আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

মধ্যরাতে হাসপাতালে খালেদা জিয়া, আছেন সিসিইউতে

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে আবার। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

এর আগে গত ১ মে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া। সেসময় তার চিকিৎসায় নিয়োজিত বোর্ডের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একদিন পর ২ মে মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে নিজ বাসায় ফেরেন তিনি।

এর আগে ৩০ মার্চ এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। হাসপাতালের সিসিইউতে রেখে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে বাসায় ফেরেন তিনি।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।


আরও খবর



জাতীয় চা দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় চা দিবস আজ। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য স্মার্ট বাংলাদেশের সংকল্প, রপ্তানিমুখী চা শিল্প।’ মঙ্গলবার (৪ জুন) দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় চা দিবস’-এর মূল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সারা দেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে চতুর্থবারের মতো জাতীয় চা দিবস উদযাপিত হচ্ছে। এবার দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চা পুরস্কার’ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

সোমবার (৪ জুন) মন্ত্রণালয়ে সম্মেলন কক্ষে জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, চা শিল্পের উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগের ধারাবাহিকতা ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চা শিল্প টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের ১৩টি দেশে প্রায় ১ দশমিক শূন্য ৪ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করা হয়েছে, যা গত বছরের প্রায় ৩৩ শতাংশ বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী, চা তৈরিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

৮টি ক্যাটাগরিতে চা শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন চা কোম্পানি বা ব্যক্তিকে জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৪’ দেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: জাতীয় চা দিবস

আরও খবর



সেতু ভেঙে ৯ জন নিহতের ঘটনায় ঠিকাদারের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

আমতলী উপজেলা চাওড়া নদীর উপর নির্মিত হলদিয়া হাট ব্রীজ ভেঙ্গে বিয়ের ৯ জন কনে পক্ষের আত্মীয়স্বজন নিহত হয়েছে। নিহতের মধ্যে এক পরিবারের তিনজন। অপর নিহতরা সকলেই পরস্পর আত্মীয়স্বজন।

এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্বজনদের আহাজারীতে আকাশ ভারী হয়ে উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা দায়সারা ব্রীজ নির্মাণ করেছে। ফলে নির্মাণের ৫ বছরের মাথায় ব্রীজের মাঝখানের ভীম ভেঙ্গে যায়।

গত ১০ বছর ধরে এ ভাঙ্গা নরবরে ব্রীজের উপর দিয়ে হলদিয়া ইউনিয়ন ও চাওড়াসহ উপজেলার অন্তত অর্ধ লক্ষ মানুষ চলাচল করতো। ব্রীজ নির্মাণকারী ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধার শাস্তি দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেছে। ঘটনা ঘটেছে শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে। 

জানা গেছে, আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর ২০০৮-০৯ অর্ধ বছরে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার চাওড়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত চাওড়া  নদীর উপর হলদিয়া হাট এলাকায় আয়রণ ব্রীজ নির্মাণের দরপত্র আহবান করে। ওই ব্রীজের নির্মাণের পাঁচ বছরের মাথায় ব্রীজের মাঝের ভীম ভেঙ্গে যায়। গত ১০ বছর ধরে ওই ভাঙ্গা ব্রীজ দিয়ে  হলদিয়া ইউনিয়ন ও চাওড়াসহ উপজেলার অন্তত অর্ধ লক্ষ মানুষ চলাচল করে আসছে।  শনিবার দুপুর দেরটার দিকে কাউনিয়া ইব্রাহিম একাডেমির সহকারী শিক্ষক উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের মাসুম বিল্লাহ মনিরের মেয়ে হুমায়রা আক্তারের সঙ্গে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমতলী পৌর শহরের খোন্তাকাটা এলাকার বাসিন্দা সেলিম মাহমুদের ছেলে ডাঃ সোহাগের বিয়ে হয়।

গত শুক্রবার ওই কনেকে বরের বাড়ি তুলে আনেন। শনিবার মেয়ের পক্ষের লোকজন বরের বাড়িতে মাইক্রো এবং অটোগাড়িতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে হলদিয়া ব্রীজ পাড় হওয়ার সময় ব্রীজের মাঝের অংশ ভেঙ্গে যায়।

এতে মাইক্রোবাস ও অটোগাড়ি নদীতে পড়ে যায়। অটোতে থাকা যাত্রীরা সকলে সাতরে কিনারে উঠতে পারলেও মাইক্রোবাসের যাত্রীরা নদীতে তলিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক স্থানীয়রা ওই মাইক্রোতে থাকা লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী নাশির উদ্দিন। খবর পেয়ে আমতলী ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। ততক্ষণে মাইক্রোবাসে থাকা কনে পক্ষের ৯ যাত্রী নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন রুবিয়া (৪৫), রাইতি (২২), ফাতেমা (৫৫), জাকিয়া (৩৫), রুকাইয়াত ইসলাম (৪), তাহিয়া মেহজাবিন আজাদ (৭), তাসফিয়া (১৪), ঋধি (৪) ও রুবি বেগম (৩৫)। এদের মধ্যে রুকাইয়াত ইসলাম ও জাকিয়ার বাড়ী উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে। অপর নিহত ৭ জনের বাড়ী মাদারিপুর জেলার শিবচর উপজেলার কোকরার চর গ্রামের বাসিন্দা। এরা কনে হুমায়রার মামা বাড়ীর আত্মীয়স্বজন। নিহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনার পরপর ব্রীজ নির্মাণকারী ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধার বিচার দাবীতে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। খবর পেয়ে বরগুনা-১ আসনের সাংসদ গোলাম সরোয়ার টুকু, জেলা প্রশাসক মোহাঃ রফিকুল ইসলাম,  উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) তারেক হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।

মাইক্রোবাসে থাকা সোহেল মিয়া বলেন, মাইক্রোবাসে কনে পক্ষের ১৬ জন যাত্রী বরের বাড়িতে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে হলদিয়া হাট ব্রীজের উঠামাত্রই ব্রীজ মাঝখান দিয়ে ভেঙ্গে মাইক্রোবাসটি নদীতে পড়ে যায়। আমিসহ ৩ জন সাতরে কিনারে উঠতে পেরেছি। পরে স্থানীয়, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন ও নাশির উদ্দিন বলেন, মাইক্রোবাস ও অটোগাড়ীটি ব্রীজের মাঝখানের আসা মাত্রই ধপাস করে ব্রীজ ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায়। তাৎক্ষনিক আমরা স্থানীয়দের নিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা চালাই। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ এসে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।

হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, ব্রীজ নির্মাণ কালে ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা দায়সারা ব্রীজ নির্মাণ করেছে। ফলে নির্মাণের অল্প দিনের মধ্যেই ব্রীজের মাখঝানের ভীম ভেঙ্গে গেছে। ওই ভাঙ্গা ব্রীজ দিয়ে অন্তত অর্ধলক্ষ মানুষ চলাচল করতো। তিনি আরো বলেন, এই ভাঙ্গা ব্রীজ মেরামতের জন্য আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বহুবার জানিয়েছি কিন্তু তিনি আমলে নেয়নি। যার ফলে আজ ৯ জনের প্রাণ গেল। ঠিকাদার দায়সারা ব্রীজ নির্মাণ করায় এবং উপজেলা প্রকৌশলী ব্রীজ সংস্কার না করায় তাদের শাস্তি দাবি করছি।

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ব্রীজ ভেঙ্গে মাইক্রোবাস নদীতে ডুবে নিয়ে বিয়ের কনে পক্ষের ৯ জন মানুষ মারা গেছে। নিহতদের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা বলেন, আমি যথাযথ ভাবেই ব্রীজ নির্মাণ করেছি। ব্রীজ নির্মাণ কাজে কোন অনিয়ম করিনি।

আমতলী ফায়ার সার্ভিসের ওয়ার ইনচার্জ মোঃ হানিফ বলেন, চার ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে মাইক্রোবাস উদ্ধার করতে পারিনি। উদ্ধার চেষ্টা অব্যহত আছে।

আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী  আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমতলীতে আমার যোগদানের পূর্বে এ ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্রীজ নির্মাণ যে ঠিকাদার অনিয়ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বরগুনা-১ আসনের সাংসদ গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, নিহতের স্বজনদের হাসপাতালে সমবেদনা জানিয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাস্থলে বিক্ষুদ্ধ মানুষকে শান্ত করেছি। তিনি আরো বলেন,  ব্রীজ নির্মাণে অনিয়মের কারণে এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিহতের পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে।


আরও খবর



পদ্মা সেতুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা টোল আদায়

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদকে সামনে রেখে প্রিয়জনের টানে বাড়ি ছুটছে মানুষ। দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। আর এতে সেতুতে বেড়েছে টোল আদায়। শুক্রবার (১৪ জুন) পদ্মা সেতু দিয়ে ৪৪ হাজার ৩৩টি যান পারাপার হয়েছে। এর থেকে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকারও বেশি।

শনিবার (১৫ জুন) সকালে লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু পরিদর্শনে গিয়ে সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দেখা যায়, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা ঘিরে তাই লম্বা লাইন। প্রাইভেটকার, জিপ, মাইক্রোবাস, বাস, ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহনই সেতু পার হচ্ছে। আর ভিন্ন লেন দিয়ে যাতায়াত করছে মোটরসাইকেল। ভোর থেকে যানবাহনে চাপ বেশি থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমে আসে। কখনো কখনো যানবাহনের চাপ বেড়ে লাইন লম্বা হচ্ছে। আবার কখনো ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। তবে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কর্তৃপক্ষ নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

এ দিকে জানা যায়, দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু অতিক্রম করে নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন ঘরমুখো যাত্রীরা। তাই এ পথে এবারের ঈদযাত্রা একেবারেই নির্বিঘ্ন। তেমন কোনো বিড়ম্বনার অভিযোগ নেই ঘরমুখো মানুষের। পদ্মা সেতুর নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রায় খুশি সেতু ব্যবহারকারীরা। এ ছাড়া দুপাশের এক্সপ্রেসওয়েতেও ঝক্কিঝামেলাবিহীন যাতায়াত করছেন ঘরমুখো মানুষ।


আরও খবর



জয়ের হাসি হাসলেন অভিনেত্রী জুন মালিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে অগ্নিমিত্রা পালকে প্রার্থী করেছিল বিজেপির। কিন্তু এ আসনে হেরে গেলেন তিনি। তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেত্রী জুন মালিয়ার কাছে হারলেন অগ্নিমিত্রা পাল।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার ভোটের গণনা শুরু হতেই দেখা যায় অগ্নিমিত্রা পাল কিছুটা এগিয়ে। অনেকে মনে করেছিল, হয়ত এ যাত্রায় মেদিনীপুর থেকে গেল বিজেপির। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জুন মালিয়ার কাছে হারতে হয় অগ্নিমিত্রাকে। বিজেপি হারতে হয় তৃণমূলের কাছে। ৩২ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হলেন তৃণমূলের জুন মালিয়া।

অন্যদিকে দিলীপ ঘোষকে বর্ধমান-দুর্গাপুরে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। সেখানে হেরে যান দিলীপ। কীর্তি আজাদের কাছে হারতে হয় তাকে। ফলে একদিকে সাংসদ পদ খুইয়ে দিলীপ এই মুহূর্তে একজন সাধারণ বিজেপি কর্মী।

জুন মালিয়া একা নন। তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক তারকারা কর্মীরাই এদিন জয়ী হয়েছেন। রচনা ব্যানার্জি (হুগলি), ইউসুফ পাঠান (বহরমপুর), দীপক অধিকারী দেব (ঘাটাল), সায়নী ঘোষও (যাদবপুর) বিজয়ের হাসি হেসেছেন।


আরও খবর



সিলেটে বন্যার পদধ্বনি: বিপৎসীমার ওপরে নদীর পানি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দুইদিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে সিলেটে। টিানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের সুরমা কুশিয়ারাসহ প্রায় সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিলেট জেলার সবকটি নদীর পানি ইতোমধ্যে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

বুধবার (২৯ মে) দুপুর ১২টায় সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারাসহ তিন নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে। আরও কয়েকটি পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পাউবো জানায়, বুধবার দুপুর ১২টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্ট ১৩ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশীদ পয়েন্টে ১৫ দশমিক ৭৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারার অমলশীদ এলাকায় বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০। এছাড়া সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১২ দমশিক ৩৫ সেন্টিমিটার। এ পয়েন্টে দুপুর ১২টায় ১২ দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।

গত দুইদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এই উপজেলার সবচেয়ে বড় নদী সারীনদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। আকস্মিক বন্যায় উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ী, বাইরাখেল, মযনাহাটি, বন্দরহাটি, মেঘলী, তিলকৈপাড়া, ডিবিরহাওর, ফুলবাড়ী, টিপরাখরা, খলারবন্দ, মাঝেরবিল, হর্নি, নয়াবাড়ী, কালিঞ্জিাদবাড়ী, জৈন্তাপুর ইউনিয়নে লামনীগ্রাম, মোয়াখাই, বিরাইমারা, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, লক্ষীপুর, কেন্দ্রী, খারুবিল, নলজুরী, শেওলারটুক, বাওনহাওর, চারিকাটা ইউনিয়নের লাল, থুবাং, উত্তর বাউরভাগসহ বিভিন্ন গ্রাম পাহাড়ী ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। 

বৈরী আবহাওয়া ও বন্যার আশঙ্কা নিয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক নির্দেশনাসহ ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বাড়িতে পানি ঢুকার সম্ভাবনা দেখা দিলে বাড়িতে অবস্থান না করে অবশ্যই নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া।

পাহাড়ি, টিলা এলাকায় ও এর পাদদেশে বসবাসকারীদের কেও অতি সত্ত্বর পাহাড় ধস ও মাটি ধসজনিত দুর্ঘটনা এড়াতে উপজেলা প্রশাসনের নির্ধারিত নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত নৌকা প্রস্তুত রাখার কথা বলা হয়েছে।

জরুরী প্রয়োজনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসিয়াল মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈরী আবহাওয়া অব্যাহত রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস বলেন, আমাদের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পায় মূলত উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বৃষ্টিপাততো আমাদের দেশেও ছিল। তাছাড়া প্রাক বর্ষাকালে বৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। আর বৃষ্টি হলে নদনদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়াটাও স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

অপরদিকে সিলেট আবহাওয়া অফিস বলছে, যেহেতু প্রাক বর্ষাকাল চলছে তাই এখন প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হবে। গত ২৪ ঘন্টায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ১৪৬.১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন  বলেন, আগামী তিনদিন সিলেটে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর