চলমান করোনা মহামারিতে
বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত
রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা নেমেছে
আড়াই হাজারের নিচে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায়
সাড়ে ৬ লাখে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাজ্য। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ
কোরিয়া, ইতালি, রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্স। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা
ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি ৮৪ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬২ লাখ ৩৯ হাজার।
শনিবার (২৩ এপ্রিল)
সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস
থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন ২ হাজার ৪৮২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে প্রায় আটশো।
এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬২ লাখ ৩৯ হাজার ৪ জনে।
একই সময়ের মধ্যে
ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৬৫ হাজার ২৮৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায়
নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত
ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটি ৮৪ লাখ ২৪ হাজার ৯৩৬ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৩৩১ জন এবং মারা গেছেন ১৮৭ জন।
করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৪০ লাখ ১৯ হাজার ৭৬৮
জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৪ হাজার ৪৭১ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক
প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাজ্য। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৩৯৩ জন এবং মারা গেছেন ৩২০ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে
দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১৯ লাখ ৩৩ হাজার ২০৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ
৭৩ হাজার ৩৫২ জন মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ হাজার ৩৫২ জন এবং মারা গেছেন
২৮২ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ২৬ লাখ ১৭
হাজার ৯৮১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ১৮ হাজার ১০৯ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায়
রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৯৫ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন
৯ হাজার ১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা
১ কোটি ৮১ লাখ ১৯ হাজার ৮৬২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৫৬৩ জনের।
ফ্রান্সে নতুন
করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৮৯ জন এবং মারা গেছেন ১৪৬ জন। করোনা মহামারির
শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৮১ লাখ ৬৪ হাজার ৪০৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন
এবং ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৪৫ জন মারা গেছেন। থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
হয়েছেন ২১ হাজার ৮০৮ জন এবং মারা গেছেন ১২৮ জন।
করোনায় আক্রান্তের
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের
সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন ৩০ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৮৭৪ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে
এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৩০ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৯ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ
২২ হাজার ১৪৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায়
তুরস্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৯৮ জন এবং মারা গেছেন ১৫ জন।
একই সময়ে ইতালিতে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩ হাজার ২১২ জন এবং মারা গেছেন
২০২ জন। ভিয়েতনামে নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ১৬০ জন এবং মারা গেছেন
৭ জন।
এছাড়া করোনায়
আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কানাডায় ৬৫ জন, হাঙ্গেরিতে ২৪ জন, হংকংয়ে ১৫ জন, ইরানে ২১
জন, গ্রিসে ৩১ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১০ জন, পোল্যান্ডে ২৭ জন এবং ইন্দোনেশিয়ায় ২৫ জন
মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ২৯ জন। মহামারির শুরু থেকে
এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৩৩ জনের।
উল্লেখ্য, ২০১৯
সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০
সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর
আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।