আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

কৃত্রিম চালে বাড়ছে বিপদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ মার্চ 20২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ মার্চ 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ

Image

দেশে চালের বাজারে দাপট দেখিয়ে বেড়াচ্ছে মিনিকেট আর নাজিরশাইল নামের চাল। অভিজাতধারার অপ্রতিদ্বন্দ্বী এসব সুদৃশ্য চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে অনেক বেশি দামে। কিনেও নিচ্ছেন মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত পরিবারের ক্রেতারা। তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, মিনিকেট কিংবা নাজিরশাইল নামে দেশে কোনো ধান নেই, বা জন্মেও না। অথচ বাজার সয়লাব হয়ে গেছে এসব কাল্পনিক ধানের চালে। মূলত, নানা জাতের চাল ছাঁটাই করেই মিনিকেট ও নাজিরশাইল নামে বিক্রি করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে কাল্পনিক ধানের নামে চালের ব্যবসা। বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়েছে।

তবে বিপদের কথা হচ্ছে, ছাঁটাই বা পলিশড করার কারণে চালের পুষ্টিমান কমে যাচ্ছে ৬০ শতাংশের বেশি। শুধু তাই নয়, ছাঁটাই করা চালের বাকি অংশ চোরাইপথে পাচার হচ্ছে প্রতিবেশী দেশ ভারতে। বছরে পাচার হওয়া চালের পরিমাণও কম নয়, প্রায় ২৫ লাখ টন। এতে একদিকে যেমন খাদ্যসংকট তৈরি হয়েছে, তেমনি পুষ্টিহীনতা বেড়ে যাচ্ছে। এমন উদ্বেগের তথ্য তুলে ধরেছে একটি গবেষণাপত্র। সম্প্রতি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে নিউট্রিশন অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট অব পলিশড রাইস সোল্ড ইন বাংলাদেশ শিরোনামে গবেষণায় এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

গবেষণা কাজ পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (খাদ্য শিল্প ও উৎপাদন) সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম। তিনি বলেন, ছাঁটাইয়ের (পলিশ) ফলে চালের পুষ্টিমান প্রকার ভেদে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাচ্ছে। আবার চালকলগুলো একটি চালের দানা ১৮ শতাংশ পর্যন্ত ছাঁটাই করছে। এই ছাঁটাইয়ের অর্ধেকটা কমানো সম্ভব হলে ২৫ লাখ টন চাল সাশ্রয় হবে। বর্তমানে এটি প্রাণিখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার রাইস ব্রান তেলের উপাদান হিসেবেও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার হচ্ছে অবলীলায়।

এদিকে খাদ্যঘাটতির দিকে নজর দিলে দেখা যায়, প্রতিবছর দেশে রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদন হলেও সরকারকে খাদ্যসামগ্রী বা চাল কিনতেই হয়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, দেশে বছরে চালের চাহিদা দুই কোটি ৮০ লাখ টনের বেশি। এর সঙ্গে ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে যুক্ত করে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে চালের চাহিদা তিন কোটি ৫৩ লাখ টনের কাছাকাছি।

এখন চাহিদার বিপরীতে উৎপাদনের দিকে তাকালে দেখা যায়, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে চাল উৎপাদন হয়েছে তিন কোটি ৮৭ লাখ টন চাল। যেখানে ৩৪ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত। অথচ বলা হচ্ছে, দেশে চালের ঘাটতি রয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আর সেই ঘাটতি থেকেই দেশে বছরে চাল আমদানির পরিমাণ ৩৯ লাখ টনের কাছাকাছি। তাহলে প্রশ্ন থাকে প্রায় ৭০ লাখ টন চালেল গন্তব্য কোথায়?

চালের উৎপাদন আর সরবরাহের ক্ষেত্রে শুভঙ্করের এই ফাঁকি ঠেকাতে গবেষক ড. আব্দুল আলীম দুটি পরামর্শ দিয়েছেন। যা বাস্তবায়ন করলে চাল নিয়ে যে বিব্রতকর সংকট তার কিছুটা সমাধান হতে পারে। প্রথমত, স্বীকৃত ধান ব্যতীত অন্যকোনো নামে চাল বাজারজাতকরণ করা যাবে না। দ্বিতীয়ত, ভোক্তার অধিকার রক্ষায় মোড়কের গায়ে চালের জাতের নাম লিখতে হবে।

ড. আব্দুল আলীমের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি কমিটি চার মাস ধরে চালের বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে বিচার বিশ্লেষণ করে যে তথ্য বা ফলাফল প্রকাশ করেছেন তারই আলোকে এই পরামর্শ দিয়েছেন।

গবেষণায় দেখানো হয়, সিদ্ধ ব্রি ধান-২৮ ব্রাউন রাইসে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রটিনের পরিমাণ থাকে ৮ দশমিক ৮ (গ্রাম), ফ্যাট থাকে ১ দশমিক শূন্য, সিএইচও ৭৭ দশমিক ১। ভিটামিন বি-১ থাকে শূন্য দশমিক ১৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ থাকে শূন্য দশমিক শূন্য ২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৩ থাকে ৩ দশমিক ৮৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ থাকে শূন্য দশমিক ২১ ও ভিটামিন বি৯ থাকে ১২ দশমিক শূন্য

সিদ্ধ ব্রি ধান-২৮ ৫ শতাংশ ছাঁটাই করলে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রোটিনের পরিমাণ নেমে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৪ (গ্রাম), ফ্যাট থাকে শূন্য দশমিক ৯, সিএইচও ৭৭ দশমিক ৮। ভিটামিন বি-১ থাকে শূন্য দশমিক ১২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ থাকে শূন্য দশমিক শূন্য ১৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-৩ থাকে ৩ দশমিক ১৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ থাকে শূন্য দশমিক ১৮ ও ভিটামিন বি৯ থাকে ৭ দশমিক শূন্য।

গবেষণায় বলা হয়, যদি ৫ শতাংশ ছাঁটাই করা হয় তবে ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ প্রোটিন কমে যায়। ফ্যাট কমে ১০ দশমিক শূন্য শতাংশ। সিএইচও অর্জন হয় শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ ও ভিটামিন বি১ কমে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। সিদ্ধ ব্রি ধান২৮ ১০ শতাংশ ছাঁটাই করলে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রোটিনের পরিমাণ নেমে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ২ (গ্রাম), ফ্যাট থাকে শূন্য দশমিক ৮, সিএইচও ৭৮ দশমিক ৬। ভিটামিন বি১ থাকে শূন্য দশমিক ১১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২ থাকে শূন্য দশমিক শূন্য ১৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৩ থাকে ৩ দশমিক মুন্য ৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ থাকে শুন্য দশমিক ১৮ ও ভিটামিন বি৯ থাকে ৬ দশমিক শূন্য। তাতে, ১০ শতাংশ ছাঁটাইয়ে ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ প্রোটিন কমে যায়। ফ্যাট কমে ২০ দশমিক শূন্য শতাংশ। সিএইচও অর্জন হয় এক দশমিক ৯৫ শতাংশ ও ভিটামিন বি১ কমে ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

গবেষণায় আতপ চাল সম্পর্কে বলা হয়, ব্রি ধান২৮ ব্রাউন রাইসে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রোটিনের পরিমাণ থাকে ৯ দশমিক শূন্য (গ্রাম), ফ্যাট থাকে ১ দশমিক ১, সিএইচও ৭৬ দশমিক ৭। ভিটামিন বি১ থাকে শূন্য দশমিক ১৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২ থাকে শূন্য দশমিক শূন্য ২১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৩ থাকে ৩ দশমিক ৯৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ থাকে শূন্য দশমিক ২৩ ও ভিটামিন বি৯ থাকে ১১ দশমিক শূন্য। ব্রি ধান২৮ ৫ শতাংশ ছাঁটাই করলে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রটিনের পরিমাণ নেমে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৭ (গ্রাম), ফ্যাট থাকে ১ দশমিক শুন্য, সিএইচও ৭৭ দশমিক ৫। ভিটামিন বি১ থাকে শুন্য দশমিক ১১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২ থাকে শুন্য দশমিক শুন্য ১৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৩ থাকে ৩ দশমিক ২৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ থাকে শুন্য দশমিক ১৯ ও ভিটামিন বি৯ থাকে ৬ দশমিক শুন্য।

গবেষণায় বলা হয়, যদি ৫ শতাংশ ছাঁটাই করা হয় তবে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ প্রটিন কমে যায়। ফ্যাট কমে ৯ দশমিক ১ শতাংশ। সিএইচও কমে ১ দশমিক শুন্য শতাংশ। ভিটামিন বি১ কমে ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ (মিলিগ্রাম)। আতপচালে ১০ শতাংশ ছাঁটাই করলে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রটিনের পরিমাণ নেমে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৬ (গ্রাম), ফ্যাট ১ দশমিক শুন্য, সিএইচও ২ দশমিক শুন্য। ভিটামিন বি১ কমে ৩৫ দশমিক ৭ মিলিগ্রাম।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, সরকার পুষ্টিসমৃদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্য নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে। ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করতে যে জাতের চাল সে নামেই ব্রান্ডিং করতে হবে। তিনি গবেষণা সম্পর্কে বলেন, এর মাধ্যমে পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল খাবারের ব্যাপারে সবাই উৎসাহিত হবেন।


আরও খবর



সিআইপি কার্ড পেলেন চট্টগ্রামের ১২ ব্যবসায়ী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

দেশের বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ১৪০ জন ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) নির্বাচিত করেছে সরকার। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১২ ব্যবসায়ী রয়েছেন। অন্যদিকে পদাধিকার বলে ট্রেড ক্যাটাগরি থেকে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ৪৪ পরিচালকও পেয়েছেন সিআইপি মর্যাদা।

দুই ধরনের সিআইপি মিলিয়ে ২০২২ সালের জন্য মোট ১৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে গেজেট প্রকাশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকার ওয়াটার গার্ডেনে ১৮৪ ব্যবসায়ীর হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান ও এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো।

চট্টগ্রামের নির্বাচিত ১২ সিআইপি হলেন, কৃষিজাত দ্রব্য একক ক্যাটাগরিতে (একক) নগরীর আগ্রাবাদ শেখ মুজিব রোডের মেসার্স এস আর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. ফোরকান, এগ্রোপ্রসেসিং (একক) ক্যাটাগরিতে আগ্রাবাদ কিষোয়ান স্ন্যাকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, নীটওয়্যার (একক) ক্যাটাগরিতে ডবলমুরিং এলাকার ডিভাইন ইন্টিমেটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাওহার সিরাজ জামিল, নীটওয়্যার গার্মেন্টস (গ্রুপ) ক্যাটাগরিতে নাসিরাবাদ শিল্প এলাাকর কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, নীটওয়্যার গার্মেন্টস (গ্রুপ) ক্যাটাগরিতে বায়েজিদ কুলগাঁও জালালাবাদের রিটজী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা মো. জামশেদ আলী, টেঙটাইল (ফেব্রিঙ) একক ক্যাটাগরিতে পটিয়ার কালারপুল এলাকার ফোর এইচ ডাইং এন্ড প্রিন্টিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মিস সাহারা চৌধুরী, বিবিধ (একক) ক্যাটাগরিতে পাহাড়তলী সাগরিকা রোড বিসিক শিল্প এলাকার মেরিন সেফটি সিস্টেমের ব্যবস্থাপনা অংশীদার গাজী মোকাররম আলী চৌধুরী, বিবিধ (একক) ক্যাটাগরিতে নগরীর সদরঘাট রোডের বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমের আলী হুসাইন, বিবিধ (একক) ক্যাটাগরিতে পাহাড়তলী সরাইপাড়া সাগরিকা রোডের মনির ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. মনির হোসেন, ইপিজেডভুক্ত সি (একক) ক্যাটাগরিতে সিইপিজেড প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর এবং ইপিজেডভুক্ত সি (একক) ক্যাটাগরিতে সিইপিজেডের ইউনিটি স্টাইল এন্ড এঙেসরিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ অহীদ সিরাজ চৌধুরী। অন্যদিকে সিআইপি ট্রেডে নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধি এবং এফবিসিসিআই পরিচালক মোহাম্মদ নুরুন নেওয়াজ।

উল্লেখ্য, নির্বাচিত সিআইপিরা এক বছর পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সুযোগসুবিধা ভোগ করবেন। সিআইপি কার্ডের মেয়াদকালীন বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র গাড়ির স্টিকার পাবেন। বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে বিদেশে ভ্রমণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভিসাপ্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে লেটার অব ইন্ট্রুডাকশন ইস্যু করবে। সিআইপি ব্যক্তিদের স্ত্রী, সন্তান ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। একইসঙ্গে বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। সিআইপি কার্ডের মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হওয়ার পর এক সপ্তাহের মধ্যে তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে কাউকে প্রদত্ত সিআইপি সুবিধা প্রত্যাহার করার ক্ষমতা সরকার সংরক্ষণ করে।


আরও খবর



অপহৃত দেলোয়ারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিংড়ার চেয়ারম্যান ঘোষণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর হাতে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার সেই দেলোয়ার হোসেনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সভাকক্ষে উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ শেষে তাকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ।

এর আগে সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দুই প্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেল ও দেলোয়ার হোসেনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ ও মারধরের অভিযোগ ওঠায় গত রোববার তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। সেই ধারাবাহিকতায় আজ দেলোয়ার হোসেনকে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়।

লুৎফুল হাবিব রুবেল সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং সিংড়ার সংসদ সদস্য ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক। উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।

এর আগে গত সোমবার বিকেলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতর থেকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে মারধর করতে করতে একটি কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এর পাঁচ ঘণ্টা আগে তার ভাইসহ এক আওয়ামী লীগ নেতাকে একই এলাকা থেকে একইভাবে তুলে নিয়ে যায়। এর কিছু পরে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রার্থী দেলোয়ারকে গ্রামের বাড়ির (সিংড়ার কলম ইউনিয়নের পারসাঐল গ্রাম) সামনে ফেলে রেখে যায় মাইক্রোবাসটি। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ওই দিন রাতে দেলোয়ার হোসেনের ভাই মুজিবর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন। এ পর্যন্ত পুলিশ দুই দফায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়া সুমন আহমেদ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি প্রতিপক্ষ প্রার্থী লুৎফুল হাবীবের পক্ষ নিয়ে দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণের কথা স্বীকার করেন।

অপহরণের ওই ঘটনায় লুৎফুল হাবীবকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে অপহরণের ঘটনায় জড়িত দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


আরও খবর



ঈশ্বরদীতে জমি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২১

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

পাবনার ঈশ্বরদীতে জমিজমা বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে খাইরুল ইসলাম (৪০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২১ জন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ী আলহাজ্ব মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত খাইরুল ইসলাম চরগড়গড়ী আলহাজ্ব মোড়ের পশ্চিমপাড়ার মৃত নসিম উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে। 

পুলিশ জানায়, জমি-জমার বিরোধ নিয়ে সাহাপুর ইউনিয়নের দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দুই দিন ধরে তাদের মধ্যে মারামারারি ঘটনা ঘটে। সেই বিরোধের জেরে বিকেলে তারা আবারও সংঘর্ষ জড়ায়। এতে ঘটনাস্থলেই খাইরুলের মৃত্যু হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলতে পারব।


আরও খবর



পাসের হারে শীর্ষে যশোর, সর্বনিম্ন সিলেটে

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে যশোর বোর্ড। আর সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট বোর্ডে।

যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

এ ছাড়াও ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

এর আগে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ফলাফল দেখবেন যেভাবে

পরীক্ষার্থীকে ফল দেখতে ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। সেখানে থাকা Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএনর (EIIN) মাধ্যমে ফল জানা যাবে।

এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। সেক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ-SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে সারা দেশের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।


আরও খবর



নির্বাচনের পর সংকট আরও বেড়েছে: ফখরুল

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সরকার মনে করেছে নির্বাচনের পর সংকট উতরে গেছে। কিন্তু সংকট উতরে যায়নি, আরও গভীর হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি। সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে নিজের স্বাস্থ্যের অবস্থা তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের পূর্বে বহু নেতাকর্মীকে একতরফা সাজা দিয়েছে আদালত। এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছে বিএনপি। বিনা শুনানিতেও সাজা দিয়েছে সরকার। এখনো গুরুত্বপূর্ণ নেতারা কারাগারে রয়েছেন। চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে সাজা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বিরাজনীতিকরণ করতে ২ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দল যেন না থাকে। মানুষের সর্বশেষ আশা ভরসার স্থল হচ্ছে কোর্ট, কিন্তু সেখানেও কেউ কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না।

৫২৭টি ভারতীয় পণ্যে বিষাক্ত উপাদান পাওয়া গেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রতিটি দেশেরই উচিত, নিজ নিজ দেশে আমদানি পণ্য পৌঁছার পর পণ্যের নিরাপত্তা মান পরীক্ষা করা। আমদানি করা পণ্য সংশ্লিষ্ট দেশে পৌঁছানো মাত্রই জনগণের ক্রয়ের জন্য বাজারে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত নয়। কারণ, এর আগেও ২০২২ এবং ২০২৩ সালে ১২১টি ভারতীয় পণ্য মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তারপরও পণ্যের উৎস দেশটি এই পণ্যগুলো ত্রুটিমুক্ত করার জন্য জন্য কোনও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

মির্জা ফখরুল, হংকং এবং সিঙ্গাপুর তাদের দেশে ভারতীয় কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্ট স্পাইসের গুঁড়া মসলা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সিঙ্গাপুরও দেশটির বাজার থেকে এভারেস্টের গুঁড়া মসলা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছে। হংকং ভারতীয় দুই কোম্পানির গুঁড়া মসলায় ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক ইথিলিন অক্সাইড শনাক্ত হওয়ার পর দেশ দুটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে সভা মনে করে, জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশেরও উচিত দেশে আমদানি করা প্রতিটি পণ্য বাজারে ছাড়ার আগে যথাযথভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা পণ্যের মান যাচাই করে নেওয়া। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কিংবা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্য বাজারে ছাড়া উচিত নয়।

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ একটি ব্যর্থরাষ্ট্র। সরকার পরিকল্পিতভাবে ব্যর্থরাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এটি অনেক আগে থেকেই বলে আসছি। একটি রাষ্ট্র ব্যর্থরাষ্ট্রে পরিণত হয়, যখন অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে যায়, রাজনীতির পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। গোটা রাষ্ট্র একটি নৈরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ঘুস ছাড়া চাকরি হয় না। তাও আবার ক্ষমতাসীন দলের ছাড়া সম্ভব নয়। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থরাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা টাকা পাচার করে সেটি বিনিয়োগ করেছে বিদেশে। অথচ বাংলাদশের মানুষের অবস্থা খারাপ।

বেগম খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এটি বললে আওয়ামী লীগের গায়ে জ্বালা ধরে যায়। কিন্তু এটি সত্য। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। সার্বক্ষণিক মেডিকেল পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

মার্কিন সহকারি মন্ত্রী ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কে এলো তাতে ইন্টারেস্ট নেই। জনগণই বিএনপির শক্তি। সরকার মনে করছে নির্বাচনের পর সংকট উতরে গেছে। কিন্তু সংকট আরও বেড়েছে।


আরও খবর