দেশের অন্যতম নাট্যকার ও নির্মাতা মোহন
খান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি অনেক দিন ধরে ব্রেন টিউমার
জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর।
মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে তিনি রাজধানীর
এভারকেয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একাধিক নাট্য নির্মাতা
ও অভিনেতারা।
কিছুদিন আগে ব্রেইন টিউমার অপসারণ শেষে
বাসায় ফিরেছিলেন মোহন খান। এরপর ঘাড়ের হাড়েও একটি অস্ত্রোপচার করা হয় নির্মাতার। কিন্তু
পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশের গাড়িতে লাথি, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
মোহন খানের মৃত্যুতে ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশের
পক্ষ থেকে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে। এছাড়া সংগঠনের পক্ষ
থেকে জানানো হয়, বুধবার বাদ যোহর লালমাটিয়া জামে মসজিদ (বিবি মসজিদ) প্রাঙ্গনে মরহুমের
জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মোহন খান ৫ শতাধিক নাটক নির্মাণ করেছেন।
এরমধ্যে ৩ শতাধিক নাটক রচনা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: নায়িকার বিরুদ্ধে ডেকে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ
তার লেখা সাড়া জাগানো নাটক তিতির ও শঙ্খচিল
প্রযোজনা করেছিলেন প্রয়াত আবদুল্লাহ আল মামুন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সাল থেকে দেশের টেলিভিশন
নাটক পরিচালনা ও রচনায় পরিচিতি মুখ মোহন খান। এটিএন বাংলায় অনুষ্ঠান বিভাগেও কাজ করেছেন
তিনি। মোহন খান পরিচালনায় আসেন ‘আমার দুধমা’ নাটক দিয়ে। এটি
প্রচার হয় বিটিভিতে। এছাড়াও ‘সমুদ্রে গাঙচিল’, ‘সেই আমরা’, ‘নীড়ের খোঁজে গাঙচিল’, ‘জেগে উঠো সমুদ্র’, ‘মেঘবালিকা’, ‘দূরের মানুষ’, ‘আঙ্গুর লতা’, ‘হৃদয়পুরের গল্প’ তার আলোচিত নাটক।