আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

শিশু ওয়াসিম হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

মীরসরাই থানার আলোচিত শিশু কাজী মশিউর রহমান ওয়াসিম হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (৯ জুন) চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ মো.রবিউল আউয়ালের আদালত এই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলো কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব। এ মামলায় কাজী ইকবাল হোসেন বিপ্লব নামে অন্য একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ২২ নভেম্বর বিকেল মিরসরাই উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের ভূঁইয়া তালুক কাজী বাড়ির পূর্বপাশের ছনখোলায় আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব ৫ বছর বয়সী শিশু ওয়াসিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। সিগারেটের আগুনে ছ্যাঁকা দিয়ে শিশুটির মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। আসামি বাড়িতে এসে তার পরিবারকে ঘটনা খুলে বলে। ওই রাতে আসামির পরিবারের সদস্যরা ছনখোলা থেকে শিশুর মরদেহ বস্তাবন্দি করে পাশের ধানক্ষেতে ফেলে দেয়। শিশু ওয়াসিমকে না পেয়ে চাচা কাজী একরামুল হক মিরসরাই থানায় ২৩ নভেম্বর সাধারণ ডায়েরি করেন। সেদিন শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ পাশের ধানক্ষেতে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করেন। ছনখোলা থেকে আসামির মোবাইল ও শিশুর স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়। শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর মিরসরাই থানায় ওয়াসিমের চাচা মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালীন সময়ে আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব হত্যার দায় স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করলে ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি  আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব, তার ভাই কাজী ইকবাল হোসেন বিপ্লব, বাবা ফজলুল কবির প্রকাশ হরমুজ মিয়া ও মা নুর জাহানের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৩০২ ও ২০১ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালীন আসামি ফজলুল কবির ও আসামি নুর জাহান বেগম মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যু বরণ করাই দুই আসামিকে মামলা থেকে অব্যহাতি দেন আদালত।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে ওয়াসিম হত্যা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লবকে মৃত্যুদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামি রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন, পরে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় কাজী ইকবাল হোসেন বিপ্লব নামে এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

ওয়াসিম হত্যার বিচারের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের পিতা মোশারফ হোসেন বাবুল।


আরও খবর



স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সৃষ্টি: কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন, অঙ্গীকার ও শপথ সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সৃষ্টি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রবিবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ এই দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীনতম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। আমরা এক কথায় বলতে পারি, সংগ্রাম, সাফল্য ও সংস্কৃতির বর্ণিল প্রতিভাসের নাম আওয়ামী লীগ। দুটি পর্বে আমাদের এই সংগ্রাম, আন্দোলন, অর্জন উন্নয়নকে যদি ভাগ করি একটি অংশে স্বাধীনতা। স্বাধীনতার অবিসংবাদিত নেতা কেন্দ্রাতীত শক্তি হচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পলাশীতে যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল ১৯৪৯ সালে সে সূর্য আবার উদিত হয়েছিল। উদিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন, অঙ্গীকার ও শপথকে সামনে রেখে।

তিনি বলেন, জনগণের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়ে প্রতিরোধের দাবানল ছড়িয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনার নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আমরা মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে জীবনের জয়গান গাই। আমরা ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা উড়াই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সংগ্রাম, আন্দোলন মুক্তি সব কিছুর কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার হাতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এর পর একাত্তরের ৭ মার্চ যা বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম স্বাধীনতা বিজয়ী আমরা হয়েছি কিন্তু আমাদের মুক্তির স্বপ্ন তখনো বাস্তবায়িত হয়নি। বঙ্গবন্ধুর হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তির যে সংগ্রাম তা ব্যাহত হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে জিয়াউর রহমান নিঃশেষ করে দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার আদর্শ সব কিছুই আঘাতে আঘাতে জর্জরিত। ঐতিহাসিক ৭ জুন ছিল না, ৭ মার্চ ছিল না। বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিষিদ্ধ। জয়বাংলা ছিল নিষিদ্ধ। তখন মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ঘুরে বেড়াতো বুক ফুলিয়ে জিয়াউর রহমানের আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে। কারাগারে চার নেতার হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়ার পরে এরশাদ, এরশাদের পর বেগম খালেদা জিয়া একুশ বছর ধরে আমরা অন্ধকারে ছিলাম। একুশ বছর ধরে আমাদের গণতন্ত্র ছিল নির্বাসনে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। বিজয় ও স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বিজয়ের নায়ক, স্বাধীনতার স্থপতিকে বাদ দিয়ে উদযাপন করা হতো।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার ছয় বছর পর শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অন্ধকারে আশার আলো হয়ে এসেছিল। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। তিনি এসেছিলেন বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনরুত্থান হয়েছে। গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল স্বাধীনতার আদর্শের প্রত্যাবর্তন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অর্জন বাংলাদেশের জন্য সারা পৃথিবীতে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় রচনা করেছেন। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বব্যাংককে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন আমরাও পারি। আমাদের সামর্থ্যের প্রতীক, আমাদের সক্ষমতার প্রতীক এই পদ্মা সেতু নিজের টাকায় করেছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পায়রা সমুদ্রবন্দর, মাতারবারি গভীর সমুদ্র বন্দর, স্যাটেলাইট, ৬৮ বছরের সীমান্ত সমস্যা, ছিটমহল সমস্যার সমাধান এসব অর্জন বঙ্গবন্ধুর কন্যার।

আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরে অর্জন কী, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের অর্জনের কথা আমরা বলবো না। ৭৫ বছরে আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে, আমরা আমাদের রক্তের মূল্যে অর্জিত বিজয়কে সুসংহত করবো। আমাদের চলার পথে প্রধান বাধা বিএনপি, মুক্তিযুদ্ধের নামে এরা ভাওতাবাজি করে। আমাদের সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী শক্তি আমাদের অভিন্ন শত্রু। এই অভিন্ন শত্রু বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। আমাদের আজকে শপথ এই অভিন্ন শক্তিকে পরাজিত করতে হবে। পরাভূত করতে হবে। আমাদের বিজয়কে আমরা সুসংহত করবো। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার অভিমুখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ করবো।

প্রধানমন্ত্রীর দিল্লির সফর নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী যা নিয়ে এসেছেন সেটা নিয়ে এখনো বিশ্লেষণ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী দিল্লি গিয়ে গঙ্গার পানির কথা ভুলে যাননি। বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে এখানে যা বলার দরকার কোনো কিছু বলতে সংকোচ করেননি। ভুলে যাননি।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন চীন সফর হবে ‘গেম চেঞ্জার’: রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন বেইজিং সফর হবে একটি গেম-চেঞ্জার, যা বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

রবিবার (২ জুন) রাতে চীনা দূতাবাসে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটি (প্রধানমন্ত্রীর সফর) হবে আরেকটি ঐতিহাসিক সফর। এটি হবে একটি গেম-চেঞ্জার। এটি একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পরবর্তী বেইজিং সফরের তারিখ জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, লেটস ওয়েট অ্যান্ড সি।

প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফর নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বর্তমানে বেইজিং সফর করছেন।

বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিআই) এবং চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি)-এর সহযোগিতায় চীনা দূতাবাস চীন-বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট: এ মিউচুয়ালি বেনিফিশিয়াল অ্যান্ড উইন উইন চয়েজ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে।

ইয়াও ওয়েন বলেন, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-চীন মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ করতে বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত বেইজিং।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি নিশ্চিত যে চীন-বাংলাদেশ এফটিএ স্বাক্ষর নিঃসন্দেহে পারস্পরিক সুবিধা এবং সহযোগিতার একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচন করবে, যা চীন-বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার একটি নতুন সোনালি যুগের সূচনা করবে।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন- আরএপিআইডি চেয়ারম্যান ডক্টর মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, বিসিসিআই মহাসচিব আল মামুন মৃধা এবং সিইএবি সভাপতি কে চাংলিয়াং।


আরও খবর



এইচএসসির প্রবেশপত্র পাওয়ার তারিখ প্রকাশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রবেশপত্র আগামী ১০ জুন দেওয়া শুরু হবে, শেষ হবে ১১ জুন। এই প্রবেশপত্র কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে বিতরণ করবে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এক চিঠিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র উল্লিখিত সময়সূচি অনুযায়ী বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শাখা থেকে বিতরণ করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজে অথবা তার প্রাধিকারপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষককে (স্বাক্ষর সত্যায়িতসহ) কেন্দ্রের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশপত্র অফিস চলাকালীন গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

কোনো অবস্থায়ই শিক্ষক ছাড়া অন্য ব্যক্তিকে প্রবেশপত্র গ্রহণ করার ক্ষমতা দেওয়া যাবে না। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হলে আবেদনপত্রে গভর্নিং বডির সভাপতি-জেলা প্রশাসক-উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিস্বাক্ষর থাকতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলায় ১০ জুন এবং ঢাকা মহানগর, ঢাকা জেলা, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ জেলায় ১১ জুন প্রবেশপত্র বিতরণ করা হবে। আর প্রবেশপত্রে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধনের জন্য অবশ্যই ২৩ থেকে ২৭ জুনের মধ্যে উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে নির্ধারিত ছক অনুযায়ী আবেদন করে ঠিক করে নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ জুন শুরু হবে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এরইমধ্যে পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে শিক্ষা বোর্ড।


আরও খবর



দুদকে দেওয়া চিঠিতে বেনজীরের নতুন আবদার

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অতিরিক্ত সময় দেওয়ার পরেও নির্ধারিত সময়ে (২৩ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হননি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। তবে আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন তিনি। সেখানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন বেনজীর। যদিও দুদক তার আবদার নাকচ করে দিয়েছে।

সূত্র জানায়, গত ২১ জুন দুদক চেয়ারম্যান বরাবর একটি চিঠি দিয়েছিলেন বেনজীর। সেখানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তিনি। পাশাপাশি ক্রোক ও ফ্রিজ করা সম্পদ সম্পূর্ণ বৈধ বলে দাবি করেন বেনজীর।

বেনজীরের চিঠির বিষয়ে রোববার (২৩ জুন) দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন সাংবাদিকদের জানান, আইনজীবীর মাধ্যমে গত ২১ জুন দুদক চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন বেনজীর। সেখানে তিনিসহ তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের সম্পদ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে, চিঠিতে তিনি নিজের অবস্থান জানাননি।

বেনজীরের চিঠির বক্তব্য গ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ অনুসন্ধান টিমের এখতিয়ার। তারা স্বাধীনভাবে অনুসন্ধান করছেন। তার বক্তব্য গ্রহণ করা যায় কি না এটা অনুসন্ধান টিম সিদ্ধান্ত নেবে। টিম যে সুপারিশ করবে, তার ভিত্তিতে দুদক সিদ্ধান্ত নেবে।

খোরশেদা ইয়াসমীন আরও বলেছেন, বেনজীরের অনুরোধে তাকে আরও ১৬ দিন অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও তিনি দুদকে আসেননি। তাকে আর সময় দেওয়া হবে না, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, বেনজীরের স্ত্রী ও দুই মেয়েকে আজ (সোমবার) দুদকে হাজির হতে বলা হলেও তারাও আসেননি। সকাল ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বিকেল আড়াইটা পর্যন্ত তারা দুদকে যাননি।

যদিও এ বিষয়ে দুদক সচিব রোববার বলেছিলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বেনজীরের স্ত্রী ও কন্যারা উপস্থিত না হলে তাদের বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে, গত ২৮ মে বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠানো হয়। এতে বেনজীরকে ৬ জুন এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের ৯ জুন দুদকে হাজির হতে বলা হয়। পরে গত পাঁচ জুন আইনজীবীর মাধ্যমে দুদকে হাজির হতে আরও সময় চান বেনজীর। সেই হিসেবে বেনজীরকে ২৩ জুন এবং তার স্ত্রী ও দুই কন্যাকে ২৪ জুন দুদকে হাজির হতে বলা হয়।

বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি এবং ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত র‌্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন বেনজীর। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

বেনজীর পরিবারের সম্পদের অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে দুদক। এখন পর্যন্ত যেসব সম্পদ পাওয়া গেছে, তা জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সর্বশেষ বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ঢাকায় আরও আটটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়ার কথা জানায় দুদক। এর মধ্যে ছয়টি ফ্ল্যাট ঢাকার আদাবরের একটি ভবনে। দুটি বাড্ডায়। রূপায়ন লিমিটেড স্কয়ার নামের ১৪ তলা ভবনে অবস্থিত বাড্ডার ফ্ল্যাট দুটি বাণিজ্যিক বা অফিস স্পেস।

বেনজীর পরিবারের নামে ঢাকায় মোট ১২টি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়া গেছে। এর আগে গুলশানে চারটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল।

দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন সম্প্রতি বেনজীর পরিবারের আটটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন। পাশাপাশি বেনজীর পরিবারের প্রায় ৭৬ বিঘা (২৫ একর) জমি জব্দ এবং বেসরকারি সিটিজেন টেলিভিশন ও টাইগার ক্রাফট অ্যাপারেলস লিমিটেডের শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে দুই দফায় বেনজীর ও তার পরিবারের নামে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, কক্সবাজার ও ঢাকার সাভারে থাকা ৬২১ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার এবং গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। তখন ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ৩টি বিও হিসাবও (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে বেনজীর পরিবারের নামে ৬৯৭ বিঘা জমি পাওয়া গেছে।


আরও খবর



চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে দিনব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প সম্পন্ন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য ও পরিবারের জন্য স্বাস্থ্যসেবার আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষায়িত ল্যাব এসপেরিয়া হেলথ কেয়ার লিমিটেডের সহযোগিতায় মঙ্গলবার দুপুরে একদিনের এ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এসপেরিয়া হেলথ কেয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান গোলাম বাকি মাসুদ।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রব, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালের (ইউএসটিসি) কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এম এ রউফ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চিকিৎসাসেবায় আমাদের দেশও পিছিয়ে নেই। বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা এখন বাংলাদেশেও পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা নিয়েছি। তারাও আমাদের দেশের ডাক্তারদের নির্দেশনার সাথে একমত পোষণ করেছেন। তবে আমাদের দেশের ল্যাবগুলোর পরীক্ষা-নীরিক্ষার মান আরো উন্নত করা দরকার। পরীক্ষা-নীরিক্ষার রিপোর্ট সঠিক পাওয়া গেলে যেকোনো রোগের চিকিৎসা বাংলাদেশের চিকিৎসকদের দ্বারা সম্ভব। এসপেরিয়া সেলক্ষ্যে কাজ করছে বলে আমি মনে করি। চিসিৎসাসেবাও ব্যবসার উর্ধে নয়। তবে সে ব্যবসায় সেবার মান নিশ্চিত করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা বলেন, নন-ট্রেডিশনাল টেস্টগুলো চট্টগ্রামের এসপেরিয়ায় হচ্ছে। যে কারণে বিদেশনির্ভরতা কমছে। মানুষের সাধ্যের মধ্যে তাদের সেবাগুলো অব্যাহত রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস। 

স্বাগত বক্তব্যে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক বলেন, চিকিৎসার জন্য বিশাল অংক দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। আমাদের দেশে ভালো চিকিৎসক রয়েছেন। পাশাপাশি মানসম্পন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা গেলে এ উদ্বেগের নিরসন হবে ।

এসপেরিয়া হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান গোলাম বাকি মাসুদ বলেন, সাংবাদিকদের সেবায় এসপেরিয়ার এটি প্রথম উদ্যোগ। আগামীতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্যদের জন্য এসপেরিয়ার সেবা গ্রহণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মনজুর কাদের মনজু, অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, ক্রীড়া সম্পাদক এম সরওয়ারুল আলম সোহেল, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আল রাহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, কার্যকরী সদস্য জসীম চৌধুরী সবুজ এবং মো. আইয়ুব আলী। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর