আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন বিলাওয়াল ভুট্টো

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ইমরান খানের বিদায়ের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সর্বোচ্চ নেতা নওয়াজ শরিফ। গত ১৯ এপ্রিল দেশটির নতুন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণও অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কেউ শপথ নেননি। তবে দু-এক দিনের মধ্যে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো। পিপিপি নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের উপদেষ্টা কামার জামান কায়রা শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর জিয়ও নিউজের।

পাকিস্তানের নতুন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শপথের দিন বিলাওয়াল উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তিনি সেদিন শপথ নেননি। নতুন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সেদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কেউ শপথ নেননি। তবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন পিপিপির হিনা রব্বানি খার। পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হতে পারেন বলে তখন থেকেই গণমাধ্যমে খবর আসছিল।

পাকিস্তানের নতুন সরকারের তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব পরে নিশ্চিত করেন, পিপিপি চেয়ারম্যান দেশে ফেরার পর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। লন্ডনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কামার জামান কায়রা বলেন, পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সর্বোচ্চ নেতা নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দুই দফায় বৈঠক করেছেন বিলাওয়াল। এই বৈঠক শেষে বিলাওয়াল পাকিস্তানের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

পাকিস্তানের বর্তমান ক্ষমতাসীন জোট সরকারের প্রধান দুই শরিক পিএমএল-এন ও পিপিপি। নওয়াজ ও বিলাওয়ালের মধ্যে সবশেষ বৈঠকের পর দুই দলের পক্ষ থেকে একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গণতন্ত্রের সাংবিধানিক বিজয়ের পর আইনের শাসন, পার্লামেন্টের কর্তৃত্ব প্রভৃতি বিষয় নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করেছেন। সংকট মোকাবিলায় তারা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।


আরও খবর



রাঙামাটিতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মীসহ নিহত ২

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

Image

রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মীসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকালে উপজেলার কাট্টলী এলাকার ধনপুতি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ইউপিডিএফ কর্মী বিদ্যাধন তিলক (৪৯) ও স্থানীয় ধন্যমনি চাকমা (৩২)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনুর রশিদ।

তিনি জানান, আমরা শুনেছি সন্তু লারমা জেএসএস কর্তৃক এক ইউপিডিএফ কর্মী ছাড়াও স্থানীয় একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) দলীয় সূত্র থেকে জানা যায়, আজ সকালে ধনপুতি এলাকায় সাংগঠনিক কাজ করার সময় জেএসএসের হামলায় দুইজন নিহত হন। এর মধ্যে একজন তাদের কর্মী আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা।

ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সন্তু লারমা আবারও তার খুনি বাহিনীকে দিয়ে ইউপিডিএফের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হত্যাকাণ্ড শুরু করেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের কাছে সন্তু লারমা একজন খুনি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে অবিলম্বে লংগদুতে ইউপিডিএফ কর্মী, সমর্থককে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার এবং মদদদাতা সন্তু লারমাকে গ্রেপ্তারপূর্বক আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানানো হয়।

তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি লংগদু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা বলেন, ওই এলাকায় জেএসএসএর কোনো কার্যক্রম নেই। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে হয়ে থাকতে পারে। তাদের নিজেদের অপকর্মের দায় আমাদের ওপর চাপাতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।


আরও খবর



সৌদি পৌঁছেছেন ১২ হাজার ৬৪৯ হজযাত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছর হজ পালনের উদ্দেশ্যে এখন পর্যন্ত সৌদি আরব পৌঁছেছেন ১২ হাজার ৬৪৯ জন যাত্রী। গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে হজ পোর্টাল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সৌদিতে যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার গেছেন ৮ হাজার ৯০২ জন।

বাংলাদেশ থেকে ৩২টি ফ্লাইটে এসব হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ৭টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।

এর আগে, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। শেষ হবে ১০ জুন।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন এবং শেষ হবে ২২ জুলাই।


আরও খবর



ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুই দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিশেষ ফ্লাইটযোগে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি।

আমিরের ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।

আজ সকালে কাতারের আমির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠকে মিলিত হন। পরে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এরপর দুই শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।

চুক্তিগুলো হলো, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে আয়ের ক্ষেত্রে দ্বৈত কর পরিহার এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধ, বাংলাদেশ সরকার এবং কাতার রাষ্ট্রের মধ্যে আইনি ক্ষেত্রে সহযোগিতা, কাতার এবং বাংলাদেশের মধ্যে সমুদ্র পরিবহন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা এবং বাংলাদেশ-কাতার যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা।

চুক্তি ছাড়াও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, জনশক্তি কর্মসংস্থান (শ্রম), বন্দর (এমব্লিউএএনআই কাতার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ), বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে এবং বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতার স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়।

অনুষ্ঠানে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে রাজধানী ঢাকার একটি সড়ক ও একটি পার্কের নামকরণ করা হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে মিরপুরের কালশী এলাকার বালুর মাঠে পার্কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাই ওভার পর্যন্ত সড়কটির নামকরণ করা হয়েছে কাতারের আমিরের নামে। এখন থেকে রাস্তা ও পার্কটি শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি অ্যাভিনিউ এবং শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি পার্ক নামে পরিচিত হবে।

সব শেষ আনুষ্ঠানিকতায় আমির পিএমও ত্যাগ করে বঙ্গভবনে যান। সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন।

এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির। বিমানবন্দরে আমিরকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। টানা চতুর্থ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ থেকে এটি ছিল প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফর। আর এর মধ্য দিয়ে ২০০৫ সালের পর কাতারের কোনো আমির ঢাকা সফর করলেন।


আরও খবর



হিটস্ট্রোকে যে ফল ভুলেও খাওয়া যাবে না

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

হিটস্ট্রোক মানে হলো অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০৪ -১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে ওঠা, যা সাধারণত প্রচণ্ড জ্বরে হয়। হিটস্ট্রোকের ফলে অস্বাভাবিক মানসিক আচরণ দেখা দিতে পারে। যেমন কনফিউশান, বিড় বিড় করা, অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা, হ্যালুসিনেশন, মাথাব্যথা হওয়া, ঝিম ঝিম করা, হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেরা।

হিটস্ট্রোকে মূলত শরীরের কুলিং সিস্টেম ফেইল করে। এতে ঘাম কমে গিয়ে শরীর শুষ্ক হয়ে যায়, বমি বমি ভাব হয়, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, ডিহাইড্রেশনের ফলে ইলেকট্রোলাইটস ইম ব্যালেন্স হয়, মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায়। এমনকি শুরু হতে পারে খিচুনি। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

ফল কি হিটস্ট্রোকের জন্য উপকারী : ফল খাওয়া হিট স্ট্রোকের জন্য উপকারী হলেও কিছু ফল হিটস্ট্রোকে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই হিট স্ট্রোকে কোন ফল উপকারী এবং কোন ফল অপকারী এটা না জেনে ফল খেলে হতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোকে এড়াতে উপকারী ফল : কম ক্যালরি যুক্ত এবং কম চিনিযুক্ত রসাল ফল হিটস্ট্রোকের জন্য উপকারী। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে শসা, জাম্বুরা, আনারস, তরমুজ। এ ছাড়া নাশপাতি, কাঁচাআম (সবুজ আম), কাঁচা পেঁপে (সবুজ পেঁপে) , আপেল, স্ট্রবেরি, গোলাপ, জাম্বুরা, লেবুও কম ক্যালরি যুক্ত ফল। এসব ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শরীরের জন্য খুবই  উপকারী।

হিটস্ট্রোকের জন্য অপকারী বা ক্ষতিকর ফল : সাধারণত প্রচুর চিনিযুক্ত ফল এবং উচ্চ ক্যালরি উৎপন্নকারী ফল যেমন পাকা কাঁঠাল, পেয়ারা, পাকা আম, আঙুর, লংগান, লিচু, পাকা কলা, পাকা পেঁপে (হলুদ পেঁপে), প্যাশন ফল, লাল ডালিম, মিষ্টি তেঁতুল, পেয়ারা। মনে রাখবেন পাকা পেঁপে ও পাঁকা কাঁঠাল হিট স্ট্রোকের বিপত্তি বাড়িয়ে দেবে এবং গরম পানীয় যেমন চা ও কফি পান করা যাবে না।

হিটস্ট্রোকে করণীয় : শরীরকে ঠান্ডা করা অর্থাৎ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুছে দেওয়া বারবার, ছায়া ও বাতাসযুক্ত স্থানে বসা, ঠান্ডা পানি দিয়ে তোয়ালে বা গামছা ভিজিয়ে ঘাড় মাথা, উরু স্পঞ্জিং করা। ঘাড়ে ঠান্ডা পানিতে ভিজানো রুমাল রাখা যেতে পারে। ডিহাইড্রেশন ও পিপাসা কমাতে নরমাল ঠান্ডা পানি, লেবুর শরবত এবং খাবার স্যালাইন খুবই উপকারী। তবে খাবার স্যালাইন নিয়মমতো বানাতে হবে।


আরও খবর



রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ ওভারে জিতলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টানা তিন জয়ের পর চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের কাছে প্রায় হারতেই বসেছিল বাংলাদেশ। মান বাঁচালেন বোলাররা। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ ওভারে ৫ রানে জিতলো বাংলাদেশ। এ জয়ে সিরিজে ৪-০ ব্যবধান করল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

আজ শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলে দুদল। বাংলাদেশ সময় ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়। যেখানে প্রথমে ব্যাট করতে নামা টাইগাররা উড়ন্ত সূচনা পেলেও নাটকীয় ব্যাটিং ধসে দলীয় ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায়। এদিন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকারের উদ্বোধনী জুটিতে ১১.২ ওভারে ১০১ রানে তোলে বাংলাদেশ। তবে এরপর দলীয় ৪২ রানের মধ্যেই ১০ উইকেট খোয়ায় স্বাগতিকরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।

এই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে তিন পরিবর্তন এসেছে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাস ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার ও মোস্তাফিজুর রহমান।

১৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ের ইনিংসে প্রথম ওভারেই আঘাত করেন তাসকিন আহমেদ। ব্রায়ান বেনেটকে তিনি শূন্য রানে ফেরান। এরপর জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে (১৭) বোল্ড করেন এই পেসার। আরেক ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে এলবি করে ১৪ রানে ফেরান সাকিব আল হাসান।

এরপর ভালো খেলতে থাকা জোনাথন ক্যাম্পবেলকে অধিনায়ক শান্তর ক্যাচে ফেরান সাকিব। ২৭ বলে ৩১ রান করেন ক্যাম্পবেল। রিশাদ হোসেন মাঝে ক্লাইভ মাদান্ডেকে এলবি করে আউট করে। পরে দলীয় ১৫তম ওভারে আইপিএল ফেরত মোস্তাফিজুর রহমান রায়ান বার্ল (১৯) ও লুক জঙ্গুয়েকে আউট করলে খেলা জমে ওঠে।

যদিও ফারাজ আকরাম ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ব্যাটিং বাংলাদেশকে চোখ রাঙ্গাচ্ছিল। ১০ বলে ১১ করা ফারাজ মোস্তাফিজের তৃতীয় শিকার হন। আর শেষের দুই ব্যাটার ব্লেসিং মুজারবানি ও রিচার্ড এনগারাভাকে আউট করে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দেন সাকিব। তবে তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী ও তানজিদ তামিমরা ক্যাচ না ছাড়লে সহজ জয়ই পেতে পারতো বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে সাকিব সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট পান। এছাড়া মোস্তাফিজ ৩টি উইকেট দখল করেন।

টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে সৌম্য সরকার ধীরে খেললেও তানজিদ হাসান তামিম ছিলেন বেশ আক্রমণাত্মক। চার-ছক্কায় জিম্বাবুয়ে বোলারদের দিশেহারা করেন। এরপর হাত খোলেন সৌম্য। তাদের জুটি ১০১ রানে। তারা ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দলীয় বড় স্কোরের।

কিন্তু দুজনেই ৭ রানের ব্যবধানে লুক জঙ্গুয়ের বলে আউট হন। তানজিদ ৩৭ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫২ রান করেন। এই সিরিজেই অভিষেক হওয়ার পর এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি। এলবি হওয়া সৌম্য ৩৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪১ করেন।

এরপরই শুরু হয় সেই নাটকীয় ব্যাটিং ধস। যেখানে তাওহিদ হৃদয় ১২ রান করলেও দলের আর কেউই দুই অংকের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। দীর্ঘদিন পর ফেরা সাকিব আল হাসান ব্যক্তিগত ১ রানে ব্রায়ান বেনেটের বলে বোল্ড হন। অধিনায়ক শান্তও একই বোলারের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন।

জঙ্গুয়ে জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট লাভ করেন। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন রিচার্ড এনগারাভা ও বেনেট।

প্রথম তিন ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এবার প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার সম্ভাবনাও জাগাল।


আরও খবর