আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

মহেশপুরে খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বৈচিত্রপূর্ণ ছয়টি ঋতুর দেশ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। শরৎ ঋতুকে বিদায় দিয়ে হেমন্তকে বরণ করেছে প্রকৃতি। এক একটি ঋতুর রয়েছে এক একটি বৈশিষ্ট্য। ঋতু বৈচিত্রে এখন রাতের শেষে কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা।

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে খেজুর রস সংগ্রের জন্য গাছিরা খেজুর গাছ কাটার কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। কাক ডাকা ভোরে রস সংগ্রহ ও সন্ধায় চলছে গাছ পরিচর্যার কার্যক্রম। এবার কিছুটা আগেই সীমান্তবর্তী উপজেলা মহেশপুরের প্রান্তিক জনপদের গ্রামে গ্রামে সকালের শিশিরের সঙ্গে অনুভূত হচ্ছে মৃদু শীত। আর মাত্র কয়েক দিন পর রস সংগ্রহ করে রস থেকে নালি গুড় তৈরির পর্ব শুরু হয়ে চলবে প্রায় মাঘ মাস পর্যন্ত। খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রের প্রস্তুতি উপজেলার প্রতিটি গ্রামে চোখে পড়ছে।

খেজুর রস ও গুড়ের জন্য সীমান্তবর্তী এই উপজেলার এক সময় খ্যাতি ছিল। সুঘ্রান নলের গুড় উপজেলার নির্দিষ্ট কয়েকটি গ্রাম ছাড়া পাওয়া যায় না। তা আবার চাহিদা তুলনায় অত্যন্ত কম। তার পরও যে রস, গুড় ও পাটারী তৈরি হয় তা দিয়ে শীত মৌসুমে রীতিমত কাড়াকাড়ি শুরু হয়। সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী খেজুরের গুড়। কিছুদিন আগেও বিভিন্ন এলাকার ক্ষেতের আইলে, রাস্তার দুই ধারে ও ঝোপ-ঝাড়ে ছিল অসংখ্য খেজুর গাছ। কোন পরিচর্যা ছাড়াই অনেকটা প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠতো এসব খেজুর গাছ।

প্রতিটি পরিবারের চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত রস দিয়ে তৈরি করা হতো সুস্বাদু খেজুর গুড়। কিন্তু মানুষের সচেতনতা ও রক্ষণাবেক্ষরণর অভাবে পরিবেশ বান্ধব খেজুর গাছ আর তেমন চোখে পড়ে না। অপরদিকে ইট ভাটার রাহু গ্রাসে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার বেশি হওয়ার কারনে যে পরিমান গাছ চোখে পড়ে তা নির্বিচারে নিধন করায় দিনদিন খেজুর গাছ কমছেই। এখনও শীতকালে শহর থেকে মানুষ দলে দলে ছুটে আসে গ্রাম বাংলার খেজুর রস খেতে। এক সময় সন্ধ্যাকালীন সময়ে গ্রামীন পরিবেশটা খেজুর রসে মধুর হয়ে উঠতো। রস আহরণকারী গাছিদের প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যেত সে সময়।

রস জ্বালিয়ে পাতলা ঝোল, দানা গুড় ও পাটালী তৈরি করতেন। যার সাদ ও ঘ্রাণ ছিল সম্পূর্ন ভিন্ন। এখন অবশ্যই সে কথা নতুন প্রজন্মের কাছে রুপ কথা মনে হলেও বাস্তব। যত বেশি শীত পরড়ে ততবেশি মিষ্টি রস দেবে খেজুর গাছ। এ গাছ ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত রস দেয়। এটাই তার বৈশিষ্ট্য। শীতের পুরো মৌসুমে চলে রস, গুড়, পিঠা, পুলি ও পায়েস খাওয়ার পালা। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন কালের বির্বতনসহ বন বিভাগের নজরদারী না থাকায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ এখন বিলুপ্তির পথে।

উপজেলার গোপালপুর গ্রামের গাছি মনির উদ্দীন ও ফরজ আলী বলেন, এবছর একটু আগে ভাগেই গাছ ঝোড়া বা কাটা শুরু করেছি। কয়েক দিনের মধ্যেই রস সংগ্রহের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। তারা আরও বলেন ভাটার কারণে অনেক খেজুর গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এখন তেমন একটা বেশি খেজুর গাছ না থাকায় গাছিরাও খেজুর রস সংগ্রহের জন্য তেমন আগ্রহ দেখান না।

এব্যাপারে মহেশপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলেই খেজুর গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। গাছিদের খেজুর গাছ কাটার কাজটি শিল্প আর দক্ষতায় ভরা। ডাল কেটে গাছের শুভ্র বক বের করার মধ্যে রয়েছে কৌশল, রয়েছে ধৈর্য আর অপেক্ষার পালা। এ জন্য শীত মৌসুম আসার সাথে সাথে গাছিদের কদর বেড়ে যায় জানান তিনি।

শামীম খান জনী (মহেশপুর) ঝিনাইদহ

নিউজ ট্যাগ: খেজুর রস

আরও খবর
পিরোজপুর মুক্ত দিবস আজ

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

পিরোজপুর মুক্ত দিবস আজ

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




সরকারের শেষ একনেক বৈঠকে ৪৪ প্রকল্প অনুমোদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বর্তমান সরকারের শেষ একনেক বৈঠকে ৪৪টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৩৯ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩০ হাজার ১২৩ কোটি টাকা, বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার তহবিল থেকে ১ হাজার ৬৩৯ টাকা ব্যয় করা হবে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ঢাকার শেরেবাংলা নগর এলাকায় পার্ক নির্মাণ প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হলেও সেটি অনুমোদন পায়নি। প্রধানমন্ত্রী এটিকে পরে দেখে দেবেন বলে জানিয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মোটেও অরিড নই। আমরা নিজভূমে নিজ আইনে পথ চলছি। কাজেই আমাদের কোনো সমস্যা নেই, চিন্তাও নেই।

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, একেএম ফজলুল হক, আব্দুল বাকি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

একনেকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে- ঢাকার শেরেবাংলা নগর প্রশাসনিক এলাকায় বহুতল সরকারি অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্প; ঢাকাস্থ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ১২৩টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প; চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুন:খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে লক্ষীপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলার সংযোগকারী সড়ক যথাযথ মানে উন্নতীকরণ প্রকল্প; ইলিয়টগঞ্জ-মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর-বাঞ্চারামপুর জেলা মহাসড়কটি যথাযথ মানে ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প; রাজউক পূর্বাচল ৩০০ ফুট মহাসড়ক হতে মাদানী এভিনিউ সিলেট মহাসড়ক পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; সাতক্ষীরা-সখিপুর-কালীগঞ্জ মহাসড়ক এবং কালীগঞ্জ-শ্যামনগর-ভেটখালী মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প; চার লেনে উন্নীত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক (এন-১) (দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম অংশ) এর চার বছরের জন্য পারফরম্যান্স-বেইজড অপারেশন ও দৃঢকরণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প; গাবতলী সিটি পল্লীতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ক্লিনারবাসীদের জন্য বহুতলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; ঢাকা পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; বর্ধিত ঢাকা পানি সরবরাহ রেজিলিয়েন্স প্রকল্প; ঢাকা স্যানিটেশন উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভিন্ন রাস্তা উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্প; বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (আরএমইউ) স্থাপন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; মুগদা মেডিকেল কলেজের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক সুবিধা সম্প্রসারণ প্রকল্প; সাপোর্টিং ইপ্লিমেন্টেশন অব দ্যা মাদার এন্ড চাইল্ড বেনিফিট প্রোগ্রাম প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, উন্নয়ন এবং আনুষঙ্গিক কাজ বাস্তবায়ন প্রকল্প; আইসিটি শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণের জন্য নেকটারের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রকল্প; উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; ইমপ্রুভমেন্ট অব আরবান পাবলিস হেলথ প্রিভেনটিভ সার্ভিসেস প্রজেক্ট। যমুনা নদী টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্প-১ দূর্যোগ ঝঁকি অর্থায়ন (কম্পোনেন্ট ৩) প্রকল্প; মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ এর গ্যাস, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প; যশোর রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা প্রকল্প; সুগন্ধা নদীর ভাঙন হতে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলা ও নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা রক্ষা প্রকল্প; সমগ্র দেশে শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্ব) প্রকল্প; প্রাণী সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভিবাজার (প্রথম পর্যায়) প্রকল্প; মেহেরপুর সদরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও দেশের মধ্য পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ-প্রতিবেশ উপযোগী গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপন এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণায় সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প; পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প এবং মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।

মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব: ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া শুধু মেয়াদ বেড়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন ও খুলনা জেলা পুলিশ লাইন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প।

অবগতির ৫ প্রকল্প: এসব প্রকল্প ৫০ কোটি টাকার কম ব্যয় হওয়ায় পরিকল্পনামন্ত্রী নিজেই অনুমোদন দিয়েছেন। সেগুলো একনেকে অবহিত করা হয়।

প্রকল্পগুলো হলো- স্মার্ট কৃষি কার্ড ও ডিজিটাল কৃষি (পাইলট) অসমাপ্ত রেখে সমাপ্তকরণ প্রকল্প; তাঁতীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে চলতি মূলধন সরবরাহ ও তাঁতের আধুনিকায়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; জামদানি ভিলেজ স্থাপন প্রকল্প; বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের আওতায় ৫টি বেসিক সেন্টারে ৫টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, একটি ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট এবং ২টি মার্কেট প্রমোশন সেন্টার স্থাপন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প এবং গোলেজা খাতুন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ও থেরাপি সেন্টার নির্মাণ, গোপীনাথপুর, পীরগঞ্জ, রংপুর প্রকল্প।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




যে আসনে মনোনয়ন পাচ্ছেন সাকিব আল হাসান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।

বৃহস্পতবিার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেন সাকিব আল হাসান।

আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করতে গত শনিবার (১৮ নভেম্বর) ৩টি আসনের জন্য মনোনয়নপত্র কেনেন সাকিব আল হাসান। তিন আসন ছিল মাগুরা-১, মাগুরা-২ ও ঢাকা-১০।

তবে বৃহস্পতিবার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সাকিব আল হাসানকে মাগুরায় মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে না। ঢাকা-১০ আসনে তাকে নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে এখন পর্যন্ত আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ৭২টি আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে রংপুরের ৩৩টি ও রাজশাহীর ৩৯টি আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এসব প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ তথ্য জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ২৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করা হবে।

এর আগে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে সভা শুরু হয়।

সভায় দুই বিভাগের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। এরপর ধাপে ধাপে বাকি বিভাগগুলোর প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। এই বৈঠক চলবে শনিবার (২৫ নভেম্বর) পর্যন্ত।

এর আগে এর আগে শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ক্ষমতাসীন দলটির কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে ফরম সংগ্রহ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য গোপালগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন ফরম কেনেন। পরে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তার নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীরা।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




ভর্তির লটারি

সরকারি স্কুল পেলো ১ লাখ শিক্ষার্থী, বেসরকারিতে নির্বাচিত ২ লাখ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তিতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে প্রথম ধাপে তিন লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করা হয়েছে। এরমধ্যে সরকারি স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ জন শিক্ষার্থী। আর বেসরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। একই সঙ্গে অপেক্ষমাণ তালিকাও করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে অপেক্ষমাণদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বোতাম টিপে লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরপর শুরু হয় দৈবচয়ন পদ্ধতিতে লটারি। ফলাফল প্রস্তুত করা সম্পূর্ণ সফটওয়্যারের মাধ্যমে। দুপুর ২টার দিকে এ ফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, দেশের ৬৫৮টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শূন্য আসন ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ১০১টি। বিপরীতে আবেদন করেছিল ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১৩ জন। তাদের মধ্যে প্রথম দফায় ১ লাখ ৩৯ জনকে ভর্তির মনোনীত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫৩ হাজার ১১ জন ছাত্র ও ৪৭ হাজার ২৬ জন ছাত্রী। তৃতীয় লিঙ্গের রয়েছে দুজন।

অন্যদিকে বেসরকারি মাধ্যমিকে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ২ লাখ ৫ হাজারের কিছু বেশি শিক্ষার্থী। দেশের মহানগর ও জেলা সদর পর্যায়ের ৩ হাজার ১৮৮টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে তারা ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শূন্য আসন রয়েছে ১০ লাখ ৩ হাজার ৯৯৩টি।

লটারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল দৈবচয়ন পদ্ধতি সম্পূর্ণ সফটওয়্যারভিত্তিক হওয়ায় শতভাগ নিরপেক্ষতা বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে আমরা অনেক আগেই লটারি চালু করেছিলাম। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি মাথায় নিয়ে প্রথম থেকে নবম পর্যন্ত সব শ্রেণিতে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় লটারির মাধ্যমে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যে অশুভ প্রতিযোগিতা তা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। একই সঙ্গে কমছে বৈষম্যও।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে লটারি উদ্বোধন ও ফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। এতে সভাপতিত্ব করেন মাউশি মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।

ফল জানা যাবে যেভাবে

এদিকে, লটারির ফলাফল ই-মেইলে স্কুলপ্রধানদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে মাউশি। আর শিক্ষার্থীরা কে, কোনো স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে, সেটা আবেদনের সময় তাদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে মনোনীত সবাই এসএমএস পাবে।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানতে পারবেন। ওয়েবসাইটে ফলাফল দেখতে gsa.teletalk.com.bd-এ লিংকে প্রবেশ করতে হবে। আর এসএমএসে ফল পেতে GSA লিখে স্পেস দিয়ে Result লিখে স্পেস দিয়ে User ID লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। ফিরতি এসএমএসে শিক্ষার্থী জেনে যাবে, সে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।

অন্যদিকে যেসব শিক্ষার্থীরা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হননি, তাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে অপেক্ষমাণ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এ অপেক্ষমাণ তালিকাও আজই প্রকাশ করবে মাউশি। নির্ধারিত ওয়েবসাইট ও মাউশির ওয়েবসাইটে এ তালিকা পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে ভর্তি শুরুর তারিখ ও অন্যান্য নির্দেশনাও শিগগির জানিয়ে দেবে মাউশি।


আরও খবর
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ৯ ফেব্রুয়ারি

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ১১ পর্বতারোহীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে কমপক্ষে ১১ জন পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় উদ্ধারকর্মীরা।

দেশটির সুমাত্রা দ্বীপের দুই হাজার ৮৯১ মিটার চূড়ার মাউন্ট মারাপি থেকে তিন হাজার মিটার ব্যাপ্তি নিয়ে আকাশে ছাই উদগীড়নের মাধ্যমে এই আগ্নেয়গিরির থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয় গতকাল রোববার। 

আরও পড়ুন>> ব্যাখ্যা দিতে আইজি প্রিজন্স ও সুরক্ষা সচিব সুপ্রিম কোর্টে

পাডাং সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির প্রধান আব্দুল মালিক আজ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বলেন, সেখানে মোট ২৬ জন লোক ছিল যাদের সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এদের মধ্যে ১৪ জনকে আমরা খুঁজে পাই যাদের তিনজন জীবিত ছিল আর ১১ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

আব্দুল মালিক জানান পাহাড়টিতে শনিবার মোট ৭৫ জন পর্বাতারোহী অবস্থান করছিল। ১২ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে আর ৪৯ জন পাহাড়ের শৃঙ্গ থেকে নেমে আসতে পেরেছিল, যাদের অনেককেই হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এদিকে, পশ্চিম সুমাত্রার প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, পর্বতারোহীদের নামিয়ে আনতে সারা রাত কাজ করেছে উদ্ধারকর্মীরা। সংস্থাটির প্রধান রুডি রিনালডি জানান, পর্বতারোহীদের অনেকেই চিকিৎসা সহায়তা নিয়েছে। তিনি বলেন, প্রচণ্ড তাপে অনেকের শরীর পুড়ে গেছে, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগ্নেয়গিরিটির জ্বালামুখের কাছে যারা ছিল তারাই বেশি আঘাত পেয়েছে।

উল্লেখ্য দ্বীপপুঞ্জের দেশ ইন্দোনেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অব ফায়ারে অবস্থিত যেখানে ভূপৃষ্ঠের গঠনের কারণে উচ্চ মাত্রার ভূকম্পন ও অগ্নুৎপাতের ঘটনা একটি নিয়মিত ব্যাপার। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ১৩০টির মতো সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।


আরও খবর



বদলি হচ্ছে ঢাকার ৩৩ থানার ওসি

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৩৩ থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) বদলি করা হয়েছে। আজ রবিবার ডিএমপির একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

জানা গেছে, যে সব ওসিকে বদলি করা হবে তারা ছয় মাসের বেশি সময় ধরে তাদের বর্তমান কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের সব ওসি ও ইউএনওদের বদলির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই ডিএমপিতে এ রদবদল হচ্ছে।

দুয়েকদিনের মধ্যে এ বদলির আদেশ হতে পারে বলে ডিএমপির ওই সূত্রটি জানিয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন থানার ওসিদের বদলির অনুমোদন চেয়ে নির্বাচন কমিশনে একটি প্রস্তাবও জমা দিতে যাচ্ছে ডিএমপি।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩