দুঃসময় কাটিয়ে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছেন হলিউড তারকা অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড। জনি ডেপের সঙ্গে মানহানি মামলায় হেরে বেশ বিপাকে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাকে আদালত বিপুল অর্থদণ্ড দেন। পাশাপাশি একের পর এক সাইন করা সিনেমা হারিয়ে বেশ মুষড়ে পড়েন অ্যাম্বার। তবে খারাপ সময় কাটিয়ে উঠছেন তিনি। বদলে ফেলছেন পুরোনো সব হিসাবনিকাশ। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নিজের নামই বদলে ফেললেন এই অভিনেত্রী।
বর্তমানে ইউরোপে বিভিন্ন দেশ চষে বেড়াচ্ছেন এই তারকা। সঙ্গী তার মেয়ে ওনা পেইজ। এখন তারা অবস্থান করছেন স্পেনে। বাজে সময় পাশ কাটিয়ে একটু স্বস্তি পেতেই সেখানে অবকাশযাপন করছেন তারা। তবে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা দাবি করেছে, স্পেনে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে তিনি নাম লিপিবদ্ধ করেছেন মার্থা জন কেনেরি নামে। এমন সংবাদে নড়েচড়ে বসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। অনেকেই মনে করছেন জনি ডেপের সঙ্গে এমন জঘন্য ঘটনার পর অতীতের সবকিছু মুছে ফেলতে চাইছেন এই অভিনেত্রী। তাই এবার নিজের নামও পরিবর্তন করে ফেললেন অ্যাম্বার।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে জনির বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনেছিলেন তার প্রাক্তন স্ত্রী আম্বার হার্ড। এর পরই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেন জনি। অভিনেতা মিথ্যা বলছেন দাবি করে পাল্টা মামলা করেন অ্যাম্বারও। এই জোড়া মামলার শুনানিতে বিস্তর কাদা ছোড়াছুড়ি দেখেন আদালত। উত্তাল ছিল দুই পক্ষের অনুরাগী মহলও। তবে জনির আইনজীবী অ্যাডাম ওয়াল্ডম্যান এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, তার মক্কেলের বিরুদ্ধে অ্যাম্বারের আনা গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ ‘ধাপ্পাবাজি’ ছাড়া কিছুই নয়। তবে জনির বিরুদ্ধে দায়ের পাল্টা মামলায় অ্যাম্বারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তিন দিন ধরে সাত সদস্যের জুরি প্রায় ১৩ ঘণ্টার ওপর আলোচনা করার পর এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
তবে শুনানি চলাকালেই অ্যাম্বার হার্ডের আর্থিক সমস্যার কথা জানা গিয়েছিল। অভিনেত্রীর আইনজীবী বলেছিলেন, ‘না, হার্ড কোনোভাবেই ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানে সক্ষম নন।’ এমনকি মামলার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে হার্ড আবেদনের ইচ্ছা প্রকাশ করবেন বলেও জানিয়েছেন তার আইনজীবী এলানি ব্রেডহফট। পরে অবশ্য দুই পক্ষ থেকেই মামলা তুলে নেওয়া হয়।