আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

নৌকার প্রার্থী হয়েও হারলেন যারা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হয়েও অনেকে পরাজিত হয়েছে। পরাজিত এসব প্রার্থীর মধ্যে বর্তমানে মন্ত্রী পদে রয়েছেন এমন ব্যক্তি রয়েছেন। এছাড়া অনেক পরিচিত মুখও নৌকার পাল তুলতে পারেননি। নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছেই তাদের হারতে হয়েছে।

সদ্য অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমান সরকারের ক্ষমতাসীন মন্ত্রী পদে থেকে নৌকার টিকিট পেয়ে ভোটের মাঠে নেমে হেরেছেন অন্তত তিনজন প্রার্থী। তারা হলেন- বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী দুই বারের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী দুই বারের সংসদ সদস্য এনামুর রহমান এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী তিনবারের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য।

এছাড়া নৌকা নিয়ে হেরে যাওয়ার তালিকায় রয়েছেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ, টানা তিনবারের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।

যেসব আসনে নৌকার মাঝিরা হেরেছেন

ঢাকা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সানজিদা খানমকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন। আওলাদ হোসেন মোট ভোট পেয়েছেন ২৪ হাজার ৭৭৫টি। সানজিদা খানম নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ২২ হাজার ৫৭৭টি। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৯৮ ভোট।

ঢাকা-৫ (ডেমরার একাংশ-মতিঝিলের একাংশ) আসনে মশিউর রহমান মোল্লা সজল নৌকার প্রার্থী হারুনর রশীদকে (মুন্না) পরাজিত করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মশিউর রহমান মোল্লা ৫০৬৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকার প্রার্থী হারুনর রশীদ (মুন্না) ৫০৩৩৪ ভোট পেয়েছেন।

ঢাকা-১৯ আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ৮৪৪১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এ আসনে নৌকা প্রতীকের ডা. মো. এনামুর রহমান পেয়েছেন ৫৬৩৬১ ভোট। ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং (মুরাদ) পেয়েছেন ৭৬২০২ ভোট।

দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মো. জাকারিয়া বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মো. জাকারিয়া পেয়েছেন এক লাখ ১৫ হাজার ৫১৬ ভোট। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মনোরঞ্জন শীল গোপাল পেয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৪৯৯ ভোট।

রংপুর-৫ আসনে বিজয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আশিকুর রহমান রাশেক নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৫৯০ ভোট, আর স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন এক লাখ ৯ হাজার ৭০৯ ভোট।

নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে ৮৫ হাজার ১৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ব্রহানী সুলতান মামুদ গামা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ পেয়েছেন ৬২ হাজার ১৩২ ভোট।

নওগাঁ-৬ আসনে বেসরকারি ফলাফলে স্বতন্ত্র (ট্রাক প্রতীক) প্রার্থী অ্যাড. ওমর ফারুক সুমন ৭৬৭১৭ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আনোয়ার হোসেন হেলাল (নৌকা প্রতীক) নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৬৯৯৭১।

রাজশাহী-২ (সদর) আসনে নৌকার প্রার্থী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা হেরে গেছেন। তাকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন কেঁচি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা।

নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মো. শহিদুল ইসলামকে (বকুল) ১ হাজার ৯৯৬ ভোটে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কালাম। তিনি পেয়েছেন ৭৭ হাজার ৯৪৩ ভোট।

কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে মো. রেজাউল হক চৌধুরী (ট্রাক) ৮৯২৭৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসনের নাজমুল হুদা পটল বিশ্বাস (ঈগল) পেয়েছেন ৫৩১০৫টি, আর আওয়ামী লীগের সরওয়ার জাহান বাদশাহ (নৌকা) পেয়েছেন ৪৮৯৬১টি।

কুষ্টিয়া-২ আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে হারিয়ে জয়লাভ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিন। ট্রাক প্রতীকে কামারুল ১,২৫,৭৯৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাসানুল হক ইনু নৌকা মার্কায় ভোট পেয়েছেন ৯২,৪৪৫।

কুষ্টিয়া-৪ এ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাব জর্জ হেরেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রউফের ( ট্রাক) কাছে।

ঝিনাইদহ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল এক লাখ ৩৭ হাজার ৫৮৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি পেয়েছেন এক লাখ ১৫ হাজার ১৫২ ভোট।

যশোর- ৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী ৬০ হাজার ৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৫৮৭ ভোট।

যশোর-৬ কেশবপুর আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী আজিজুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৯৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদার পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৬৯ ভোট।

বরগুনা-১ আসনে (সদর-আমতলী-তালতলী) আসনে হেরে গেছেন টানা তিনবারের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। তিনি নৌকা প্রতীকে ৫৪ হাজার ১৬৮ ভোট পেয়ে হয়েছেন তৃতীয় ।এ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম সরোয়ার টুকু। তিনি ভোট পেয়েছেন ৬১ হাজার ৮৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম সরোয়ার ফোরকান (স্বতন্ত্র) পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৮৭৪ ভোট।

পিরোজপুর-২ আসনের (ভান্ডারিয়া, কাউখালি, নেছারাবাদ) পটপরিবর্তন ঘটেছে। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করায় ৩৮ বছর জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। কিন্তু এবার সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পিরোজপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজ।

টাঙ্গাইল- ৩ (ঘাটাইল) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুর রহমান খান রানা ঈগল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার কাছে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকার প্রার্থী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ডা. কামরুল হাসান খান।

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন প্রবীণ রাজনীতিক নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। তার আরেক ছোট ভাই মুরাদ সিদ্দিকীও পরাজিত হয়েছেন এবারের নির্বাচনে।

টাঙ্গাইল-৫ আসনে টানা তিনবার বিজয়ী হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন। তিনি ঈগল প্রতীক নিয়ে ৭২ হাজার ২৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মামুন-অর-রশিদ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৬৭ ভোট।

জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে (স্বতন্ত্র) তেজগাঁও কলেজের প্রার্থী সাবেক অধ্যক্ষ আবদুর রশীদ ট্রাক প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার ৬৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলাল নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৬৩৮ ভোট।

শেরপুর-১ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানুয়ার হোসেন ছানু ট্রাক প্রতীকে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আতিউর রহমান আতিক পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৩৭ ভোট।

ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে ৯৩ হাজার ৫৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করে আসা স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হক সায়েম। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান এমপি জুয়েল আরেং-কে ১৯ হাজার ৬৭৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন।

ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল মালেক সরকার ৫২ হাজার ৭৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান এমপি অ্যাভোকেট মোসলেম উদ্দিন পেয়েছেন ৪২ হাজার ৫৫৮ ভোট।

ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এবিএম আনিসুজ্জামান ৭১ হাজার ৭৩৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান এমপি হাফেজ রুহুল আমীন মাদানী পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩০৯ ভোট।

ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ ৯৫ হাজার ২৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান এমপি কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৪২০ ভোট।

নেত্রকোণা-৩ কেন্দুয়া আটপাড়া আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু। ট্রাক প্রতীকে সাবেক সংসদ সদস্য ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু  তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের চেয়ে ১৫৬৩২ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন। তিনি নৌকার প্রার্থী আবদুল কাহার আকন্দকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন।

মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে হেরে গেছেন তিনবারের এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৫২৫ ভোট। অন্যদিকে নৌকা প্রতীকে মমতাজ বেগম পেয়েছেন ৭৮ হাজার ২৬৯ ভোট। 

মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৮৯ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস পেয়েছেন ৮২ হাজার ৮৩৩ ভোট।

গাজীপুর৫ আসনের তিনবারের এই সংসদ সদস্য নৌকার প্রার্থীদের মেহের আফরোজকে (চুমকি) হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামান।

নরসিংদী-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ঈগল প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলে রাব্বি খান। বিজয়ী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা পেয়েছেন ৫৯ হাজার ২৯২ ভোট। আর আওয়ামী লীগের ফজলে রাব্বি খান পেয়েছেন ৪৩ হাজার ভোট।

ফরিদপুর-৩ সদর আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামীম হক ৭৫ হাজার ৮৯ ভোট পেয়ে হেরে যান। এখানে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। ঈগল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৩৪ হাজার ৯৮ ভোট।

ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহ এবারও হেরে গেছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬ ভোট। এ আসনে আওয়ামী লীগের আরেক নেতা নিক্সন চৌধুরী ঈগল প্রতীকে তৃতীয়বারের মতো জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫ ভোট।

মাদারীপুর-৩ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৬৩৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আবদুস সোবহান মিয়া (গোলাপ) পেয়েছেন ৬১ হাজার ৯৭১ ভোট।

সুনামগঞ্জ-২ আসনে প্রায় ৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়া সেনগুপ্তা বিজয়ী হয়েছেন। দিরাই ও শাল্লা উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন সাবেক রেলমন্ত্রী প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তা। এ আসনে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।

সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসনে প্রায় ১৪ হাজার ব্যবধানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে হারিয়ে জয় নিশ্চিত করলেন কেটলি প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা হুছামুদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী। আসনের ২৫২টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী মাওলানা হুছামুদ্দিন চৌধুরী কেটলি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৮১৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৮৬৯ ভোট।

হবিগঞ্জ-৪ আসনে প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বিজয়ী হয়েছেন। এ আসনে নৌকার প্রার্থী ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। তিনি টানা দুইবারের সংসদ সদস্য। ব্যারিস্টার সুমন পেয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুব আলী পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৫৪৩ ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী বি এম ফরহাদ হোসেনকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান (কলার ছড়ি)।

কুমিল্লা-২ (হোমনা-মেঘনা) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরিকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল মজিদ। তিনি মোট ৪৪ হাজার ৭১৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সংসদ সদস্য সেলিমা আহমদ মেরি পেয়েছেন ৪২ হাজার ৫৪৩ ভোট।

কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সরকার। তিনি মোট ৮৩ হাজার ৯৭১ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সংসদ সদস্য নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন পেয়েছেন ৭২ হাজার ১৪ ভোট।

কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুলকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। তিনি পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৮০৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল পেয়েছেন ৮১ হাজার ২৫৭ ভোট।

কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। এ আসনে জয়ী হয়েছেন কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ জাহের। তিনি ভোট পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮১০টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ৬১ হাজার ৫২২ ভোট। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম খান পেয়েছেন ২২ হাজার ৩১৫ ভোট।

লক্ষ্মীপুর-৪ ঈগল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. আবদুল্লাহ। এখানে নৌকার প্রার্থী ছিলেন মোশারফ হোসেন (জাসদ)।

চট্টগ্রাম-১৫ লোহাগাড়া-সাতকানিয়া আংশিক আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মোতালেব। চট্টগ্রাম-১৫ লোহাগাড়া-সাতকানিয়া আংশিক আসনে নির্বাচনে লড়েছেন ৭ জন প্রার্থী। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৫২ ভোট। বিজয়ী প্রার্থী ঈগল প্রতীকের আব্দুল মোতালেব পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৬২৮ ভোট।

চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মুজিবুর রহমান। বেসরকারিভাবে বিজয়ী প্রার্থী মুজিবুর রহমান পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৪৯৯ ভোট। এই আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী নিবার্চনের আচরণবিধি চরম লঙ্ঘনের কারণে মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।


আরও খবর



মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে ৬ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ মার্চ মাসে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২তম। এর আগের মাস অর্থাৎ, ফেব্রুয়ারিতে এ তালিকায় দেশের অবস্থান ছিল ১০৬তম। একই সময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটেও এক ধাপ পিছিয়ে ১০৭তম থেকে ১০৮-এ নেমে গেছে বাংলাদেশ।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটের গতি কেমন, তা তুলে ধরে প্রতি মাসে স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওকলা। প্রতিষ্ঠানটির সবশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ওকলার তথ্যানুযায়ী মার্চ মাসে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটে গড় ডাউনলোড স্পিড ছিল ২৪ দশমিক ৫৯ এমবিপিএস। আর আপলোড স্পিড ছিল ১১ দশমিক ৫৩ এমবিপিএস। এ সময়ে দেশে মেডিয়ান ল্যাটেনসি ছিল ২৫ মিলি সেকেন্ড।

মোবাইল ইন্টারনেটের মানের সূচকে গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে অবনতি হয়েছে চলতি বছরের মার্চে। এ মাসে অবস্থান ঠেকেছে ১১২-তে। এর আগে গত বছরের অর্থাৎ, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ১১১তম অবস্থানে নেমে যায় বাংলাদেশ। এর পরের মাসেই অবস্থান উন্নতি হয়। ৬ ধাপ এগিয়ে নভেম্বর ১০৫তম স্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ।

ডিসেম্বরে আরও ৪ ধাপ এগিয়ে ১০১তম অবস্থানে উঠে এলেও চলতি বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ, জানুয়ারিতে ফের ১০৮তম অবস্থানে নেমে যায়। এরপর ফেব্রুয়ারিতে ১০৬তম অবস্থানে উঠে আবারও মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে পেছনের দিকে হাঁটছে বাংলাদেশ।

একই সময়ে ব্রডব্যান্ড সেগমেন্টে মেডিয়ান ডাউনলোডের গতি ছিল ৪৪ দশমিক ২৫ এমবিপিএস। আপলোড গতি ছিল ৪৩ দশমিক ৬১ এমবিপিএস। আর মেডিয়ান ল্যাটেনসি ছিল ৫ মিলিসেকেন্ড।

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে যেমন উত্থান-পতন হয়েছে, সেই তুলনায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির র‌্যাংকিংয়ে কিছুটা স্থিতিশীল বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ১০৮তম, নভেম্বর ১০৭তম, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে ১০৮তম, ফেব্রুয়ারিতে ১০৭তম অবস্থান ছিল বাংলাদেশের।

আশপাশের দেশগুলোর অবস্থান কেমন?

ওকলার ইনডেক্স অনুযায়ী প্রতিবেশী দেশ ভারত মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বাংলাদেশের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে। বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে দেশটির অবস্থান ১৬তম। ডাউনলোড স্পিড ১০৫ দশমিক ৮৫। আর আপলোড স্পিড ৯ দশমিক শূন্য ৮।

পাকিস্তান অবশ্য মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বাংলাদেশের চেয়ে বেশ পিছিয়ে। দেশটির অবস্থান ১২৭তম। আর গড় ডাউনলোড স্পিড ১৮ দশমিক ১৮ এমবিপিএস। আপলোড স্পিড ৮ দশমিক ৭২ এমবিপিএস।

ইনডেক্সে ভালো অবস্থানে রয়েছে সার্কভুক্ত দেশ মালদ্বীপ। মোবাইল ইন্টারনেটের বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে দেশটির অবস্থান ৩২তম। মালদ্বীপে মোবাইল ইন্টারনেটের গড় গতি ৮৫ দশমিক ৯৪ এমবিপিএস। আপলোড স্পিড ২০ দশমিক ৪৭ এমবিপিএস।

মোবাইল ইন্টারনেটের গতির সূচকে অবনতি নিয়ে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এ নিয়ে তারা হুট করেই মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অন্যদিকে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নিয়ে কিছু কাজ করলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি আরও বাড়িয়ে র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক।

তিনি বলেন, গতি বাড়ানো বলেন আর র‌্যাংকিংয়ে উন্নতির কথা বলেন, এটা এগিয়ে নিতে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নিয়ে কিছু কাজ করতে হবে। শহরভিত্তিক ব্যান্ডউইথগুলো থেকে কিন্তু আমরা গ্রাহকের চাহিদামতো এমবিপিএস গতি দিতে পারছি। কেউ যদি ১০ এমবিপিএসের জায়গায় ২০ এমবিপিএসও চান, তবুও দেওয়া সম্ভব। সামান্য দাম বাড়িয়ে এটা দেওয়া সম্ভব হয়। এটা ঢাকার বাইরের গ্রাহকদের দিতে গেলে খরচটা বেড়ে যায়। সেটা নিয়ে এখন কাজ করা উচিত।

ঢাকাকেন্দ্রিক ক্যাশ সার্ভিস সেন্টার থাকাটাও গতি বাড়ানোর পথে বাধা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, আমাদের ক্যাশ সার্ভিসটা ঢাকাকেন্দ্রিক। বিটিআরসির নিরাপত্তা পলিসির কারণে এটা বিকেন্দ্রীকরণ করা সম্ভব হয়নি। ক্যাশ সার্ভিসটা ঢাকার বাইরেও বড় শহরগুলোতে বসানো গেলে এবং সব আইএসপির কাছে এটা রাখা গেলে গতি আরও বাড়ানো যেতো। তারপরও আমরা সাধ্যের মধ্যে গ্রাহককে ভালো গতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়া চেষ্টা করে যাচ্ছি।

বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের পরিচালক মো. গোলাম রাজ্জাক বলেন, ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। সরকারের দায়িত্বশীলদের নির্দেশনায় কাজ করছি। ওকলার ইনডেক্স আমরা দেখে থাকি। সেখানে অনেক বিষয় বা ইনডিকেটর থাকে। সম্প্রতি ইনডেক্স খেয়াল করা হয়নি। সেটা দেখার আগে আমরা কতটা এগিয়েছে বা পিছিয়েছে, তা নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।


আরও খবর



সন্ধ্যায় আ.লীগের কার্যনির্বাহী বৈঠক, আলোচনা হবে যেসব বিষয়ে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আজ মঙ্গলবার। এদিন সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।

উপজেলা নির্বাচনের আগে দলের কার্যনির্বাহীর এ বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বৈঠকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, দলের নির্দেশনা উপেক্ষা করে যেসব এমপি, মন্ত্রীর স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন তাদের বিষয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কার্যনির্বাহী বৈঠকে।

এছাড়া তৃণমূলের যেসব নেতাকর্মী দলের বিরুদ্ধে বিষোদগার, বিশৃঙ্খলা ও নীতিবহির্ভূত কর্মকাণ্ড করেছেন তাদের বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসবে বৈঠক থেকে। ৮ মে দেশে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে দলের যুগ্ম ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হবে বৈঠকে।

নিউজ ট্যাগ: আওয়ামী লীগ

আরও খবর



প্রতিবন্ধীর প্রশিক্ষণ ভাতা প্রধান শিক্ষকের পেটে!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

প্রতিবন্ধী জান্নাতী আক্তারের প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ ভাতা না দিয়ে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শাহ আলম কবির আত্মসাৎ করেছেন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে জান্নাতীর বাবা নিজাম মীর আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবন্ধীর বাবা আরো অভিযোগ এ বিষয়টি নিয়ে ইউএনওকে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় প্রধান শিক্ষক তার মেয়েকে টিসি দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন।

জানা গেছে, আমতলী পৌর শহরের নয়াবেঙ্গলী গ্রামের নিজাম মীরের প্রতিবন্ধী কন্যা জান্নাতী আক্তার মফিজ উদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোকেশনাল শাখায় নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। জান্নাতী প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার মা ফাতেমা বেগমকে ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো ডেভেলটমেন্টাল ডিজএ্যাবিলিটিজ প্রকল্পে আয়োজিত ৫ দিন ব্যাপী প্রতিক্ষণে আমন্ত্রণ পায়। অভিযোগ রয়েছে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শাহ আলম কবির প্রতিবন্ধী জান্নাতী আক্তারের মাকে প্রশিক্ষণে না পাঠিয়ে তার বোনকে ভূয়া প্রতিবন্ধীর অভিভাবক বানিয়ে প্রশিক্ষণ ভাতা আত্মসাৎ করেছেন। এ বিষয়ে জান্নাতির বাবা নিজাম মীর আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। তার আরো অভিযোগ এ বিষয়টি নিয়ে ইউএনওকে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় প্রধান শিক্ষক তার মেয়েকে টিসি দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন।

প্রধান শিক্ষক শাহ আলম কবির প্রতিবন্ধীর প্রশিক্ষণ ভাতা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে যাকে পাঠিয়েছি তার ফরোয়াডিং চেয়েছেন। অল্প দিনের মধ্যেই ফরোয়াডিং এনে দেয়া হবে।

আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তা অলী আহাদ বলেন, অল্প দিনের মধ্যেই তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



বৃষ্টির পরও ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারা দেশে চলমান তীব্র দাবদাহের মধ্যে কিছুটা কমেছে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি হয়। এরপর তাপমাত্রা কমলেও বায়দূষণ কমেনি।

শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৫ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। এদিন ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৮৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি; ২২০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ১৯৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে নেপালের কাঠমান্ডু। এ ছাড়া ১৬২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



ছলিমপুর গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম ও অর্থে সাঁকো নির্মাণ কাজ শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম ও অর্থে কাঠের সাঁকো নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি উপজেলার মঠবাড়ী ও ত্রিশাল সদর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ নিরূপায় হয়ে নিজ অর্থ ব্যয়ে উপজেলার আম্লিতলা নামক স্থানে নাগেশ্বরী নদীর উপর এ সাঁকোটির নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। নির্মাণ কাজ শেষ হলে উপজেলার এই দুই ইউনিয়ন এবং উপজেলা সদরের সাথে কয়েক হাজার মানুষের যোগাযোগ সহজতর হবে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সেতুটির ৬০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। সেতুটির মূল কাঠামোর কাজ শেষ হলেও উপরের কাঠের পাটাতন বসানো এবং ত্রিশাল উপজেলার ছলিমপুর অংশের সংযোগ সড়কে মাটি ভরাটের কাজ অর্থাভাবে আটকে রয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গ্রামবাসী। কাজ শেষ না হওয়ায় এই সেতু দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরাসহ আশেপাশের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরী ইজারাবন্দ, জয়দা ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফুলবাড়িয়ার ধুরধুরিয়া গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে আম্লিতলার বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে উপজেলা সদর ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় যাতায়াত করত এবং ভারী বস্তু ও পণ্য পরিবহনে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে সেগুলো আনা-নেওয়া করত। এ এলাকার কয়েক হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি পাঁকা ব্রিজ নির্মাণের। সেটি এখনো বাস্তবায়িত না হওয়ায় প্রায় চার লাখ টাকা ব্যয়ে তাঁরা একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এলাকার লোকজন সাধ্যানোযায়ী ধান, চাল, বাঁশসহ নগদ অর্থকড়ি ও শ্রম দিয়ে এ কাজে অংশগ্রহণ করছেন। সেতুটির কাজ শেষ হলে এ এলাকার হাজারো মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা লাগব হবে। তখন সেতুটি দিয়ে তিন চাকার ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করতে পারবে।

অলহরী ইজারাবন্দ গ্রামের স্কুল শিক্ষক হাসান বিএসসি বলেন, সাঁকোটি নির্মাণ হলে আমাদের আশেপাশের কয়েক গ্রামের বাসিন্দার চলাচল সহজ হবে। এলাকার সকলের সহায়তায় কাজ শুরু হয়েছে। তবে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ এ এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি।

ছলিমপুর দাখিল মাদ্রাসা ও ছলিমপুর আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বপ্না আক্তার, বীথী আক্তার, পারভেজ মিয়া, রতন মিয়া সহ আরও জনাদশেক বলেন, সেতুটি পাড় হলেই নদীর পাড়ের আম্লিতলায় আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই সেতুটি পাড় হয়ে প্রতিনিয়ত আমাদের পড়াশোনা করতে আসতে হয়। অন্য প্রতিষ্ঠান কয়েক কিলোমিটার দূরে হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের চলাচল করতে হয়। বর্তমানে আমাদের এপার-ওপারের লোকজন মিলে  সেতুটি পুননির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। টাকার অভাবে এখন কাজ বন্ধ রয়েছে। আমরা চাই সরকার আমাদের এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করে দিক।

ছলিমপুর আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কোন এলাকার মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা সুগম না হলে ওই এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হয় না। নদীর ওই পাড়ের লোকজন একটি ব্রিজের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। ওই পাড়ের অনেক ছাত্রছাত্রী আমার স্কুলে পড়াশোনা করে। ভাঙাচোরা সাঁকোটি পার হতে তাদের অনেক বিড়ম্বনা পোহাতে হতো। পানি বেশি হলে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে আসার ভয়ে নিয়মিত স্কুলমুখী হতে পারতনা শিক্ষার্থীরা। এখানে একটি পাকা সেতু হলে সবার জন্য ভালো হয়।'

স্থানীয় আক্কাছ আলী মাস্টার মডেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক খবিরুজ্জামান বলেন, এপার-ওপারের তিনগ্রামের সমন্বয়ে একটি ঈদগাহ মাঠ, একটি মসজিদ, একটি দাখিল মাদ্রাসা, একটি হাইস্কুল, একটি কিন্ডারগার্টেন ও একটি বাজার রয়েছে এখানে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে এপার-ওপারের মানুষের আসা-যাওয়ার জন্য। সম্প্রতি একজন মহিলা তার সন্তানসহ সাঁকো পাড়ি দিতে গিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়। তারই প্রেক্ষিতে ঝুঁকিমুক্ত নদী পারাপারের জন্য স্থানীয়ভাবেই এই কাঠের ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে।

ত্রিশাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসাইন বলেন, নদীর দু'পাড়ের মানুষের জন্য সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেতুটির নির্মাণ কাজে আমিও ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করেছি। পরিষদের পক্ষ থেকে সেতুটির ত্রিশাল অংশের সংযোগ সড়কে মাটি ফেলার কাজ দ্রুতই শুরু করবো ইনশাআল্লাহ।


আরও খবর