আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

নাগরিকদের লেবানন ছাড়তে ৭ দেশের নির্দেশনা

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিন ইসরায়েল যুদ্ধের উত্তেজনা ছড়িয়েছে লেবনানেও। দেশটির প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সাথে ইসরায়েলে হামলা-পাল্টা হামলা চলে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে সাতটি দেশ তাদের নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈরুতে অবস্থিত সৌদি দূতাবাস শনিবার লেবাননে অবস্থানরত দেশটির নাগরিকদের অবিলম্বে লেবাননের ভূখণ্ড ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া যেকোনো পরিস্থিতিতে দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে সৌদি।

অস্ট্রেলিয়াও নিজেদের নাগরিকদের একই পরামর্শ দিয়েছে।অস্থিতিস্থীল পরিবেশের কথা উল্লেখ করে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। আপাতত দেশটি ভ্রমণ না করার অনুরোধ জানান তিনি।

একই অনুরোধ জানিয়েছে নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাণিজ্যিক বিমান চালু থাকা অবস্থায় দেশটি থেকে নিজেদের নাগরিকদের দেশে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। এ ছাড়া জার্মানি, কানাডা ও উত্তর মেসিডোনিয়া এবং কুয়েত একই আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া গত ২২ জুন কুয়েত তাদের নাগরিকদের যতদ্রুত সম্ভব লেবানন ছাড়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

এর আগে লেবাননের প্রতিরোধ গোষ্ঠীর সঙ্গে ইসরায়েলের দফায় দফায় হামলা-পাল্টা হামলার বিষয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করে যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানি। সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানায়, ইসরায়েলের পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও তুরস্ক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বার্লিন ও ওয়াশিংটন জানিয়েছে, যুদ্ধ আরও প্রসারিত হলে ফল কী হবে তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সিনিয়র কর্মকর্তা মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, যুদ্ধের পরিধি ও তীব্রতা বাড়লে তার ফল মারাত্মক হবে। আমি এটিকে ফ্লাশ পয়েন্ট হিসেবে দেখছি।

গত সাত অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলার পর থেকে সংঘাতে জড়িয়েছে লেবাননের হিজবুল্লাহও। অন্যদিকে এ হামলায় ইসরায়েলকে সহযোগিতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ।

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক বলেন, আরেকটি যুদ্ধ মানে আঞ্চলিক সংঘাতের সম্ভাবনা অভাবনীয় আকারে বেড়ে যাওয়া। ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে যুদ্ধ হলে বিপদ বাড়বে বলেও জানান তিনি।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধ হলে তা আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নেবে। কূটনৈতিক পথে এ উত্তেজনা কমাতে হবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



চট্টগ্রামে অপরাজিতা নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

রাজনীতি ও জনপ্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণমূলক অগ্রযাত্রা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে অপরাজিতার সৃষ্টি। দীর্ঘ ৭ বছরের (২০১৮-২০২৪) পদযাত্রায় সোমবার (১০ জুন) প্রকল্পটির সমাপনী সভা অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামে অবস্থিত কারিতাস হল রুমে। যার প্রতিপাদ্য ছিলো নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে অপরাজিতাদের সাফল্য শেয়ারিংয়ের গল্প।

অপরাজিতা নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন শীর্ষক একটি প্রকল্প তৃতীয় পর্যায়ে ২০১৮ সাল থেকে বাস্তবায়িত হয়ে এসেছিলো বাংলাদেশে। ৪টি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত প্রকল্পটিতে অন্যতম সহযোগি ছিলো বাংলাদেশের আর্থিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা সুইজারল্যান্ডের (এসডিসি) ও হেলভেটাস সুইস ইন্টারকোঅপারেশন বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনায় সহযোগী সংস্থা ডেমোক্রেসিওয়াড, খান ফাউন্ডেশন, প্রিপ ট্রাস্ট ও রূপান্তর।

মূলত এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিলো, স্থানীয় সরকার তথা গভর্নেন্স প্রক্রিয়ায় নারীদের সমান অংশগ্রহণ, প্রতিনিধিত্ব ও নেতৃত্ব প্রসার এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখা ও নারীর জন্য গৃহীত রাষ্ট্রীয় আইনগুলো নিশ্চিত করা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জনাব শাহিনা সুলতানা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার কামরুম মোয়াজ্জেম, জেলা সমাজ সেবা অফিসের সহকারী পরিচালক মোঃ কামরুল পাশা।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সহ-সভাপতি ও সিনিয়র নারী সাংবাদিক ডেইজি মওদুদ, জনাব মাজেদা বেগম শিরু, এডভোকেসি এন্ড নেটওয়ার্কিং কো অর্ডিনেটর ইসমত আরা ইয়াসমিন, মনিটরিং এন্ড ইভ্যালুয়েশন কো অর্ডিনেটর মোঃ সায়েদুল ইসলাম, জেলা প্রোগ্রাম কো অর্ডিনেটর মোঃ আসাদুজ্জামান লিওনসহ অনেকে।

জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারা উপজেলার নবনির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান চুমকি চৌধুরী, জুইদন্ডী ইউনিয়নের মোঃ ইদ্রিসসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও উপজেলা থেকে আগত নারী ইউপি সদস্যবৃন্দ।

এতদিন ধরে প্রায় নয় হাজার তৃণমূল নারী নেত্রীদের নিয়ে কাজ করে আসছে এ সংস্থাটি যার প্রত্যক্ষ সুবিধা ভোগী প্রান্তিক নারীরা। আর পরোক্ষ ভাবে যারা কাজ করে গিয়েছেন তারা অধিকাংশই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক, বর্তমান বা আগামীর সম্ভাব্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।

প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৯ হাজার তৃণমূল নারী নেত্রী যাঁরা নিজেদেরকে অপরাজিতা বলে পরিচয় দেন অধিকতর আত্মবিশ্বাস ও দক্ষতার সাথে এবং দৃশ্যমান নেতৃত্বের ভূমিকায় ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানীয় প্রতিষ্ঠানে কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের সাথে যোগ দেওয়া অন্যান্য পর্যায়ের নারী জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা সম্মিলিতভাবে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন বিষয়ক বিভিন্ন দাবিদাওয়া তুলে ধরার চেষ্টা করেন।

দশম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চট্টগ্রামে অপরাজিতা কর্ম এলাকায় ১১জন নারী চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন। সেক্ষেত্রে প্রযোজ্য হার দেশের অন্যান্য এলাকায় চেয়ারম্যান পদে নারীদের জয়লাভের হারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুসারে রাজনৈতিক দলসমূহের সকল কমিটিতে কমপক্ষে ৩৩% নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবিতে অপরাজিতারা অভাবনীয় সাফল্যের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকশ রাজনৈতিক নেতানেত্রীকে (অধিকাংশই পুরুষ) সংলাপে যুক্ত করেছেন। অপরাজিতার কর্ম এলাকায় বাল্যবিবাহের পাশাপাশি লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা রোধে ব্যপক কাজ করে গেছে।

অনুষ্ঠানে আগত অপরাজিতার সাথে যুক্ত নারীরা বলেন, অপরাজিতা আমাদের রাজনীতি শিখিয়েছে, ঘর থেকে বের হতে শিখিয়েছে, সমাজে কথা বলতে ও মাথা উচু করে চলতে শিখিয়েছে। আজ আমরা পারিবারিক ও সামাজিক বিভিন্ন বাঁধা ডিঙিয়ে প্রত্যেকে স্বাবলম্বী ও আত্মনির্ভরশীল।

জনাব শাহীনা সুলতানা বলেন, নারীরা আজ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার খুবই নারী বান্ধব। তবুও প্রত্যেকটা জায়গায় প্রত্যেকটা বিষয়ে নারীদের আজও নিজেদের প্রমান করতে হয়, যেটা আমরা নারী অফিসার হয়েও রেহাই পাই না। একজন শিরিন শারমিন, একজন শেখ হাসিনা সবাই হতে পারেনা। তাই নারীদের মনেবল হারালে চলবেনা, এগিয়ে যেতে হবে।

সিনিয়র সাংবাদিক ডেইজি মওদুদ বলেন, সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে আজও মেয়েরা এক পা এগুলো ২ পা পিছায়। এখানে যারা উপস্থিত আছেন প্রত্যেকে একেকজন আলোকবর্তিকা। প্রত্যেকের জন্য শুভ কামনা। নারীদের সমাজের জন্য অনেক কিছু করার আছে।

মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার কামরুম মোয়াজ্জেম বলেন, যে নারীরা প্রত্যেকে নিজের চিন্তা করতে শিখেছেন, প্রত্যেকে অপরাজিতা। বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। তাই নিরাপদ কৃষিতে নারীদের আরও বেশি এগিয়ে আসতে হবে। নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। সরকারের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের কৃষিতে মহিলাদের ৩০% অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

আনোয়ারা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান চুমকি চৌধুরী বলেন, মেয়েরা মেয়েদের শত্রু নয়। তাই সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে দেশের অগ্রযাত্রা চলমান রাখতে হবে।

সমাপনী বক্তব্য প্রদান কালে মাজেদা বেগম শিরু বলেন, নারীরা আজ অনেক বেশি এগিয়ে। অপরাজিতার প্রকল্প শেষ হলেও অপরাজিতা সকলের মধ্যে যে আন্তঃযোগাযোগ তৈরি করে গেলো তা ইতিহাস হয়ে থাকবে। আমরা অপরাজিতার অনুপ্রেরণায় কাজ করে যাবো সারাজীবন।


আরও খবর



প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক চলছে। জাতীয় সংসদ ভবনে এ বৈঠক বসেছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বেলা ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শুরু হওয়া এই বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হবে।

মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর এই প্রস্তাবে সই করবেন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন। বিকেল ৩টায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন। এটিই হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম বাজেট।

আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে এবার বাজেটে খরচের লাগাম টানা হচ্ছে। প্রতি বছর গড়ে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ আকার বাড়ানো হলেও এবার মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ বাড়িয়ে বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

গত জুনে চলতি অর্থবছরের জন্য যে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছিল তার থেকে এই বাজেট মাত্র ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। আগামী বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ঋণের অঙ্ক বাড়ানো হচ্ছে।


আরও খবর



এবার মানব শুক্রাণুতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি শনাক্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

এবার মানব শুক্রাণুতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। একটি গবেষণায় পরীক্ষা করা সব শুক্রাণুর নমুনায় মাইক্রোপ্লাস্টিক শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, মানব শুক্রাণুতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় প্রজননের ওপর এর প্রভাব নিয়ে আরও গবেষণা করা জরুরি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক দশক ধরেই পুরুষের শুক্রাণুর পরিমাণ (স্পার্ম কাউন্ট) কমেছে। ৪০ শতাংশ স্পার্ম কাউন্ট কমার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। রাসায়নিক দূষণ এটির কারণ হতে পারে বলে অনেক গবেষণায় ইংগিত দেওয়া হয়েছে।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, চীনের জিনানে ৪০ জন সুস্থ পুরুষের শুক্রাণুর নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। ইতালিতে আরেক গবেষণায় ১০ জন পুরুষের থেকে নমুনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি নমুনায় মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া চীনের অপর এক গবেষণায় ২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় অর্ধেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক মিলেছে।

সম্প্রতি ইঁদুরের ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাইক্রোপ্লাস্টিকের কারণে ইঁদুরের স্পার্ম কাউন্ট কমে গিয়েছে। এছাড়া এটির কারণে অস্বাভাবিক আচরণ ও হরমোনে ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে।

বর্তমানে মাইক্রোপ্লাস্টিক নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে। এতে সবত্রই মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের প্রমাণ মিলছে। গত মে মাসে চালানো এক পরীক্ষায় ২৩টি পুরুষ অন্ডকোষের নমুনায় এ পরীক্ষা চালানো হয়। এতে সবকটিতেই এ ক্ষতিকর কণার উপস্থিতি শনাক্ত হয়।

এর আগে মানুষের রক্ত, প্লাসেন্টা ও বুকের দুধে মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব মেলে। এ সব গবেষণার ফলাফলে মানবদেহে সর্বত্র ক্ষতিকর এ কণার উপস্থিতির ইংগিত মিলে। তবে স্বাস্থ্যের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব এখন জানা যায়নি। গবেষণাগারে দেখা গেছে, মানবদেহের কোষের ক্ষতি করে মাইক্রোপ্লাস্টিক।

প্রতিবছর লাখ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। যার একটি অংশ সৃষ্টিজগতের খাবার থেকে শুরু করে মানুষের শরীরে গিয়ে মিশছে। এভারেস্ট পর্বতের চূড়া থেকে সমুদ্রের তলদেশেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের দূষিত কণা পৌঁছে গেছে।

চীনের কিংদাও ইউনিভার্সিটির গবেষক নিং লি ও তার সহকর্মীরা জানান, মানব স্বাস্থ্যের ওপর মাইক্রোপ্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে বলে গবেষণা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মনে হচ্ছে প্রজননের ওপর এটির সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানান তারা।


আরও খবর



সর্বগ্রাসী ক্ষুধা থেকে বের হয়ে আসতে হবে : পরিকল্পনা সচিব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সর্বগ্রাসী ক্ষুধা থেকে আমাদের বের হয়ে শুদ্ধাচারী মনোভব পোষণ করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার। তিনি বলেন, গণমাধ্যম এখন সৎ মানুষ সেজে থাকা দুর্নীতিবাজদের বের করে আনছে।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের সর্বগ্রাসী মনোভব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সম্মানের থেকে কেন আমরা বিচ্যুত হচ্ছি। শুধু নিজে সৎ থাকলে হবে না। আশপাশের সবাইকে সৎ রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৪-২৫ স্বাক্ষর ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য আব্দুল বাকী, আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য রেহানা

সত্যজিত কর্মকার বলেন, আমরা সর্বগ্রাসী হয়ে গেছি। আমাদের চাই চাই আরও লাগবে কেন? সরকার আমাদের কি দেয়নি, আমরা কেন নীতিবহির্ভূত কাজ করছি। এই দেশ তো আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে। সর্বগ্রাসী ক্ষুধা এমন পর্যায়ে গেছে প্রধানমন্ত্রী আমাদের শুদ্ধাচার পুরস্কার দিয়ে নিবৃত করছে। আমাদের সবাইকে সর্বগ্রাসী ক্ষুধা থেকে বের হতে হবে।

তিনি বলেন, এখানে আজ অনেকেই অনুপস্থিত, যা খুবই দুঃখজনক এটা শুদ্ধাচারের পরিপন্থি। এটা সরকারের অন্যতম কর্মসূচি অথচ অনেকে নেই। আমার মনে হয় আয়োজকদের কারণে আজ অনেক চেয়ার ফাঁকা। আমাদের সময়ের প্রতি, দায়িত্বের প্রতি আরও যত্নবান হওয়া দরকার।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, অনাচার দিয়ে কোনো সমাজ চলতে পারে না। শুদ্ধাচার এর বিপরীত শব্দ কি অনাচার। সামাজিক অনাচার দূর করে মানবসভ্যতা রচনা করাই কাজ। মানুষের কাজই হচ্ছে অনাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।

তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন বিলবোর্ডে জাতির পিতার কথা বলা আছে সেই অনুসারে আমাদের চলতে হবে। মানুষকে সম্মান জানাতে হবে। শুদ্ধ হওয়ার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। জীবনের প্রতি পদক্ষেপ শুদ্ধাচার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। শুদ্ধাচার অর্জন করবার জন্য জাতির পিতাকে অনুসরণ করে জীবন পরিচালনা করতে হবে।


আরও খবর



প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবি

পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে ঢাবির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে এবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রোববার (৩০ জুন) সকাল থেকেই এ কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। কর্মবিরতির অংশ হিসেবে আজ সারাদিন জরুরি কাজ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের দাপ্তরিক কাজ বন্ধ থাকবে।

সকাল ১০টা থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে কর্মবিরতির সমর্থনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিতে থাকেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর আগে প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন দপ্তরের সামনে মিছিল করেন তারা। পরে বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে অপরাজেয় বাংলার সামনে আসেন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত তারা অবস্থান, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। এরপরও দাবি না মানা হলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ আয়োজন করে।

অবস্থানের সময় কর্মকর্তা-কর্মাচারীদের হাতে বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই, বৈষম্যের প্রজ্ঞাপন বাতিল করো করতে হবে, সর্বজনীন পেনশন, মানি না মানবো না, শেখ হাসিনার বাংলায়, প্রত্যয়ের ঠাঁই নাই, ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। পাশাপাশি তারা একই কথাগুলো উল্লেখ করে স্লোগানও দিতে থাকেন।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন সব শ্রেণির কর্মচারীর মধ্যে যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে, তা সবকিছুকে বাজে পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে। এমন একটি বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন জারির ফলে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের মধ্যে চরম হতাশা ও অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হয়েছে তা কেবল আমাদের যৌক্তিক দাবি তথা প্রত্যয় স্কিম বাতিলের মধ্য দিয়েই নিরসন সম্ভব। এই প্রজ্ঞাপন কার্যকর হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কর্মচারী চরম বৈষম্যের শিকার হবেন। একই বেতন স্কেলের আওতাধীন কর্মচারীদের জন্য ভিন্ন নীতি সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে অবিলম্বে আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রত্যয় স্কিম বাতিল করতে হবে। অন্যথায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।

অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আব্দুল মোত্তালিব, ঢাবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক, কর্মচারী সমিতির সভাপতি শেখ মোহাম্মদ সরোয়ার মোর্শেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমীন, কারিগরি কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. সামসুল আলম বাদল, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহজাহান এবং সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম মিয়াসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।


আরও খবর