আজঃ শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

মাটির নিচে রাশিয়ার গোপন ঘাঁটি, আছে হেলিপ্যাড-রেলপথও

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দশকের পর দশক পেরিয়ে গেছে কিন্তু রহস্যঘেরা এক পর্বতে গোপনে কী কার্যক্রম চালাচ্ছে রাশিয়া, তা আজও জানতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। সেই ১৯৯৫ সালে স্যাটেলাইট ইমেজে উরাল পর্বতমালায় রাশিয়ার গোপন কার্যক্রম ধরা পড়ে। কিন্তু সেখানে আরও কয়েক দশক আগে থেকে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে রাশিয়া। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ রাশিয়ার রহস্যময় এই প্রজেক্ট নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে। কিন্তু রাশিয়ার কথিত এরিয়া ৫১ আজও গোয়েন্দাদের কাছে রহস্যে ঘেরা।

রাশিয়ার বাশকোর্তোস্তান অঞ্চলের বেলোরেতস্কি জেলায় অবস্থিত রহস্যে মোড়া মাউন্ট ইয়ামান্তাউ। এটি দক্ষিণ উরাল বিভাগের সর্বোচ্চ পর্বত এবং দক্ষিণ উরাল নেচার রিজার্ভের মধ্যে অবস্থিত একটি পর্বত। পর্বতটির চারদিক ঘন জঙ্গলে মোড়া। কিন্তু কেন এই পর্বত ভয়ংকর এবং রহস্যে মোড়া? মনে করা হয়, ইয়ামান্তাউের নিচে পুরোদস্তুর একটি সামরিক ঘাঁটি তৈরি করে রেখেছে রাশিয়া। কারও কারও মতে এটি পৃথিবীর বৃহত্তম সামরিক বাঙ্কারও।

যদিও রাশিয়ার সরকার কখনও সেখানে সামরিক ঘাঁটি বা বাঙ্কারের অস্তিত্বের কথা স্বীকার করেনি। তবে ওই বাঙ্কারের অস্তিত্ব সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রমাণ বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যে এসেছে। ১৯৮০ সালের গোড়ার দিকে ইয়ামান্তাউ পর্বতের বাঙ্কার নিয়ে প্রথম জল্পনা-কল্পনা তৈরি হয়। স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা যায়, ওই পর্বতের দক্ষিণ দিকে একটি বিস্তৃত বনাঞ্চল কেটে ফেলেছে রাশিয়া। তার পর থেকেই নাকি সেখানে লাগাতার কাজ চালিয়ে গেছে দেশটি। ধারণা করা হয়, আশির দশকের শেষের দিকে পর্বতের নিচে বাঙ্কার তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলেছিল রাশিয়া।

শোনা যায়, ইয়ামান্তাউ পর্বতের ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার ১০০ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ এবং ৬০০ মিটারেরও বেশি গভীর। ওই বাঙ্কারে নাকি বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার ওই গোপন সামরিক ঘাঁটি পরমাণু হামলা রোধ করতেও সক্ষম। নিমেষে শত্রুপক্ষের বিমান ধ্বংস করতে পারে এমন ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাঙ্করোধী ক্ষেপণাস্ত্র, এমনকি যুদ্ধবিমানও নাকি মজুত রয়েছে বাঙ্কারটিতে।

রাশিয়া ওই বাঙ্কারের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রও মজুত রেখেছে বলে শোনা যায়। রয়েছে গবেষণাগারও। সেখানে বিপজ্জনক সব সামরিক অস্ত্র নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়। রাশিয়ার গোপন ওই বাঙ্কারের কয়েক হাজার মানুষ একসঙ্গে থাকতে পারেন। থাকতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, এ জন্য বাঙ্কারের মধ্যেই নাকি হাসপাতাল, খাবার উৎপাদনের ব্যবস্থা, জল পরিশোধন ব্যবস্থা, এমনকি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রও রয়েছে। রয়েছে হেলিপ্যাড এবং রেলপথও।

তবে রাশিয়া পর্বতের নিচে ওই বাঙ্কার থাকার বিষয়টি বরাবর গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তাই ইয়ামান্তাউ পর্বতকে ঘিরে তৈরি হওয়া রহস্যের কোনও সমাধান হয়নি। সত্যিই যদি ইয়ামান্তাউ পর্বতের নিচে কোনও বাঙ্কার থেকে থাকে, তাহলে সেটি কোন উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে, তাও স্পষ্ট নয়। তবে অন্য কোনও দেশের সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে রাশিয়ার হয়ে নেতৃত্ব দিতে পারে ভূগর্ভস্থ ওই বাঙ্কার। অনেকে এ-ও মনে করেন যে, যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে রাশিয়ার শীর্ষ নেতাদের সুরক্ষিত রাখতে ওই বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছে।


আরও খবর
মিয়ানমারে ভয়াবহ বন্যায় ৩৩ জনের মৃত্যু

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জিতলে ওভারটাইমে কর বাদ দেবেন ট্রাম্প

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সাভারে সাবেক ২ এমপিসহ ১১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আন্দোলনকারী ও জনতাকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যার দায়ে ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও তৌহিদ জং মুরাদসহ ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মামলাটি দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আস-সাবুরের প্রতিবেশী চাচাতো ভাই সাহিদ হাসান ওরফে মিঠু।

আশুলিয়া থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, শুক্রবার রাতে ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামরা দায়ের হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

নিহত আস-সাবুর (১৬) নওগাঁর মহাদেবপুর থানার মহাদেবপুর গ্রামের নায়েদ ওরফে জাকিরের ছেলে। সে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়ার শিমুলতলা এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থেকে জামগড়া শাহীন স্কুলে ১০ দশম শ্রেণিতে পড়তো।

মামলার আসামিরা হলেন- ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডেন্ডাবর এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৫৫), আওয়ামী লীগের আরেক সাবেক সংসদ সদস্য টংগাবাড়ি এলাকার মৃত আনোয়ার জংয়ের ছেলে তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন (৫৪) ও তার বাবা সাভার পৌরসভার মেয়র আব্দুল গনি কুলু, পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান (৬১), আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাবউদ্দিন মাদবর (৫৮), ইয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন আহমেদ ভূইয়া (৫০), সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার (৭০) ও আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকারসহ (৫২) ১১৯ জন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে আস-সাবুর নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করার জন্য তার ভাড়া বাসা শিমুলতলা থেকে বাইপাইলে যায়। পরে দুপুর ২টার দিকে মামলার বাদী খবর পান তার ভাই আস-সাবুর মৃত অবস্থায় বাইপাইল মোড়ে পড়ে আছে। খবর পেয়ে লোকজন নিয়ে বাইপাইল মোড়ে গিয়ে তিনি দেখেন তার ভাইয়ের ক্ষত-বিক্ষত নিথর মরদেহ পড়ে আছে। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরা তাকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার বাদী সাহিদ হাসান ওরফে মিঠু বলেন, আমরা সাবুরের মরদেহ উদ্ধারের পর খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি ঘটনার দিন এক থেকে দেড় হাজার আন্দোলনকারী বাইপাইল মোড়ে অবস্থান নেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরাসহ অজ্ঞাতনামা আরও আসামিরা দেশি ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীসহ যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও গুলিবর্ষণ করে। আসামিদের মারপিট ও গুলি বর্ষণে আমার ভাই আস সাবুর ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে আমার ভাইকে গণহারে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। পরবর্তীতে নিহতের বাবা নায়েদ ছেলেকে উদ্ধার করে গ্রামের বাড়ি মহাদেবপুর বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করেন।


আরও খবর
তিন উপকূলীয় এলাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




মহানায়ক উত্তম কুমারের জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

পৃথিবীতে না থেকেও যে জনপ্রিয়তা ধরে রাখা যায়, তার বড় প্রমাণ কিংবদন্তি অভিনেতা উত্তম কুমার। দর্শকদের মনে জায়গা নিতে খুব একটা সময় লাগেনি তার। পঞ্চাশ দশক থেকে এখন পর্যন্ত নিজের অভিনয়শৈলীতে মুগ্ধ করে রেখেছেন দুই বাংলার দর্শকদের। বেঁচে না থেকেও যেন আজও সবার কাছে জীবন্ত। একের পর এক সিনেমা দিয়ে হৃদয় ছুঁয়ে গেছেন দর্শকদের। সিনেমাপ্রেমীরাও উত্তম কুমারের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে বার বার প্রেমে পড়েছেন তার।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) প্রয়াত এই মহানায়কের জন্মদিন। ১৯২৬ সালের আজকের দিনেই পৃথিবীর আলো দেখেছিলেন উত্তম কুমার। বেঁচে থাকলে আজ ৯৮ বছরে পা রাখতেন তিনি।

প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা সিনেমায় কাজ করেছেন উত্তম কুমার। তিনি একাধারে অভিনেতা, চিত্রপ্রযোজক, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, সংগীত পরিচালক ও গায়ক। অভিনয় জগতে মহানায়ক আখ্যা দেওয়া হয় তাকে। উত্তম কুমার ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল এবং জনপ্রিয় অভিনেতা। অভিনয় জীবনে অসংখ্য বাণিজ‍্যিক সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচকদেরও তুমুল প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।

১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতার ভবানীপুরে মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন উত্তম কুমার। তার আসল নাম ছিল অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু চলচ্চিত্র জগতে এসে নিজের নাম পাল্টে রাখেন উত্তম কুমার। তার বাবা সাতকড়ি চট্টোপাধ্যায় এবং মা চপলা দেবী। তারা তিন ভাই এক বোন ছিলেন। উত্তম কুমারের ছোটো ভাই তরুণ কুমারও বাংলা সিনেমার এক জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন। তার বাবা ছিলেন কলকাতার মেট্রো সিনেমা হলের একজন সাধারণ কর্মচারী।

পরিবারে আর্থিক সমস্যা থাকায় শিক্ষাজীবন শেষ না করেই কলকাতা পোর্টে কেরানির চাকরিতে জয়েন করে সংসারের হাল ধরেন তিনি। কিন্তু অভিনয়ের পোকাটা থেকেই গিয়েছিল এই নায়কের মাথায়। আর তাই তো নিজের স্বপ্ন পূরণে অনড় ছিলেন তিনি।

রুপালি পর্দায় উত্তম কুমারের যাত্রা শুরু হয় মায়াডোর নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। যদিও সিনেমাটি মুক্তি পায়নি। পরে ১৯৪৮ সালে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা হিসেবে দৃষ্টিদান চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেলেও আলোচনায় আসেনি সেটি। পরবর্তীতে বসু পরিবার সিনেমা দিয়ে খানিকটা পরিচিতি পান উত্তম কুমার। ১৯৫৩ সালে সাড়ে চুয়াত্তর সিনেমা দিয়ে রীতিমতো বাংলা চলচ্চিত্রে ঝড় তোলেন তিনি। এই সিনেমার মাধ্যমেই আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা পান এই অভিনেতা। শুরু হয় উত্তম যুগ।

পঞ্চাশ থেকে ষাট দশকে হারানো সুর, পথে হল দেরী, সপ্তপদী, চাওয়া পাওয়া, বিপাশা, জীবন তৃষ্ণা আর সাগরিকা-এর মতো কালজয়ী সব সিনেমার পরিচিত ও কাঙ্ক্ষিত মুখ হয়ে ওঠেন উত্তম। সুচিত্রা সেনের সঙ্গে তার জুটি ছিল তুমুল জনপ্রিয়। একাধিক সিনেমার জন্য এ জুটি কালজয়ী হয়ে আছে। এই জুটির ৩০টি সিনেমার মধ্যে ২৯টিই ছিল ব্লকবাস্টার হিট।

বাংলা সিনেমা ছাড়াও বেশ কয়েকটি হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন উত্তম কুমার। তার অভিনীত হিন্দি চলচ্চিত্রের মধ্যে ছোটিসি মুলাকাত, অমানুষ, আনন্দ আশ্রম প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। ক্যারিয়ারে অভিনয়ের জন্য ১৯৬৭ সালে অ্যান্টনি ফিরিঙ্গিচিড়িয়াখানা সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছিলেন।

১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই মাত্র ৫৪ বছর বয়সে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান উত্তম কুমার। পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেওয়ার পরেও আজও মহানায়ক হয়েই রয়ে গেছেন সিনেমাপ্রেমীদের মনে। বাংলা চলচ্চিত্র যতো দিন আছে, ততোদিন উত্তম কুমার নামটিও অমর হয়ে থাকবে সবার মাঝে।


আরও খবর
আমি কেন ভয়ে থাকব: মাহিয়া মাহি

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভিসা জটিলতায় পরীমণি

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তিতে রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকাধীন বেক্সিমকোর গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠান দেখাশোনা করতে রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংককে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

একই সঙ্গে বেক্সিমকোর গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর কী পরিমাণ বকেয়া ঋণ রয়েছে, তা জানাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান রিটকারি আইনজীবী।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজীব, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।


আরও খবর



বৈশ্বিক সাইবার নিরাপত্তায় ‘রোল মডেলের’ তালিকায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বৈশ্বিক সাইবার নিরাপত্তাসূচকে বাংলাদেশ রোল মডেলের তালিকায় স্থান পেয়েছে। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) এক সূচকে বাংলাদেশ সাইবার নিরাপত্তার সর্বোচ্চ স্কোর করা দেশগুলোর একটি।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) আইটিইউ গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি ইনডেক্স ২০২৪ প্রকাশ করে। ২০২০ সালের পর চলতি বছর তারা এ প্রতিবেদন প্রকাশ করল। এর আগে ২০২০ সালে ৮১ দশমিক ২৭ স্কোর পেয়েছিল বাংলাদেশ।

আইটিইউর প্রতিবেদন ১৯৪টি দেশের ২০২৩-২০২৪ সালের তথ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে যারা ৯৫ থেকে ১০০ নম্বর পেয়েছে, তাদের রোল মডেল বলা হয়েছে। এমন দেশের সংখ্যা ৪৬টি। এ তালিকায় বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান রয়েছে।

মূলত পাঁচটি বিষয়ের ওপর সাইবার নিরাপত্তাসূচক তৈরি করেছে আইটিইউ। এর মধ্যে আইনি পদক্ষেপ, কারিগরি দিক, প্রাতিষ্ঠানিক দিক, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সমন্বয় রয়েছে।

বাংলাদেশ এরমধ্যে কারিগরি পদক্ষেপ, প্রাতিষ্ঠানিক পদক্ষেপ ও সমন্বয়ে সর্বোচ্চ স্কোর ২০ করে পেয়েছে। এ ছাড়া বাকি দুটির মধ্যে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ১৯ দশমিক ৫২ এবং আইনি পদক্ষেপে ১৭ দশমিক ৪৪ পেয়েছে।


আরও খবর



অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাবে, আশা ফখরুলের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সমন্বয় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ও ১৫ সেপ্টেম্বর বিএনপির ঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে এই সমন্বয় সভার আয়োজন করে বিএনপি। সভায় বিএনপির এর অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে রাষ্ট্র সংষ্কারের একটি ভিশনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন। আমরাও বলেছি, যেন এই সংষ্কার কাজগুলো হয়। সেক্ষেত্রে আমরা তাদের কাজের সময় এবং সুযোগও দিতে চাই। আমরা আশা করি- তারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) জনগণের চাওয়া পাওয়ার বিষয়টি উপলব্ধি করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংষ্কার কাজগুলো শেষ করে নির্বাচনের দিকে যাবে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করব- অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করবেন। যার মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। কারণ একটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ যে, গণতন্ত্রের বিকল্প নাই।

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে এধরণের সমস্যা থাকতে পারে। ছাত্র-জনতার বিল্পবের মধ্যে দিয়ে একটি ফ্যাসিবাদী সরকার বিদায় নিয়েছে। আর আওয়ামী লীগ দলীয়করণের মাধ্যমে প্রমোশন দিয়েছে। তাই কিছুটা সময় লাগবে। সব জায়গায় তো নতুন করে রিকুট করা সম্ভব না। যারা আছেন তাদেরকেই কাজে লাগাতে হবে। সেজন্য আমাদের একটু ধৈয্য ধরতে হবে।

ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে প্রতিবেশি দেশ ভারতে বসে দেশ ও দেশের মানুষের বিরুদ্ধে অপ্রপচার চালাচ্ছেন, যা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এসব কথায় কান দেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে শিল্প প্রতিষ্ঠানে (পোশাকখাত) অস্থিরতার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি শিল্পপ্রতিষ্ঠানসহ আমাদের দলের নেতাকর্মীদের অনুরোধ করব, প্রতিষ্ঠান চালু রাখুন এবং সকল প্রকার অস্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।


আরও খবর