এবং যে পরিমাণ খাবার সরবরাহ করার কথা, রোগীরা সে পরিমাণ খাবার পাচ্ছেন না। পরিমাপে কম ও  পরিবেশন করা সকল খাবারই নিম্নমানের।

মাংস তো দুরের কথা মোটা চালের ভাত, নামে মাত্র মাছ, পঁচা-বাসি তরকারিসহ নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও পরিমাণে কম সরবরাহ করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী রোগীরা।

রোগীর স্বজন ও রোগীরা জানান, প্রতিদিন হাসপাতাল থেকে যে পরিমান খাবার দেওয়া হয় তা অতি সামান্য ও নিম্নমানের যা অনেকে খেতে পারেন না। অনেকে খাবার নেন না। আবার কেউ কেউ খাবার নিলেও রোগীরা খান না। নির্ধারিত পরিমানে মানসম্মত খাবার সরবরাহের দাবি তাদের।

মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানান, বর্তমান সরকার সেবাখাতকে জনকল্যাণমূলক করতে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। হাসপাতালে যারা ভর্তি থাকেন তাদের বেশিরভাগই গরীব রোগী। তাদের চিকিৎসার পাশাপাশি খাদ্য সরবরাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাবারের মান নিয়ে যেহেতু রোগীদের অভিযোগ রয়েছে, তাই এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদার মো.হাচান আলী বলেন, টেন্ডারের খাবার তালিকা অনুযায়ী প্রতিজন রোগীর জন্য ১৭৫ টাকা বরাদ্ধ থাকলেও শতকরা ২৫% ভ্যাটসহ অন্যদিকের খরচ বাদ দিয়ে কত টাকা থাকে আপনি বলেন? তারপরও বাজারের যে অবস্থা এর চাইতে রোগীদেরকে আর কি খাওয়াবো? 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী বলেন, নামে মাত্র কাগজে কলমে খাবারের তালিকা থাকলেও আজ পর্যন্ত কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খাবারের তালিকা অনুযায়ী রোগীদেরকে খাবার দেয়নি। তারা আরও বলেন এনিয়ে বেশি কিছু বলতেও পারি না যদি কোনো ঝামেলা করে।

নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের বিষয় জানতে চাইলে আরএমও ডা.সুলতান আহম্মেদ বলেন, আমি দায়িত্বে থাকলেও বিষয়টি সম্পূর্ণ দেখভাল কারেন স্যার(টিএইচও)। তারপরও তিনি খোজ খবর নিয়ে দেখবেন বলে জনান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদ বিন হেদায়েত বলেন, প্রতিদিন খাবারের মান ও পরিমাপ পরীক্ষা করা হয়। নিম্নমানের খাবার দেওয়া তো প্রশ্নই ওঠে না।


আরও খবর