আজঃ বুধবার ২৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

পশ্চিমবঙ্গের ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়ালো ১৫ জনে

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জন হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে ফাঁসিদেওয়া রাঙ্গাপানি স্টেশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনটিতে ধাক্কা দেওয়া মালগাড়ি চালক ও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ডসহ ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৩০-৪০ জন। আহতদের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কয়েক দিন ধরেই উত্তরবঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি চলছে। এই বৃষ্টির মধ্যেই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে সোমবার সকালে নির্ধারিত সময়ে রওয়ানা দিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। নীচবাড়ি ও রাঙামাটি স্টেশনের মাঝে ঢুকতেই একটি মালগাড়ি পিছন দিক থেকে ট্রেনটিকে ধাক্কা মারে। আর তাতেই এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছন দিক থেকে পরপর দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে ছিটকে পড়ে উলটে যায়। দুমড়েমুচড়ে গেছে অসংরক্ষিত কামরা। সেখানে আটকে পড়েছেন অসংখ্য যাত্রী।

এখনো কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ট্রেনটির একটি কামরা মাল গাড়ির ইঞ্জিনের উপর বিপদজনকভাবে ঝুলে আছে। সেটি দ্রুততার সঙ্গে সরানোর কাজ চলছে। তাই বিপদ এড়াতে ওই এলাকা থেকে যাত্রী ও স্থানীয়দের সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শিয়ালদহ স্টেশনে হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে।

জানা গেছে, ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে। নিহত সবার পরিবারকে ১০ লাখ রুপি ও আহতদের আড়াই লাখ রুপি ও স্বল্প আহতদের ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ড থেকেও হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই ফান্ড থেকে নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ রুপি ও আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

এদিকে, এ দুর্ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বজনহারা পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, রেল দুর্ঘটনায় যারা নিজেদের ভালোবাসার মানুষ হারিয়েছেন, সেই পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইলো। আমি প্রার্থনা করছি, আহতদের শারীরিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি হোক। উদ্ধার কার্য চলছে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ঘটনা স্থলে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে, এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন।


আরও খবর



অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন পি কে হালদার

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

মায়ের শেষকৃত্যে অংশ নিতে ১৪ দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারে অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার। প্যারোলে (অন্তর্বর্তী জামিন) মুক্তি পাচ্ছেন তার ভাই এবং এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত প্রাণেশ হালদারও।

এই মুহূর্তে তারা কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে বন্দি। সূত্র জানিয়েছে, আজ বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে তারা ছাড়া পেতে পারেন।

মায়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার জন্য মানবিক কারণে পি কে হালদার ও প্রাণেশ হালদারের পক্ষে গত সোমবার (৩ জুন) ১৫ দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না। এর বিরোধিতা করে মাত্র চারদিনের প্যারোলের দাবি জানান ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী। মঙ্গলবার ফের তার শুনানি ছিল।

এদিন দুপক্ষের আইনজীবীদের কথা শোনার পর কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিশেষ ইডি কোর্ট-১র বিচারক প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় তাদের দুই ভাইকে ১৪ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন দেন।

এ প্রসঙ্গে ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান, আদালত জানিয়ে দিয়েছেন, অভিযুক্তরা প্যারোলে মুক্তি পেলেও কলকাতা পুলিশ কমিশনারেট এবং বিধান নগর পুলিশ কমিশনারেটের এখতিয়ারের বাইরে বেরোতে পারবেন না। তারা সারাক্ষণ জেল কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে থাকবেন। ১৪ দিনের প্যারোলের মেয়াদ শেষে আগামী ১৮ জুন আদালতে এসে তাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে।

পি কে হালদারের মা প্রয়াত লীলাবতী হালদারের বিরুদ্ধেও দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন রোগে ভোগার পর গত ২৮ মে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় লীলাবতী দেবীর। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট থেকে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। আপাতত লীলাবতীর মরদেহ সংরকক্ষণ করা রয়েছে কলকাতার পিস ওয়ার্ল্ডে।

কিন্তু তার দুই সন্তান এই মামলার অন্যতম দুই অভিযুক্ত পি কে হালদার এবং প্রাণেশ কুমার হালদার কারাগারে বন্দি থাকায় এখন পর্যন্ত মায়ের সৎকার সম্ভব হয়নি। ফলে হিন্দু ধর্মমতে প্রয়াত মায়ের অন্ত্যেক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আদালতের কাছে অন্তর্বর্তী জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন অভিযুক্তদের আইনজীবী।


আরও খবর



তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপরে, পানিবন্দি ১৫ হাজার মানুষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিতে ডুবে গেছে চরাঞ্চলের রাস্তাঘাট, আবাদি জমি। বাড়ির চারপাশে পানি উঠায় দুর্ভোগে পড়েছে এসব চরাঞ্চলের মানুষ। নৌকা আর ভেলা দিয়ে যাতায়াত করছেন তারা।

শুক্রবার (২১ জুন) সকাল ৬টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও ধরলা নদীর পানি তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কুড়িগ্রাম সদর, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী এবং রাজারহাট উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্য মতে ১৫ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন সড়ক। ডুবে গেছে সবজি খেতসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, জেলায় স্বল্প মেয়াদি এই বন্যা পরিস্থিতি দু-একদিনের মধ্যে উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পানি বৃদ্ধির কারণে ৫-৬টি স্থানে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চলতি বন্যায় জেলায় প্রায় ৪৫৩ হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত হয়েছে। এরমধ্যে মরিচ,আউশ ধান,পাট,চিনা,পটল খেতসহ অন্যান্য ফসল রয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৯১ জন। উপজেলা পর্যায়ে ১৪৪ মেট্রিকটন জিআর চাল ও নগদ ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ত্রাণ হিসাবে উপ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৪০৪টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে দুর্গত মানুষ আশ্রয় নেয়া শুরু করেছেন। আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে খাদ্য সহায়তা। ৪টি স্পিড বোট ও ২টি নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে বন্যার্তদের উদ্ধারের জন্য। জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।


আরও খবর



আনার হত্যা: আ. লীগ নেতা ‘গ্যাস বাবু’ আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কলকাতায় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার শিমুল ভূঁইয়ার এক নিকটাত্মীয় আটক হয়েছেন। তার নাম কাজী কামাল আহম্মেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু

বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) রাতে ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আটক বাবু ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক।

স্থানীয়রা জানান, এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শিমুল ভুঁইয়ার নিকটাত্বীয় কাজী কামাল আহম্মেদ বাবু। আনার হত্যার ঘটনায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন উদ্দিন আটকের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রাতে ডিএমপি (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ) থেকে ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশের সদস্যরা ঝিনাইদহে এসেছিলেন। তারা বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে গেছেন। তবে কোন মামলায়, কোন বিষয়ে নিয়ে তা আমি নিশ্চিত বলতে পারছি না।


আরও খবর



বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে বিরল টানাপোড়েনে নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অস্ত্র সরবরাহ সংক্রান্ত একটি মন্তব্যকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের সঙ্গে নতুন টানাপোড়েনে জড়িয়ে পড়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গত ৭৭ বছর ধরে যে মাত্রার কূটনৈতিক সম্পর্কে আবদ্ধ দুই দেশ, তাতে এই টানাপোড়েনকে বিরল বলছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকরা।

টানাপোড়েনের শুরু চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তব্যকে ঘিরে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিও চিত্রে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে বলতে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি প্রশাসন তার দেশের জন্য পাঠানো অস্ত্র ও গোলাবারুদের চালান আটকে রেখেছে।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রসঙ্গে সংবাদিকদের বলেন, তার এমন কথাবার্তা আমাদের জন্য খুবই হতাশাজনক এবং বিরক্তিকর। হামাস এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের অন্যান্য শত্রুদের থেকে আত্মরক্ষার জন্য (ইসরায়েলকে) আমরা যে পরিমাণ সামিরক ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান করেছি এবং এখনও করছি, অন্য কোনো দেশ এমনটা করেনি।

আগের দিন বুধবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জেন পিয়েরে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, হ্যাঁ, অস্ত্র-গোলাবারুদের একটি বিশেষ চালানে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে; কিন্তু ওই চালানটি ব্যতীত অন্য কোনো চালানে তো বাধা দেওয়া হয়নি.আমরা সত্যিই বুঝতে পারছি না, তিনি আসলে কী বলতে চাইছেন।

প্রসঙ্গত, গত মে মাসের শুরুর দিকে গাজা উপত্যকার রাফায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরটিতে লাখ লাখ বেসামরিক ফিলিস্তিনি আশ্রয় নেওয়ার কারণে ইসরায়েলি বাহিনীর এই অভিযানে ঘোরতর আপত্তি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। তার সেই আপত্তি উপেক্ষা করেই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) রাফায় অভিযানের নির্দেশ দেন নেতানিয়াহু।

এদিকে নেতানিয়াহু এই নির্দেশ দেওয়ার পর ইসরায়েলের জন্য বরাদ্দ একটি মার্কিন সামরিক চালানে স্থগিতাদেশ দেন জো বাইডেন। এটি ছিল ২ হাজার পাউন্ডের বোমার চালান। রাফায় অভিযানের সময় ব্যবহারের জন্য এসব বোমা ওয়াশিংটনের কাছে চেয়েছিল ইসরায়েল।

তবে সম্প্রতিক বক্তব্যকে ঘিরে ক্যাথেরিন জেন পিয়েরে ও জন কিরবির সমালোচনাতে দমে যাননি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার কিরবির বক্তব্যের কিছুক্ষণ পর, আমি ব্যক্তিগত আক্রমণ মেনে নিতে রাজি আছি, কিন্তু তারপরও চাই যুক্তরাষ্ট্র থেকে গোলাবারুদের চালান অব্যাহত থাকুক। কারণ ইসরায়েলের অস্তিত্বরক্ষার জন্য এই গোলাবারুদ জরুরি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসরায়েল। সেই প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। গত ৭৭ বছর ধরে ইসরায়েলকে নিয়মিত আর্থিক, সামরিক, কূটনৈতিক, গোয়েন্দা ও রাজনৈতিক সমর্থন দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্ত ও ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন। এর পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। এই হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। ইসরায়েলি বাহিনীর গত আট মাসের অভিযানে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ৩৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই নিহতদের শতকরা ৫৬ ভাগই নারী ও শিশু।

এই অভিযানের শুরু থেকেই ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের কর্মকর্তারা গত আট মাসে বার বার গাজায় বেসামরিক হত্যা হ্রাসের জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তবে প্রতিবারই কোনো না কোনো অজুহাতে সেই আহ্বান এড়িয়ে গেছেন নেতানিয়াহু। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদও হয়েছে। সেই বাদানুবাদই এখন রূপ নিয়েছে টানাপোড়েনে।


আরও খবর



ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের টানা পাঁচদিনের ছুটি শেষে সরকারি অফিস, আদালত, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলছে আজ বুধবার (১৯ জুন)। ছুটি শেষ হওয়ায় ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তবে আজ ঢাকায় ফেরা মানুষের সংখ্যা কিছুটা কম।

গত ১৭ জুন সারাদেশে উদযাপিত হয় মুসলমান ধর্মালম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। ঈদ উপলক্ষে ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন নির্ধারিত হয় সরকারি ছুটি। তবে তার আগে ১৪ ও ১৫ তারিখ শুক্র, শনিবার হওয়ায় মোট পাঁচদিনের ছুটি পান চাকরিজীবীরা।

এদিকে, ছুটি কাটিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামে যাওয়া সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের অনেকেই অফিস করতে আজই ঢাকায় ফিরছেন।

রাজধানীর ধোলাইপাড়, যাত্রাবাড়ী ও সায়দাবাদ ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে ফাঁকা সড়কগুলোতে কিছুক্ষণ পর পর এসে থামছে যাত্রীবাহী গাড়ি। এসব গাড়িতে করে দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের অধিকাংশই চাকরিজীবী। একই অবস্থা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। অনেকে একা ফিরছেন, কেউ ফিরছেন পরিবার নিয়ে।

খুলনা থেকে ফেরা আতিকুল ইসলাম বলেন, পরিবার ছাড়াই ঢাকায় ফিরলাম। আজ অফিস করতে হবে তাই আমি একাই ফিরেছি। আবার বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়িতে যাবো। পরে শনিবার একসঙ্গে পরিবার নিয়ে আবার ফিরবো।

বরিশাল থেকে আসা সাইফুল মুন্সী  বলেন, আমি বাড়তি ছুটি পাইনি, তাই ফিরতে হলো। পরিবারের সঙ্গে আরেকটু সময় কাটাতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু কিছু তো করার নেই, চাকরি যেহেতু ফিরতে তো হবেই।


আরও খবর