আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন চীন সফর হবে ‘গেম চেঞ্জার’: রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন বেইজিং সফর হবে একটি গেম-চেঞ্জার, যা বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

রবিবার (২ জুন) রাতে চীনা দূতাবাসে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটি (প্রধানমন্ত্রীর সফর) হবে আরেকটি ঐতিহাসিক সফর। এটি হবে একটি গেম-চেঞ্জার। এটি একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পরবর্তী বেইজিং সফরের তারিখ জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, লেটস ওয়েট অ্যান্ড সি।

প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফর নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বর্তমানে বেইজিং সফর করছেন।

বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিআই) এবং চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি)-এর সহযোগিতায় চীনা দূতাবাস চীন-বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট: এ মিউচুয়ালি বেনিফিশিয়াল অ্যান্ড উইন উইন চয়েজ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে।

ইয়াও ওয়েন বলেন, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-চীন মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ করতে বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত বেইজিং।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি নিশ্চিত যে চীন-বাংলাদেশ এফটিএ স্বাক্ষর নিঃসন্দেহে পারস্পরিক সুবিধা এবং সহযোগিতার একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচন করবে, যা চীন-বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার একটি নতুন সোনালি যুগের সূচনা করবে।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন- আরএপিআইডি চেয়ারম্যান ডক্টর মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, বিসিসিআই মহাসচিব আল মামুন মৃধা এবং সিইএবি সভাপতি কে চাংলিয়াং।


আরও খবর



নৌকাডুবিতে ৭২ জনের প্রাণহানির পর সেই ঘাটে নির্মাণ হচ্ছে সেতু

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

রেদওয়ানুল হক মিলন, পঞ্চগড় থেকে ফিরে:

পঞ্চগড়ে বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাটে নৌকাডুবির ৭২ জনের প্রাণহানির পর নির্মাণ হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন নান্দনিক ডিজাইনের ওয়াই আকৃতির সেতু। এ সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে বোদা উপজেলার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে বিরাজ করছে আনন্দের আমেজ। নির্মাণ কাজ শেষ হলেই এ সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করতে পারবে দুই ইউনিয়নের মানুষ।

জানা গেছে, বোদা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে দুইটি ইউনিয়ন করতোয়ার অপরপ্রান্তে। একটি বড়শশী, অপরটি কালিয়াগঞ্জ। এ দুটি ইউনিয়নের বিপুল সংখ্যক মানুষের উপজেলা শহরে যেতে নদী পারাপার হতে নৌকাই ভরসা। যাতায়াত নির্বিঘ্নে করতে দীর্ঘদিন ধরেই এ উপজেলার মানুষরা দাবি করে আসছেন করতোয়া নদীর এই ঘাটে সেতু নির্মাণের।

গত ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসব দূর্গাপূজার আগে মহালয়ায় অংশ নিতে বড়শশী ইউনিয়নের বোদেশ্বরী শক্তিপীঠ মন্দিরে যেতে মাড়েয়া ঘাটে একটি সেলো ইঞ্জিন চালিত নৌকায় উঠেছিলেন ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী। এতে করে নৌকাটি মাঝপথে গিয়ে ডুবে গেলে প্রাণহানি ঘটে নারী-শিশুসহ ৭২ জনের। নৌকাডুবির এ ঘটনার পর মাড়েয়া ঘাটে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক রেলপথমন্ত্রী এডভোকেট মো.নুরুল ইসলাম সুজন (এমপি) সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন।

সেই প্রতিশ্রুতির দুই বছরের মাথায় মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়াঘাটে ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে গত বছর ১৮ অক্টোবর ৮৯১ মিটার পিসি গার্ডার ওয়াই আকৃতির সেতুর ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন সাবেক রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। এর মধ্য দিয়ে ৩১ ডিসেম্বর থেকে নদীর ওপর দৃশ্যমান হয় সেতু নির্মাণ। সেতু নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছে শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টরা।

বর্তমানে সেতুর ২৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পঞ্চগড় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)। সেতুটির শুরুর অংশ মাড়েয়ার দিকে থাকবে এবং অপর দুই অংশের একটি বড়শশী ও অপরটি কালিয়াগঞ্জের দিকে থাকবে।

স্থানীয়রা বলছেন, সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে ভাগ্য খুলে যাবে। দুটি ইউনিয়নের মানুষদের শহরে যেতে নদী পার হতে ভরসা করতে হয় নৌকার। এতে করে ঘাটে নৌকা পার হতে যেমন বিরম্বনায় পড়তে হয় তেমনি দীর্ঘকাল ধরে ভোগান্তি নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে তাদের। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া দুটি ইউনিয়নের মানুষ নদীর তিনপারের মানুষ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে একই সঙ্গে চলাচল করতে পারবেন। এর আগে তারা যাতায়াত ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় কৃষি ও চিকিৎসাসেবা থেকে শুরু করে শিক্ষাসহ সব সেবা থেকে পিছিয়ে রয়েছেন। এ সেতু নির্মাণের ফলে তারা কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থায় সহজীকরণে তারা অনেক সুফল ভোগ করবেন। এ সেতু বাস্তবায়ন হচ্ছে আউলিয়াঘাটে নৌকা ডুবিতে প্রায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু দিয়ে।

এই আউলিয়া ঘাটেই নৌকা ডুবিতে দুই স্বজন হারানো চন্দ্র্রমোহন বর্মন বলেন, সেদিন মহালয়ায় যাওয়ার সময় নৌকা ডুবিতে ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আমার ভাতিজা ও তার স্ত্রী তিন সন্তান রেখে নৌকা ডুবিতে মারা গেছে। তা ভুলতে পারছি না। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এই মাড়েয়া ঘাটে করতোয়া নদীতে ব্রীজ নির্মাণের জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলাম। অবশেষে নৌকা ডুবির ঘটনার পর সেতুটি নির্মান হচ্ছে।

সেতু নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এনডিই লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো.ওয়াসিম জানান, সেতু নির্মাণের কাজ হাই লেভেলে চলছে। ইতিমধ্যে আমাদের ৩০ শতাংশের বেশি কাজ এগিয়েছে।

পঞ্চগড় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ জামান সাংবাদিকদের বলেন, সেতুটি দ্রুত নির্মাণে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের ওয়াই আকৃতির সেতু নির্মাণের কাজ দৃশ্যমান হয়েছে। সেতুর মাঝ পথ থেকে দুই অংশে বিভক্ত হয়েছে। এক অংশ ৫৪৫ মিটার, আরেক অংশ হবে ৩৪৫ মিটার দৈর্ঘ্য। আশা করছি আগামী দুবছরের মধ্যেই কাজ সমাপ্ত হবে।

এদিকে আউলিয়ার ঘাটে নৌকাডুবির ঘটনায় নৌ অধিদপ্তরের দায়ের করা মামলায় ঘাট ইজারাদার আবদুল জব্বার (৫৮) ও নৌকার মাঝি বাচ্চু মিয়াকে (৫২) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তাঁরা কারাগারে আছেন। এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নৌ অধিদপ্তরের মুখ্য পরিদর্শক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) আদালত-২ও ভারপ্রাপ্ত নৌ আদালতে আউলিয়ার ঘাটে নৌকাডুবির ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।


আরও খবর



বিশ্বকাপ মিশন শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

গত ২৪ জুন আফগানিস্তানের কাছে হেরে সুপার এইট থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। এরপর কিছুদিন ক্যারিবীয় দীপপুঞ্জে কাটানোর পর শুক্রবার (২৮ জুন) দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল।

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কাকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হারিয়ে যাত্রা শুরু করে তারা। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হেরে যায় শান্তর দল। তবে গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ও নেপালকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো শেষ আটে জায়গা করে নেয় টাইগাররা।

তবে শেষ আটে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হেরে যায় শান্ত বাহিনীরা। এরপর ভারতের কাছেও হারে বাংলাদেশ। তবে দুই ম্যাচ হেরেও সেমিতে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। শেষ আটে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল টাইগাররা। তবে নাটকীয় সেই ম্যাচ হেরে শেষ আট থেকেই বিদায় নেয় শান্তর দল।

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলিং নিয়ে সাবেকরা প্রশংসা করলেও ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা করেছেন সকলে। ব্যাট হাতে কেউ এবারের বিশ্বকাপে জ্বলে উঠতে পারেনি। সবাইকে হতাশ করেছেন সাকিব-শান্তরা। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহও ছিলেন অনুজ্জ্বল।

তবুও তাদের মাঝে নিজেকে মেলে ধরেছেন তাওহীদ হৃদয়। আর বল হাতে তো সবার সুনাম কুড়িয়েছেন তানজিম সাকিব ও রিশাদ হোসেন। মুস্তাফিজ, তাসকিনরাও নিজেদের ছন্দেই ছিলেন।


আরও খবর



চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সাথে সিডিএ চেয়ারম্যানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ।

সোমবার (৩ জুন) বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান চেয়ারম্যানের সাথে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলোচনা শেষে চট্টগ্রামের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, স্টাফ অফিসার টু ডিসি মো: ফাহমুন নবী এবং সিডিএ এর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শামীম (নির্মাণ বিভাগ-২) ও নির্বাহী প্রকৌশলী রাজীব দাশ (আই.পি)।


আরও খবর



সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থায় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে ঘোষিত প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ৩৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

কর্মসূচি অনুযায়ী আজ (সোমবার) সকাল থেকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে নিজেদের বিরত রেখেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

সারা দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এতে একাত্মতা ঘোষণা করে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। সরকারের কাছে আমরা তিনটি দাবি জানিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।

শিক্ষকরা বলছেন, বৈষম্যমূলক ও মর্যাদাহানিকর প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলবে।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের মহাসচিব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে আজ থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেছি। সারা দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এতে একাত্মতা ঘোষণা করে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। সরকারের কাছে আমরা তিনটি দাবি জানিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।

প্রসঙ্গত, গত ২০ মে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। তার ধারাবাহিকতায় ২৬ মে বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এরপর ২৮ মে দুই ঘণ্টা  এবং ২৫-২৭ জুন তিনদিন সারা দেশে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। পরবর্তীতে গতকাল ৩০ জুন পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করা হয় এবং আজ থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু হয়।

শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে স্থবিরতা নেমে এসেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষা-কার্যক্রমে। শিক্ষকরা আহ্বান না করায় শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে না ক্লাসে, হচ্ছে না কোনো পরীক্ষা। একাডেমিক ব্যস্ততার জায়গাগুলোতে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে একাডেমিক ভবনগুলো খুললেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে দেখা যায়নি। অধিকাংশ শ্রেণিকক্ষ ও পরীক্ষা কক্ষগুলো তালাবদ্ধ রয়েছে। কর্মচারীরা এলেও তারা অলস সময় পার করছেন।

শিক্ষক সমিতির গতকালের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক পূর্ণদিবস কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হবে।‌

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পিজিডি প্রোগ্রামের সকল কার্যক্রম ও ক্লাস বন্ধ থাকবে, সকল প্রকার পরীক্ষা বর্জন করা হবে, ডিন অফিস, চেয়ারম্যান অফিস, সেমিনার বন্ধ থাকবে, প্রশ্নপত্র মডারেশন, নিয়োগ ও সিলেকশন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে না, ইন্সটিটিউটের সকল কার্যক্রম- অফিস, ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ থাকবে, বিভিন্ন গবেষণামূলক কার্যক্রম, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপ বন্ধ থাকবে।‌ এছাড়াও গ্রন্থাগার অফিস ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পাঠক সেবা বন্ধ থাকবে।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশন ঘোষিত কর্মসূচির সাথে সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ সর্বাত্মক পূর্ণদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচির রূপরেখা প্রণয়ন করে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের সম্মান ও আত্মমর্যাদা রক্ষিত হবে বলে দাবি করেছেন তারা।


আরও খবর



রাবিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

সরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল বাতিল এবং সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৩০ জুন) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে এ দাবি জানান তারা। এ ছাড়াও সরকারি চাকরিতে বা জীবনে একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবে কোটাধারী শিক্ষার্থীরা এমন দাবিও জানান তারা।

'দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটা হোক অবসান', 'জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে',' ছাত্র সমাজ ভাই ভাই, কোটা ছাড়া চাকরি চাই', 'অন্যায় কোটায় নিয়োগ পেলে, দুর্নীতি বাড়ে প্রশাসনে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে, লড়াই করো একসাথে','৭১র হাতিয়ার, গর্জে উঠো আরেকবার' এসময় এমনসব কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয় তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শফিকুর ইসলাম বলেন, হাইকোর্টের এ রায় হচ্ছে যুক্তিহীন ও বৈষম্যমূলক। কানাডায় কোনো কোটা পদ্ধতি নেই, মাত্র ৫% কোটা আছে পাশের দেশ চীন ও ভারতে। বাংলাদেশের এতো উন্নয়নশীল দেশ হয়েও ৫৬% কোটা দিচ্ছে যা চরম বৈষম্য। আমরা দ্রুত কোটা সংস্কার চাই।

বায়োকেমেস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম রেজা বলেন, "কোটা বাতিল হোক এমনটা আমরা চাইনা। কারণ কোটার বিষয়ে সংবিধানো উল্লেখ রয়েছে। তেমনি সংবিধানে এটাও উল্লেখ রয়েছে যে, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা থাকবে। সমাজের দৃষ্টিতে যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নয় তাদেরকে কোটার আওতাভুক্ত করা সংবিধান বহির্ভূত। আমরা চাই অতিদ্রুত কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আমান উল্লাহ খান বলেন, "আমরা কোটা সংস্কার না, কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। আমরা দুই দফা দাবি আদায়ে এ আন্দোলনে নেমেছি। প্রথমত, একটি প্যানেল গঠনের মাধ্যমে ৫৬ শতাংশ কোটা থেকে সংস্কার করে ১০ শতাংশ কোটা রাখার দাবি জানাচ্ছি। দ্বিতীয়ত, কোটাধারী শিক্ষার্থীরা জীবনে একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবে। একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রে কোটা ব্যবহার করলে চাকরিতে আর কোটা ব্যবহার করতে পারবে না। কোটায় যদি কোনো যোগ্য পার্থী না পাওয়া যায় তাহলে মেধা দিয়ে তা পূর্ণ করতে হবে। আমাদের এ দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কোটা আন্দোলন চলমান থাকবে।"

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এ অবস্থান কর্মসূচিতে অবস্থান নেন।


আরও খবর