মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত কেন্দ্র করে সীমান্ত পরিস্তিতি বিবেচনায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের একটি স্কুলে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন করা হতে পারে। পরিবর্তন হলে পাশের আরেকটি স্কুলে কেন্দ্র স্থানান্তর করা হবে। সার্বিক পরিস্থিতি জানানো হয়েছে শিক্ষা বোর্ডকে। তারা এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
ঘুমধুম ইউনিয়নে সীমান্তঘেঁষা ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসির পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এবার এই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ৫০২ জন। তাদের মধ্যে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ১৫৯ জন। বাকিরা কক্সবাজারের বালুখালী ও কুতুপালংয়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। সীমান্ত পরিস্থিত বিবেচনা করে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা কেন্দ্র স্থানান্তর হতে পারে উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল (শনিবার) কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শান্তনু কুমার দাশ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) উম্মে কুলসুম। তারা চিঠি দিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন।
ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ খায়রুল বশর বলেন, পরীক্ষা যেহেতু নিতে হবে সেজন্য উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্র স্থাপনের জন্য বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করছি। সেখানে কেন্দ্র হস্তান্তর করার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের অনুমোদন প্রয়োজন। বিষয়টি তাদেরকে জানানো হয়েছে।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলা প্রথম পত্রের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবারের এসএসসি পরীক্ষা। শেষ হবে ১২ মার্চ। ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষার সময়ও সীমান্তে সংঘর্ষ ছিল। সে সময় কেন্দ্রটি কক্সবাজার জেলার উখিয়া কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
নাইক্ষ্যংছড়ির ইউএনও শান্তনু কুমার দাশ বলেন, পরীক্ষাকেন্দ্রটি বাতিল কিংবা বিকল্প কেন্দ্র করা হয়নি। আগের পরীক্ষা কেন্দ্র বহাল আছে। সার্বিক পরিস্থিতি জানিয়ে শিক্ষা বোর্ডে চিঠি দিয়েছি। বোর্ড বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।