আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ক্ষমতায় ফিরে আসার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ইমরান খান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এ বছর ক্ষমতায় ফিরে আসার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে এবং ঋণ খেলাপির ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি এড়াতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) অব্যাহত ভূমিকাকে সমর্থন করবেন বলেও জানান তিনি। সম্প্রতি ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান এসব অভিমত ব্যক্ত করেন।

সাবেক এই ক্রিকেট তারকা গতবছর একটি অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর তার প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে অপসারিত হন। তিনি বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ের আশা করেন। দেশটিতে আগামী আগস্টের পরই নির্বাচন হওয়ার কথা। তিনি আরও বলেন, তিনি একটি মৌলিক পরিকল্পনা প্রস্তুত করছেন দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। যেখানে এর আগে তিনি পূর্বাভাস দিয়ে বলেছিলেন, ততদিনে দেশের অর্থনীতি আরও খারাপ অবস্থায় চলে যাবে।

৭০ বছর বয়সী ইমরান খান পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরে তার বাসভবনে সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, আমরা যদি ক্ষমতায় যাই, তবে আমাদের হাতে বেশি সময় থাকবে না। গতবছর নভেম্বরে তিনি বিক্ষোভে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে ওই বাড়িতে রয়েছেন এবং সেরে উঠছেন। তার পরিকল্পনা আইএমএফ-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের হাতে এখন কোনো বিকল্প নেই। যেখানে ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে বহুবার পিছিয়েছে আইএমএফ।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি কয়েক মাস ধরে বিপজ্জনকভাবে ঋণ খেলাপির কাছাকাছি চলে গেছে। ইমরান খানের উত্তরসূরি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, তহবিলের চাহিদার বিষয়ে সতর্ক ছিলেন। বিশেষ করে জ্বালানির দাম বাড়ানো এবং ট্যাক্স ইস্যুতে। গত অক্টোবর থেকে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অর্ধেকে নেমে এসেছে। এখন এক মাসের আমদানির জন্য পর্যাপ্ত অর্থ নেই দেশটির। এখনও গত বছরের বিপর্যয়কর বন্যার কারণে ভুগছে পাকিস্তান। মুদ্রাস্ফীতিতে নাকাল অবস্থা সাধারণ মানুষের।

ইমরান খান বলেন, আমাদের দেশে আগে কখনো হয়নি এমন নীতি তৈরি করতে হবে। তিনি পাকিস্তানের আঞ্চলিক প্রতিবেশী দেশের ঋণ খেলাপির কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতির আশঙ্কা করছি।

ক্ষমতায় গেলে ইমরান খানের প্রশাসন আবারও শওকত তারিনকে অর্থমন্ত্রী হিসাবে পুনরায় নিয়োগ দেবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ইমরান খানকে অফিস থেকে অপসারণের পরপরই তিনি রাস্তায় নেমে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সরকারকে আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানানোর লক্ষ্যে বিক্ষোভের নেতৃত্বও দিচ্ছেন। ইমরান খান তার সরকারের সবশেষ প্রধান সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে একটিতে জ্বালানি তেলের দাম কমিয়েছিলেন। ফলে একটি বিরোধের সূত্রপাতের জেরে আইএমএফ ঋণ প্রদান কর্মসূচি স্থগিত করেছিল।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, তার সিদ্ধান্ত রাশিয়া থেকে ছাড়ে জ্বালানি পাওয়ার ভিত্তিতে ছিল। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া যেদিন ইউক্রেন আক্রমণ করে সেদিন খান পূর্ব নির্ধারিত সফরে মস্কোতে ছিলেন। তিন ঘণ্টার কথোপকথনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পাকিস্তানকে জ্বালানি সরবরাহে সাহায্য করার অঙ্গীকার করেছিলেন সে সময়। তিনি একটি স্বাধীন বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করবেন যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা চীনের মতো কোনো একক দেশের ওপর নির্ভর করবে না। তিনি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের উদাহরণও টেনে বলেন, যার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে কিন্তু তবুও রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করে এবং চীনের সঙ্গেও ব্যবসা-বাণিজ্য করে।

ইমরান খান বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি দুর্দান্ত সম্পর্ক উপভোগ করেছিলেন তিনি। তবে তার উত্তরসূরির অধীনে সম্পর্কের অবনতি হয়। তিনি বলেন, বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর তিনি কিছু কারণে অনাগ্রহ অনুভব করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, এটি ঘটার কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য কাউকে না কাউকে দায়ী করার প্রয়োজন ছিল।

নিউজ ট্যাগ: ইমরান খান

আরও খবর



বাগেরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় ব্যবসায়ী নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটের ফকিরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় সোহেল হাওলাদার (৪০) নামে এক আম ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৫ মে) সকালে খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার টাউন নওয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সোহেল হাওলাদার বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার কালিকাবাড়ি গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কাটাখালি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।

ওসি মিজানুর বলেন, সাতক্ষীরা থেকে আম নিয়ে আসার সময় টাউন নওয়াপাড়া এলাকায় হ্যামকো ফ্যাক্টরির সামনে পিকআপ ভ্যানটি বিকল হয়ে যায়। আম ব্যবসায়ী সোহেল হাওলাদার সড়কে নেমে অন্য গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। দ্রুতগতির একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ সময় ঘাতক ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।


আরও খবর



চট্টগ্রামে বায়েজিদ বস্তিতে আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ এলাকায় একটি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে বায়েজিদের শ্যামল ছায়া এলাকায় এ আগুন লাগে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করেছে। এরইমধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে আগ্রাবাদ কেন্দ্রীয় ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল অফিসার কফিল উদ্দিন। এ দুর্ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বায়েজিদ শ্যামল ছায়া এলাকার ওই বস্তিতে প্রায় ১৫টি কাঁচা বসতঘর ছিল। দুপুরে ওই বস্তিতে আগুন জ্বলতে দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু মুহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে।

ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল অফিসার কফিল উদ্দিন বলেন,  রোববার ৩টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। এ মুহুর্তে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। ওই বস্তিতে ১৪-১৫টি এক কক্ষ বিশিষ্ট ঘর রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।


আরও খবর



ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় বুড়িমারি এক্সপ্রেস ট্রেনের লাইনচ্যুত বগি উদ্ধারের পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৯ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে, আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলিতে বুড়িমারি এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

পশ্চিমাঞ্চল পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ বলেন, লালমনিরহাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা বুড়িমারী এক্সপ্রেস ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি স্টেশন থেকে দুই কিলোমিটার দূরে পৌঁছার পর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এরপর থেকে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লাইনচ্যুত বগি উদ্ধারের পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।


আরও খবর



দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, এক অদৃশ্য শক্তি, দেশ চালাচ্ছে । সেই শক্তির নির্দেশে তারা (আওয়ামী লীগ) বাংলাদেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা বিলীন করে দিয়েছে। সূক্ষ্মভাবে ভিন্ন মোড়কে দেশে পুনরায় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার এবং যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ দাবি করেন।

শনিবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে জাতীয়তাবাদী যুবদল এই সমাবেশ করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৮ বছর ধরে সন্ত্রাসী কায়দায় গণজাগরণকে নষ্ট করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ব্যাংকগুলো লুটপাটের মাধ্যমে শেষ করে দিয়েছে। নতুন আইনের মাধ্যমে ব্যাংক লুটপাট করছে সরকার। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের সহযোগী হয়েছে। বিমানবন্দরগুলোতেও হয়রানি করা হয়। এখানে জড়িত আছেন দেশের পুলিশ, প্রশাসনসহ অনেকেই। বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নেই। এখন আবার ডামি নির্বাচন শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে, আর তাদেরই লোকজন বিরোধী প্রার্থী হবে। এখানে কিছু গৃহপালিত দলও আছে। সরকার একটা তামাশা শুরু করেছে। এজন্য তো দেশ স্বাধীন করিনি। দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দেশ স্বাধীন করেছিলাম।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার টিকেই আছে মিথ্যা মামলা ও আদালতকে ব্যবহার করে। নির্যাতনের হাতিয়ার হিসাবে মিথ্যা মামলা ও আদালতকে ব্যবহার করছে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের আন্দোলনকে নিদারুণভাবে পণ্ড করে দিয়েছে। তারা এভাবে আন্দোলন দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে এভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন ও গুম-খুন করে গণতন্ত্র ও স্বাধিকারের আন্দোলন কখনোই স্তিমিত করা যাবে না। অতীতেও যায়নি।

যুবদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে ক্ষমতায় এসে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে ৭৫ সালের মতো আবারও একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে চায়। সেটা হলো গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল। তাই তরুণ-যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। জনগণকে নিয়ে রাজপথে নামতে হবে। শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। না হলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব জলাঞ্জলি যাবে।

খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়া শুধু বাংলাদেশের মজলুম নেত্রী নন। তিনি সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য ত্যাগ স্বীকার করা, আত্মত্যাগকারী নেতাদের অন্যতম। তিনি গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা ও ফিরে পাওয়ার জন্য আজীবন লড়াই করছেন। যিনি গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী। কিন্তু দানব সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে। কারণ সরকার মনে করে খালেদা জিয়া মুক্ত হলে, তাদের মসনদ টিকবে না। জনগণের উত্তাল তরঙ্গের মধ্যে ভেসে যাবে। সেজন্য খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে। অসংখ্য নেতাকর্মী দীর্ঘদিন কারাগারে। আমি খালেদা জিয়াসহ গ্রেফতার সব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ২৮ অক্টোবরের পর বিএনপির সিনিয়র নেতারাসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে জেলখানার  ভেতরে নির্যাতন করা হয়েছে। জেলখানা হচ্ছে বর্তমানে একটি নির্যাতনের জায়গা। সরকার ২৮ অক্টোবর বোমা ফাটিয়ে, জোরজবরদস্তি করে আমাদের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করেছে। দেশের সর্বস্ব বিলিয়ে দিলেও সরকার ক্ষমতায় থাকতে চায়।

যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মামুন হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না ও শফিকুল ইসলাম মিল্টনের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, যুবদল নেতা নূরুল ইসলাম নয়ন, রুহুল আমিন আকিল, জাকির হোসেন সিদ্দিকী, গোলাম মাওলা শাহিনসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠন ও যুবদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।


আরও খবর



শিল্পখাতে পানি ব্যবহার নীতি শীর্ষক ওয়ার্কশপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো) বিশ্বব্যাংক কর্তৃক যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত শিল্পখাতে পানি ব্যবহার নীতি শীর্ষক কর্মশালা আজ রাজধানীর মাল্টিপারপাস কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন।

কর্মশালায় কি-নোট উপস্থাপন করেন পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো) এর মহাপরিচালক মোঃ রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, সংস্থার প্রধানগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, শিল্প সমিতিসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ প্রায় ১৫০ জন সম্মানিত প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালার প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, ওয়ারপো কর্তৃক প্রস্তাবিত শিল্পখাতে পানি ব্যবহার নীতিটি একটি সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী উদ্যোগ। রুপকল্প-২০৪১ এর আলোকে জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন অভিলক্ষ্য অর্জনের অব্যাহত অগ্রগতি নিশ্চিত করতে পানি সমৃদ্ধ শিল্পায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা, জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা, জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষার উদ্দেশ্যে শিল্পখাতে পানি ব্যবহার নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি-বেসরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, বিদেশী উন্নয়ন সহযোগী ও অপধফবসরধ গণ সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণ করলে এই নীতি বাস্তবায়নে সুদূর প্রসারী ফলাফল পাওয়া যাবে, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অভূতপূর্ব সাফল্য বয়ে আনবে।

কর্মশালায় সভাপতি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান উল্লেখ করেন, স্মার্ট বাংলাদেশের প্রবক্তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন যার অন্যতম ভিত্তি হলো স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ।

সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশের পানি খাতে বিভিন্ন সেক্টর পরিকল্পনার অংশ হিসাবে টেকসই উদ্ভাবনী ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর শিল্পখাতে পানি ব্যবহার নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সভাপতি আরো উল্লেখ করেন, ওয়ারপো কর্তৃক প্রস্তাবিত শিল্পখাতে পানি ব্যবহার নীতিমালায় পানির উৎস সংরক্ষণ; পানির সংযোজক ব্যবহার; পানিধারক স্তরের সুরক্ষা; পানিধারক স্তরের নিয়ন্ত্রিত পুন:ভরণ; দূষণকারী কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থাসহ সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে, সকলের সমন্বয়ে যার যথাযথ বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

এ কর্মশালার গেস্ট অব অনার মাইকেল জন শুভেচ্ছা জানিয়ে এরকম একটি অভিনব উদ্যোগ গ্রহণকে স্বাগত জানান, তিনি আরোও বলেন যে, পানি সুরক্ষিত টেকসই শিল্পোন্নয়ন এ মাত্রায় সংযুক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত।

প্রস্তাবিত নীতিমালার উপর ৬ জন বিশেষজ্ঞ আলোচক যথাক্রমে  ড. কাজী মতিন উদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক, ভূ-তত্ত্ব বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ড. জিল্লুর রহমান, ডীন, আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্সেস অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ড. চৌধুরী এম. সারোয়ার জাহান, অধ্যাপক, ভূ-তত্ত্ব ও খনিজ বিদ্যা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; ড. মো. শাহিনুর ইসলাম, অধ্যাপক, কেমিকৌশল বিভাগ, বুয়েট; ড. মোহাম্মদ আবেদ হোসেন, অধ্যাপক, পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান, বুয়েট এবং জনাব মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম, যুগ্মসচিব, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সমন্বয় অধিশাখা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

আলোচকবৃন্দ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা কর্তৃক শিল্পখাতে পানি ব্যবহার নীতি প্রণয়নের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে প্রস্তাবিত নীতি-কে আজকের মতামতের ভিত্তিতে পরিমার্জিত করে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ ও শিল্পকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বারান্বিত হবে বলে মতমত দেন।


আরও খবর