আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

নামেই শহীদ সরণি, নেই প্রচারণা কাগজে কলমে

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৬ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

রংপুর থেকে আবু নাসের বাপি

বিভাগীয় নগরী রংপুরে শহীদের নামে কিছু সরণি থাকলেও নেই প্রচার প্রচারণা। সড়কের এককোণে দৃষ্টির আড়ালে পড়ে থাকা এসব শহীদ সরণি নামমাত্র ফলকে সীমাবদ্ধ। সরকারি-বেসরকারিভাবে ব্যাপক প্রচারণা না থাকায় নতুন প্রজন্মের কাছে অজানা শহীদদের পরিচয়-পরিচিতি। সড়কের নাম ফলকে থাকলেও কাগজে কলমে প্রচারণায় নেই কোনো বাধ্যবাধকতা। ফলে কালের বিবর্তনে সাহসী শহীদ সন্তানদের নাম ইতিহাস থেকে মুছে যেতে বসছে।


সচেতন মহলসহ শহীদ পরিবারের সদস্যদের দাবি, রংপুরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ভাষা সৈনিকসহ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করা হোক। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের কাছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে

সরণির ফলকের সঙ্গে যুক্ত করা হোক সংগ্রামীদের বীরত্বময় ইতিহাস। প্রয়োজনে জীবিত ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরঙ্গনাদের নামেও হতে পারে নতুন নতুন সরণি করার আহ্বান তাদের। আর এর জন্য সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনসহ সকল রাজনৈতিক মহলকে উদ্যোগ গ্রহণে অনুরোধ জানিয়েছেন শহীদ পরিবারগুলো।


আশির দশকে রংপুর পৌরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান ভাষা সৈনিক মোহাম্মদ আফজাল শহীদদের নামে অনেকগুলো সড়কের নামকরণ ও ফলক স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি ও প্রচারণার অভাবে নামকরণের সেই ফলক ও সাইনবোর্ডগুলো বিলীন হয়ে যায়। এখনো নগরীর বিভিন্ন সড়কে শহীদদের নামের হাতেগনা কয়েকটি সাইনবোর্ড ও ফলক রয়েছে। তবে বর্তমান সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান সম্প্রতি কয়েকটি সড়কের সংস্কার শেষে নতুন করে শহীদের নামে করা সরণির ফলক স্থাপন করেছেন। কিন্তু এ সব সড়ক ঘিরে প্রচারণা না থাকায় বেশির ভাগ মানুষই জানে না শহীদ সরণির নাম। আবার কিছু কিছু সড়কের নাম ফলকে ভুল বানান ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে।

রংপুর সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলন সংগ্রামের প্রথম শহীদ হন রংপুরে। সেই শহীদ শিশু শংকু সমজদারের নামে নগরীর শাপলা চত্বর থেকে তাজহাট পর্যন্ত সড়কের নামকরণ হওয়া উচিত। এই সড়কেই শংকুর রক্ত ঝড়েছে। একসময় রংপুর শহরের অনেক সড়কের নাম শহীদদের নামকরণে হয়েছিল। কিন্তু নামকরণের পর সড়কগুলোর নাম ব্যবহার করতে আমাদের সচেতনতার অভাবে আজ সেইসব নাম হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে বর্তমান সিটি পরিষদ শহীদদের নামে সড়কের নাম ফলক স্থাপন শুরু করেছে বলেও তিনি জানান।


দীর্ঘদিন ধরে ইতিহাস চর্চা, গবেষণা ও লেখালেখির কাজ করছেন রিয়াদ আনোয়ার শুভ। আশির দশকের স্মৃতি তুলে ধরে এই লেখক বলেন, তিনি নিজের চোখেই শাপলা চত্বরের (তৎকালীন তেঁতুলতলা) তিন কোনা পার্কটির শহরমুখী কোনায় শহীদ শংকু সরণির নামফলক দেখেছি।  রংপুর পৌরসভার আশির দশকের দলিল অনুসারে শহরের বিভিন্ন সড়কের নাম অনেকগুলো বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদের নামে হয়েছিল।

তিনি জানান, রংপুর শহরের মূল সড়কের ডিসি বাংলো থেকে শাপলা চত্বর পর্যন্ত অংশের নাম দুই ভাগে শহীদ জররেজ সরণি (ডিসি বাংলো থেকে রামমোহন ক্লাব) ও শহীদ মুখতার ইলাহির (রামমোহন ক্লাব থেকে শাপলা) নামে ছিল। এছাড়াও নগরীর বেতপট্টি সড়কটির (চৌরাস্তার ট্রাফিক আইল্যান্ড পর্যন্ত) নামকরণ করা হয়েছিল শহীদ ওমর আলী সরণি, সেন্ট্রাল রোড শহীদ মোবারক সরণি, গোমস্তা পাড়া থেকে পাল পাড়ার দিকে যে রাস্তা চলে গেছে তার নাম শহীদ রনি রহমান সরণি। নগরীর দেওয়ান বাড়ি রোড হতে যে রাস্তাটি থানার পিছন দিয়ে মুলাটোলের দিকে চলে গেছে, সেই সড়কের নাম শহীদ অশ্বিনী কুমার ঘোষ সরণি। শহীদ ভিকু চৌধুরীর নামানুসারে হয় বেতপট্টি থেকে সেনপাড়ামুখী সড়কটির নাম।

এছাড়া স্টেশন রোড থেকে দরদী সিনেমা হলের বিপরীত দিয়ে আজিজ নগর কলোনির ভিতরের মূল সড়কটির নামকরণ করা হয় শহীদ চিকিৎসকের নামানুসারে শহীদ ডাঃ মর্তুজা সরণি। মুরগী ফার্ম খামার মোড় থেকে পীরপুর অভিমুখী সড়কের নামকরণ হয়েছিল শহীদ ইসমাইল হোসেন বসু মিয়া সরণি। ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ পাকিস্তানী সেনাকর্মকর্তাকে হত্যার নেতৃত্বদানকারী সংগ্রামী শাহেদ আলীর নামে পীরজাবাদের সড়কের নামকরণ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে বেশির সড়কে এসব সরণির কোনো স্মৃতিচিহ্ন বা ফলক নেই। কাগজে কলমে, সাইনবোর্ডে বা বাসার ঠিকানা ব্যবহারেও এসব সরণির কোথাও তেমন প্রচারণা নেই। যার কারণে বর্তমান প্রজন্ম শহীদ সরণি সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে অভিযোগ করেন সচেতন এই লেখক।

রংপুরের সাবেক পৌর চেয়ারম্যান ও শহীদ পরিবারের সদস্য কাজী মোঃ জুননুন বলেন, রংপুর শহরের অনেক সড়ক বিভিন্ন সময়ে নামকরণ করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের নিজেদের দায়িত্বহীনতার কারণে সেই সরণিগুলো এখন নতুন প্রজন্মের কাছে অজানা অপরিচিত। ভাষা আন্দোলন ও  মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকাশে সড়কের নামকরণে শহীদদের নামফলক অনেক গুরুত্ববহ করে। অথচ এ ব্যাপারে কারো কোনো উদ্যোগ নেই।

এদিকে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর রংপুর জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন বলেন, বর্তমান সিটি মেয়র ও তার পরিষদ চাইলে আশির দশকের দলিল বের করে সড়কগুলোর নাম নিশ্চিত হয়ে পুণরায় সড়কের নামফলক স্থাপন করা সম্ভব। এতে অন্তত আগামী প্রজন্ম আমাদের ভাষা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া রংপুরের বীর শহীদদের নাম ও তাদের পরিচয় জানতে পারবে। পাশাপাশি শহীদদের নামের সড়কগুলোর নাম ব্যবহার ও প্রচার করতেও সকলকে সচেতন করতে হবে। তবেই পূর্ণতা পাবে নামকরণ স্বার্থকতা।

এ ব্যাপারে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু বলেন, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সিটি করপোরেশনের

পক্ষ থেকে শহীদদের নামে করা নামফলক স্থাপন করা হয়েছে। আমাদের এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এবার শুধু নামকরণ নয়, যাতে নামের ব্যবহার হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে নামফলকের সঙ্গে শহীদদের পরিচয় পরিচিতি তুলে ধরার ব্যাপারে সিটি পরিষদ আলোচনা করে ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি জানান।


আরও খবর



ভুয়া ও মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্সে চলছে জবির ক্যাফেটেরিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ভুয়া এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে চলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটেরিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেওয়া ট্রেড লাইসেন্সটি (TRAD/DSCC/901214/2019) ভুয়া, যেখানে টেম্পারিং এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে বসানো হয়েছে।

জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে ১৯ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ইস্যু করা আসল ট্রেড লাইসেন্সে প্রতিষ্ঠানের নাম 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়া' এবং মালিকের নাম মাসুদ আলম ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে মাসুদ সেই লাইসেন্সের সব তথ্য ঠিক রেখে খুব চতুরতার সাথে টেম্পারিং এর মাধ্যমে শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে মাসুদ এন্ড কোং করেন। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স প্রতিবছর নবায়ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসেবে লাইসেন্সের মেয়াদ ৩০ জুন ২০২০ সালে শেষ হয়েছে। কিন্তু ৪ বছরেও নবায়ন করা হয়নি লাইসেন্স।

২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক আলতাফ হোসেনের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকায় পরিচালনার দায়িত্ব নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী শরিফুল ইসলাম। নিয়মানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিরত থাকায় শরীফুল নিজের নামে কাগজপত্র করতে পারেননি। তাই তৎকালীন ক্যাফেটেরিয়ার ম্যানেজার মাসুদ আলমের নামে সব কাগজপত্র করেন শরিফুল। তৎকালীন ক্যাফেটেরিয়ার তদারকির দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে মাসুদ আলমকে বুঝিয়ে দেন। সকল কাগজপত্র মাসুদের নামে থাকায় পরবর্তীতে মূল অংশীদার শরিফুল ইসলামকে বাদ দিয়ে এককভাবে মাসুদ আলমকে মালিকানা হস্তগত করেন।

এদিকে প্রতারণা ও ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে ভুয়া ট্রেড লাইসেন্সের মাধ্যমে মাসুদ আলম দাপটের সাথে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ করেন শরীফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রভাবশালী ও কর্তাব্যক্তিকে ম্যানেজ করে আমাকে বাদ দিয়ে মাসুদ ক্যাফেটেরিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেন।

বর্তমান ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মাসুদ আলম বলেন, এখন ট্রেড লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স নবায়নের কাজ চলমান আছে, কয়েকদিনের মধ্যে পেয়ে যাবো। আমি মাসুদ এন্ড কোং নামে ট্রেড লাইসেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেইনি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়া নামে জমা দিছি। শরীফুলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদ বলেন, ওনার কথা সত্য নই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক জিএল আল আমিন বলেন, ২০২৩ সালে আগস্টে ৩ বছরের জন্য ক্যাফেটেরিয়ার নতুন ইজারা নিয়েছে মাসুদ আলম। যেহেতু আমি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ছাত্রকল্যাণের দায়িত্ব পেয়েছি, তাই ট্রেড লাইসেন্সসহ এর আগের কোন বিষয়ে আমার জানা নেই।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। এ দফায় ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৪২ টাকা থেকে ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) নতুন এ দর ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

ঘোষণায় জানানো হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তা পর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে অটো গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা। এর আগে এপ্রিল মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফর সূচি চূড়ান্ত করতে দুই দিনের সফরে বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা।

একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) এ টি এম রোকেবুল ইসলাম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা তাকে স্বাগত জানান।

জানা গেছে, ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

আগামী জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে যেতে পারেন বলে সূত্রে জানা গেছে। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের পর এটাই হবে তার প্রথম ভারত সফর।


আরও খবর



এখন সময় এসেছে নগ্ন পুরুষদের বাহবা পাওয়ার : বিদ্যা বালান

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রীদের একজন বিদ্যা বালান। ২০২২ সালে অভিনেতা রণবীর সিং যখন নগ্ন ফটোশুট করেছিলেন তখন একমাত্র নায়িকা হিসেবে প্রকাশ্যে প্রশংসা করেছিলেন তিনি।

সময় গড়িয়েছে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও থেমেছে। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আবারও রণবীর প্রসঙ্গে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন বিদ্যা। যেখানে অভিনেতাদের নগ্ন ফটোশুট নিয়ে অকপটেই কথা বলেছেন অভিনেত্রী।

বিদ্যা বালান বলেন, এখনো একই কথা বলব। আপনি যেকোনো প্রাপ্তবয়স্কদের পাঠ্য পত্রিকা দেখুন, প্লেবয় বা ডেবোনেয়র-এ আমরা সবসময় নারীদের নগ্ন ছবি দেখি। সেটা কোনো পুরুষ বা সমকামীর ভালো লাগতে পারে। কিন্তু আমাদের মতো যারা, তারা কী করবেন? আমাদেরও শখ থাকতে পারে, ইচ্ছা থাকতে পারে। তাই যা বলেছিলাম, এখনো তাই বলছি। আমার ভালো লেগেছিল। নগ্ন নারীদের অনেক বাহবা দিয়েছি, এখনো হরহামেশাই দিয়ে থাকি। এবার মনে হয় সময় এসেছে, নগ্ন পুরুষদের বাহবা পাওয়ার।

সাধারণ মানুষের মতো বলিউডের অনেক তারকাকেই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক জড়াতে দেখা যায়। এ বিষয়ে বিদ্যা বালানের অভিমত কী? এমন প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যা বালান বলেন, আমি এটা মানি যে, বিয়ের বাইরেও প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হতে পারে। আমি যদি এই বিষয়টিকে খাবারের সঙ্গে তুলনা করি, তা হলে বলব, রোজ রোজ ডাল-ভাত খেয়ে আমাদের একটা একঘেঁয়েমি চলে আসে। তাই আমরা নুডলস বা অন্য কিছুর দিকে ঝুঁকি। কিন্তু একটা সময় আসে, যখন আমরা খাঁটি ডাল-ভাতের মর্ম বুঝি।

বিদ্যার পরবর্তী সিনেমা দো আউর দো পেয়ার। যেখানে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয় উঠে এসেছে। এ বিষয়ে বিদ্যা বালান বলেন, আমাদের সিনেমায় শুধু বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক দেখানো হয়নি। এর বাইরের বিষয়ও আছে। আমরা নিজেদের প্রেমিক-প্রেমিকার সঙ্গেও প্রতারণা করি।

নিউজ ট্যাগ: বিদ্যা বালান

আরও খবর



উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

প্রথম ধাপে বিনা ভোটে ২৬ প্রার্থী নির্বাচিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এসব পদে ভোটের প্রয়োজন পড়ছে না।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা ওই প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা।

চেয়ারম্যান পদে সাত জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নয় জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এতে বালিয়াডাংগি (ঠাকুরগাঁও) উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, হাকিমপুরে (দিনাজপুর) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সাঘাটায় (গাইবান্ধা) চেয়ারম্যান, বেড়া (পাবনা) উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সিংড়ায় (নাটোর) চেয়ারম্যান, কুষ্টিয়া সদরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, বাগেরহাট সদরে সব পদ, মুন্সীগঞ্জ সদরে সব পদ, শিবচরে (মাদারীপুর) সব পদ, বড়লেখায় (মৌলভীবাজার) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পরশুরামে (ফেনী) সব পদ, সন্দ্বীপে (চট্টগ্রাম) ভাইস চেয়ারম্যান, কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান, রোয়াংছড়িতে (বান্দরবান) চেয়ারম্যান পদ, কাউখালীতে (রাঙামাটি) ভাইস চেয়ারম্যান, চুয়াডাঙ্গার ডামুহুদায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ভোটের প্রয়োজন পড়বে না।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে দেড়শ উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন।


আরও খবর