আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

অ্যাপ ছাড়া চুক্তিভিত্তিক রাইড শেয়ারে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বিআরটিএ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

র‌াইড শেয়ারিংয়ের বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বলা হয়েছে, অ্যাপসে রাইড শেয়ারিং না করে চুক্তিভিত্তিক যাত্রী পরিবহন করলে সংশ্লিষ্ট চালক ও যাত্রীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে রাইড শেয়ারিং সেবার নীতিমালা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ভাড়ার বেশি নিলে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান ও চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিআরটিএ।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিআরটিএ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

বিআরটিএর পক্ষ থেকে বলা হয়, রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী মোটরযান মালিক, মোটরযান চালক এবং রাইড শেয়ারিং সেবাগ্রহণকারীদের অবহিত করা যাচ্ছে যে অ্যাপস ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা প্রদান এবং গ্রহণের জন্য সরকার কর্তৃক রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা ২০১৭ প্রবর্তন করা হয়েছে। এ নীতিমালা অনুযায়ী বিআরটিএ থেকে রাইড শেয়ারিং এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট গ্রহণ করে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদান ও গ্রহণ এবং সুনির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়া আদায় করার শর্ত রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কতিপয় মোটরযান চালক এ নীতিমালার শর্ত পালন করছেন না। শর্ত পালন না করে চুক্তিভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা প্রদান ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে, যা রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালার পরিপন্থি। অ্যাপস ছাড়া চুক্তিভিত্তিতে রাইড শেয়ারিং সেবা গ্রহণ না করার জন্য সেবাগ্রহণকারীদের অনুরোধ করা যাচ্ছে। এ অবস্থায় রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালার বিধান অমান্য করে চুক্তিভিত্তিক মোটরযান পরিচালনাসহ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে সংশ্লিষ্ট রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, মোটরযান মালিক, মোটরযান চালক এবং সেবাগ্রহণকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

চুক্তিভিত্তিক যাত্রী পরিবহন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় সংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগ সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং), রাইড শেয়ারিং শাখা, বিআরটিএ, সদর কার্যালয়, বনানী, ঢাকা-১২১২, মোবাইল নম্বর: ০১৭১৪৫৫৬৫৭০, ফোন নম্বর: ০২-৫৫০৪০৭৪৫, ইমেইল: [email protected] বরাবর দাখিল করার অনুরোধ করা যাচ্ছে।


আরও খবর



হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি না করার নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরম চরম আকার ধারণ করেছে। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারাদেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

রোববার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে সারাদেশের হাসপাতালের পরিচালক এবং সিভিল সার্জনদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন বলে জানান মন্ত্রী।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। অনেক জায়গাই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তাপদাহের কারণে কোল্ড কেস (যাদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া জরুরি নয়) এ মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলো প্রতিকূল পরিবেশের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ গরমে সবচেয়ে বেশি ভালনারেবল বয়স্ক এবং বাচ্চারা। এবার এমন একটা জলবায়ু পরিবর্তন হলো যে আমরা জীবনে কখনো শুনিনি যে দুবাই বিমানবন্দর পানিতে ডুবে গেছে। আমাদের এগুলো ফেস করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে যখন মেসেজ আসলো (হিট এলার্ট) আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মেসেজ দিয়ে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কারণ সব চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে বাচ্চা এবং বয়স্করা।

আজ হাসপাতালের পরিচালক এবং সিভিল সার্জনের সঙ্গে মিটিং করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমার কয়েকটা নির্দেশনা ছিল তার মধ্যে একটা হলো-বয়স্ক এবং বাচ্চারা প্রয়োজন ছাড়া যেন বাসার বাইরে না যায়। হাসপাতালগুলোতে কোনো কোল্ড কেস এখন ভর্তি করতে না করেছি। কোল্ড কেস অর্থাৎ এক মাস পর অপারেশন করলে অসুবিধা না হয়, সেটা দুই সপ্তাহ পরে করুক। হাসপাতাল খালি রাখার জন্য বলছি যে যদি চাপ হয়, তাহলে বাচ্চা এবং বয়স্কদের জন্য যেন ভর্তি করা হয়। এখন কোল্ড কেস কয়েক দিন বন্ধ থাকবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ওরাল স্যালাইনের কোথাও কোনো ঘাটতি হলে যেন আমাকে সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়। এখন পর্যন্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রকৃতির সঙ্গেতো আমাদের কারো হাত নেই। এটা আমাদের রেডি রাখতে হবে।

শিশুদের জন্য হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি গতকাল শিশু হাসপাতালে গিয়েছি। শিশু হাসপাতালগুলোকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার জন্যই সারাদেশের হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দিয়েছি। কোল্ড কেসগুলোকে এখন হাসপাতালে ভর্তি না করতে বলা হয়েছে। শিশুদের ব্যাপারে সারাদেশের চিকিৎসকদের নিয়ে আজ থেকে একটি অনলাইন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা জানান, মহাখালীতে করোনা চিকিৎসার জন্য ডিএনসিসি হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের জন্য আলাদাভাবে বেড রাখতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



‘বাস মালিকদের সুবিধা দিতে রেলের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহারের নামে বাসের চেয়ে রেলের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, রেলের রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি যাত্রী কল্যাণ সমিতি পর্যবেক্ষণ করে নিম্নে ৫টি রুটের বাস এবং রেলের ভাড়া ও সময়ে তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে, এতে দেখা গেছে

১। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম তূর্ণা নিশিতা ট্রেনে শোভন চেয়ারের আগের ভাড়া ছিল ৩৪৫ টাকা। এখন রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের পর ৪০৫ টাকা। এই টিকিট কালোবাজারির কাছ থেকে যাত্রীদের কিনতে হয় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে লোকাল বাসের ভাড়া ৪০০ টাকা, ডাইরেক্ট বাসের ভাড়া ৬৮০ টাকা। ঢাকা চট্টগ্রাম তূর্ণা নিশিতা ট্রেনে এসি চেয়ারে আগের ভাড়া ছিল ৬৫৬ টাকা রেয়াত প্রত্যাহারের পরে এখন ৭৭৭ টাকা। এই টিকিট কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে হয় ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায়। অথচ এই রুটে এসি বাসের ভাড়া ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বাসে যেতে সময় লাগে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা, ট্রেনে সময় লাগে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা।

২। ঢাকা খুলনা রুটে ট্রেনের শোভন চেয়ারে ৫০০ টাকার ভাড়া এখন ৬২৫ টাকা। অথচ এই রুটে বাসে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় যাতায়াত করেন যাত্রীরা। এই রুটে ট্রেনে এসি চেয়ার ৯৫৫ টাকার টিকিট এখন ১১৯৬ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে ১৫০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ ঢাকা-খুলনা রুটে বিলাসবহুল এসি বাসের ভাড়া মাত্র ৯০০ টাকা।

৩। ঢাকা-রংপুর রুটে ট্রেনের শোভন চেয়ার ৫০৫ টাকা টিকিট এখন ৬৩৫ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা লাগে। ঢাকা রংপুর রুটে লোকাল বাসের ভাড়া ৪০০/৫০০ টাকা, ডাইরেক্ট বাসের ভাড়া ৮০০ টাকা। এই রুটে ট্রেনের এসি চেয়ার ৯৬৬ টাকার টিকিট এখন ১২১৪ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে লাগে ১৫০০ টাকায়। এই রুটে বিলাসবহুল বাসের এসি টিকিট ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায় পাওয়া যায়। ঢাকা রংপুর ট্রেনের এসি বার্থ ২১৮০ টাকা যা কালোবাজারে কিনতে ৩০০০ টাকা লাগে অথচ বিলাসবহুল বাসে এই রুটে এসি স্লিপার ১৬০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এই রুটে বাসে যেতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা, ট্রেনে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা।

৪। ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে ট্রেনের ৫১০ টাকার শোভন চেয়ার টিকিট এখন ৬৪৫ টাকা যা কালোবাজারে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ এই রুটে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকার উন্নতমানের বাসে যাওয়া যায়। এই রুটে ট্রেনের এসি চেয়ার ৯৭২ টাকার টিকিট এখন ১২৩৭ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ বিলাসবহুল এসি বাসের টিকিট ১২০০ টাকায় পাওয়া যায়।

৫। ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে এসি বার্থ এর মূল্য ২৪০০ টাকা। এই রুটে বিলাস বহুলবাসে এসি স্লিপারের ভাড়া ১৮০০ টাকা।


আরও খবর



পথচারীদের বিনামূল্যে রুহ্ আফজা দিচ্ছে হামদর্দ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র দাবদাহে ভয়াবহ অবস্থা দেশজুড়ে। ৭৬ বছরের ইতিহাসে এরকম পরিস্থিতি আর হয়নি বাংলাদেশে। হিটস্ট্রোকের মারাত্মক এই অবস্থায় রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্পটে ক্লান্ত তৃষ্ণার্ত পথচারীদের বিনামূল্যে শরবত রুহ্ আফজা পান করাচ্ছে হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ।

আধুনিক হামদর্দের প্রতিষ্ঠাতা ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার নির্দেশে রাজধানীজুড়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এমন উদ্যোগে ভীষণ খুশি সাধারণ মানুষ।

তারা জানান, রুহ্ আফজা সবার কাছে প্রিয় একটি শরবত। প্রচণ্ড গরমে রাস্তায় বেরিয়ে সবার প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত, তখন পথচারীদের ডেকে ডেকে শরবত রুহ্ আফজা পান করাচ্ছে হামদর্দ। এর চেয়ে বড় মানবিক কাজ আর হতে পারে না।

রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিনামূল্য শরবত রুহ্ আফজা বিতরণ করছে হামদর্দ।

বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত যে, নিয়মিত শরবত রুহ্ আফজা পান করলে শরীরের পানি ও ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি দ্রুত পূরণ হয়। তাছাড়া শরবত রুহ্ আফজা পান করার মাধ্যমে হিটস্ট্রোক থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।


আরও খবর



রূপপুরে নতুন বিদ্যুৎ লাইন চালু, ৩ জেলায় সতর্কতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বগুড়া (পশ্চিম) ৪০০/২৩০ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র পর্যন্ত ৮৯ দশমিক ৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪০০ কেভি সিঙ্গেল সার্কিট সঞ্চালন লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় এ লাইন পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হয়।

এ কারণে পাবনা, নাটোর ও বগুড়া জেলার কিছু এলাকায় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) আইডিআরএনপিপির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাসুদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে নবনির্মিত লাইনটি সার্বক্ষণিকভাবে চালু থাকবে। এ অবস্থায় নবনির্মিত ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের টাওয়ারে আরোহণ, গবাদিপশু বাঁধা, টাওয়ারে রশি বেঁধে কাপড় শুকানো, লাইনের নিচে ও পাশে বাঁশঝাড় ও বড় গাছ রোপণসহ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সবাইকে ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন থেকে নিরাপদ (উভয় পাশে ২৩ মিটার) দূরত্বে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

উচ্চ ভোল্টেজের এই সঞ্চালন লাইন বা টাওয়ারের সংস্পর্শে এসে কেউ বিদ্যুতায়িত হলে পিজিসিবি কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।


আরও খবর



আমাদের উদ্দেশ্য সড়কে মৃত্যুহার কমানো : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সড়কে মৃত্যুহার কমানো সরকারের উদ্দেশ্যে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শনিবার (১১ মে) সকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর দশম মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বজন হারানোর বেদনা ইলিয়াস ভাই যেমন বুঝেন, আমরাও তেমন বুঝি। সড়কে কেউ হারিয়ে যাক, সেটা আমরা চাই না। কারো অঙ্গহানি হোক, সেটাও আমরা চাই না। আমরা সতর্কতামূলকভাবে ব্যবস্থা নিতে চাই। আমরা একটা আধুনিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চাই। সেজন্য আমরা সহযোগিতা চাই। আপনাদের সম্মেলনে সফল হোক। এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ আহত হচ্ছে, নিহত হচ্ছে। সড়কে খালি হচ্ছে হাজারো মায়ের কোল। এসব সমস্যা সমাধানে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন সময় দাবি করে আসছে নিরাপদ সড়ক চাই। এ বিষয়ে সরকার ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করে। যা দেশে গুরুত্ব সহকারে পালিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই দুর্ঘটনা কম হোক, দুর্ঘটনায় আর যেন কেউ মৃত্যুবরণ না করে। পৃথিবীর সব দেশে দুর্ঘটনা ঘটে, মানুষের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে যাতে সড়ক দুর্ঘটনা কমে সেজন্যই কাজ করে যাচ্ছি। আইনে গাড়িচালক, হেলপার, মালিক এবং বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি সবার দায়িত্ব যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যে যেই দায়িত্বে থাকবে তার গাফিলতি হলে কী ধরনের শাস্তি হবে তার সবকিছুই আইনে পরিষ্কার করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, একটি আধুনিক শহরে ২৫ শতাংশ সড়ক থাকতে হয়। আমাদের দেশের কোনো শহরে ২৫ শতাংশ সড়ক নেই। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকাকে যানজটমুক্ত করার। সেজন্য তিনি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার চালুর ঘোষণা দেন। এগুলো দৃশ্যমান হয়েছে এবং যানজট অনেকখানি হালকা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের জুন মাসে ৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী জানান, সড়ককে নিরাপদ করতে মানুষকে সচেতন করা জরুরি। এজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।

এতে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।


আরও খবর