আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

সাময়িক বরখাস্ত হচ্ছেন বাবু চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি জামালপুরের সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

আজ রোববার এ তথ্য জানিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের (ইউনিয়ন পরিষদ অধিশাখা) যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ফজলে আজিম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ীঅভিযুক্ত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে সাময়িক বরখাস্তের কাজ চলছে। দু-একদিনের মধ্যে তাকে বরখাস্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম এক সাক্ষাৎকারে বলেন, যে পেশার হোক না কেন, যে পদধারী হোক না কেন, তিনি যদি অন্যায় করেন তাহলে রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত বাবু চেয়ারম্যান হোক বা যেই হোক না কেন, অবিচার-অন্যায় করলে তিনি শাস্তি পাবেন। আমরা সেই ব্যবস্থা নেব। আমাদের পক্ষ থেকে যা করা দরকার রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাই করব। তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিকে গত শনিবার পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম খুনের নির্দেশদাতা বাবুসহ চারজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় র‌্যাব। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়।

গত শনিবার সকালে দেবীগঞ্জ থেকে মামলার প্রধান আসামি বাবুকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গত বুধবার রাতে জামালপুরের বকশীগঞ্জ বাজারের পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার হন সাংবাদিক নাদিম। পর দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।


আরও খবর



গরম কমলে বড় আকারে আন্দোলনে নামবো: মান্না

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, গরম কমে গেলে আমরা আরও বড় আকারে আন্দোলনে নামব। দেশের মানুষের জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে।

শুক্রবার (১০ মে) প্রেস ক্লাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই আন্দোলন আওয়ামী লীগকে সরিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার আন্দোলন নয়। এ আন্দোলন হবে জিনিসপত্রের দাম কমানোর, ঋণের বোঝা কমানোর এবং বিদ্যুতের দাবি আদায়ের আন্দোলন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারকে মানি না এবং মানবোও না। শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে কোনো আপস নেই। তারা দেশের মানুষকে অসুস্থ করে নিজেদের চেহারা ভালো করেছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ এই নেতা বলেন, আগামী ৩ মাস বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি করার টাকাও এই সরকারের কাছে নেই। রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগও নেই। শুধুমাত্র বিদেশিরা ডলার দিলে এদেশ বাঁচতে পারে।

কর্মসূচিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মুয়াজ্জেব হোসেন আলাল, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দিন দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়েই চলেছে বায়ুদূষণ। মেগাসিটি ঢাকাও দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে ঢাকার বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়। অবশ্য কয়েক দিনের তীব্র গরমের পরও ঢাকার বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু বাতাসে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছেই।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১২৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৮ নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২২৬ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এছাড়া ১৬৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতারের দোহা শহর, ১৬৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের শহর চিয়াং মাই, ১৬১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরের স্কোর ১৬০।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ স্কোরকে মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন : বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। বায়ুদূষণ সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ এবং অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আজ ১৬ মে, ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ফারাক্কা ব্যারাজ অভিমুখে লংমার্চ কোরে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাড়া ফেলে দেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এমন সোচ্চার জনমত ফারাক্কা লংমার্চের আগেও দেখা যায়নি, পরেও নয়। ৯৫ বছরের শারীরিক অসুস্থতা বা রাজনৈতিক চাপ, দমাতে পারেনি লংমার্চের প্রধান নেতা ও সংগঠক মাওলানা ভাসানীকে।

গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে পাকিস্তান আমলে ১৯৫২ সাল থেকে। তখন থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেয়নি, ফলে ভারত তার-মতো কাজ করে গেছে। একবারই তারা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে যখন ভাসানী ফারাক্কা লংমার্চ করে।

তিস্তা ব্যারেজ দিয়ে ভারত ১৯৭৫ এ পরীক্ষামূলক অল্প কদিনের কথা বলে পানি প্রত্যাহার শুরু করে, পরবর্তীতে তা আর বন্ধ হয়নি। ফল হয়েছে ৪৮ বছর ধরে ফারাক্কা ব্যারাজের প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পানির হাহাকার।

অবশ্য ১১২ ডিসেম্বর ভারতের গঙ্গা নদীর পানি ভাগাভাগির নিয়ে ঢাকা ও নয়াদিল্লীর মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি হয়। যা কিছুটা হলেও প্রাপ্য পানি নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখছে। তবে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আর দু'বছর পর। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশকে প্রতিবছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেবে ভারত।

ফারাক্কা ব্যারাজের মাধ্যমে নদীর পানি সরানোয় শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের মালদহ, মুর্শিদাবাদসহ আরও উজানে বিহার ও উত্তরপ্রদেশে আকস্মিক বন্যা, নদী ভাঙনে প্রতিবছর ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে বহু মানুষ।


আরও খবর



ভোটের আগের দিন বাগেরহাটের দুই ওসি প্রত্যাহার

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটে ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি স্বপন রায় ও ফকিরহাট থানার ওসি আশরাফুল আলমকে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।

সোমবার (২০ মে) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মিজানুর রহমান স্বাক্ষতির এক পত্রে এই আদেশ দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট মডেল থানার ওসি আশরাফুল আলম এবং বাগেরহাট জেলার ডিবির ওসি স্বপন রায়কে খুলনা রেঞ্জে সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে।

ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার স্থলে নতুন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিতেও নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্ত্রীপরিষদ সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক ছাড়াও নির্বাচন কমিশনের ওই চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার ও নির্বাচন কর্মকর্তাকেও।

এর আগে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি রাতের আঁধারে কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ ওয়াহিদুজ্জামান (বাবু)।

দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে শেখ ওয়াহিদুজ্জামান রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগে শেখ ওয়াহিদুজ্জামান উল্লেখ করেন, শনিবার (১৮ মে) গভীর রাতে ফকিরহাট মডেল থানার ওসি আশরাফুল আলম ও জেলা ডিবির ওসি স্বপন রায় তাঁর একনিষ্ঠ তিন কর্মীর বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।

দুই পুলিশ কর্মকর্তা মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রতিপক্ষ প্রার্থীর আনারস প্রতীকের পক্ষে কাজ করার অথবা বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এতে কর্মীদের পরিবারের সদস্য এবং নিজ নিজ এলাকার সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও নিরপেক্ষ ভোট প্রদানে প্রভাব পড়েছে বলে জানান অভিযোগকারী।

চিঠি পাওয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমান বলেন, ওই দুই ওসিকে প্রত্যাহার করে রেঞ্জ কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।


আরও খবর



শুক্রবার নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে বিএনপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি পাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

আগামীকাল শুক্রবার (১০ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। তবে বিএনপিকে মানতে হবে কিছু শর্ত।

সমাবেশের অনুমতি নিতে বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির তিন নেতা। তিন সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু।

প্রায় পৌনে একঘণ্টা পর বাইরে বেরিয়ে এসে শুক্রবারের (১০ মে) সমাবেশের ব্যাপারে পুলিশের মনোভাব পজিটিভ বলে জানান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম।

তিনি বলেন, আমরা আগেই এই সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম। তবে তাপপ্রবাহের কারণে সেটি পিছিয়ে আগামীকাল শুক্রবার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশ ও মিছিল করা হবে।

সমাবেশের ব্যাপারে পুলিশের মনোভাব পজিটিভ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা বলেছেন, আজ বিকেলের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবেন। যেহেতু শুক্রবার ট্রাফিক সংক্রান্ত কোনো ইস্যু নেই, তাই আমরা প্রত্যাশা করছি তাদের সহযোগিতা পাব।

বিএনপি শুক্রবার সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে কি না জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কখনো বাধা দিই না। রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচি করবে এটিই স্বাভাবিক। তবে সেই রাজনৈতিক কর্মসূচি যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে সেজন্য আমরা কিছু শর্ত আরোপ করে থাকি।

খ. মহিদ বলেন, বিএনপিকে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি যাতে না হয় সে ব্যাপারে বলা হয়েছে। তাদের সমাবেশের অনুমতির বিষয়টি ডিএমপি ইতিবাচকভাবে দেখছে।

জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করা, রাস্তার একপাশে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখাসহ কিছু শর্তসাপেক্ষে সমাবেশের অনুমতি পাবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর