রাজশাহী মহানগরীর
একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষে জয়নব বেগম (৪২) নামের এক নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে। নাটোর
সদর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামে এই নারীর বাড়ি। তার বাবার নাম তসির প্রামানিক। স্বামী-স্ত্রী
পরিচয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ে ‘ড্রীম হ্যাভেন’ নামের আবাসিক হোটেলে উঠেছিলেন
তিনি।
হোটেলের খাতায়
ওই নারীর নাম লেখা ছিল জুলেখা। বয়স দেওয়া ছিল ২৩ বছর। তার স্বামী হিসেবে খাতায় মো.
মিজান নাম লেখা আছে। মিজানের বয়স লেখা আছে ২৭ বছর। তাদের ঠিকানা হিসেবে শুধু লেখা আছে
গোদাগাড়ী। তবে এসব নাম-ঠিকানা ভূয়া। মৃত নারীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে আসল নাম-ঠিকানা
বের করেছে পুলিশ। তবে সঙ্গে এসে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির নাম-ঠিকানা রাতে নিশ্চিত হওয়া
যায়নি।
হোটেল কর্তৃপক্ষ
জানায়, রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে তারা হোটেলে উঠেছিলেন। চিকিৎসার জন্য তারা রাজশাহীর
গোদাগাড়ী থেকে এসেছেন বলে জানিয়েছিলেন। দুপুর দেড়টার দিকে ওই নারীর সঙ্গে থাকা ব্যক্তি
কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। ইফতারের পর দেখা যায়, ৪০৩ নম্বর কক্ষটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ,
কিন্তু ভেতরে এসি চলছে। এ সময় অনেক ডাকাডাকি করেও কোন সাড়া না পেয়ে পুলিশ ডাকা হয়।
পরে রাজপাড়া থানা পুলিশ দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বিছানায় ওই নারীর মরদেহ দেখতে পায়।
পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইমসিন ইউনিটের সদস্যরা কক্ষটি থেকে নানা
আলামত সংগ্রহ করেন।
রাজপাড়া থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওই নারীর মরদেহে কোন আঘাত দেখা যায়নি।
এমন হতে পারে যে অসুস্থ অবস্থায় এই নারী মারা যাওয়ার পর সঙ্গে আসা ব্যক্তি ভয়ে পালিয়ে
গেছেন। অথবা বালিশচাপা দিয়ে এই নারীকে হত্যাও করা হতে পারে। মৃত্যুর কারণ এখনই নিশ্চিত
করে বলা যাচ্ছে না।
ওসি জানান, মৃত নারীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে আসল নাম-ঠিকানা বের করে সেখানে পুলিশ
পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাড়িতে পৌঁছালে বোঝা যাবে তিনি কার সঙ্গে এসেছিলেন। সুরতহাল প্রতিবেদন
প্রস্তুতের পর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হবে।
এ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।