আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

মাদক মামলায় পুলিশ সদস্যকে বাঁচাতে চার্জশিটে ‘জালিয়াতি’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁওয়ে ইয়াবা ও হেরোইনসহ গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেনকে বাঁচাতে মামলার চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ফরহাদ আকন্দের বিরুদ্ধে।

ওই মামলার এক আসামি এ বিষয়ে অভিযোগ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা যায়, মামলার বাদী ফরহাদ আকন্দ চার্জশিটের পাতায় অগ্রগামীর জন্য ওই দপ্তরের সহকারী পরিচালকের অনুপস্থিতিতে তার স্থলে নিজেই স্বাক্ষর করেছেন এবং স্বাক্ষরকৃত চার্জশিট আদালতে দাখিলও করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলছেন, এটি এক ধরনের জালিয়াতি। কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট ওই দপ্তরের সহকারী পরিচালকের অনুপস্থিতিতে মামলার বাদী স্বাক্ষর করতে পারেন না।

তবে ফরহাদ আকন্দ বলছেন, সফট কর্নার থেকেই পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেনকে মাদক মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আদালতে সুপারিশ করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও শহরের আশ্রমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০২ পিস ইয়াবা ও ৫ গ্রাম হেরোইনসহ আতিকুল ইসলাম আতিক ও পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ফরহাদ আকন্দ ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক আজাহারুল ইসলাম।

মামলার এজাহারের মধ্যভাগে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত দুজন আসামি দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা ট্যাবলেট ও হেরোইনের ব্যবসা করে আসছিল। পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ঠাকুরগাঁও জেলায় কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি খাগড়াছড়ি জেলায় কর্মরত।

এদিকে গত ২৫ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে দায়িত্বরত সহকারী পরিচালক সৌমিক রায় বদলি হয়ে যায়। এ সময় মামলার চার্জশিট তৈরি করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আর ওই চার্জশিটে সহকারী পরিচালকের অনুপস্থিতিতে তার সিল ব্যবহার করে মামলার বাদী ফরহাদ আকন্দ নিজেই চার্জশিট অগ্রগামীর জন্য স্বাক্ষর করেন এবং গত ২১ মে আদালতে তা দাখিল করা হয়।

স্বাক্ষরকৃত চার্জশিটে আতিকুল ইসলাম আতিককে অভিযুক্ত করা হয় এবং পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেনকে অব্যাহতির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, পুলিশ কনস্টেবল হওয়ার কারণেই মাদক মামলা থেকে বাঁচাতে তার নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এটা বোঝা যায়। এখানে কৌশলের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে, এটা গুরুতর অপরাধ।

ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী পরিচালক সৌমিক রায় বলেন, ২৫ এপ্রিল আমি বদলি হয়ে যায় এবং ২৭ এপ্রিল ঠাকুরগাঁওয়ে শেষ কর্মদিবস ছিল। মামলার চার্জশিট থেকে আসামিকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।

ফরহাদ আকন্দ বলেন, সফট কর্নার থেকে চার্জশিটে পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেনের নাম বাদ দেওয়ার জন্য আদালতে সুপারিশ করা হয়েছে। চার্জশিট দেওয়ার সময় এখানে সহকারী পরিচালক ছিলেন না। তাই নিজেই চার্জশিট অগ্রগামীর জন্য সহকারী পরিচালকের পক্ষে স্বাক্ষর করে আদালতে জমা দিয়েছি এবং বিষয়টি রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তা অবগত রয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও জজকোর্টের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোজাফ্ফর আহমেদ মানিক বলেন, দায়িত্বরত সহকারী পরিচালক বদলি হয়েছেন। এই সুযোগে জালিয়াতি করে ওই কর্মকর্তার সিল ব্যবহার ও স্বাক্ষর করে চার্জশিট অগ্রগামী করেন মামলার বাদী। কোনোভাবেই এটি তিনি করতে পারেন না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট দপ্তর অথবা আদালত নিতে পারবেন।

বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শরীফ উদ্দীন বলেন, আমার কর্মস্থল নীলফামারী জেলায়। কিন্তু ঠাকুরগাঁও জেলায় সহকারী পরিচালকের পদটি শূন্য। ফলে গত ২৮ মে অতিরিক্ত হিসেবে আমাকে ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

মাদক মামলা থেকে আসামিকে উপযুক্ত ডকুমেন্টস ছাড়া বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। সেই সঙ্গে সহকারী পরিচালকের সিল ব্যবহার ও স্বাক্ষর করার বিষয়টি নজরে এসেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক আলী আসলাম হোসেন বলেন, চার্জশিটের বিষয়টি জানতে চেয়েছি, আসুক তারপর দেখব। আর সব মামলায় যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতামত লাগবে এমনটি নয়। তবে কোনো মামলা যদি গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জানা উচিত কীভাবে কী হলো। চার্জশিট দাখিলে অনিয়ম হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানি হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভারে অবস্থিত বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা কর্মশালা -২০২৪ এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, এবার দেশীয় পশু দিয়ে কোরবানি হবে বাংলাদেশে। এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান এমপি আরো বলেন, লক্ষ্যমাত্রা থেকে অধিক প্রস্তুতি আছে আমাদের চোরা চালানের মাধ্যমে যারা দেশে পশু আনছে তারা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।

রোববার (০৯ জুন) দুপুরে বিএলআরআই সম্মেলন কক্ষে (৪র্থ তলা) বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা কর্মশালা শুরু হয়ে বিকেলে শেষ হয়। কর্মশালায় বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব, জনাব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর।

এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, রাতের অন্ধকারে অনেক কিছুই দেশে ঢুকে, সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী তাদের চেষ্টা তারা করছেন।  রাষ্ট্র কোনোভাবেই কোরবানির জন্য কাউকে পশু আমদানি করার বৈধতা দেয়নি। চোরাচালানের মাধ্যমে যারা দেশে পশু আনছে তারা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। দেশে কোরবানিতে পশুর চাহিদা আছে ১ কোটি ৭ লক্ষ যেখানে আমাদের প্রস্তুতি আছে ১ কোটি ৩০ লক্ষ পশু, যা চাহিদা অনুযায়ী অনেক বেশি।

মন্ত্রী কর্মশালায় বক্তব্যে আরো বলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগণ দেশের সম্পদ, তাদের গবেষণার কারণে দেশের প্রান্তিক খামারি ও কৃষি খাতের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

বিশেষ অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব,  জনাব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের এই দুর্যোগ মুহূর্তে প্রাণিসম্পদ রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রাণি গবেষণা ইনস্টিটিউট। আমাদের ইতিমধ্যে রয়েছে ৩টি জাতীয় স্বীকৃত গবেষণাগার, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য BSLII+ জাতীয় রেফারেন্স ল্যাবরেটরি, পিপিআর-এর জন্য সার্ক রিজিওনাল ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি, অ্যান্টি-মাইক্রোবিইয়াল রেজিস্ট্যান্স গবেষণার জন্য ন্যাশনাল রেফারেন্স গবেষণাগার রয়েছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের বিএলআরআই এর উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে, এর মধ্যে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্যাকেজ, ইউরিয়া-মলাসেস স্ট্র (ইউএমএস), ঘাস সংরক্ষণে সাইলেজ প্রযুক্তি, উচ্চ ফলনশীল ঘাসের জাত বিএলআরআই নেপিয়ার- ১, ২, ৩ ও ৪ উদ্ভাবন, পিপিআর ভ্যাকসিন সিড, গোটপক্স ভ্যাকসিন সিড, বিএলআরআই এফএমডি ট্রাইভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন সিড (ও, এ, এশিয়া-১), শুভ্রা ও স্বর্ণা (লেয়ার স্ট্রেইন), ছাগল ও গরু হৃষ্টপুষ্টকরণের জন্য পিলেট ও TMR তৈরি, এফএমডি এবং পিপিআর নিয়ন্ত্রণ মডেল ইত্যাদি কৃষক পর্যায়ে বেশ জনপ্রিয় এবং মাংস, দুধ এবং ডিম উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন প্রজেক্ট প্রধানগণ ও উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাবৃন্দ।


আরও খবর



উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা-কানাডা

রাত পেরোলেই পর্দা উঠছে কোপা আমেরিকার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চলতি মাসের শুরু থেকেই চলছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর তার মধ্যে কয়েক দিন আগে শুরু হয়েছে ফিফা বিশ্বকাপের পর ফুটবলের সবচেয়ে বড় মহরণ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ অথবা ইউরো কাপ। এতে করে ক্রীড়াপ্রেমীরা খুব ব্যস্ত সময়ই পার করছে। এর মধ্যেই আগামীকাল ভোর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে লাতিন ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর কোপা আমেরিকা।

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। এই কথার সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো অবকাশ নেই। অনেকের কাছে ফুটবল শুধু একটি খেলাই নয়, এটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আবেগ-অনুভূতি। প্রিয় দল জিতলে যেমন উল্লাসে মেতে উঠে তেমনিভাবে প্রিয় দল হারলে চোখ থেকে বেয়ে পড়ে বেদনার অশ্রু। বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আসলে ফুটবল নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনার রেশ ছড়িয়ে পড়ে কয়েক গুণ। প্রিয় দলের জার্সি গায়ে, অনেকে বাড়ির আঙিনায় টানান প্রিয় দলের পতাকা। টং দোকানের চায়ের আড্ডা থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র, সবখানে হয় ফুটবল কেন্দ্রিক আলোচনা।

চলছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ইউরো। এর মধ্যে আগামীকাল সকালে পর্দা উঠতে যাচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর কোপা আমেরিকা। অনেকের মতো ফিফা বিশ্বকাপের মতো এই টুর্নামেন্টের অবস্থান। তাই তো ফুটবল ভক্তরাও চাতক পাখির মতো মুখিয়ে থাকে এই টুর্নামেন্টের জন্য। কেননা এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে দেখা যায় ফুটবলের সবচেয়ে বড় দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাকে। ইউরোপ-আমেরিকার মতো এই বঙ্গ দেশে ছড়িয়ে পড়ে সেই রেশ। কিছু-কিছু ক্ষেত্রে তো ইউরোপ-আমেরিকা থেকে প্রিয় দলকে নিয়ে বেশি উচ্ছ্বাসে মাতেন লাল-সবুজের এই দেশের মানুষরা। গেল কাতার বিশ্বকাপেও নতুন করে যা জেনেছে গোটা বিশ্ব।

এবারের কোপা আমেরিকার আয়োজক দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যা এই টুর্নামেন্টের ৪৮তম আসর। এই নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো কোপা আয়োজন করবে দেশটি। প্রথম বারের মতো ২০১৬ সালে কোপা আয়োজন করে দেশটি। উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল ভোর ৬টায় মাঠে নামবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও কানাডা। ম্যাচটি আটলান্টার মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। শক্তি ও অভিজ্ঞতার দিক নিয়ে কানাডার চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। যদিও এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ম্যাচে একবারই মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। তাও সেটা এক যুগের বেশি সময় আগে, ২০১০ সালে। সে ম্যাচে কানাডাকে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তাই বলাই যায় এই ম্যাচের কানাডাকে নিয়ে ছেলেখেলা করতে পারেন স্কালোনির শিষ্যরা।

১৯১৬ সালে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ আমেরিকা শ্রেষ্ঠের এই লড়াই। সেবার আসরটি আয়োজন করে আর্জেন্টিনা। ঐ আসরে স্বাগতিকদের ফাইনালে হারিয়ে শিরোপা জিতে উরুগুয়ে। ১০৮ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা এই টুর্নামেন্টে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে। এই দুই দলের শিরোপার সংখ্যা ১৫টি করে। এছাড়াও  কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়নও আর্জেন্টিনা। ২০২১ সালে ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে শিরোপা দীর্ঘ ২৮ বছর পর কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতেছিল আলবিসেলেস্তারা। সেইসঙ্গে এবারের আসরেও শিরোপার অন্যতম দাবিদার মেসি বাহিনী।

অন্যদিকে গেল আসরে ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও পরিণত হয়ে মার্কিন মুল্লুকে পা রাখেন গেল আসরের রানার আপ ব্রাজিল। তাদের বর্তমান পারফরম্যান্সের দিকে নজর বোলালে দেখা যায় সেই চিত্র। এছাড়াও চিলি, উরুগুয়ে, পেরু, মেক্সিকোও ছেড়ে কথা বলবে না কাউকে। এছাড়াও এবারের আসরে চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়াই করবেন মোট ১৬টি দল। প্রতিটা গ্রুপের শীর্ষে থাকা দুই দল খেলবে সেরা আটে। কোয়ার্টার ফাইনালে বিজয়ী চার দল খেলবে সেমিফাইনালে। এছাড়াও আগামী ১৫ জুলাই ফাইলের মধ্যে দিয়ে পর্দা নামবে কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসরের।

এ-গ্রুপ: আর্জেন্টিনা, কানাডা, চিলি, পেরু

বি-গ্রুপ: ইকুয়েডর, মেক্সিকো, জ্যামাইকা, ভেনিজুয়েলা

সি-গ্রুপ: যুক্তরাষ্ট্র, পানামা, উরুগুয়ে, বলিভিয়া

ডি-গ্রুপ: ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, কোস্টারিকা, কলম্বিয়া


আরও খবর



কোরবানির ৭ ঘন্টার মধ্য বর্জ্যমুক্ত করার ঘোষণা চসিক মেয়রের

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, কোরবানির বর্জ্য পরিস্কারে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এবার ৭ ঘন্টার মধ্যে নগরীকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত করা হবে৷ পশুর নাড়ি-ভুড়ি নেয়ার জন্য পলিথিন সরবরাহ করা হবে৷ চামড়া ব্যবসায়ীদের সাথে আমরা সভা করেছি৷ আশা করি এবার চামড়া নষ্ট হয়ে পরিবেশ বিনষ্ট হবেনা৷

শনিবার জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঈদ-উল-আযহার কেন্দ্রীয় জামাতের জন্য চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ ঈদগাহ ময়দান সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এবার সকাল সাড়ে ৭টায় ও সাড়ে ৮টায় দুটি জামাতে নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুসল্লিদের সুবিধায় পর্যাপ্ত ফ্যান আর সামিয়ানা থাকবে। অজু করার জন্য মসজিদের অজুখানার পাশাপাশি অতিরিক্ত গাড়িতে পানির সুব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য থাকছে সিসিটিভি মনিটরিংসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশিক্ষিত সদস্যরা। পাশাপাশি ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ওয়ার্ডগুলোতে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

চসিক মেয়র বলেন, 'স্বাভাবিক বৃষ্টিতে নামাজ বিঘ্নিত না হওয়ার জন্য মসজিদের আশপাশের নালাগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। তবে অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে পানি উঠলে মসজিদের ভিতরে জামাত হবে। এছাড়া মুরাদপুরের মুহাম্মদপুরে ঈদের নামাজ পড়তে পারবে এমন একটি ঈদগাহ নির্মাণ করেছি৷'

এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, আবদুস সালাম মাসুম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম।

এবারের চসিকের তত্ত্বাবধানে ঈদ-উল-আযহার  প্রথম ও প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টা  এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল সোয়া ৮টায় জাতীয় মসজিদ জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে ৯টি মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে৷

মসজিদগুলো হল যথাক্রমে লালদিঘী সিটি কর্পোরেশন শাহী জামে মসজিদ,  হযরত শেখ ফরিদ (রঃ) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি কর্পোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুবাজার জামে মসজিদ এবং মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ (সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন)।

এছাড়াও নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণের তত্ত্বাবধানে একটি করে প্রধান ঈদ জামাত স্ব স্ব মসজিদ/ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



চট্টগ্রাম নগরে বিকাল ৫টার মধ্য কোরবানির বর্জ্য পরিস্কার করবে চসিক

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

ঈদ-উল-আযহার দিন নগরীতে তৈরি হওয়া বিপুল বর্জ্য ঈদের দিন বিকাল পাঁচটার মধ্যেই পরিষ্কার করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বুধবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের সাথে প্রস্তুতি সভায় এ লক্ষ্য নির্ধারণ করেন মেয়র।

সভায় চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ঈদের দিনেই কোরবানির বর্জ্য সরিয়ে ফেলার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত হন। এসময় মেয়র প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্ন বিভাগকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে বলেন।

মেয়র বলেন, আমরা বিকাল পাঁচটার মধ্যে নগরী থেকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত করার লক্ষ্যে আমাদের প্রায় ৪ হাজার কর্মী কাজ করবে। নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ডকে ৭টি জোনে ভাগ করে মোট ৩২২টি গাড়ি বর্জ্য অপসারণে কাজ করবে। ৭টি জোনে ৭টি পানির ভাউজার থাকবে রক্ত পরিস্কার করার জন্য। কোন কর্মী অসুস্থ হলে জরুরি চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য এম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকবে।

তিনি আরো বলেন, পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীদের ঈদের আগের দিনসহ মোট ৩দিনের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হল। এছাড়া নগরীর পাশবর্তী উপজেলার কোরবানীর ছামড়া যাতে চট্টগ্রাম নগরীতে প্রবশ করতে না পারে সেজন্য ঈদের দিনসহ পরবর্তী ২দিন নগরীর প্রবেশ মুখে চেকপোস্ট স্থাপনসহ ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সাথে একযোগে কাজ করব আমরা। পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমকে বেগবান করতে একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হবে, যেখানে অভিযোগ জানালে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং জবাইকৃত পশুর নাড়ি-ভুড়ির বর্জ্য সংরক্ষণ করে যথাস্থানে রাখার জন্য পলিব্যাগ দেয়ার সিদ্ধান্ত জানান মেয়র।

সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর মোঃ মোবারক আলী, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, হাজী নুরুল হক, ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী, মোঃ নুরুল আমিন, আবদুস সালাম মাসুম, জাফরুল হায়দার চৌধুরী, চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমী, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা ফজলুল কাদের, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিধন কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, সহকারী প্রকৌশলী রুবেল দাশসহ পরিচ্ছন্ন ও প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম চসিক

আরও খবর



এনডিএ জোটকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (৫ জুন) দুপুরে ঢাকায় সফররত ইন্টারন্যাশনাল রেডক্রস ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ অভিনন্দন জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ইন্ডিয়া জোটকেও অভিনন্দন জানাই। তারাও ভালো ফলাফল করেছে। নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অনেক উন্নয়ন হয়েছে। সামনের দিনে আমরা সম্পর্ক আরও উন্নত করব।

এ সময় তিনি বলেন, আমাদের দেশের বিরোধীদলের উচিত ছিল ভূমিকা রাখার কিন্তু সেটা রাখে না। ভারতে যে কোনো সংকটে সরকারি ও বিরোধী দল একসঙ্গে ভূমিকা রাখে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যেসব বিতর্ক আছে সেগুলো সামনের দিনে কেটে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে আমার ভারত সফরে কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে, কিছু বিষয়ে আলোচনার জন্য ভারতের নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করা প্রয়োজন ছিল। আসন্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে সেসব বিষয়ে আলোচনা হবে।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ। এর সঙ্গে অন্য কোনো দেশের সম্পর্কের তুলনা হয় না বলেও জানান তিনি।


আরও খবর