আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

নারায়ণগঞ্জে মহাসড়কে এক বছরে ঝরেছে ৭৮ প্রাণ

প্রকাশিত:শনিবার ২২ অক্টোবর 20২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ অক্টোবর 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে সড়কে দুর্ঘটনায় গত এক বছরে নারী-শিশুসহ ৭৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় অনেক পরিবার হারিয়েছে তাদের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে। অনেকেই সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ববরণ করছেন। দুর্ঘটনারোধে সরকারের নানা উদ্যোগেও ততটা সুফল মিলছে না। সড়কে মৃত্যু কিছুতেই যেন কমছে না।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার সূত্রমতে, ২০২১ সালের ২২ অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের ২১ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে পুরিন্দা বাজার এবং এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের মদনপুর থেকে কাঞ্চন এলাকা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের অংশে ১৭৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় নারী-শিশুসহ ৭৮ জন মারা গেছেন। এছাড়া যাত্রী ও পথচারীসহ আরও ১৪৬ জন মানুষ আহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় ৭০টির বেশি মামলা হয়।

মহাসড়কে যানবাহনের বেপরোয়া গতি রোধে হাইওয়ে পুলিশের টহল থাকলেও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি, যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী রাস্তা, বেপরোয়া গতির যানবাহন, যান্ত্রিক ত্রুটিপূর্ণ যান, মোটরসাইকেল চালকের অসাবধানতা ও পথচারীর অসচেতনার কারণে দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। এসব সমস্যার সমাধান হলে দুর্ঘটনা অনেকটা কমে আসবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

এদিকে, সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছে। একই দাবি বিভিন্ন সংগঠনেরও। তারা এ দাবিতে বছরজুড়ে সভা ও মানববন্ধন করছেন।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)র নারায়ণগঞ্জের সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল জানান, আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বহুবার মহাসড়কে থ্রি-হুইলার নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছি। প্রথমত, সেটি এখনো পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। একই সড়কে যখন বিভিন্ন গতির যানবাহন চলবে তখন সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হবেই। দ্বিতীয়ত, মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আরেও শক্তিশালী করতে হবে। তৃতীয়ত, অসচেতনার কারণেও দুর্ঘটনা বেশি ঘটে থাকে। এছাড়া মহাসড়কে যানবাহন চালকদের প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে। যানবাহন মালিকরা যখন চালকদের টার্গেট দিয়ে দেন আজ এতগুলো ট্রিপ দিতে হবে। তখন তাদের মধ্যে এ ধরনের প্রতিযোগিতা বেশি কাজ করে। প্রতিযোগিতায় মানুষ মারা গেলেও তারা এগুলো নিয়ে গুরুত্ব দিতে চায় না তখন। পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)র নারায়ণগঞ্জের সভাপতি ডা. আল ওয়াজেদুর রহমান জানান, আমাদের তথ্যমতে গত এক বছরে সারাদেশে সাড়ে ৫ হাজারের মতো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ হাজার ৮০০ মানুষ মারা গিয়েছেন এবং ৬ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। আর নারায়ণগঞ্জে দুই শতাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি দুইশত কিংবা দুজন ব্যাপার না। দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারাচ্ছেন তাদের পরিবারের কাছে এটা কতটা যে দুঃখজনক সেটা তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনই বুঝতে পারে। আমরা তার প্রেক্ষাপটে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে প্রায় ৩০ বছর ধরে নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছি। আমরা নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন সময় নিরাপদ সড়কের জন্য মানববন্ধন করার পাশাপাশি প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়েছি। যাতে করে তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়। আমাদের নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে সোচ্চার থাকি। যাতে করে ট্রাফিক বিভাগ, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন বিষয়টির দিকে নজর দেয়। তারা যদি সমন্বিত একটা পরিকল্পনা নেয়, তাহলে দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর নারায়ণগঞ্জের মহাসড়কে শতাধিক দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব মহাসড়কে থ্রি-হুইলার ও অবৈধ ইজিবাইক নিষিদ্ধের যে আইন ছিল তা কার্যকর না হওয়ার কারণে দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। এছাড়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বরপা অংশের যে জায়গাটি রয়েছে এটি এখনো দুই লেনে উন্নীত হয়নি। এখানে রোড ডিভাইডার না থাকার কারণে দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে হলে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা আরেও বাড়াতে হবে। এছাড়া মহাসড়কের যানবাহনে দক্ষ চালক নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) নারায়ণগঞ্জের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী মো. শামসুল কবির জানান, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড অংশে বেশি দুর্ঘটনা হয়। সাইনবোর্ড নিয়ে আমরা একটা প্রতিবেদন তৈরি করে ঊর্ধ্বতন মহলকে জানিয়েছি। এক্ষেত্রে হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা আরেও বাড়াতে হবে। মহাসড়কের অন্যান্য যেসব অংশে দুর্ঘটনা বেশি ঘটে তা নিয়ে আমরা এখনো প্রতিবেদন শুরু করিনি। আপাতত আমরা সাইনবোর্ড অংশ নিয়ে কাজ করছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন জানান, চালকদের অসর্তকতার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হয়। পাশাপাশি অতি দ্রুত মোটরসাইকেল চালানোর ফলেও এসব ঘটনা ঘটছে। এছাড়া কম বয়সী চালকদের দিয়ে ভারি যানবাহন চালানো এবং প্রতিযোগিতার ফলে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব হচ্ছে না। রাতে মহাসড়কে বৈদ্যুতিক সড়কবাতি না থাকায় চালকদের যানবাহন চালাতে সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। যেসব চালক ট্রাফিক নিয়মগুলো মানেন না আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা যানবাহন মালিক সমিতির সঙ্গে কয়েকবার আলোচনা করেছি কীভাবে দুর্ঘটনা কমানো যায়। সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে হলে আমাদের পাশাপাশি বিআরটিএ, সওজ, কমিউনিটি পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে।


আরও খবর



প্রতিবন্ধীর প্রশিক্ষণ ভাতা প্রধান শিক্ষকের পেটে!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

প্রতিবন্ধী জান্নাতী আক্তারের প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ ভাতা না দিয়ে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শাহ আলম কবির আত্মসাৎ করেছেন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে জান্নাতীর বাবা নিজাম মীর আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবন্ধীর বাবা আরো অভিযোগ এ বিষয়টি নিয়ে ইউএনওকে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় প্রধান শিক্ষক তার মেয়েকে টিসি দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন।

জানা গেছে, আমতলী পৌর শহরের নয়াবেঙ্গলী গ্রামের নিজাম মীরের প্রতিবন্ধী কন্যা জান্নাতী আক্তার মফিজ উদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোকেশনাল শাখায় নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। জান্নাতী প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার মা ফাতেমা বেগমকে ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো ডেভেলটমেন্টাল ডিজএ্যাবিলিটিজ প্রকল্পে আয়োজিত ৫ দিন ব্যাপী প্রতিক্ষণে আমন্ত্রণ পায়। অভিযোগ রয়েছে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শাহ আলম কবির প্রতিবন্ধী জান্নাতী আক্তারের মাকে প্রশিক্ষণে না পাঠিয়ে তার বোনকে ভূয়া প্রতিবন্ধীর অভিভাবক বানিয়ে প্রশিক্ষণ ভাতা আত্মসাৎ করেছেন। এ বিষয়ে জান্নাতির বাবা নিজাম মীর আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। তার আরো অভিযোগ এ বিষয়টি নিয়ে ইউএনওকে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় প্রধান শিক্ষক তার মেয়েকে টিসি দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন।

প্রধান শিক্ষক শাহ আলম কবির প্রতিবন্ধীর প্রশিক্ষণ ভাতা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে যাকে পাঠিয়েছি তার ফরোয়াডিং চেয়েছেন। অল্প দিনের মধ্যেই ফরোয়াডিং এনে দেয়া হবে।

আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তা অলী আহাদ বলেন, অল্প দিনের মধ্যেই তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



তারকা ক্রিকেটারকে বাদ দিয়েই বিশ্বকাপে যাচ্ছে ভারত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ দল ঘোষণা করে তারা। বিশ্বকাপে ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্মা। দলে রয়েছে বিরাট কোহলিও।

চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছেন শিবাম দুবে। তবে দলে জায়গা হয়নি লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল ও রিঙ্কু সিংয়ের। রিজার্ভ দলে জায়গা পেয়েছেন গিল ও রিঙ্কু।

বিশ্বকাপ দলে হার্দিক পান্ডিয়ার থাকা নিয়ে সংশয় থাকলেও সহ-অধিনায়ক হিসেবে তিনি রয়েছেন ঘোষিত দলে। চলমান আইপিএলে মুম্বাইয়ের জার্সিতে বাজে সময় পার করছেন হার্দিক। ওপেনার হিসেবে রোহিত শর্মার সঙ্গী হওয়ার লড়াইয়ে গিলকে পেছনে ফেলেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। আইপিএলে দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কারস্বরূপ বিশ্বকাপের টিকিট পেলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার সঞ্জু স্যামসন।

ভারতের বিশ্বকাপ দল-

রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, রিশভ পন্ত, সঞ্জু স্যামসন, হার্দিক পাণ্ডিয়া, শিবাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, আর্শদীপ সিং, যসপ্রীত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ।

রিজার্ভ দল: শুভমান গিল, রিঙ্কু সিং, খলিল আহমেদ ও আভেস খান।


আরও খবর



লিপি চক্রবর্তীর ‘আকণ্ঠ মরেছি’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
Image

এখানে ছায়াহীন রৌদ্র

শূন্যতার পরে শূন্যতার অনুবৃত্তি

অবাধ্য ভালবাসা নিয়ে বুকে

আমি ঠাঁই দাঁড়িয়ে।

আসবে তুমি? কোন এক সকালে

শিশিরের বুকে পা ফেলে

হাঁটবো দুজন পাশাপাশি।

আমাদের অভিবাদন জানাবে

একজোড়া শালিক পাখি।

অসুখে পরেছি

এমন অসুখ সচারাচর নয়

ক্ষুদ্র হৃদয়ের সমস্ত গর্ব বিসর্জন দিয়ে

আত্মসমর্পণ করছি।

ফিরে আসো

আকণ্ঠ মরেছি তোমার ভালোবাসায়।


আরও খবর



জাকের পার্টি ছেড়ে বিএনপির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে বহিষ্কার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সোনারগাঁও (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এম জাহাঙ্গীর হোসেন ভূঁইয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

সোমবার (৬ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এম জাহাঙ্গীর হোসেন ভূঁইয়া অংশ নেন। তিনি এক সময় জাকের পার্টির নেতা ছিলেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান তাকে উপজেলা বিএনপির কমিটিতে সদস্য পদ দেন। বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও উপজেলা নির্বাচনে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন। এ কারণেই দল থেকে তাকে বহিষ্কার করে। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাকের পার্টির প্রার্থী হয়ে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

বহিষ্কারের চিঠিতে রুহুল কবির রিজভী উল্লেখ করেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)'র প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে আপনাকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।

বহিষ্কারের বিষয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এম জাহাঙ্গীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিএনপি থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। এখনো পর্যন্ত কোনো নোটিশ বা চিঠি পাইনি। তবে আমি নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়াই করে যাবো।

সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করার কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। হাইকমান্ড থেকে উপজেলা নির্বাচন বর্জন করার কড়া নির্দেশ রয়েছে। তাই এ নিয়ম যে মানবে না তার বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



জাতিসংঘে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব গৃহীত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ উত্থাপিত শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত বাংলাদেশের পক্ষে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন।

এ সময় তিনি বলেন, আজ বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং মানবিক মর্যাদা অবজ্ঞার মুখোমুখি। এই সংঘাত ও সহিংসতা উত্তরণে মানবমনে সম্প্রীতি ও সহমর্মিতার ভাবকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। যুদ্ধের চেয়ে শান্তিকে লাভজনক করে তুলতে হবে।

যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণা প্রবর্তনের বাংলাদেশের উদ্যোগটি আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত। বৈষম্য, বর্ণগত অসহিষ্ণুতা এবং পরাধীনতা আমাদের একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে। এ কারণেই আমরা শান্তির প্রসারকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতিতে পরিণত করেছি।

১১২টি দেশ বাংলাদেশের এই রেজুল্যুশনটিকে কো-স্পন্সর করেছে, যা শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজ্যুলেশনটির প্রতি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অব্যাহত সমর্থনের সাক্ষ্য বহন করে।

রেজ্যুলেশনটির বিবেচনার পূর্বে শান্তির সংস্কৃতির ওপর সাধারণ পরিষদে বহু সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য প্রদান করে। এ সময় তারা জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদের সরকারের সময় ১৯৯৯ সালে সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি প্রথমবারের মতো গৃহীত হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাবটি সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে।

এছাড়া সাধারণ পরিষদের সভাপতির নেতৃত্বে ২০১২ সাল থেকে শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরামের আয়োজন করে আসছে।


আরও খবর