আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ল্যাবরেটরি কক্ষ মেস ভাড়া দিয়েছেন ব্যবস্থাপক

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বিএফডিসির মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের অফিস ভবন ভাড়া দিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন। আড়ৎদারদের থাকার জন্য অফিসের একাংশ ভাড়া দিয়ে নিজের পকেট ভারী করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে। নিয়ম বহির্ভূত তার এমন অনিয়ম-দুর্নীতিতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অথচ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আড়ৎদারদের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত পৃথক ভবন রয়েছে।

অবাক করা বিষয় হচ্ছে অফিস ভবনের যে কক্ষটি ভাড়া দেয়া হয়েছে, সেই কক্ষটি ল্যাবরেটরি কক্ষ। এখানে অবতরণ কেন্দ্রে প্যাকিং উপযোগী বিভিন্ন প্রজাতির মাছের মান পরীক্ষা- নিরীক্ষা হওয়ার কথা। এ লক্ষ্যে সরকারিভাবে সরবরাহকৃত বহুমূল্যের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ল্যাবরেটরি কক্ষ থেকে সরিয়ে ছাদের একটি চিলেকোঠা কক্ষে অযত্নে ফেলে রাখা হয়েছে।

এছাড়া মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের শেড এ অনিয়ম করে দুইটি চায়ের দোকান ভাড়াও দিয়েছেন তিনি। আর আড়ৎ ভবনের ভেতরে স্থানীয় বাজারের দুইটি হোটেলের দুইটি কিচেন ভাড়া দেয়া হয়েছে নিজ স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম করে।

শনিবার (৮ জুলাই) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রামগতি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সীমানার ভেতরে দ্বিতল অফিস ভবনের নীচ তলায় তিনটি কক্ষ। এর মধ্যে একটি ব্যবস্থাপকের অফিস কক্ষ, একটি অফিস নথি সংরক্ষণের জন্য আলমিরা রাখার কক্ষ। আরেকটি অফিসের অন্যান্য কর্মচারীদের কক্ষ। দোতলায় দুইটি কক্ষ। এর একটি সেমিনার কক্ষ ও অপরটি ল্যাবরেটরি কক্ষ থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় সেখানে সেমিনার কক্ষে এককোণয় একটি টেবিল পড়ে আছে। কোন চেয়ার নেই। আর ল্যাবরেটরি কক্ষে চকি বিছিয়ে দুইজন লোক বসবাস করছে। তাদের একজনের নাম তপন। আরেকজনের নাম শাহজান। তারা আড়ৎ ব্যবসায়ী ইয়াদ বিশ্বাস জাপানের ব্যবসায়ীক কর্মচারী। যশোর এলাকার মহাজন জাপানের ব্যবসা পরিচালনা করে অফিসের ভাড়া নেয়া কক্ষে থাকছে তারা ৫ জন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানায়, রামগতি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন নিয়ম-নীতির কোনো তোয়াক্কা করেনা। অনৈতিকভাবে সরকারি অফিস বাইরের লোকের কাছে ভাড়া দিয়ে ভাড়ার টাকা খাচ্ছেন তিনি।

ধরাকে সরা জ্ঞান করে এই অবতরণ কেন্দ্রে নিজের মনগড়া যাচ্ছে তাই করে চলছেন তিনি। স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সাথে আঁতাত করে চলায় তার নানান অনিয়ম প্রকাশ্য হলেও এসব বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করার সাহস পাচ্ছে না।

আড়ৎদার ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে জানায়, অবতরণ কেন্দ্রে আড়ৎদারদের জন্য নির্ধারিত ভবনের সবগুলো কক্ষ আড়ৎদারদের জন্য বরাদ্দ না দিয়ে অনিয়ম করে বাইরের হোটেলের কাছে ভাড়া দিয়েছে দুই-তিনটি কক্ষ। এছাড়া ব্যবস্থাপক নিজে নিয়মিত অফিসে না থেকে সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবনে অবস্থান করেন দিনের বেশিরভাগ সময়। এমনকি আড়ৎদার ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি বিভিন্ন সুবিধা গোপন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রামগতি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে অফিস কক্ষ ভাড়া দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সব কিছুই আড়ৎদারদের সুবিধার জন্য। এখানে আড়ৎদারদের নির্ধারিত ভবনে সকল আড়ৎদারের সংকুলান হয়নি। তাই অফিসের ল্যাবরেটরি কক্ষ ভাড়া দিয়েছি। আর সম্মেলন কক্ষটি সকলের নামাজ আদায়ের জন্য ছেড়ে দিয়েছি। এগুলো অনিয়ম নয় দাবি করে তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে অফিস কক্ষ ভাড়া দেয়ার নিয়ম আছে। এর থেকে প্রাপ্ত ভাড়া সরকারের কোষাগারেই জমা হয়। এজন্য রসিদের মাধ্যমে টাকা আদায় করা হয়। তবে এ সংক্রান্ত কোনো রশিদ কিংবা অফিস রেজুলেশন দেখাতে পারেননি ব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন।

এবিষয়ে বিএফডিসি চেয়ারম্যান (অ.দা) ফজলুল হক বলেন, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের অফিস কক্ষ ভাড়া দেয়ার কোনো বিধান নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিএফডিসি সূত্রে জানা যায়, আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ভোক্তা পর্যায়ে স্বাস্থ্য সম্মত মাছ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে মেঘনা নদীর তীরে লক্ষ্মীপুরের রামগতি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে। প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২ একর ৭০ শতাংশ জমির ওপর এ অবতরণ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে মাছ অবতরণের জন্য একটি বড় আকারের শেড, একটি প্যাকিংশেড, একটি ইন্সপেকশন কক্ষ ও একটি দ্বিতল আড়ৎ ভবন রয়েছে। আড়ৎ ভবনে ২২ জন আড়ৎদার ব্যবসায়ীকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।  ব্যবসায়ীরা এখানে ব্যবসা পরিচালনাসহ আবাসিক সুবিধাভোগ করে থাকে। জেলেদের জন্য দুইটি পাবলিক টয়লেট রয়েছে। একটি বরফ কল রয়েছে, সেটাতে একটি ক্রাশ মেশিন রয়েছে। একটি দ্বিতল অফিস ভবন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি আবাসিক ভবন রয়েছে।

এই অবতরণ কেন্দ্রে অভ্যন্তরীণ বাজারে স্বাস্থ্য সম্মত মাছ অবতরণ ও বিপণন করা হয় প্রতিমাসে গড়ে ১৩৭ মেট্রিক টন মাছ। এছাড়া মাছের জন্য প্রয়োজনীয় বরফ সরবরাহ করা হয় মাসে গড়ে ১৫৮ মেট্রিক টন। এই অবতরণ কেন্দ্রে  আড়ৎদার, জেলেসহ প্রায় ১৫০০ জন  মাছ ব্যবসায়ী সম্পৃক্ত। মাছ ব্যবসা, আমদানি-রপ্তানি ও পরিবহন কাজে প্রায় ৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন সুবিধাভোগী হয়ে থাকে। এছাড়া অবতরণ কেন্দ্রের দুইটি পল্টুনে প্রায় অর্ধশতাধিক ইঞ্জিনচালিত জেলে বোট প্রতিদিন মাছ অবতরণ কাজে ভিড়ে থাকে।


আরও খবর



বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া, ৪ মে থেকে কার্যকর

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া। আগে যাত্রীদের ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব গেলে ভাড়ার ক্ষেত্রে ছাড় (রেয়াত) প্রত্যাহার করায় এ ভাড়া বাড়ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আগামী ৪ মে থেকে রেয়াত প্রত্যাহার করায় ট্রেনের ভাড়া সমন্বয় করা হবে।

ট্রেনের ভাড়া কেমন বাড়ছে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা রেলওয়ের বাণিজ্যিক শাখা নির্ধারণ করবে।

এদিকে রেলসূত্র জানিয়েছে, ১০১ থেকে ১৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে একজন যাত্রীর রেয়াত কর ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২৫ শতাংশ আর ৪০০ কিলোমিটার এর ওপরে ৩০ শতাংশ।

রেলসূত্র জানিয়েছে, মে মাসের ৪ তারিখে হতে যদি একজন যাত্রী ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করে তাহলে তাকে ভাড়া বেশি দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের এই প্রস্তাবনা পাস করেছেন। যা এই মাসের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

বাংলাদেশ রেলওয়ে এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে,  এতদ্দ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি প্রদান করা হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত’ রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনসমূহে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধুমাত্র বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রকার যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।

এর আগে গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী রেলের ভাড়া বাড়ছে বলে জানিয়েছিলেন। সেসময় ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির গুঞ্জন উঠার পরে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, রেলের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই।

২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ। এর প্রায় সাত বছর পর ২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

আর রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। এর মধ্যে সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করা হয় ২০১২ সালে। দূরত্বভিত্তিক রেয়াত সুবিধার কারণে দূরপাল্লার ভ্রমণে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ হয় দূরত্বের তুলনায় কম।


আরও খবর



তৃতীয় ধাপে ১২২ উপজেলায় প্রতীক বরাদ্দ আজ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হবে আজ সোমবার (১৩ মে)। রিটার্নিং কর্মকর্তারা অফিস চলাকালীন সময়ে এ প্রতীক বরাদ্দ করবেন। এরপর শুরু হবে নির্বাচনী প্রচারণা। আইন অনুযায়ী, ভোট গ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত চলবে প্রচার। আগামী ২৯ মে এই ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, তৃতীয় ধাপে চেয়াম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন; মোট ১৫৮৮ জন প্রার্থী মোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তবে বাছাই, আপিল শেষে এই সংখ্যা এদিক সেদিক হতে পারে।

মোট প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন রয়েছেন একক প্রার্থী। চট্টগ্রামের চান্দনাইশে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, যশোরের অভয়নগরে ভাইস চেয়ারম্যান ও সুনামগঞ্জের ছাতক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী রয়েছে।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৪৫টির মতো উপজেলায় ৮ মে ভোট হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা পাওয়ার রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে গণনার কাজ। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় ৪ মাস ১০ দিন পর এ দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাংক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে। তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ মোট ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর তিন মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৩টি বস্তায় ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। ঐতিহাসিক এ মসজিদের দানবাক্সে একসঙ্গে এত টাকা পাওয়াটা তখন ছিল নতুন রেকর্ড। এবার সে রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মসজিদটিতে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।


আরও খবর



নির্বাচনে হারবে জেনেই বিএনপি ভোট বর্জন করেছে: শাহজাহান খান

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মাদারীপুর প্রতিনিধি

Image

বিএনপি যে কোন নির্বাচনে জয়লাভ করবে না জেনেই উপজেলা পরিষদের ভোট বর্জন করেছে। তাদের মাঝে কোন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীয় সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান।

বুধবার (৮ মে) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ করে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান আরও বলেন, এদেশে ভোট ও ভাতের লড়াই প্রতিষ্ঠিত করেছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার শাসন আমলেই এদেশে ভোটের রাজনীতির চর্চা করা হয়। আর বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ভোট বর্জন করে মানুষের অধিকার হরণ করে। তারা শুধু মিধ্যাচার করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। কাজেই তারা দল হিসেবে এখন মিথ্যাচারে পরিণত হয়েছে।

এসময় শাহজাহান খান মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদে তার বড় ছেলে আসিবুর রহমান খানের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেনি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এ দুই উপজেলায় ভোটার প্রায় সাড়ে ৫ লাখ। চেয়ারম্যান পদে দুই উপজেলায় লড়ছেন ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন।


আরও খবর



পুলিশের মধ্যস্থতায় সড়ক ছাড়লেন পোশাক শ্রমিকরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বনানীতে সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিয়েছেন শ্রমিকরা। মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার জন্য তারা অপেক্ষা করছেন। এর আগে বিনা নোটিশে সৈনিক ক্লাবের সামনে গার্মেন্টস বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা।

পরে সকাল ১১টার পর পুলিশের মধ্যস্থতায় সড়ক ছেড়ে দেন শ্রমিকরা। তারা মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার জন্য অপেক্ষা করছেন।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, বিনা নোটিশে নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাদের বেতন বকেয়া রয়েছে। এ কারণে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

এদিকে সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিলেও এর প্রভাব পড়েছে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় সব সড়কে। এই সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ বলছে, গাড়ির চাপ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলে সড়কে যানজট থাকবে না।

এ বিষয়ে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ করেন শ্রমিকরা। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। এখন সড়ক স্বাভাবিক রয়েছে। যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।

তিনি বলেন, আমরা গার্মেন্টসটির মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতার জন্য আসবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বনানী সড়ক অবরোধের কারণে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর সড়ক পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে যারা এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন তাদের ভোগান্তি আরও বেশি।


আরও খবর