আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

কৃত্রিম চালে বাড়ছে বিপদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ মার্চ 20২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ মার্চ 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ

Image

দেশে চালের বাজারে দাপট দেখিয়ে বেড়াচ্ছে মিনিকেট আর নাজিরশাইল নামের চাল। অভিজাতধারার অপ্রতিদ্বন্দ্বী এসব সুদৃশ্য চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে অনেক বেশি দামে। কিনেও নিচ্ছেন মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত পরিবারের ক্রেতারা। তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, মিনিকেট কিংবা নাজিরশাইল নামে দেশে কোনো ধান নেই, বা জন্মেও না। অথচ বাজার সয়লাব হয়ে গেছে এসব কাল্পনিক ধানের চালে। মূলত, নানা জাতের চাল ছাঁটাই করেই মিনিকেট ও নাজিরশাইল নামে বিক্রি করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে কাল্পনিক ধানের নামে চালের ব্যবসা। বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়েছে।

তবে বিপদের কথা হচ্ছে, ছাঁটাই বা পলিশড করার কারণে চালের পুষ্টিমান কমে যাচ্ছে ৬০ শতাংশের বেশি। শুধু তাই নয়, ছাঁটাই করা চালের বাকি অংশ চোরাইপথে পাচার হচ্ছে প্রতিবেশী দেশ ভারতে। বছরে পাচার হওয়া চালের পরিমাণও কম নয়, প্রায় ২৫ লাখ টন। এতে একদিকে যেমন খাদ্যসংকট তৈরি হয়েছে, তেমনি পুষ্টিহীনতা বেড়ে যাচ্ছে। এমন উদ্বেগের তথ্য তুলে ধরেছে একটি গবেষণাপত্র। সম্প্রতি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে নিউট্রিশন অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট অব পলিশড রাইস সোল্ড ইন বাংলাদেশ শিরোনামে গবেষণায় এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

গবেষণা কাজ পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (খাদ্য শিল্প ও উৎপাদন) সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম। তিনি বলেন, ছাঁটাইয়ের (পলিশ) ফলে চালের পুষ্টিমান প্রকার ভেদে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাচ্ছে। আবার চালকলগুলো একটি চালের দানা ১৮ শতাংশ পর্যন্ত ছাঁটাই করছে। এই ছাঁটাইয়ের অর্ধেকটা কমানো সম্ভব হলে ২৫ লাখ টন চাল সাশ্রয় হবে। বর্তমানে এটি প্রাণিখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার রাইস ব্রান তেলের উপাদান হিসেবেও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার হচ্ছে অবলীলায়।

এদিকে খাদ্যঘাটতির দিকে নজর দিলে দেখা যায়, প্রতিবছর দেশে রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদন হলেও সরকারকে খাদ্যসামগ্রী বা চাল কিনতেই হয়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, দেশে বছরে চালের চাহিদা দুই কোটি ৮০ লাখ টনের বেশি। এর সঙ্গে ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে যুক্ত করে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে চালের চাহিদা তিন কোটি ৫৩ লাখ টনের কাছাকাছি।

এখন চাহিদার বিপরীতে উৎপাদনের দিকে তাকালে দেখা যায়, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে চাল উৎপাদন হয়েছে তিন কোটি ৮৭ লাখ টন চাল। যেখানে ৩৪ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত। অথচ বলা হচ্ছে, দেশে চালের ঘাটতি রয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আর সেই ঘাটতি থেকেই দেশে বছরে চাল আমদানির পরিমাণ ৩৯ লাখ টনের কাছাকাছি। তাহলে প্রশ্ন থাকে প্রায় ৭০ লাখ টন চালেল গন্তব্য কোথায়?

চালের উৎপাদন আর সরবরাহের ক্ষেত্রে শুভঙ্করের এই ফাঁকি ঠেকাতে গবেষক ড. আব্দুল আলীম দুটি পরামর্শ দিয়েছেন। যা বাস্তবায়ন করলে চাল নিয়ে যে বিব্রতকর সংকট তার কিছুটা সমাধান হতে পারে। প্রথমত, স্বীকৃত ধান ব্যতীত অন্যকোনো নামে চাল বাজারজাতকরণ করা যাবে না। দ্বিতীয়ত, ভোক্তার অধিকার রক্ষায় মোড়কের গায়ে চালের জাতের নাম লিখতে হবে।

ড. আব্দুল আলীমের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি কমিটি চার মাস ধরে চালের বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে বিচার বিশ্লেষণ করে যে তথ্য বা ফলাফল প্রকাশ করেছেন তারই আলোকে এই পরামর্শ দিয়েছেন।

গবেষণায় দেখানো হয়, সিদ্ধ ব্রি ধান-২৮ ব্রাউন রাইসে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রটিনের পরিমাণ থাকে ৮ দশমিক ৮ (গ্রাম), ফ্যাট থাকে ১ দশমিক শূন্য, সিএইচও ৭৭ দশমিক ১। ভিটামিন বি-১ থাকে শূন্য দশমিক ১৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ থাকে শূন্য দশমিক শূন্য ২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৩ থাকে ৩ দশমিক ৮৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ থাকে শূন্য দশমিক ২১ ও ভিটামিন বি৯ থাকে ১২ দশমিক শূন্য

সিদ্ধ ব্রি ধান-২৮ ৫ শতাংশ ছাঁটাই করলে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রোটিনের পরিমাণ নেমে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৪ (গ্রাম), ফ্যাট থাকে শূন্য দশমিক ৯, সিএইচও ৭৭ দশমিক ৮। ভিটামিন বি-১ থাকে শূন্য দশমিক ১২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ থাকে শূন্য দশমিক শূন্য ১৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-৩ থাকে ৩ দশমিক ১৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ থাকে শূন্য দশমিক ১৮ ও ভিটামিন বি৯ থাকে ৭ দশমিক শূন্য।

গবেষণায় বলা হয়, যদি ৫ শতাংশ ছাঁটাই করা হয় তবে ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ প্রোটিন কমে যায়। ফ্যাট কমে ১০ দশমিক শূন্য শতাংশ। সিএইচও অর্জন হয় শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ ও ভিটামিন বি১ কমে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। সিদ্ধ ব্রি ধান২৮ ১০ শতাংশ ছাঁটাই করলে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রোটিনের পরিমাণ নেমে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ২ (গ্রাম), ফ্যাট থাকে শূন্য দশমিক ৮, সিএইচও ৭৮ দশমিক ৬। ভিটামিন বি১ থাকে শূন্য দশমিক ১১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২ থাকে শূন্য দশমিক শূন্য ১৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৩ থাকে ৩ দশমিক মুন্য ৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ থাকে শুন্য দশমিক ১৮ ও ভিটামিন বি৯ থাকে ৬ দশমিক শূন্য। তাতে, ১০ শতাংশ ছাঁটাইয়ে ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ প্রোটিন কমে যায়। ফ্যাট কমে ২০ দশমিক শূন্য শতাংশ। সিএইচও অর্জন হয় এক দশমিক ৯৫ শতাংশ ও ভিটামিন বি১ কমে ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

গবেষণায় আতপ চাল সম্পর্কে বলা হয়, ব্রি ধান২৮ ব্রাউন রাইসে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রোটিনের পরিমাণ থাকে ৯ দশমিক শূন্য (গ্রাম), ফ্যাট থাকে ১ দশমিক ১, সিএইচও ৭৬ দশমিক ৭। ভিটামিন বি১ থাকে শূন্য দশমিক ১৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২ থাকে শূন্য দশমিক শূন্য ২১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৩ থাকে ৩ দশমিক ৯৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ থাকে শূন্য দশমিক ২৩ ও ভিটামিন বি৯ থাকে ১১ দশমিক শূন্য। ব্রি ধান২৮ ৫ শতাংশ ছাঁটাই করলে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রটিনের পরিমাণ নেমে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৭ (গ্রাম), ফ্যাট থাকে ১ দশমিক শুন্য, সিএইচও ৭৭ দশমিক ৫। ভিটামিন বি১ থাকে শুন্য দশমিক ১১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২ থাকে শুন্য দশমিক শুন্য ১৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৩ থাকে ৩ দশমিক ২৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ থাকে শুন্য দশমিক ১৯ ও ভিটামিন বি৯ থাকে ৬ দশমিক শুন্য।

গবেষণায় বলা হয়, যদি ৫ শতাংশ ছাঁটাই করা হয় তবে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ প্রটিন কমে যায়। ফ্যাট কমে ৯ দশমিক ১ শতাংশ। সিএইচও কমে ১ দশমিক শুন্য শতাংশ। ভিটামিন বি১ কমে ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ (মিলিগ্রাম)। আতপচালে ১০ শতাংশ ছাঁটাই করলে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রটিনের পরিমাণ নেমে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৬ (গ্রাম), ফ্যাট ১ দশমিক শুন্য, সিএইচও ২ দশমিক শুন্য। ভিটামিন বি১ কমে ৩৫ দশমিক ৭ মিলিগ্রাম।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, সরকার পুষ্টিসমৃদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্য নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে। ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করতে যে জাতের চাল সে নামেই ব্রান্ডিং করতে হবে। তিনি গবেষণা সম্পর্কে বলেন, এর মাধ্যমে পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল খাবারের ব্যাপারে সবাই উৎসাহিত হবেন।


আরও খবর



নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিলো আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে আগামী ২৬ এপ্রিল, শুক্রবার শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশের সঞ্চালনা করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।

এদিকে, আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সমাবেশ করতে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) ডিএমপি কমিশনারকে অবহিত করে চিঠি দিয়েছে দলটি।

বিএনপি সূত্র জানায়, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা বেগম জিয়ার মুক্তির দাবি ও দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং সাজার প্রতিবাদে এ সমাবেশ করবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।


আরও খবর



হলফনামায় যে পরিমাণ সম্পত্তি দেখালেন কঙ্গনা রানাওয়াত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডের অন্যতম অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। রিল থেকে রিয়েল লাইফে বেশ আলোচিত। ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির কড়া সমর্থক তিনি।

এবার হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন কঙ্গনা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরেই সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে ভক্তদের মাঝে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।

কঙ্গনা হলফনামায় জানিয়েছে, তার বাড়ি-গাড়ি থেকে শুরু করে প্রায় ৯১ কোটি টাকা হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ১৭ কোটি টাকার দেনা রয়েছে এ অভিনেত্রীর।

হলফনামা থেকে জানা যায়, মুম্বাইয়ে তিনটি বাড়িসহ প্রযোজনা সংস্থা রয়েছে। একটি বাংলো রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। কয়েক বছর আগে জন্মভূমি মানালিতে একটি বাড়ি বানিয়েছে যার বাজারমূল্যও প্রায় ১৬ কোটি টাকা। চণ্ডীগড়ে বেশ কিছু সম্পত্তি রয়েছে।

এছাড়া কঙ্গনার প্রায় সাড়ে ৬ কেজি গয়না রয়েছে। এবং রুপো রয়েছে ৬০ কেজির মতো। যার মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। ব্যাংকে রয়েছে  ১.৩২ কোটি টাকা। অভিনেত্রীর বেশ কিছু বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে, সঙ্গে একটি স্কুটারও আছে। ২০২২-২০২৩ অর্থ-বছরে অভিনেত্রীর বার্ষিক আয় ছিল ৪ কোটি।

উল্লেখ্য, কঙ্গনা রানাওয়াত তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং চারবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন। পাঁচবার ফোর্বস ইন্ডিয়ার সেরা ১০০ সেলিব্রিটির তালিকায় জায়গা পেয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কুইন ছবিতে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য তাকে বলিউডের রানি বলা হয়। বিভিন্ন সময় বির্তকের কারণে সংবাদ শিরোনামে এসেছেন তিনি।


আরও খবর



এবার ভরিতে ১৮৭৮ টাকা কমল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বাজারে ফের কমল স্বর্ণের দাম। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৭৮ টাকা কমানো হয়েছে। এর ফলে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪ হাজার ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৯ হাজার ৩১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৪ হাজার ২৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা।

স্বর্ণে দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটেগরি ভেদে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের রুপা ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল, ২৮ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল সাত দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়। সবশেষ গত ৩০ এপ্রিল ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের ৪২০ টাকা কমানো হয়।


আরও খবর



শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল ও মতিঝিল থেকে উত্তরা সপ্তাহে ছয়দিন নিয়মিত চলাচল করছে এটি। তবে যাত্রীদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এবার শুক্রবারও মেট্রোরেল চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, আগামী জুলাই থেকে অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবারও মেট্রোরেল চলাচলের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।

তবে বিষয়টি নিয়ে এখনই কিছু বলতে রাজি নন ডিএমটিসিএলের কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ। তিনি বলেছেন, ‌এ বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। যদি এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে, হয়তো কয়েকদিন পরে আমাদের এমডি এম এ এন ছিদ্দিক স্যার সংবাদ সম্মেলন করে জানাবেন।

মেট্রোরেলের বর্তমান সময়সূচি অনুযায়ী, দিনের প্রথম ট্রেন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনের উদ্দেশে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

এছাড়া দিনের শেষ ট্রেন রাত ৮টায় উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।


আরও খবর



বিদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার বিধিনিষেধ তুলে নিলো কুয়েত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শ্রমিক সংকট দূরীকরণ ও শ্রমিক নিয়োগের খরচ কমাতে বিদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগে সব বিধিনিষেধ তুলে দিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত। এখন থেকে সহজেই অন্যদেশ থেকে কুয়েতে যেতে পারবেন শ্রমিকরা।

গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, কুয়েতের শ্রম বিভাগ সর্বসম্মতিক্রমে আগের পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং চলতি বছরের ১ জুন থেকে নতুন এই নিয়ম কার্যকর হবে।

আগের নিয়ম অনুযায়ী, যেসব প্রতিষ্ঠান শ্রমিক নিয়োগ দিত, তারা যদি বিদেশ থেকে কোনো শ্রমিক আনতে চাইত তাহলে তাদের কুয়েতে কর্মরত বা অবস্থানরত শ্রমিকদের মধ্য থেকেই নিয়োগ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। এ ছাড়া চাহিদার একটি নির্দিষ্ট অংশে শুধু নতুন বিদেশি শ্রমিক নিতে পারত।

এ পদ্ধতির কারণে দেশটিতে শ্রম ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে ভোক্তা পর্যায়েও। এ পরিস্থিতিতে শ্রম ব্যয় ও শ্রমিক সংকট কমাতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুয়েত সরকার।

নিউজ ট্যাগ: কুয়েত

আরও খবর