আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

পঞ্চগড়ে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পঞ্চগড়ে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল চত্বরে এন্টিজেন টেস্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। পঞ্চগড়ের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ও পঞ্চগড় সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আফরোজা বেগম রীনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই টেস্টের উদ্বোধন করেন।

 

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে। এজন্য একজন চিকিৎসক ও দুজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট কাজ করবেন। তাদেরকে ঢাকায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আইইডিসিআর থেকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ৫০০ কিট দেওয়া হয়েছে। একজন করোনা রোগীকে পরীক্ষার পর মাত্র ২০-২৫ মিনিটের মধ্যে ফল দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এখানে আসা রোগীদের র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করা হবে। যাদের করোনার উপসর্গ রয়েছে তারা ১০০ টাকা ফি দিয়ে এই পরীক্ষা করাতে পারবেন।

 

জেলা শহরের সাইফুল ইসলাম রতন ও আবুল কাশেম প্রধান রাজু জানান, পঞ্চগড়ে দ্রুততম সময়ে করোনা শনাক্তের জন্য র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট সেবা চালু হওয়ায় তারা খুশি। এর ফলে করোনা রোগীদের দুর্ভোগ অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করছেন তারা। তবে টেস্টের বিষয়টি নিয়ে প্রচার প্রচারণার ব্যবস্থা করলে ভালো হতো। অনেকেই বিষয়টি জানেন না।

 

পঞ্চগড় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের স্বাস্থ্য সহকারী খাজা ময়েনউদ্দীন আহম্মেদ জানান, যেসব রোগীর সবোর্চ্চ উপসর্গ রয়েছে তাদেরকে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে। অন্যদের উপসর্গ নিয়ে আরটিপিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে।

 

পঞ্চগড়ের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আফরোজা বেগম রীনা জানান, প্রথম দিনে ৩ জন রোগীকে পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে একজন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। যাদের নেগেটিভ হবে তাদের নমুনা দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আরটিপিসিআর ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।


আরও খবর



হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে খামারের শত শত মুরগি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বছর ১৭ আগে মুরগির খামার শুরুর পর ভালোই চলছিল বরিশালের আমানতগঞ্জের সেলিনা হোসেনের। কিন্তু ব্যবসায় বিপত্তি শুরু হয় করোনা মহামারীকালে। এরপর কিছুটা ঘুরে দাঁড়ান। সম্প্রতি বয়ে চলা তাপপ্রবাহ ও তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে হিটস্ট্রোকে মারা গেছে তার প্রায় ৭০০ মুরগি। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্বামীহারা এ খামারি।

সেলিনা হোসেন বলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনের উৎস আমার এ মুরগির খামার। করোনার সময় একবার বড় লোকসান হয়। অনেক মুরগি মারা গিয়েছিল তখন। অনেক কষ্টে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি। ৮০০ ব্রয়লার মুরগি তুলেছিলাম। কিন্তু এবার সব শেষ। বিদ্যুৎ যায় আসে। যে গরম পড়ছে তাতে ফ্যান চালিয়ে রাখতে হয়। টিনে পানি দিতে হয়। কিন্তু লোডশেডিংয়ের কারণে আরো বেশি স্ট্রোক বেড়েছে। ওষুধ খাইয়েছি, তবু মুরগিগুলোকে রক্ষা করা যায়নি। আবার মুরগি ওঠানোর ক্ষমতা আমার নেই।

সেলিনার মতো অন্য খামারিদের একই হাল। অতিরিক্ত গরম ও লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি খামারেই দেখা দিয়েছে মড়ক। প্রায় প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে শত শত মুরগি। অনেক খামারি লোকসান গুনে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন। এদিকে হিটস্ট্রোকে মুরগি মারা গেলেও প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে তাদের কাছে কেউ যাচ্ছে না বলে অভিযোগ খামারিদের।

খামারসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, করোনার পর থেকে পোলট্রি খাতে দুর্ভোগ যেন কাটছেই না। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পোলট্রিখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামার গুটিয়ে নেন বেসরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ের প্রায় ৪০ শতাংশ খামারি। এছাড়া খাদ্য ও মুরগির বাচ্চার অতিরিক্ত দামের পাশাপাশি এখন পোল্ট্রি খাতের অন্যতম নীরব ঘাতক হয়ে উঠছে জলবায়ু পরিবর্তন। গত কয়েক দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র তাপপ্রবাহে খামারগুলোয় ব্যাপক হারে ব্রয়লার মুরগি হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে ডিম উৎপাদনও। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য খামারিরা বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল থাকলেও তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে সেটিও ব্যাহত হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, পাঁচদিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়াচ্ছে, আবহাওয়ার পরিভাষায় যাকে বলা হয় তীব্র তাপপ্রবাহ। গতকালও চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া বাগেরহাট ও কুষ্টিয়ায়ও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। এ তাপপ্রবাহ আরো বেড়ে সামনে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এতে ভবিষ্যৎ নিয়ে আরো বেশি শঙ্কায় রয়েছেন পোলট্রি খামারিরা।

বরিশালে গত কয়েক দিনে ৬১৭টি খামারে প্রায় পাঁচ হাজার ব্রয়লার মুরগি মারা গেছে বলে জানিয়েছেন জেলার পোলট্রি মুরগির খামার মালিকদের সংগঠনের নেতা কালাম শিকদার। তিনি জানান, জেলায় ১ হাজার ৬০৮টি মুরগির খামার রয়েছে। এর মধ্যে ব্রয়লার মুরগির ৬১৭টি, লেয়ার ৫৩৫টি ও সোনালি মুরগির ৪৫৬টি। মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে পোলট্রি খামারে দেখা দিয়েছে হিটস্ট্রোক। তাপপ্রবাহ থেকে মুরগি বাঁচাতে অনেক খামারে বৈদ্যুতিক পাখা সংযুক্ত করলেও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সেটিও কাজে আসছে না। ফলে পোলট্রি খামারে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন খামারিরা।

তীব্র গরমে খামারে মড়ক লাগলেও কোনো তথ্য দিতে পারেনি জেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আবু সুফিয়ান বলেন, গরমের সময় খামারে বারবার পানি স্প্রে ও টিনের চালে ছালার চট ভিজিয়ে রাখার পরামর্শসহ একাধিক গাইডলাইন দেয়া হয়েছে বিভাগের প্রত্যেক মাঠ কর্মকর্তাকে। তারা খামারিদের এ বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে গরমে মুরগির মৃত্যুর বিষয়টি আমাদের অবহিত করা হয়নি এখনো।

চট্টগ্রামের খামারিরা জানিয়েছেন, ওষুধ ও পানি স্প্রের মাধ্যমে হিটস্ট্রোক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও প্রতিনিয়ত ব্রয়লার মুরগি মারা যাচ্ছে। আবার লেয়ার মুরগির ডিম উৎপাদন কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লিটনের খামারে দেড় কেজির বেশি মুরগি ছিল প্রায় চার হাজার। কিন্তু গত দুদিনের গরমে প্রায় এক হাজার মুরগি মারা গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ছোট মুরগি মারা যায় কম। কিন্তু এক কেজি ওজনের বেশি মুরগি প্রচুর মারা যাচ্ছে। আমার বড় মুরগির খামারে গত দুদিনে ২৫ শতাংশই মারা গেছে। আশপাশের সবার ক্ষেত্রেই এমন হচ্ছে। যত ভালো খামার ব্যবস্থাপনাই থাকুক এ গরমে মুরগি মারা যাবেই। তবে এ বছর মৃত্যুটা বেশি।

একই কথা জানান রাউজান উপজেলার অর্ণব পোলট্রি ফার্মের স্বাত্বাধিকারী দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহে আমার খামারের বেশকিছু মুরগি মারা গেছে। আরো কিছু মুরগির অবস্থা সংকটাপন্ন। লেয়ার মুরগির ডিম উৎপাদন কমে গেছে। স্যালইন, ভিটামিন সি খাওয়ানোর পাশাপাশি ঠাণ্ডা পানি দিয়ে স্প্রে করে খামারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। অন্যদিকে গরমের কারণে ভূগর্ভস্থ পানিও তোলা যাচ্ছে না। এ কারণে পানিরও সংকট আছে। এভাবে গরম পড়তে থাকলে খামার রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হবে না। কম দামে তখন বিক্রি করে দিতে হতে পারে।

চট্টগ্রাম প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় প্রায় চার হাজার ব্রয়লার ও পাঁচ শতাধিক লেয়ার মুরগির খামার আছে। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মুরগি খামারের উপপরিচালক মো. আলমগীর বলেন, অনেক বেসরকারি পর্যায়ের খামারে গরমের কারণে মুরগি মারা যাওয়ার খবর শুনেছি। তবে সরকারি খামারগুলোয় এখন কোনো মুরগি মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। খামারগুলোয় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আমরা বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি।

যশোরে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দেশের সর্বোচ্চ। আগের দিন ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েক দিনের তীব্র গরমে ১০ হাজারের মতো মুরগি মারা গেছে। শহরের নাজির শংকরপুর এলাকার খামারি সানজিদা বেগম বলেন, প্রচণ্ড গরমে মুরগি মারা যাচ্ছে। আমার খামারে ৭০০ মুরগি ছিল। এখন আছে ২৫০টি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, যশোরে মুরগি খামার রয়েছে ১ হাজার ৫৩৪টি। সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তপু কুমার জানান, তার অধীনে ২৪৯টি ব্রয়লার ও ২৫টি লেয়ার মুরগির খামার রয়েছে। কয়েক দিন ধরে যশোরে প্রচণ্ড গরম পড়েছে। এতে মুরগির হিটস্ট্রোক বেড়ে গেছে। খাওয়া কমে গেছে। তবে কী পরিমাণ মুরগি মারা গেছে তার হিসাব নেই।

তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় রংপুরের খামারিরাও দুশ্চিন্তায় আছেন। লোডশেডিং তাদের আতঙ্ক আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। জেলায় লেয়ার মুরগির খামার আছে দেড় শতাধিক এবং ব্রয়লার চার শতাধিক।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজার রহমান বলেন, গরমে সাধারণত ৩৪ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে সহনীয় ধরা হয়। এর ওপরে গেলে অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বলা হয়, যা সব প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর। হিটস্ট্রোকসহ নানা অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

এ মুহূর্তে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর তাতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ আরো বেড়েছে খামারিদের। এ গরম চলতে থাকলে মুরগির মৃত্যু আরো যে কত বাড়বে তা নিয়েই আতঙ্কিত তারা।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা বেশি ছিল। কিছু স্থানে হালকা বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা কমেনি। আগামী দুদিন তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে। খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোয় বেশি গরম পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া বিরূপ আচরণ করছে। এর সঙ্গে নগরায়ন ও গাছপালা কেটে ফেলার কারণে খারাপ হচ্ছে বাংলাদেশের আবহাওয়া।

পোলট্রি বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুরগির বাচ্চার তাপমাত্রা সহ্যক্ষমতা বেশি থাকে। তবে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তা কমে আসে। এ কারণে বড় আকারের মুরগি হিটস্ট্রোকে বেশি মারা যায়।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলট্রি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী বলেন, অতিরিক্ত গরমে তুলনামূলক ব্রয়লার মুরগি বেশি মারা যায়। কারণ তাদের সহ্যক্ষমতা কম। গরমে ব্রয়লার মুরগি খাবার কমিয়ে দেয়। সে কারণে তার খাবারে এনার্জির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। টিনের চালে পানি বা ভেজা বস্তা দিতে হবে যেন শেড ঠাণ্ডা থাকে।


আরও খবর



গরুবোঝাই নছিমনে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ২

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

দিনাজপুরের হিলিতে গরুবোঝাই নছিমনে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে বিরামপুর-হাকিমপুর আঞ্চলিক সড়কের ডাঙ্গাপাড়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, দুপুরে একটি মোটরসাইকেলে দুজন বিরামপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। বিপরীত দিক থেকে আসা গরুবোঝাই নছিমনে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা দুজন ঘটনাস্থলে নিহত হন।

হাকিমপুর থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেলের আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।


আরও খবর



বাগেরহাটে আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় চেতনানাশক দিয়ে দুর্ধর্ষ চুরি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বেমরতা ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন টগরের বাসায় চেতনা নাশক স্প্রে দিয়ে দুর্ধর্ষ চুরি ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) গভির রাতে বাগেরহাট শহরের আমলাপাড়া এলাকার বাসায় এই চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা ঘরের জানালার গ্রীল ভেঙ্গে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। খবর পেয়ে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

স্থানীয়রা জানান, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বেমরতা ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন টগরের স্ত্রী মুক্তা খানম আমলাপড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাকতা করেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হলে শিক্ষকরা তার বাসায় গিয়ে দেখে দরজা খোলা অবস্থায় আছে। পরে তারা স্থানীয়দের সহায়তায় চেয়ারম্যান দম্পতিকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন।

মনোয়ার হোসেন টগর জানান, প্রতিদিনের মত তারা রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কোন এক সময় চোরেরা চেতনা নাশক স্প্রে দিয়ে ঘরের জানালার গ্রীল ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় তারা বিভিন্ন আসবাবপত্র তছনছ করে আলমিরাতে থাকা নগদ ২ লক্ষ টাকা এবং প্রায় ৩ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মোঃ সাইদুর রহমান জানান, ঘটনাটি জানার পর পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



এবার ভরিতে ১৮৭৮ টাকা কমল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বাজারে ফের কমল স্বর্ণের দাম। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৭৮ টাকা কমানো হয়েছে। এর ফলে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪ হাজার ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৯ হাজার ৩১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৪ হাজার ২৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা।

স্বর্ণে দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটেগরি ভেদে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের রুপা ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল, ২৮ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল সাত দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়। সবশেষ গত ৩০ এপ্রিল ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের ৪২০ টাকা কমানো হয়।


আরও খবর



ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ করা উচিত: ন্যান্সি পেলোসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি মনে করেন, ইসরায়েলের কল্যাণের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর শিগগিরই পদত্যাগ করা উচিত। নেতানিয়াহুকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির পথে বাধা বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

আয়ারল্যান্ডভিত্তিক বেতার সংবাদমাধ্যম রেডিও টেইলিফিস ইয়েরেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে পেলোসি বলেন, ইসরায়েলের অবশ্যই আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং আমরা তা স্বীকারও করি; কিন্তু এ অধিকার রক্ষায় নেতানিয়াহু যে নীতি নিয়েছেন এবং যা যা করছেন তা ভয়ঙ্কর এবং আমরা সেসব প্রত্যাখ্যান করছি।

বিশেষ করে (৭ অক্টোবরের) হামলার জবাবে তিনি যা করছেন, তার চেয়ে নিকৃষ্ট আর কী হতে পারে। হামলার দায় স্বীকার করে তার সরকারের গোয়েন্দাপ্রধান পদত্যাগ করেছেন, তারও পদত্যাগ করা উচিত। গত ছয় মাসে যা যা হয়েছে, সেজন্য সম্পূর্ণভাবে তিনি দায়ী।

নেতানিয়াহুকে আল আকসা ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে শান্তি পথে বাধা মনে করেন কি না প্রশ্নের উত্তরে সাবেক হাউস স্পিকার বলেন, অবশ্যই মনে করি। আমি জানি না তিনি শান্তিকে ভয় পান কি না, শান্তিতে বসবাস করতে অক্ষম কি না কিংবা শান্তির প্রতি অনাগ্রহী কি নাকিন্তু তিনি দীর্ঘদিন ধরে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

সাক্ষাৎকারে বাইডেন প্রশাসনকে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বানও জানিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারের গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকজন।

কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা-দূতিয়ালিতে গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস-আইডিএফ। সেই বিরতির সময় নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেকে ১৫০ জনকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছিল ইসরায়েলও।

ওই বিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করছিল মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ। চলতি বছর রমজান মাস থেকে তা শুরু হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু মূলত নেতানিয়াহুর আপত্তির কারণে তা আর হয়নি।

ফলে হামাসের কব্জায় থাকা বাকি ১৩২ জন জিম্মির ভাগ্য কী ঘটেছে এখনও অজানা।

১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্রের ভূমিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের একমাত্র এই ইহুদি রাষ্ট্রকে সামরিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও গোয়েন্দা সহায়তা দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলা ও তার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরুর পর প্রাথমিক পর্যায়ে সেই অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছিলেন মার্কিন রাজনীতিবিদরা। পেলোসিও তাদের মধ্যে ছিলেন।

তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নিষ্ঠুরতা বৃদ্ধি এবং যুদ্ধাবসানের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রতি হতাশ হওয়া শুরু করেন মার্কিন রাজনীতিবিদদের অনেকেই।

কিছুদিন আগে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সরকারি দলের নেতা চাক শুমার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমার ধারণা, নেতানিয়াহু তার পথ হারিয়ে ফেলেছেন এবং ইসরায়েলের জনগণের উচিত নতুন একজন প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নেওয়া।


আরও খবর