বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি)
ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিস্থায়ী করণের
দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনেও জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
পালন করছে।
সোমবার (১লা জুলাই) থেকে শুরু হওয়া আজ
মঙ্গলবার (২ জুলাই) ও জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচিতে ডেপুটি
জেনারেল ম্যানেজার, সহকারী জেনারেল ম্যানেজার, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার, হিসাবরক্ষক, লাইনম্যান,
মিটার রিডারসহ কর্মকর্তা কর্মচারীরা অংশ নেয়। কর্মসূচী চলাকালে দাপ্তরিক কার্যক্রম
বন্ধ আছে।
কর্মবিরতী চলাকালে বক্তারা বলেন, পল্লী
বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুই রকম নীতির কারণে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের
৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারী।
দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের
কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবি, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির
ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার, শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন অব্যাহত রাখা, গুণগত মানহীন মালামাল
ক্রয় করে গ্রাহক ভোগান্তি করে আসছে। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় গণস্বাক্ষরও
সংগ্রহ, বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই তাদের
দাবি দাওয়া বাস্তবায়নে চেষ্টা করে আসছে।
কিন্তু সমিতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকা
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) তাদের দাবি না মেনে বরং উল্টো প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত
ভোলা পবিসের ২ জন এজিএমকে সাময়িক বরখাস্ত ২ জন এজিএমকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে অন্য পিবিএসে
বদলী এবং সিরাজগঞ্জ পবিস-২ এর ১ জন ডিজিএম এবং ১ জন এজিএমকে বোর্ডে সংযুক্ত করে।
এতে ৮০টি পবিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী
ক্ষুব্ধ হয়। তবে আন্দোলনে থাকাকালীন জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি
উপকেন্দ্রে একজন করে জনবল কাজ করছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা। সেই সাথে সকল ধরনের গ্রাহক
সেবা চালু থাকবে।
সংশ্লিষ্টরা জানায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি
দেশের প্রায় ১২ কোটি মানুষকে সার্বক্ষণিক নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বিআরইবি
দ্বারা নিয়মতান্ত্রিত এসব সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রতিনিয়ত নানান বৈষম্যেও
শিকার হচ্ছেন।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লাইন টেকনিশিয়ানরা
বলেন, লাইনম্যান গ্রেড-১ ও লাইন টেকনিশিয়ান পদে দীর্ঘ অনেকে ১৫ থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত
একই পদে কর্মরত থাকার পরও পদোন্নতি হয়না। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে ওই পদ ফাঁকা থাকা সত্বেও
পদোন্নতি না পাওয়াতে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি। তাদের দাবিগুলো না মেনে নেওয়া পর্যন্ত
কর্মবিরতি চলবে।