সারা দেশে অভিযান চালিয়ে গত দুদিনে বহু অনিবন্ধিত ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার কুষ্টিয়া, চাঁদপুর ফরিদপুর, নাটোর, নোয়াখালী ও ভোলা জেলার স্থানীয় প্রশাসন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) নির্দেশনা অনুসরণ করে অনেক অনিবন্ধিত ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ফরিদপুরের পাঁচ উপজেলায় ২০টি, নোয়াখালীতে নয়টি, নাটোরে সাতটি, কুষ্টিয়ায় পাঁচটি, চাঁদপুরে চারটি এবং ভোলায় একটি উপজেলায় সিলগালা করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সারা দেশে সব অনিবন্ধিত ক্লিনিক, প্রাইভেট হাসপাতাল
এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়।
লাইসেন্স না
পাওয়া পর্যন্ত কোনো ক্লিনিক, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে তাদের কার্যক্রম
চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
ফরিদপুর জেলার
সিভিল সার্জন ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের একটি দল ফরিদপুর
সদর উপজেলায় দুটি, সালথা উপজেলায় তিনটি, মধুখালী ও বোয়ালমারী উপজেলায় সাতটি এবং
সদরপুর উপজেলায় একটি করে ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়।
নাটোর স্বাস্থ্যসেবা
বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে সেন্ট্রাল ল্যাব ডায়াগনস্টিক, পদ্মা ক্লিনিক,
ফাইম ডায়াগনস্টিক, বরাত ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ক্লিনিক, হেলথকেয়ার ডায়াগনস্টিক, তামান্না
ডায়াগনস্টিক ও মদিনা চক্ষু হাসপাতাল সিলগালা করা হয়।
এদিকে, কুষ্টিয়ার
সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, নির্দেশনা অনুযায়ী কুমারখালী উপজেলার
পাঁচটি অবৈধ প্রাইভেট ক্লিনিক বন্ধ ও অন্যটিকে সতর্ক করা হয়েছে। বন্ধ হওয়া ক্লিনিকগুলো
হলো—প্রতীক
আধুনিক ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্রদীপ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার,
বিশ্ব ডেন্টাল কেয়ার, শিমুল ডেন্টাল কেয়ার এবং কুমারখালী ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন।
এ ছাড়া হাইমচর
উপজেলায় তিনটি এবং চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায় একটি অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার
বন্ধ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.
বেলায়েত হোসেন ও ডা. গোলাম মাওলা জানান।
ভোলার নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট আলী সুজা ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে আইনি কাগজপত্র ও লাইসেন্স
দিতে না পারায় আব্দুল খালেক মেমোরিয়াল হাসপাতাল সিলগালা করে দেন।
এদিকে,নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় অনিবন্ধিত ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে প্রশাসন। অভিযানে এ পর্যন্ত নয়টি ক্লিনিক বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া অপরিচ্ছন্নতার জন্য আরও কয়েকটি ক্লিনিককে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়া নিবন্ধন না থাকায় সাভার ও ধামরাইয়ে একটি হাসপাতাল ও তিনটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।