আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

পাহাড়তলী-দোহাজারী ডুয়েলগেজ নির্মাণে ব্যয় হবে ১১ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের সাথে ট্রেন চলাচলের সুফল পেতে পাহাড়তলী-ষোলশহর হতে দোহাজারী পর্যন্ত ৪৪ কিলোমিটার মিটারগেজ (এমজি) রেলপথকে ডুয়েলগেজে উন্নীত করার কাজ শুরু হবে ২০২৫ সালে। তিন বছরের প্রকল্পে ২০২৮ সালে কাজ শেষ হবে। নবনির্মিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের সাথে সঙ্গতি রেখে এই পথ ডুয়েলগেজ করার উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

এ প্রকল্পে ব্যয় বহুল নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা উপরে। প্রকল্পে সরকারের অর্থায়ন আছে ৩ হাজার ৭১১ কোটি টাকা, এডিবির ঋণ রয়েছে ৭ হাজার ৮৬ কোটি টাকা। প্রকল্পের জন্য বেশিরভাগ জায়গা রেলওয়ে রয়েছে। তবে ৫৬ একর জায়গা রিকুজেশন করা হবে, এতে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সাথে নিরাপদ ও দ্রুতগতিসম্পন্ন নিরবচ্ছিন্ন রেল যোগাযোগ স্থাপনকল্পে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থেকে দোহাজারী পর্যন্ত বিদ্যমান মিটারগেজ রেলপথটি ব্রডগেজ রেললাইনে উন্নীতকরণের মাধ্যমে ট্রেনের গতিসীমা বৃদ্ধি এবং সেকশনাল ক্যাপাসিটি দৈনিক ২৬ জোড়া ট্রেনে উন্নীত করা হবে।

এ প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থেকে ঝাউতলা রেলস্টেশন পর্যন্ত ডাবল লাইন ডুয়েলগেজ বাইপাস ট্র্যাক নির্মাণ, চট্টগ্রামের ষোলশহর স্টেশন থেকে কালুরঘাট ব্রিজের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাক নির্মাণ, গুমদণ্ডী থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ এবং ওই সেকশনের তিনটি রেলস্টেশন নতুন করে পুনঃনির্মাণ ও ১৪টি রেলস্টেশন সংস্কারকরণ করা হবে।

পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সাথে সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ঢাকা-কক্সবাজার নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগতিসম্পন্ন ব্রডগেজ ট্রেন পরিচালনার জন্য চট্টগ্রাম-দোহাজারী সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ ট্র্যাকটি ব্রডগেজে রূপান্তরসহ বিভিন্ন রেলস্থাপনা ও সিগন্যালিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন জরুরি হয়ে পড়ে। আর এটি বাস্তবায়নের ফলে ঢাকা থেকে কক্সবাজার নিরবচ্ছিন্নভাবে দ্রুতগতির ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব হবে এবং এ অংশের সেকশনাল ক্যাপাসিটি (দৈনিক ২৬ জোড়া ট্রেন) বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও পাহাড়তলী-ঝাউতলায় বাইপাস নির্মাণ করা হচ্ছে তা বাস্তবায়ন হলে ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী ট্রেনগুলোকে আর চট্টগ্রামে প্রবেশ করে অতিরিক্ত সময় অপচয় করতে হবে না। এতে এক ঘণ্টা রানিং টাইমও সাশ্রয় সম্ভব হবে। চট্টগ্রামের ষোলশহর থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত উচ্চগতির ট্যুরিস্ট এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়াও ঢাকা ও সিলেট এলাকা থেকে উচ্চগতির ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব হবে ওই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে।

 প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানায়, দোহাজারী হতে কক্সবাজার পর্যন্ত নবনির্মিত নির্ধারিত ১০১ কিলোমিটার রেলপথটি সিঙ্গেল ট্র্যাক ডুয়েলগেজে নির্মিত হয়েছে। অন্যদিকে দোহাজারী হতে নগরীর পাহাড়তলী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত রেলপথটি মিটারগেজে নির্মিত রেলপথটি ডুয়েলগেজে উন্নীত করতে উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ।

গত ২০২৩ বছরের নভেম্বরে প্রকল্পটি সভায় অনুমোদন পায়। খুব শীঘ্রই প্রকল্পের টেন্ডার হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চলাচলে জনসাধারণ সুফল ভোগ পেতে পাহাড়তলীষোলশহর হয়ে দোহাজারী পর্যন্ত মিটারগেজ (এমজি) রেললাইনকে ডুয়েলগেজে উন্নীত করা হবে। নির্মাণ কাজে ব্যয় হবে ১০ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা উপরে। উক্ত প্রকল্পে সরকারি অর্থায়ন রয়েছে ৩ হাজার ৭১১ কোটি টাকার উপরে। প্রকল্পে এডিবির ঋণ আছে ৭ হাজার ৮৬ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ তিন বছর। ২০২৫ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে, প্রকল্পের টেন্ডার হলেও কাজ শেষ হতে ২০২৭ সাল পর্যন্ত লাগবে। পাহাড়তলীর ঝাউতলায় বাইপাস নির্মাণ করা হলে ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী যে ট্রেনগুলো চলাচল করছে তা আর চট্টগ্রাম স্টেশনে অতিরিক্ত সময় থাকতে হবেনা। ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী সবগুলো ট্রেন সরাসরি ঢাকা থেকে পাহাড়তলী হয়ে ঝাউতলা এবং ষোলশহর দিয়ে কক্সবাজার চলে যাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ষোলশহর থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত উচ্চগতির ট্যুরিস্ট এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়াও ঢাকা ও সিলেট এলাকা থেকে উচ্চগতির ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

 উক্ত প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলো হলো চট্টগ্রামের গোমদন্ডী-দোহাজারী মেইনলাইন রেলপথ ২৯ দশমিক ৩২ কিলোমিটার, পাহাড়তলীঝাউতলা বাইপাস রেলপথ ডুয়েলগেজ ডবল ট্র্যাক ৫ দশমিক ৫০ কিলোমিটার, লুপ ও অন্যান্য লাইন ১০ দশমিক ৮৮ কিলোমিটারসহ মোট ৬২ দশমিক ৮৮ কিলোমিটার ট্র্যাককে ডুয়েলগেজ রেললাইনে রূপান্তর করে  নতুন করে নির্মাণ করা।ষোলশহর থেকে কালুরঘাট ব্রিজের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডবল ট্র্যাক নির্মাণ ১৭ দশমিক ১৮ কিলোমিটার এবং ২৫ টি স্টেশন (পাহাড়তলী, ষোলশহর, পটিয়া, কাঞ্চননগর ও দোহাজারী) কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলকিং (সিবিআই) সিগন্যাল ও ইন্টারলকিং পদ্ধতি চালু করা; তিনটি স্টেশন ভবন (পাহাড়তলী, ষোলশহর ও ঝাউতলা) পুনঃনির্মাণ এবং ১৪টি স্টেশন ভবনের সংস্কারকাজ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । প্রকল্পের মধ্যে ২০টি মেজর ও ৬৮টি মাইনর ব্রিজ পুনঃনির্মাণ প্রক্রিয়া দিন রয়েছে।  প্রকল্পে ৩টি রেল ওভারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে। ৩০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক (ডিই) লোকোমোটিভও সংগ্রহ হবে জানায় কর্তৃপক্ষ।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



পদ্মা সেতুর ঋণের ৭ম ও ৮ষ্ঠ কিস্তি পরিশোধ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য নেওয়া ঋণের ৭ম ও ৮ষ্ঠ কিস্তি পরিশোধ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই দুই কিস্তি বাবদ ৩১৪ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চেক হস্তান্তর করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

৭ম ও ৮ষ্ঠ কিস্তি বাবদ ৩১৪ কোটি ৬৪ লাখ ৮৬ হাজার ৯৬৩ টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এ নির্মাণ ব্যয়ের প্রায় পুরো অর্থই ঋণ হিসেবে দিয়েছে অর্থ বিভাগ।

এর আগে গত ৫ এপ্রিল ১ম ও ২য় কিস্তি বাবদ মোট ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৫০ টাকা পরিশোধ করা হয়। এরপর গত ১৯ জুন ৩য় ও ৪র্থ কিস্তির ৩১৬ কোটি ২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩ টাকা এবং ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ৫ম ও ৬ষ্ঠ কিস্তি বাবদ ৩১৫ কোটি ৭ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪২ টাকা অর্থ বিভাগকে বুঝিয়ে দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ।

স্বপ্নের এই সেতু নির্মাণে অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নেওয়া হয়। শেখ হাসিনা ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রমত্ত পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের বৃহত্তম এই সেতু উদ্বোধন করেন।


আরও খবর



বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে গভর্নরকে বর্জন করলেন সাংবাদিকরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। যেখানে বাজেট নিয়ে কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বাজেট নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন করেছেন সাংবাদিকরা। যেসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টারা। শুধু চুপ করে বসে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

সংবাদ সম্মেলনে কোনো বক্তব্য দেননি গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। যদিও তার কোনো কথা শুনবে না বলে আগেই জানিয়েছিলেন সাংবাদিকরা।

সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। সে জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা কেউ তার বক্তব্য শুনব না। তিনি যেন কোনো বক্তব্য না দেন, সে বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বক্তব্য দিলে আমরা তা বয়কট করব।

এরপর পুরো সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেননি গভর্নর। ব্যাংক নিয়ে প্রশ্নের জবাব দেন অর্থমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারসহ অন্যরা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমসহ প্রমুখ।

এর আগে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এই বাজেট পেশ করেন।

প্রস্তাবিত এই বাজেট অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বিশেষ বৈঠকে বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন হয়। এ বাজেটের প্রতিপাদ্য সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।

দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়। অনুমোদিত এ বাজেট দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং এ অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



আসছে বাজেটে বাড়তে পারে সিগারেটের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি দেশের ১৮তম অর্থমন্ত্রী। আবুল হাসান মাহমুদ আলী অর্থমন্ত্রী হিসেবে এবারই প্রথম বাজেট পেশ করবেন। এটি দেশের ৫৩তম বাজেট। সেই সঙ্গে এটি হবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট।

প্রতি বছরই তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমানো এবং এ খাত থেকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়। করে বেড়ে যায় সিগারেট, জর্দা ও গুলের দাম। এবারও সিগারেটের দাম বাড়ছে বলে জানা গেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার বাজেটে তামাকজাত পণ্য, পানির ফিল্টার, এলইডি বাল্ব, কম্পিউটারের দাম বাড়তে পারে। কমতে পারে গুঁড়া দুধ, ল্যাপটপের দাম।

জানা গেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক ও মূল্যস্তর বাড়ানো হতে পারে। তিন স্তরের সিগারেটে সম্পূরক শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হতে পারে। এতে বাড়তে পারে সব ধরনের সিগারেটের দাম।

আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে এবার বাজেটে খরচের লাগাম টানা হচ্ছে। প্রতি বছর গড়ে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ আকার বাড়ানো হলেও এবার মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ বাড়িয়ে বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

গত জুনে চলতি অর্থবছরের জন্য যে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছিল তার থেকে এই বাজেট মাত্র ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। আগামী বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ঋণের অঙ্ক বাড়ানো হচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব বলছে, আয়-ব্যয়ের যে হিসাব বাজেটে দেওয়া হয় তার কোনোটাই লক্ষ্য পূরণ হয় না। প্রতি অর্থবছর শুরুতে যে বাজেট দেওয়া হয়, ৯ মাস শেষে একবার সংশোধন করা হয়। কিন্তু অর্থবছর শেষে দেখা যায়, বাস্তবায়নের হার আরও কম। গত তিন বছর ধরে ঘোষিত বাজেটের চেয়ে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা কম ব্যয় হচ্ছে। অর্থ বিভাগের গত এক দশকের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী, প্রতি বারই বাজেট বাস্তবায়ন হচ্ছে গড়ে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ।


আরও খবর



ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে মন্ত্রণালয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যদি কেউ সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ওষুধের দাম বেশি রাখে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ রবিবার সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যখাতের বড় চ্যালেঞ্জ কি জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ক্যানসারসহ অধিকাংশ মরণঘাতী রোগে আক্রান্ত রোগীরা একদম শেষ সময়ে চিকিৎসা নিতে আসে। যার ফলে সময় মত সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় মৃত্যুর হার বাড়ছে। এছাড়া ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর কি করছে, সেটারও মনিটরিং করা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, মাতৃমৃত্যু রোধ করতে হলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে জেলা ও উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান বাড়ালে, সাধারণ মানুষ ঢাকামুখী হবে না। এর ফলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদেরও ভোগান্তি দূর হবে।


আরও খবর



সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ায় যাবে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রবাসী কর্মীদের মালয়েশিয়ায় পাঠাতে শুক্রবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় একটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বিমানের জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. আল মাসুদ খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চিঠির প্রেক্ষিতে শুক্রবার (৩১ মে) সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ মিনিটে বিমানের ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে একটি বিশেষ অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

ওই ফ্লাইটে মোট ২৭১ জন যাত্রী পরিবহন করা হবে। ফ্লাইটটির যাত্রীদের নামের তালিকা, পাসপোর্ট নম্বরসহ প্রয়োজনীয় অঙ্গীকারনামা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা) প্রতিনিধি বিমান জেলা বিক্রয় অফিস মতিঝিলে প্রদান করবে।

বায়রা প্রদত্ত তালিকা অনুসারে বায়রা প্রতিনিধি বিমান জেলা বিক্রয় অফিস মতিঝিল থেকে নগদ অর্থে উক্ত ফ্লাইটের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।

ওই ফ্লাইটে মোট ২৭১ জন যাত্রী পরিবহন করা হবে। ফ্লাইটটির যাত্রীদের নামের তালিকা, পাসপোর্ট নম্বরসহ প্রয়োজনীয় অঙ্গীকারনামা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা) প্রতিনিধি  বিমান জেলা বিক্রয় অফিস মতিঝিলে প্রদান করবে।

বায়রা প্রদত্ত তালিকা অনুসারে বায়রা প্রতিনিধি বিমান জেলা বিক্রয় অফিস মতিঝিল থেকে নগদ অর্থে উক্ত ফ্লাইটের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।

মালয়েশিয়া সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে শুক্রবারের পর বাংলা‌দেশসহ ১৫‌টি দেশ থে‌কে কোনো কর্মীকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। গত জানুয়ারি মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদ এ সিদ্ধান্ত নেয়। একই সাথে বাংলাদেশসহ  ১৫টি দেশের সঙ্গে এ সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তি পুনরায় করার অনুমোদন দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ছাড়াও থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, নেপাল, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া থেকে কর্মী যায় মালয়েশিয়ায়।

গত ২৯ মে মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার হাসনা মোহাম্মদ হাসিম সাংবাদিকদের জানান, বিদেশি কর্মীদের প্রবেশের সময়সীমা বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন ছুটিতে বাংলাদেশে আসা প্রবাসী কর্মীরা। অন্যদিকে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মালয়েশিয়াগামী ফ্লাইটগুলোর টিকিটের দামও বেড়েছে কয়েকগুণ। লাখ টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না একটি টিকিট।

বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বিমানমন্ত্রী ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, যারা মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর সাথে জড়িত, তারা ১ মাস আগেই জানত যে ৩১ মে শ্রমিক পাঠানোর শেষ তারিখ। কিন্তু, এটা নিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সি বা অন্য সাপ্লাইয়াররা ব্যবস্থা নেয়নি। এখন বিমান প্রতিদিন মালয়েশিয়ায় তিন থেকে ৪টা করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। আর, গতকাল মালয়েশিয়ার কিছু লোক ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ায় এয়ার কম্বোডিয়ার একটা এয়ারক্রাফট দিয়ে একটি চার্টাড ফ্লাইট পরিচালনার পারমিশন চেয়েছে, গতকালকেই আমরা তাদের পারমিশন দিয়ে দিয়েছি। বিমান যদি আরও আগে জানত, তাহলে ব্যবস্থা নিতে পারত। বর্তমানে বিমানের হজ ফ্লাইট চলছে, তবুও আমরা চেষ্টা করেছি সুযোগ দিতে।


আরও খবর