আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

অন্তত ২০০ আসন নিশ্চিত করতে চায় আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন থেকেই কৌশল সাজাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপি যখন জাতীয় সরকারের রূপরেখা নিয়ে ভাবছে, তখন সেটা আমলে না নিয়ে আওয়ামী লীগ ছক সাজাচ্ছে। দলটি অন্তত ২০০ আসন নিশ্চিত করতে চায়। আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারকদের কয়েকজন বলেন, বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না-করা নিয়ে একাধিক বিকল্প কৌশল ভেবে রেখেছেন তারা। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে নিবন্ধিত বেশিরভাগ দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায় আওয়ামী লীগ। সে ক্ষেত্রে তাদের ১০০ আসন ছেড়ে দেওয়া হবে। এতে করে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি এমন দাবি করার সুযোগ পাবে না কেউ।

আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে বিএনপিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আনতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন দেশটির সহযোগিতা চেয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে ভীষণ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। তারা বলেছেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার ব্যাপারে সহযোগিতা চাওয়া আওয়ামী লীগের নীতিবিরুদ্ধ। যদিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি এমন অনুরোধ করেননি।

দলটির নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন সেই অবস্থান থেকে সরে দাঁড়িয়েছে ক্ষমতাসীনরা। যুক্তরাষ্ট্র সফরে ঘটনা যাই ঘটুক সেখানে সহযোগিতা চাওয়ার ওই বিষয়টি এখন নেতিবাচক হিসেবে না দেখে এটিকে পুঁজি করতে চায় আওয়ামী লীগ। একাধিক নেতা বলেন, নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ আমলে নেবে না জনগণ। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ দেখতে চায় আওয়ামী লীগ সেটিই প্রমাণ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়টি দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরতে সহজ হবে ক্ষমতাসীনদের। নির্বাচন বর্জন করুক বিএনপি সেটি যে চায় না আওয়ামী লীগ তা বিশ্বাসযোগ্য করাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়টি উদাহরণ হিসেবে সামনে তুলে ধরা যাবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য বলেন, বিএনপিবিহীন আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানে যাতে প্রশ্ন না ওঠে সে জন্য অধিকাংশ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। বিকল্প একাধিক কৌশলের একটি এটি। এ ক্ষেত্রে বিএনপির মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে আনার জন্য বেশি চেষ্টা করা হবে। তাদের বশে আনতে ব্যক্তিগত পর্যায়ের যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করবে আওয়ামী লীগ। গণমাধ্যম আয়োজিত টক শো’ থেকে শুরু করে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নানা আয়োজনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বেশি বেশি অংশ নেবেন, যাতে ওই সব অনুষ্ঠানে বিএনপির মিত্রদের সঙ্গে মিলিত হতে পারেন। এর মাধ্যমে প্রাথমিক আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার কাজ করা হবে। আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায় থেকে বৈঠক করা হবে।

আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির জাতীয় সরকারের ধারণা নিয়ে তার মিত্র কয়েকটি দলের সঙ্গে ভিন্নমত রয়েছে। ওই দলগুলো চায় নির্বাচনের আগে জাতীয় সরকার। আর বিএনপি চায় নির্বাচনের পরে জাতীয় সরকার করতে। এ নিয়ে এখনো তাদের দূরত্ব ঘোচেনি। ধর্মভিত্তিক একটি নিবন্ধিত দলও ইতিমধ্যে নির্বাচনের আগে জাতীয় সরকারের দাবি তুলেছে। এই সুযোগটি নিতে চায় আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর গুরুত্বপূর্ণ এক সদস্য বলেন, আগামী নির্বাচনে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর অংশগ্রহণ বাড়াতে চেষ্টা করবে ক্ষমতাসীনরা। এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন  জোটের শরিক নেতাদের কাজে লাগানো হবে। ওই নেতা আরও জানান, সরকারবিরোধী কিছু বামপন্থী দল আছে তাদের সঙ্গেও আলোচনা করবে সরকার সমর্থক বামদলগুলো। আওয়ামী লীগের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেন, নিবন্ধিত সব দল আসবে এমনটা নয়, যত বেশি দলকে নির্বাচনে আনা যায়, সেই চেষ্টা করবে সরকারি দল। তাতে করে বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়টি মাটিচাপা পড়ে যাবে। আর এভাবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দেশে-বিদেশের সমালোচনা মোকাবিলা করা হবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমেরিকা সফরে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার সহযোগিতার বিষযটি প্রসঙ্গক্রমে আসতে পারে। নিছক বাত কা বাত। সেটি আওয়ামী লীগের কোনো অফিশিয়াল উদ্যোগ নয়।’ তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে বিদেশিদের কাছে ধরনা আওয়ামী লীগ কখনোই দেবে না। বাঙালির আপন প্রধানমন্ত্রী একজন জগদ্বিখ্যাত পলিটিশিয়ান, রাষ্ট্রনায়ক। তিনি থাকতে আমাদের অন্য রাষ্ট্রের দ্বারস্থ হতে হবে না। তা ছাড়া বিএনপিকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়। আমরা বিএনপির নির্বাচনে আসার পথ রুদ্ধ করতে আগ্রহী নই। তবে জাতীয় নির্বাচনে এত বড় মনোনয়ন-বাণিজ্য বিএনপি মিস করবে না।’

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক নেতা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে অন্য দলগুলোকে নির্বাচনে নিয়ে আসার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করা যাবে অংশগ্রহণমূলক হয়েছে নির্বাচন। গত নির্বাচনে ২৫৯টি আসন পাওয়া আওয়ামী লীগ ভাবছে এবার কৌশলগত কারণে প্রয়োজনে ১০০ আসন ছেড়ে দেবে তারা। অন্য দলগুলোকে নির্বাচনমুখী করতে ওই ১০০ আসন ছোট-বড় দলগুলোকে ভাগাভাগি করে দেবে আওয়ামী লীগ। এতে বেশি সংখ্যক দলকে নির্বাচনে আনতে তেমন বেগ পেতে হবে না ক্ষমতাসীনদের। বাকি ২০০ সংসদীয় আসন নিশ্চিত করে রাখা হবে। যাতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করতে কোনো অসুবিধা না হয় আওয়ামী লীগের।

আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা আরও বলেন, সংসদীয় আসন ছেড়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিবন্ধিত দলগুলোকে নির্বাচনমুখী করা হবে। নির্বাচনমুখী করার কৌশলটি হবে, যে দলের একটি আসনে নির্বাচন করার সক্ষমতা নেই সেই দলকে ২-৩টি আসন দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হবে। যে দলের পাঁচটি আসনে নির্বাচন করার সক্ষমতা রয়েছে, সেই দলকে ৭-৮টি আসন ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হবে। ফলে নির্বাচনের বাইরে কোনো দল থাকবে না বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।

সরকারদলীয় নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটকে নির্দিষ্টসংখ্যক আসন ছেড়ে দেওয়ার পর অন্য নিবন্ধিত দলগুলোকে বাকি আসন দেওয়ার প্রস্তাব দেবে। তাতে বিএনপির সঙ্গে থাকা দলগুলো নিশ্চয়ই নির্বাচনে আসবে। আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে ধরে নিয়ে একধরনের কৌশল নেওয়া হচ্ছে। আর না এলে আরেক ধরনের কৌশলে আগামী নির্বাচন করা হবে। নির্বাচনে মূল লক্ষ্য হবে ক্ষমতায় টিকে থাকা। নেতাদের মতে, বিএনপি না এলেও ওই দলটি নির্বাচন ঠেকাতে পারবে, সেটা বিশ্বাস করে না অন্য দলগুলো। ফলে নির্বাচনে অংশ নেওয়া, সংসদে যাওয়া ও সংসদ সদস্য হওয়ার সুযোগ কোনো দলই হারাতে চাইবে না। সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না, সেটা নিয়ে আওয়ামী লীগ ভাবছে না।’ তিনি বলেন, তারা না এলেও সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসবে সে লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। বিএনপি না এলেও অন্য দলগুলো আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রকাশ্যে না হলেও আড়ালে-আবডালে ছোট দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা বিভিন্নভাবে শুরু হয়েছে। কৌশলগত কারণে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা জোরদার করা হচ্ছে না। সেই প্রক্রিয়া আপাতত স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখা হয়েছে। বছরের শেষদিকে ছোট দলগুলোর সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে জোর চেষ্টা শুরু করা হবে। ওই দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক-সাক্ষাতের আয়োজন করা হবে। তত দিনে নির্বাচনও ঘনিয়ে আসবে, আর তখন আসন ছাড়ার প্রস্তাবও দেওয়া হবে। এই মিশন বাস্তবায়নে প্রয়োজনে গণভবনেও ছোট দলগুলোর নেতাদের ডাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এমন পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে জানিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলেন, সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচন তুলে আনতে সক্ষম হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনও সম্পন্ন করতে পারবেন এই বিশ্বাস সবার মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নির্বাচনের বাইরে থাকতে চাইবে না অন্য কোনো দল। বিএনপিও নির্বাচনের বাইরে থাকার ঝুঁকি নেবে না।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না, সেটা একান্তই তাদের ব্যাপার। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। সব দলের অংশগ্রহণেই হবে।’

নিউজ ট্যাগ: আওয়ামী লীগ

আরও খবর



বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস উপলক্ষে বিএসএমএমইউতে র‌্যালি

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন) দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে র‌্যালি ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসকল কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউজির অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভপাতিত্ব করেন অধ্যাপক ডা. চৌধুরী মেশকাত আহম্মেদ।

বিশ্বিবিদ্যালয়ের হল প্রভোস্ট ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান এর সভপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ক্লিনিক্যাল কার্ডিওলজির প্রধান প্রধান গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ডা. মোঃ হারিসুল হক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ডা. জাহানারা আরজু। অনুষ্ঠানে হৃদওেরাগ বিশেষজ্ঞগণ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক বলেন, শুধু রাজধানী কেন্দ্রিক নয়, উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে উপজেলা থেকে শুরু করে সমগ্র দেশে। মানুষের খাদ্যাভাসেও পরিবর্তন আনতে হবে। যতটা পারা যায় টেনশন মুক্তি থাকতে হবে। ব্যায়াম করতে হবে। যথাসময়ে ঘুমাতে হবে। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া যাবে না। অনেক রোগী বলেন, তার ডায়াবেটিস ছিল, উচ্চ রক্তচাপ ছিল তা ঠিক হয়ে গেছে, এখন ওষুধ খাচ্ছি না, আসলে একথা ঠিক নয়, কারণ তার উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস কিন্তু শরীরে রয়ে গেছে। আসলে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে জীবনে দীর্ঘজীবী হওয়া যায়। বর্তমানে অসংক্রামক রোগ যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিসে মানুষ বেশি মারা যাচ্ছে। এটা প্রতিরোধে চিকিৎসক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।


আরও খবর



দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রার্থী হলেন সেতুমন্ত্রীর ভাই-ভাগনে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের (এমপি) স্বজনদের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই ও ভাগনে।

উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই, ভাগনেসহ ১০ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার নোয়াখালীর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শারমিন আরা ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভাগনে মাহাবুবুর রশীদ মঞ্জু।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

চেয়রাম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া অন্য প্রার্থীরা হলেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, আমেরিকা প্রবাসী ওমর আলী।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া অপর প্রার্থীরা হলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন ও মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মামুন হোসেন। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পারভীন আক্তার, ফাতেমা বেগম ও রেহানা আক্তার। এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী নেই।

আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের (এমপি) সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে গত ১৮ এপ্রিল নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই নির্দেশনা অমান্য করে নির্বাচনে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়।

তবে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী থাকলে তা আইনে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের এমপি-মন্ত্রী যেই হোক না কেন, অবৈধ প্রেসার দিলে তা আমলে না নেওয়ার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সমস্ত প্রার্থী আমাদের কাছে সমান। কে কার আত্মীয়, মন্ত্রী-এমপিদের কোনো প্রার্থী থাকলে তা আইনে নিষেধাজ্ঞা নেই। প্রার্থী যেই হোক না কেন, সব প্রার্থীর প্রতি সমান আচরণ করতে হবে। আর কোনো প্রার্থী যদি আচরণবিধি না মানে বা অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

চতুর্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ২ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। 


আরও খবর



বায়ুদূষণে ফের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন রাজধানী ঢাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মেগাসিটি ঢাকাতেও বাড়ছে বায়ুদূষণ। দেশব্যাপী তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলার পর ঢাকায় বৃষ্টিপাত হলেও বায়ুমানে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। বৃস্পতিবার (০৯ মে) সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটের দিকে ১৯০ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে।

আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৯০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১ নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। যা দূষণের দিক থেকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ঢাকার বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে আইকিউএয়ার যে পরামর্শ দিয়েছে, তার মধ্যে আছে ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। বাসার বাইরে গিয়ে ব্যায়াম করা যাবে না। দূষণ থেকে রক্ষা পেতে ঘরের জানালা বন্ধ রাখারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকাতে ১৭০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ১৬২ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর। এছাড়াও ১৩৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা চীনের বেইজিং যার স্কোর ১২৭।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

এর আগে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ১৯ মার্চ জানিয়েছে, বিশ্বে বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা তিন দেশের মধ্যে পাকিস্তান আগে থেকে থাকলেও, নতুন করে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, এ তিন দেশের বাতাসে যে পরিমাণ দূষিত কণা রয়েছে তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি। বায়ুদূষণের ওপর ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট-২০২৩ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আইকিউএয়ার। প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে পাকিস্তান দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। আফ্রিকার দেশ চাদ আর ইরানকে সরিয়ে যথাক্রমে প্রথম ও তৃতীয় অবস্থানে চলে এসেছে বাংলাদেশ ও ভারত।

২০২৩ সালে বাংলাদেশের বাতাসে ফাইন পার্টিকুলেট ম্যাটার’ বা পিএম-২.৫ এর পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৭৯ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম। পাকিস্তানের বাতাসে এর পরিমাণ ছিল ৭৩ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাতাসে এটি থাকা উচিত ৫ মাইক্রোগ্রাম। বাতাসে এই পিএম ২.৫ বেশি হলে ফুসফুসের ব্যাপক ক্ষতি হয়।


আরও খবর



এসএমসি প্লাসের কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলামকে অর্থদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

অনুমোদনহীন ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস বিক্রির কথা স্বীকার করায় এসএমসি প্লাসের কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলামকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত তার জামিন মঞ্জুর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মামলার বাদী ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক কামরুল হাসান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে বৃহস্পতিবার সকালে আত্মসমর্পণ করেন এসএমসি প্লাসের কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলাম। পরে বিচারক আলাউল আকবর তার জামিন মঞ্জুর করেন।

গত মঙ্গলবার (১৪ মে) বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত। সেই সঙ্গে পাঁচটি কোম্পানির মালিকদের আগামী ৫, ৬ এবং ৯ জুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকেজের রিচার্জ এবং টারবো- এগুলো ওষুধ নাকি এনার্জি ড্রিংকস সে বিষয়ে তারা ব্যাখ্যা দিবেন।

এর আগে ওই দিন সকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। এ সময় নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক বলেন, এগুলোর একটিরও অনুমোদন নেই।

তিনি আরও বলেন, ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারেনা এগুলো ওষুধ না ড্রিংকস। এর মধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যর প্রসারে প্রচারণা করছেন ক্রিকেটার তামীম ইকবাল। নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। আমরা বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বলেছি, শোনেনি কোনো কোম্পানি। কাজেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।


আরও খবর



জয়পুরহাটের এক মাদ্রাসার সবাই ফেল!

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে এবারের দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ২১ জন পরীক্ষার্থী। তাদের একজনও পাশ করতে পারেননি।

রবিবার (১২ মে) বেলা ১১টার দিকে আক্কেলপুর উপজেলার এই মাদ্রাসার ফল প্রকাশের পর বিষয়টি জানা গেছে।

ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মাদ্রাসা থেকে এবার বিজ্ঞান বিভাগে ১১, সাধারণ বিভাগে ১০ জনসহ মোট ২১ জন পরীক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ফল প্রকাশের পর দেখা যায় ওই প্রতিষ্ঠানের সবাই অকৃতকার্য হয়েছে। এছাড়াও একই উপজেলার কয়াশোবলা দাখিল মাদ্রাসার ২০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছেন মাত্র একজন।

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের দাখিল পরীক্ষায় উপজেলার নয়টি মাদ্রাসা থেকে মোট ২০৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। এর মধ্যে ৪১ জন কৃতকার্য হয়েছেন। বাকি সবাই অকৃতকার্য। মাদ্রাসা থেকে এ উপজেলায় পাসের হার ২০.০১%।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ ও ম মোবারক আলী বলেন, মাদ্রাসার সবাই ফেল করায় আমি বিস্মিত। কীভাবে এই বিপর্যয় ঘটল বুঝতে পারছি না।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাবেদ ইকবাল হাসান বলেন, আক্কেলপুর সিনিয়র মাদ্রাসায় ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে। কেউ কৃতকার্য না হওয়ায় তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। জবাব পাওয়ার পর বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম বলেন, প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।


আরও খবর