আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

প্রাণঘাতী রোগ হতে পারে কিটো ডায়েটে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ইদানীং অনেকেই কিটো-ডায়েটের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। দ্রুত ওজন কমানোর উদ্যেশ্যে অনেকেই বেছে নেন বিপদজনক খাদ্যাভ্যাস, যেখানে বিধিনিষেধের কড়াকড়ি অনেক। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এই ডায়েট মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।

তবে ওজন কমানোর সবচাইতে নিরাপদ উপায় হলো স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আর শরীরচর্চা।

কিটো গ্রিক শব্দ কিটোল থেকে এসেছে। কিটো এসিভোসিস হলো দেহে কিটোন পদার্থ জমাট বাঁধার ফলে অম্লব্যাধি তৈরি হওয়া। এপিলেপসি বা মৃগীরোগীদের চিকিৎসায় কিটোজেনিক ডায়েট ব্যবহার করা হয়।

এতে থাকে কম শর্করা ও উচ্চমাত্রার প্রোটিন, উচ্চমাত্রার চর্বি। মৃগীরোগীদের শরীরে কিটোজেনেসিস হয়, যেন ফ্যাটি অ্যাসিড জারণে বিঘ্ন ঘটে। কিটোজেনিক ডায়েটের ফলে মৃগীরোগীদেরও ওজন কমে যেতে দেখা যায়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই ডায়েটই ওজন কমানোর জন্য সঠিক পথ বলে কেউ কেউ মনে করছেন।

ওয়াশিংটন ডিসির ফিজিসিয়ানস কমিটি ফর রেসপন্সিবল মেডিসিনয়ের নিউট্রিশন এডুকেশন ম্যানেজার ও পুষ্টিবিদ লি ক্রসবি সম্প্রতি এই কিটো ডায়েট নিয়ে বিশ্লেষণমূলক গবেষণা করেছেন।

ফ্রন্টিয়ারস অফ নিউট্রিশন শীর্ষক সাময়িকীতে তার সেই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে তিনি ওই খাদ্যাভ্যাসকে বিপদজনক আখ্যা দিয়ে দাবি করেছেন, কিটো ডায়েটয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সাতটি প্রাণঘাতী রোগ। এর মধ্যে কয়েকটি আবার ওই খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করলে নিরাময় করে বলে ধারণা করে সাধারণ মানুষ।

বেস্টলাইফ ডটকময়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, কিটোজেনিক ডায়েটয়ে কার্বোহাইড্রেইট বন্ধ করে দেওয়া হয় পুরোপুরি। আর বাড়ানো হয় স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়ার মাত্রা, সঙ্গে থাকে মাঝারি পরিমাণের প্রোটিন।

যারা এই খাদ্যাভ্যাসের আদর্শ অনুসারী তারা খাওয়ার সময় নির্দিষ্ট করে রাখেন যাতে শরীরে কিটোসিস অবস্থা তৈরি হয়। এই খাদ্যাভ্যাসের প্রবর্তনকারীদের মতে, কিটোসিস মানে হল শরীরে কিটোন বডি তৈরি হওয়ার পরিবেশ সৃস্টি করা।

মস্তিষ্কের নিউরন ও অন্যান্য যেসব কোষ সরাসরি ফ্যাটি অ্যাসিড ব্যবহার করতে পারে না তাদের জন্য জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে এই কিটোন বডি

ক্রসবিয়ের সঙ্গে এই গবেষণায় আরও ছিলেন নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়ার বিশেষজ্ঞরা।

ক্রসবি ও তার দলের দাবি, কিটো ডায়েটের কিছু পদ্ধতি দাবি করে সেগুলো ক্যান্সার, আলৎঝাইমারস ডিজিজ, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

তবে তাদের গবেষণায় দেখা গেছে এই খাদ্যাভ্যাসের একমাত্র উপকারিতা, যার পেছেনে পর্যাপ্ত প্রমাণ আছে, তা হল এটি এপিলেপ্সির চিকিৎসায় ব্যবহারযোগ্য।

বরং কিটো ডায়েট হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও আলৎঝাইমারস ডিজিজয়ের ঝুঁকি বাড়ায়।

অনেকের শরীরেই এই খাদ্যাভ্যাস অনুসরণের কারণে রক্তে কোলেস্টেরল বাড়তে দেখা গেছে। যাদের বৃক্কের দুর্বলতা আছে তাদের বৃক্ক একেবারে অকেজো হয়ে যেতে পারে।

এছাড়া গর্ভবতী মা এই খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করলে শরীরে কার্বোহাইড্রেইটয়ের অভাবের কারণে নবজাতকের নিউরাল লোব অপরিণত থেকে যেতে পারে।

তাই সবমিলিয়ে কিটো ডায়েট আসলে রোগবালাইয়ের ঝুঁকি বর্ধক স্বাস্থ্যের জন্য ধ্বংসাত্মক একটি খাদ্যাভ্যাস।

ক্রসবি বলেন, ওজন নিয়ন্ত্রণের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি হলো দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের হিসাব রাখা। খাদ্যাভ্যাসে বিভিন্ন ধরনের খাবার থাকতে হবে। ফল, সবজি, লতা, পরিপূর্ণ শষ্য, মাংস সবকিছুই শরীরের জন্য জরুরি। তাই পরিমাণ মতো সবই খেতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: কিটো-ডায়েট

আরও খবর



ব্যাংক ডাকাতি-অস্ত্র লুট

কেএনএফ সম্পৃক্ততায় রুমা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ৭ জন কারাগারে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে চলমান যৌথবাহিনীর অভিযানে রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ কেএনএফ এর আরো ৭ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের বান্দরবান চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন লাল নুন নোয়াম (৬৮) লাল দাভিদ বম (৪২) চমলিয়ান বম (৫৬) লাল পেক লিয়ান (৩২) ভান নুন নোয়াম (৩৩) লাল মিন বম (৫৬) ভান বিয়াক লিয়ান বম (২৩)। তারা সবাই রুমার মুনলাই পাড়ার বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট, অপহরণ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলার ঘটনায় রুমার মুনলাই পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ জন কেএনএফ এর সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত ৭ জনকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম এমরান এর আদালতে হাজির করা হলে আদালত আসামীদের জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ নিয়ে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির মামলায় ৭৮জন কে গ্রেফতার করে যৌথবাহিনী।

উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল  বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট, অপহরণ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা করে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় রুমা ও থানচিতে ৯টি মামলা দায়ের করা হয়।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ৫০ অধ্যাপক গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ থেকে অন্তত ৫০ অধ্যাপককে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ও সংহতি জানানোয় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ, বিক্ষোভ–সম্পর্কিত সংবাদ ও আদালতের নথি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

জানা গেছে, বিক্ষোভের ভিডিও চিত্র ধারণ করার কারণে অধ্যাপকদের গ্রেফতার করার ঘটনা ঘটেছে। গ্রেফতারকৃত অধ্যাপকদের কেউ কেউ পুলিশের মারধর, হয়রানি ও হেনস্তার শিকারও হয়েছেন।

গত ১৭ এপ্রিল নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভের সূচনা করেন। বিক্ষোভ থেকে তারা গাজায় যুদ্ধ বন্ধ, ইসরায়েল সরকার ও ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক ছিন্নসহ বেশ কিছু দাবি জানান।

পরে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশটির দেড় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এছাড়া ইউরোপের অন্তত ১২টি দেশেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন। এই সময়ে আমেরিকায় আড়াই হাজারের বেশি ও ইউরোপে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এক শিক্ষার্থীকে আটক করতে গেলে পুলিশকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন আটলান্টার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ক্যারলিন ফলিন। এ সময় পুলিশের পাল্টা বাধার মুখে পড়েন তিনি। ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, এই নারী অধ্যাপককে মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছেন এক পুলিশ সদস্য। আটকের পর এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিক্ষোভের ভিডিও ধারণ করছিলেন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টিভ তামারি। এ সময় তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তার পর গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের মারধরে তাঁর পাঁজর ও ডান হাত ভেঙে গেছে।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্প্রতি বিক্ষোভে যোগ দেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ অধ্যাপক। সেই অধ্যাপকদের একজন গ্রায়েম ব্লেয়ার। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, গ্রেফতার হওয়ার শঙ্কা নিয়েই বিক্ষোভে যোগ দেন তিনি ও তার সহকর্মীরা। সেদিন তিনি গ্রেফতার না হলেও তার অন্তত চার সহকর্মী অধ্যাপককে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাদের শারীরিকভাবে হেনস্তাও করেন।

মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একটি সংগঠন আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রফেসরস। সংগঠনটির সেন্টার ফর দ্য ডিফেন্স অব একাডেমিক ফ্রিডমের পরিচালক আইজ্যাক কামোলা গণমাধ্যমকে বলেন, অধ্যাপকদের হাতকড়া পরিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।


আরও খবর



সাত জেলার ওপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের সাত জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ। সেটি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। তাপপ্রবাহ চলমান জেলাগুলো হচ্ছে টাঙ্গাইল, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, নীলফামারী, রাঙ্গামাটি ও ফেনী। সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদের সই করা পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগসমূহের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এ সময়ের মধ্যে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

পূর্বাভাসে আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগগুলোর দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে ওই দিনও চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় বিস্তার লাভ করতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

আজ (সোমবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী বিভাগের ঈশ্বরদীতে ৩৭ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর বিভাগের তেঁতুলিয়ায় ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে পটুয়াখালীতে। যার পরিমাণ ২০ মিলিমিটার।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




দোহারে পদ্মায় গোসলে নেমে কিশোরীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার দোহার উপজেলার মৈনট ঘাটে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয় কিশোরী জান্নাতুল (১৫)। সোমবার বিকেলে পদ্মানদী মৈনট ঘাট এলাকা থেকে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়ের শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকার আনোয়ারের মেয়ে।

জানা যায় সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে মৈনট ঘাটে গোসলে নেমে হঠাৎ ডুবে যায়।

পরে স্থানীয়রা কুতুবপুর নৌ পুলিশের সদস্যদের খবর দিলে পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয়রা প্রায় সাড়ে ছয়টার দিকে নিখোঁজ জান্নাতুলকে পানির নিচ থেকে উদ্ধার করে। পরে জান্নাতুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

কুতুবপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রুবেল মোল্লঅ জানান, পাঁচটার দিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা মৈনটঘাটে ঘটনাস্থলে যাই। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরে জান্নাতুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নিউজ ট্যাগ: মৈনট ঘাট

আরও খবর



হামাস চাইলে কালই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব : বাইডেন

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বন্দি ইসরায়েলি সব জিম্মিকে হামাস মুক্তি দিলে আগামীকাল সোমবার (১৩ মে) যুদ্ধবিরতি সম্ভব বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় শনিবার সিয়াটলে একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে এই কথা বলেছেন তিনি। খবর সিএনএনের।

বাইডেন বলেন, আমি যেমনটা বলেছি, এটি হামাসের ওপর নির্ভর করছে। যদি তারা চায় তাহলে আমরা আগামীকালই একটি যুদ্ধবিরতি করতে পারব। আর যুদ্ধবিরতি আগামীকাল থেকেই শুরু হবে।

গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ সাত মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধ শুরুর এক মাসের মাথায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত দিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও আর কোনো চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। দীর্ঘদিন যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে থাকার পর গত সপ্তাহে আলোচনায় নতুন গতি আসে। একপর্যায়ে মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজিও হয় হামাস। তবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি রাজি হলেও ইসরায়েলের টালবাহানায় শেষ পর্যন্ত কোনো চুক্তি ছাড়াই এবারের কায়রো আলোচনা শেষ হয়েছে।

গত মঙ্গলবার থেকে কায়রোতে হামাস, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের প্রতিনিধিদল বৈঠক করছে। মিসরের রাজধানীতে এই আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হলেও কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি। দুটি মিসরীয় নিরাপত্তা সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।

অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: জো বাইডেন

আরও খবর