আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

কক্সবাজারে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত হচ্ছে আধুনিক বিশ্রামাগার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত হচ্ছে আধুনিক বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

শনিবার (১৮ মে) সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, আদালতে বিচারপ্রার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সব ধরনের সেবা ও দুর্ভোগ লাঘবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটি বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছেন।

দেশের সকল নাগরিকের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, এটা সংবিধান গ্যারান্টি করেছে। প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার রয়েছে ন্যায়বিচার পাওয়ার। আদালতে বিচারপ্রার্থীরা ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্যই আসেন। আদালতের কর্তব্য হচ্ছে- বিচারপ্রার্থী সকল নাগরিকের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। এর পাশাপাশি বিচারপ্রার্থীদের সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

এসময় কক্সবাজারে মাদক মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান তিনি।

এসময় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, আপিল বিভাগের বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলাম, বিভাগের সদ্য সাবেক বিচারপতি বোরহানউদ্দিন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলামসহ হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতিবৃন্দ ও সুপ্রিম কোর্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

যা থাকছে ন্যায়কুঞ্জে

কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ শপিং কমপ্লেক্সের সামনে নির্মিত হচ্ছে বিশ্রামাগারটি।

কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ওমর ফারুক জানান, প্রায় ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে ন্যায়কুঞ্জের কাজটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আগামী ২ মাসের মধ্যে অর্থাৎ জুলাইয়ের মধ্যে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

উপসহকারী প্রকৌশলী আজকের দর্পণকে বলেন, ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণের জন্য কক্সবাজার আদালত ভবন সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবিত জমির অবস্থান অনুযায়ী কমন নকশাটি সংশোধন করে নতুন একটি সি টাইপ প্ল্যান নকশা তৈরি করা হয়েছে। সংশোধিত নকশাটি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কর্তৃক অনুমোদন দেওয়ার পর প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এইচএম কনস্ট্রাকশনকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারকে গণপূর্ত বিভাগ থেকে লেআউট দেওয়ার পর প্রাথমিকভাবে সংশোধিত নতুন ডিজাইন প্ল্যান অনুযায়ী ন্যায়কুঞ্জ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নির্মাণাধীন ন্যায়কুঞ্জের আয়তন এক হাজার বর্গফুট। অত্যাধুনিক নান্দনিক স্থাপত্য শৈলীতে ডিজাইন করা সুপরিসর আধুনিক বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জে একত্রে ৬০/৭০ জন বিচারপ্রার্থীর বসার জায়গা থাকবে। এছাড়া ওয়াশরুম, ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার, ফাস্টফুডের দোকান, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা কক্ষের ব্যবস্থাসহ বহুমুখী সুবিধা থাকবে।


আরও খবর



রাজধানীতে কখন কোথায় ঈদের জামাত

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে সোমবার (১৭ জুন)। বরাবরের মতো এবারও সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদুল আজহার প্রধান জামাত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেবেন।

তবে প্রতিকূল আবহাওয়া বা অন্য কোনো কারণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করা সম্ভব না হলে রাষ্ট্রপতি সকাল ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এবারও পাঁচটি জামাত হবে। সকাল ৭টা, সকাল ৮টা, সকাল ৯টা, সকাল ১০টায় এবং ১০টা ৪৫ মিনিটে এসব জামাত হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ঈদুল আজহার জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে সকাল ৮টায় এবং ৯টায় দুটি জামাত হবে। এছাড়া সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মসজিদে সকাল ৭টায়, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে সকাল ৮টায় ও ফজলুল হক মুসলিম হলের পূর্ব পাশের খেলার মাঠে সকাল ৮টায় জামাত হবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) খেলার মাঠে সকাল ৭টায় হবে ঈদের জামাত। এছাড়া সকাল ৮টায় আজিমপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকার বায়তুন নূর জামে মসজিদে; সকাল ৮টায় মগবাজারের বিটিসিএল (সাবেক টিঅ্যান্ডটি) কলোনির জামে মসজিদে ঈদের জামাত হবে।

ধানমন্ডির ৩ নম্বর রোডের এনায়েত মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, ৭ নম্বর রোডের বাইতুল আমান মসজিদে সকাল ৮টায়, ১২এ রোডের তাকওয়া মসজিদে সকাল ৮টায়, সোবহানবাগ মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত হবে।

গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদ অ্যান্ড ঈদগাহে ঈদের নামাজের তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৬টায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় এবং তৃতীয় জামাত ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।

মিরপুর ১২ এর হারুণ মোল্লাহ ঈদগাহ, পার্ক ও খেলার মাঠে সকাল ৭টায় নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মারকাজুল ফিকরিল ইসলামিতে (বসুন্ধরা কমপ্লেক্স) সকাল ৭টায়, বসুন্ধরা সি ব্লকের উম্মে কুলসুম জামে মসজিদে ৭টা ১৫ মিনিটে, এফ ব্লক জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, জি ব্লকের বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে, কে ব্লকের মদিনাতুল উলুম মাদরাসায় ৭টা ৪৫ মিনিটে এবং এন ব্লকের ফকিহুল মিল্লাত জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



কত আয় করলে কত কর দিতে হবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও ব্যক্তিপর্যায়ে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা থাকছে। তবে আগের চেয়ে বেড়ে যাচ্ছে আয়কর।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করার সময় ব্যক্তিপর্যায়ে আয়করের প্রস্তাবনায় এ বিষয়টি উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিগত করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সর্বোচ্চ সীমা ২০০৯-১০ অর্থবছরে ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, যা ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। নারী, প্রবীণ নাগরিক, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য এবং গেজেটেড যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা আরও বেশি।

তিনি বলেন, এতে করে স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের করভার লাঘবের ফলে জীবনযাত্রায় কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে এসেছে এবং করদাতারা নিয়মিতভাবে কর পরিশোধে উৎসাহিত হয়েছেন। আমি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যমান স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা, ফার্ম ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের করমুক্ত আয়ের সীমা অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করছি।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী নারী ও প্রবীণ নাগরিকদের করমুক্ত আয়সীমা হবে ৪ লাখ টাকা, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের জন্য ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং যুদ্ধাহত গেজেটেড বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী শিশু বা দত্তক নেওয়া সন্তানের পিতামাতা বা আইনি অভিভাবকদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা সন্তান প্রতি ৫০ হাজার টাকা করে বাড়বে।

প্রস্তাবনা অনুযায়ী, স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা, ফার্ম ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের আয় সাড়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত থাকবে। পরবর্তী ১ লাখ টাকার ওপর পাঁচ শতাংশ কর বসবে। পরবর্তী চার লাখ টাকার ওপর ১০ শতাংশ কর দিতে হবে। পরবর্তী পাঁচ লাখ টাকার ওপর ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে। পরবর্তী পাঁচ লাখ টাকার ওপর ২০ শতাংশ দিতে হবে। পরবর্তী ২০ লাখ টাকার ওপর ২৫ শতাংশ কর দিতে হবে। আর অবশিষ্ট টাকার ওপর ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে।


আরও খবর



আজ থেকে নতুন সময়সূচিতে চলবে সরকারি অফিস

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে আজ খুলছে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। চাকরিজীবীরা প্রথম কর্মদিবস শুরু করবেন নতুন সময়সূচি অনুযায়ী।

বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অফিস করবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অর্থাৎ আট ঘণ্টা অফিস করবেন তারা। মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদনের পর গত ৬ জুন এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, সরকার আগামী ১৯ জুন (পবিত্র ঈদুল আজহা পরবর্তী প্রথম কর্মদিবস) থেকে দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময়সূচি পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সরকার নির্ধারণ করল।

আরও বলা হয়, রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সরকারি অফিস চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। দুপুর ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত জোহরের নামাজ ও মধ্যাহ্নভোজের বিরতি। শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, জরুরি পরিষেবাগুলো নতুন অফিস সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং ব্যাংক, বিমা ও অন্যান্য অর্থিক প্রতিষ্ঠানের সময়সূচি স্ব স্ব কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে।

আগে সরকারি কর্মীরা সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অফিস করতেন। জ্বালানি সংকটের মধ্যে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট থেকে কর্মঘণ্টা কমিয়ে অফিস ও ব্যাংকের সময়সূচি বদলে দেয় সরকার। সে অনুযায়ী দুই বছরের বেশি সময় সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।


আরও খবর



আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মুখ খুলল পেন্টাগন

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মুখ খুলেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন।

দপ্তরটি বলেছে, আজিজের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তা পুনঃনিশ্চিত করেছে।

স্থানীয় সময় বুধবার পেন্টাগনের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জেনারেল আজিজের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পেন্টাগনের অভিমত ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তরের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার।

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর মনে করে জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

ব্রিফিংয়ে প্যাটের কাছে পেন্টাগন অ্যাক্রেডিটেড সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, পেন্টাগন কীভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে তার সামরিক ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব নির্দেশ করছে। কারণ বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজকে তার উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ ব্যাপারে পেন্টাগন কী ভাবছে আমি কী তা জানতে পারি?

জবাবে পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, আপনি যেমনটা জানেন এবং আপনার প্রশ্নেও উল্লেখ করেছেন ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িত থাকার দায়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট জেনারেল (আজিজ) আহমেদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। গত মে মাসে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে সেটিকে পুনঃনিশ্চিত করছে এবং দুর্নীতি রোধে সেখানে (বাংলাদেশে) যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলোকে সমর্থন করে বিভাগটি (পেন্টাগন)।

তিনি আরও বলেন, আমি এই বলে শেষ করতে চাই বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। অবাধ এবং মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, সামুদ্রিক এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোতে দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ ও মুল্যবোধের ভিত্তিতে সেখানে অংশীদারিত্ব বিরাজমান রয়েছে।

গত মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্নীতির সঙ্গে ব্যাপকভাবে জড়িত থাকার দায়ে তার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।


আরও খবর



হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, ৭ শতাধিক অ্যাকাউন্টে লেনদেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাত শতাধিক ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে এসব টাকা।

দুদকের এমন অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার ফয়সাল, তাঁর স্ত্রী ও স্বজনদের ৮৭টি ব্যাংক হিসাব ও ১৫টি সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত। ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে ছয় কোটি ৯৬ লাখ টাকা অবরুদ্ধ এবং ১৫টি সঞ্চয়পত্রে থাকা দুই কোটি ৫৫ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

আদালতে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানিতে বলেন, কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে ইনকাম ট্যাক্স কর্মকর্তাদের অর্থের বিনিময়ে বাণিজ্য, আয়করদাতাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ গ্রহণ, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎসহ অবৈধ অর্থ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

তিনি অবৈধ অর্থের প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন। শুনানি শেষে আদালত তাঁর সম্পদ জব্দের এ আদেশ দেন।

আদালতে করা আবেদনে বলা হয়, আবু মাহমুদ ফয়সাল সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ ঘুষ লেনদেন, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আয়ের উৎস গোপনের উদ্দেশ্যে শাহজালাল ব্যাংক কারওয়ান বাজার শাখায় তাঁর নিজ নামে বিভিন্ন এফডিআর হিসাব খোলেন।

মেয়াদ পূর্তির পর এফডিআর ভাঙানো টাকা ও নতুন করে নগদ এনে ফারহানা আক্তার, মমতাজ বেগম, মাহমুদা হাসান, খন্দকার হাফিজুর রহমান, কারিমা খাতুনের নামে বিভিন্ন এফডিআর স্কিম খোলেন। পরে ওই অর্থ এবি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, লংকা-বাংলা ফাইন্যান্স, হজ ফাইন্যান্স এবং সব শেষে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের শাখায় ওই লোকজন ছাড়াও আহম্মেদ আলী, আফতাব আলী, শেখ নাসির উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের নামে সাত শর বেশি হিসাব খুলে অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করতে স্থানান্তর বা রূপান্তর বা হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং অপরাধ সংঘটিত করেছেন বলে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ফয়সালের যত সম্পদ

কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালসহ ১৪ জনের ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ছয় কোটি ৯৬ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করেছেন আদালত। পাশাপাশি ফয়সালসহ সাতজনের নামে থাকা ১৫টি সঞ্চয়পত্রে থাকা দুই কোটি ৫৫ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ফয়সালের স্ত্রী আফসানাসহ চারজনের নামে থাকা স্থাবর সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের নামে ডাচ বাংলা ব্যাংকে ৫০ লাখ টাকার দুটি সঞ্চয়পত্র, তাঁর স্ত্রী আফসানা জেসমিনের নামে চারটি সঞ্চয়পত্রে ৫০ লাখ টাকা, আফতাব আলীর নামে দুটি সঞ্চয়পত্রে ৩০ লাখ টাকা, কাজী খালিদ হাসানের নামে একটি সঞ্চয়পত্রে ৩০ লাখ টাকা, খন্দকার হাফিজুর রহমানের নামে দুটি সঞ্চয়পত্রে ৪০ লাখ টাকা, আহম্মেদ আলীর নামে তিনটি সঞ্চয়পত্রে ৫০ লাখ টাকা ও মাহমুদা হাসানের একটি সঞ্চয়পত্রে পাঁচ লাখ টাকা রয়েছে।

ফয়সাল ছাড়া অন্য যাঁদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ হয়েছে তাঁরা হলেনশেখ নাসির উদ্দিন, মমতাজ বেগম, রওশন আরা খাতুন, আহম্মেদ আলী, খন্দকার হাফিজুর রহমান, ফারহানা আফরোজ, আশরাফ আলী মুনির, আফতাব আলী তানির, মাহফুজা আক্তার, মাইনুল হাসান, আফসানা জেসমিন, মাহমুদা হাসান ও কাজী খালিদ হাসান। এ ছাড়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে আফসানা জেসমিনের নামে ১০ কাঠা জমি, ২০০ বর্গমিটারের প্লট, আবু মাহমুদ ফয়সালের নামে ভাটারা, খিলগাঁও ও রূপগঞ্জে থাকা স্থাবর সম্পদ, আহমেদ আলীর নামে থাকা ফ্ল্যাট ও কার পার্কিংয়ের তিন হাজার ২২৮ বর্গফুট স্থাবর সম্পদ ও মমতাজ বেগমের নামে থাকা ১০ কাঠা জমি জব্দ করা হয়েছে।


আরও খবর