চলমান করোনা মহামারিতে
বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন
শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাড়ে
পাঁচশোর বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায়
আড়াই লাখে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে তাইওয়ানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া,
যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৪ কোটি
৪২ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৩ লাখ ৪০ হাজার।
সোমবার (২০ জুন)
সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস
থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন ৫৫৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে দেড়শো। এতে বিশ্বজুড়ে
মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ৬৬৮ জনে।
একই সময়ের মধ্যে
ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৫৬ হাজার ৯৬৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায়
নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ১ লাখের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে
আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার ৩৭০ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে তাইওয়ানে। এই সময়ের মধ্যে
দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭২ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন
৫০ হাজার ৬৩৬ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা
৩২ লাখ ৯৫ হাজার ৭৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ২২১ জনের।
রাশিয়ায় গত ২৪
ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬২ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন
৩ হাজার ৮১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা
১ কোটি ৮৩ লাখ ৯৮ হাজার ২৬০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৪৬৩ জনের।
জার্মানিতে নতুন
করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে
এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৭২ লাখ ৪ হাজার ৯৫৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪০ হাজার
২৯২ জন মারা গেছেন। একইসময়ে উত্তর কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯
হাজার ৩২০ জন এবং দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৭৩ জন।
লাতিন আমেরিকার
দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে
রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৭ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত
হয়েছেন ১০ হাজার ৬৯১ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত
রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ১৭ লাখ ৪ হাজার ১৯৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬৯ হাজার ১০৯ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রে
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৯২৮ জন এবং মারা গেছেন
৩০ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার
৭৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৩৮ হাজার ৩২৩ জন মারা গেছেন। একইসময়ে মেক্সিকোতে
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৬৪২ জন এবং মারা গেছেন ৩৯ জন।
ইতালিতে নতুন
করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৫২৬ জন এবং মারা গেছেন ১৮ জন। করোনা মহামারির
শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৮ লাখ ৭৯ হাজার ১৬০ জন করোনায় আক্রান্ত
হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭২১ জন মারা গেছেন। একইসময়ে জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৭৪৭ জন এবং মারা গেছেন ২০ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায়
অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ১২৩ জন এবং মারা গেছেন
৪২ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৯২ জন
এবং মারা গেছেন ২২ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৩০১ জন এবং
মারা গেছেন ২৫ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯
সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০
সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর
আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।