আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

পুলিশের তদন্তে ফেঁসে যাচ্ছেন এডিসি হারুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শাহবাগ থানায় আটকে রেখে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধরের ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তে ফেঁসে যাচ্ছেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তদন্তে সেদিনের ঘটনায় তাঁর দায় খুঁজে পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

পাশাপাশি এডিসি সানজিদা আফরিন, রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক ও ছাত্রলীগের নেতারাও দায় এড়াতে পারেন না বলে মনে করেন তাঁরা। তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

আজ মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনারের কাছে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। তদন্ত কমিটি মনে করছে, এই ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ কারণে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করা হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।

৯ সেপ্টেম্বর রাতে বারডেম হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে শাহবাগ থানা হেফাজতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে।

এই ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে ডিএমপি। কমিটির সভাপতি ডিএমপি সদর দপ্তরের উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) আবু ইউসুফ। অপর দুই সদস্য হলেন রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ এবং অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ) মো. রফিকুল ইসলাম।

এই তদন্ত কমিটির ১৩ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন তদন্ত শেষ করতে না পারায় ডিএমপি কমিশনারের কাছে আরও পাঁচ দিন সময় চায় কমিটি। পরে তাদের পাঁচ দিন সময় দেওয়া হয়। গতকাল পাঁচ দিন সময় শেষ হয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, তদন্ত কমিটি কাজ শেষ করে প্রতিবেদন দেবে। তারা সময় বৃদ্ধির জন্য যেহেতু আবেদন করেনি, তাই ধারণা করছি, নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দেবে।

জানা গেছে, তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ঘটনাস্থল বারডেম হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করেছে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তদন্তে এই ঘটনার জন্য এডিসি হারুন ও সানজিদা, রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক, ছাত্রলীগের চার নেতা, শাহবাগ থানার পরিদর্শক গোলাম মোস্তফাসহ যাঁদের যতটুকু দায় পাওয়া গেছে, সেই বিষয়ে তদন্তে উল্লেখ করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, অনুসন্ধানে যাঁদের এই ঘটনায় দায় আছে, সবার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে। অনুসন্ধানের নিয়ম অনুসরণ করে আমরা পুরো বিষয়টি তদন্ত করেছি। এখানে ঘটনার শুরু থেকে গতকাল পর্যন্ত যা ঘটেছে তা উল্লেখ করা হয়েছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি। কারও দায় বাড়িয়েও বলা হয়নি।

তদন্ত কমিটি এই ঘটনার দায় অনুযায়ী জড়িত সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। তবে কোন কর্মকর্তার কী শাস্তি সুপারিশ করেছেন, তা বলেননি তিনি।


আরও খবর



সিকৃবিতে ‘ফ্যাসিস্ট ও স্বার্থান্বেষী’আখ্যা দিয়ে সমন্বয়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক কমিটিকে ফ্যাসিস্ট ও স্বার্থান্বেষী আখ্যা দিয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সিকৃবির শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী নিজেদের ফেসবুক দেয়ালে তাদের অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা দেন।

গত ৪ আগস্ট সিকৃবির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৮ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হলেও শিক্ষার্থীরা তখন থেকেই দাবি করতে থাকেন, এটি একটি স্বঘোষিত কমিটি। যার সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনও সম্পৃক্ততা নেই।

এ বিষয়ে সিকৃবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক কমিটির প্রধান সমন্বয়ক দাবি করা কৃষি অনুষদের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আজিজুল হক বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের আসলে বোঝা উচিত তারা কাদের কথায় বা প্ররোচনায় এমনটা করছে। সারা দেশের মতো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও যারা আওয়ামী স্বৈরাচারী ছিল তারাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলতেছে।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরাও এর পেছনে জড়িত। এসব স্বৈরাচাররা আবারও আমাদের আগের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞাকে চাচ্ছে। যেন আবারও ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগের নৈরাজ্য চালু হয় এবং আমাদের এই কমিটিকেও বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহ্বান করবো, তারা যা-ই করুক যেন বুঝেশুনে করে। কারো কথায় প্ররোচিত হয়ে যেন কিছু না করে।

তবে ঘোষিত এই কমিটিতে থাকা ভেটেরিনারি অনুষদের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী ও সমন্বয়ক মাহফুজা আক্তার বলেন, সরকার পতনের কয়েকদিন আগে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গ্রুপে সমন্বয়ক চেয়ে লিংক দেওয়া হয়। এর ভিত্তিতে আমি নাম দিই কিন্তু আন্দোলন শেষ হওয়ার পর সমন্বয়কদের একটি তালিকা প্রকাশিত হয়। আমার অনেক বন্ধুবান্ধব আমাকে জানায়, এই তালিকার কয়েকজন বিভিন্ন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাই গত ৭ আগস্ট আমি পদত্যাগ করি।

এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বায়োটেকনোলজি অনুষদের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তাসনিম সাকিব বলেন, সমন্বয়কদের নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছে, তখন তারা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার পরিবর্তে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আলাদা তৃতীয় পক্ষ হিসেবে বিবেচনা করছেন। যেখানে তাদের আসল কাজই হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সমন্বয় করা। আর তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে যেটি করার চেষ্টা করছেন, সেই কাজটিই একধরনের বৈষম্য। যা এই সম্পূর্ণ আন্দোলনের আদর্শের পরিপন্থি। প্রশ্ন আর ধোঁয়াশা রেখে কোনও গোষ্ঠী যদি নিজেদের সমন্বয়ক দাবি করে তাদের মতামতকে সর্বেসর্বা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে থাকে, তাহলে তাদের সচেতন শিক্ষার্থীরা বয়কট করবেই এবং হচ্ছেও তাই।

কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল আহমেদ অয়ন জানান, ক্যাম্পাসে একটি স্বঘোষিত সমন্বয়ক কমিটি দেখা গেলেও ক্যাম্পাসে আন্দোলনের সময় কোনও সমন্বয়কের কার্যক্রম লক্ষ করা যায়নি। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের বর্তমান কার্যক্রমকে ব্যক্তিস্বার্থ, নিজস্ব রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন ও উদ্দেশ্যমূলক মনে করে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ স্বার্থান্বেষী সমন্বয়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




মা হলেন দীপিকা, বাবা রণবীর

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ। প্রথম সন্তানের বাবা-মা হলেন দীপিকা পাডুকোন ও রণবীর সিং। আজ রবিবার মুম্বাইয়ের এইচ এন রিলায়েন্স হাসপাতালে ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন তিনি। দুই থেকে তিন হলেন দীপিকা-রণবীর।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানা যায়, যদিও এখনও পর্যন্ত নিজেদের পক্ষ থেকে সন্তান আগমনের আনুষ্ঠানিক খবর ঘোষণা দেননি রণবীর-দীপিকা।

এর আগে গত শুক্রবার গণেশ চতুর্থীতে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে প্রার্থনা করতে দেখা যায় রণবীরদীপিকাকে। এর পরদিন শনিবার বিকেলে মুম্বাইয়ের এক হাসপাতালে দেখা যায় এ দম্পতিকে।

অন্তঃসত্ত্বা দীপিকাকে হাসপাতালে দেখা যেতেই তার মা হওয়ার গুঞ্জন বেড়েছে। যদিও অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছিল, ২৮ সেপ্টেম্বর ভূমিষ্ঠ হতে পারে তাদের প্রথম সন্তান। কিন্তু তার অনেক আগেই হাসপাতালে হাজির তারকা জুটি। এর পরদিনই সন্তান এল দীপিকার কোলে। কিছু দিন আগেই মাতৃত্বকালীন ফটোশ্যুটে ধরা দেন দীপিকা। অভিনেত্রীর বেবিবাম্প প্রকাশ পায় সেই সব ছবিতেই।

দীপিকাকে সর্বশেষ দেখা গেছে কল্কি ২৮৯৮ এডি ছবিতে। অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন এই ছবির শুটিং করেছিলেন অভিনেত্রী। ছবিতেও এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এছাড়াও দীপাবলিতে দীপিকার পরবর্তী সিনেমা সিংহম এগেইন মুক্তি পাবে।


আরও খবর
কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানালেন টেলর সুইফট

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ভারতের সঙ্গে চলমান প্রকল্প নিয়ে কোনো সংকট নেই: অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ভারতের সঙ্গে চলমান বড় প্রকল্প নিয়ে কোনো সংকট নেই। কোনো প্রকল্পের কাজ স্থগিত হয়নি।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এরপর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ একথা বলেন।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভারত আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়সহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চলমান প্রকল্প নিয়ে কোনো সংকট নেই বলেও জানান তিনি।

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, বিজ্ঞান প্রযুক্তিসহ আরও বড় প্রকল্পে দিল্লি আগ্রহ দেখিয়েছে। বিনিয়োগের ভালো জায়গা বাংলাদেশ। এ সময় বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ভারতকে আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা-দিল্লি একসঙ্গে আগের মতোই কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় হাইকমিশনার। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে চলমান কোনো প্রকল্প স্থগিত হয়নি। বিজ্ঞান প্রযুক্তিসহ বেশ কিছু বড় প্রকল্পে কাজ করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশুগঞ্জ ও আখাউড়া সড়কের মতো কিছু প্রকল্পের ঠিকাদার ভারতে চলে গেলেও দ্রুতই ফিরে আসবে ও কাজ শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশের ঋণের অর্থ ছাড় করার বিষয়েও সমস্যা নেই। আগের মতোই এই সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেবে ভারত।


আরও খবর



রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ধস, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রাঙ্গামাটিতে টানা বর্ষণে জেলার বিভিন্ন স্থানে ২০টি স্পটে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ঘাগড়ার কলাবাগান এলাকায় পাহাড়ধসে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। পরবর্তীতে সড়ক বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সড়ক থেকে মাটি সরিয়ে যান চলাচল সচল করে।

তবে মহালছড়ি এলাকায় সড়কের ওপর পানি থাকায় বন্ধ রয়েছে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি আন্তঃজেলা যান চলাচল। জেলার কাউখালী উপজেলার ইছামতি খাল ও কাউখালী খালে পানি বেড়ে ডুবে গেছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২০টি ঘর।

এদিকে জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে বেড়াতে আসা আড়াইশো পর্যটক সাজেক ত্যাগ করতে পারেননি। কাচালং নদীর পানি বেড়ে খাগড়াছড়ি-সাজেকের একাধিক স্থানে সড়ক ডুবে যাওয়ায় পর্যটকরা গতকাল থেকে আটকা পড়েছেন।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, আপাতত সাজেকে আটকা পড়া পর্যটকদের বিকল্প উপায়ে নিয়ে যাওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আজও তাদের সাজেকে অবস্থান করতে হবে। উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি ঘটেছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হলেও রাতের বৃষ্টিতে আরও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন জানান, জেলায় ছোট-বড় কয়েকটি পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটলেও কোথাও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বাঘাইছড়িতে বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় প্রায় দুই হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া রাঙ্গামাটি সদরে পাহাড়ধসে ঝুঁকিতে আছে ১৩৬৬ মানুষ। প্রাণহানি এড়াতে ৭৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




মাঙ্কিপক্স সচেতনতায় হটলাইন চালু করল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

মধ্য ও পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়া সংক্রামক ব্যাধি মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ দেখা দিলে জানানোর পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ জন্য অধিদপ্তর দুটি টেলিফোন নম্বর দিয়েছে। নম্বর দুটি হলো- ১৬২৬৩ বা ১০৬৫৫।

আজ শনিবার (১৭ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তর এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমপক্স, মাঙ্কিপক্স ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রামক রোগ। এতে বেদনাদায়ক ফুসকুড়ি, লিম্ফ নোড (লসিকা গ্রন্থি। ঘাড়, বগল, বুক, পেট এবং কুঁচকিসহ শরীরের বেশ কিছু অংশে লিম্ফ নোডের আবাসস্থল) ফুলে যাওয়া এবং জ্বর হতে পারে। মধ্য আফ্রিকার ডি আর কংগো, বুরুন্ডি, রুয়ান্ডা, উগান্ডা, কেনিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ।

কারো শরীরে এর লক্ষ্মণ দেখা দিলে অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে, অথবা সংক্রমিত দেশ ভ্রমণের ২১ দিনের মধ্যে এই লক্ষ্মণ দেখা দিলে ১৬২৬৩ অথবা ১০৬৫৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।


আরও খবর
সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ পর্যায়ে যেতে পারে ডেঙ্গু

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪