আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

শিশুদের লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে : উপাচার্য

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, শিশুদের লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটা নিশ্চিত করতে পারলে বিদেশে যাওয়ার রোগীর প্রবণতা আরো কমে আসবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন একাধিক ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট, বড়দের লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট, নিয়মিত চোখের কর্ণিয়া প্রতিস্থাপন, বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন, টেস্টটিউব বেবীর জন্মদান, স্টেম সেল থেরাপি, নিয়মিত কিডনী প্রতিস্থাপনসহ জটিল জটিল রোগের চিকিৎসাসেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। স্বল্পমূল্যে এই সকল চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। এতে করে চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য ডলারের উপর চাপ কমছে।

আজ শনিবার শহীদ ডা. মিলন হলে আয়োজিত শিশুদের লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন ও নতুন জীবনের প্রত্যাশা ( হোপ ফর নিউ লাইফ, বিলিয়ারি এট্রেসিয়া সারভাইভরস এন্ড স্কপ অফ পেডিয়াট্রিক লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন ইন বাংলাদেশ) নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  উপাচার্য মহোদয় এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিক সার্জারি (শিশু সার্জারি) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম জাহিদ হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সুশংকর কুমার মন্ডল ও সহকারী অধ্যাপক ডা. এস এম সাইফুল ইসলাম।

সেমিনারে জানানো হয়, বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ শিশু, এই শিশুদের মধ্যে যারা নবজাতক তাদের মধ্যে একটা বৃহৎ অংশ জন্ডিসে ভোগে। পিত্ত নালীর জন্মগত ত্রুটির কারণে যে জন্ডিস হয় তার একটা বড় অংশ হয় বিলিয়ারি এট্রেসিয়ার কারণে। বিলিয়ারি এট্রেসিয়া নাম একটি জন্মগত রোগ। বিপিয়ারি অ্যাট্রেসিয়া পিত্তনালীর একটি জন্মগত রোগ যা লিভারের ভেতর এবং বাইরে বিস্তৃত থাকতে পারে।

বিলিয়ারি অ্যাট্রেসিয়া রোগে জন্মগতভাবে পিত্তনালী তৈরী হয় না।এই রোগে লিভারে উৎপাদিত পিত্তরস পিত্তনালীতে আসতে পারে না। যার যলে উৎপাদিত পিত্ত লিভারে জমা হয়ে বিভিন্ন জটিলতা তৈরী করে। পরবর্তীতে সঠিক চিকিৎসা না হলে লিভার নষ্ট হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। অতীতে বিলিয়ারি অ্যাট্রেসিয়াকে একটি দূরারোগ্য ও প্রাণঘাতি রোগ হিসাবে বিবেচনা করা হত।

কিন্তু জাপানি সার্জন ডা. মোরিও কাসাই কর্তৃক উদ্ভাবিত পদ্ধতি কাসাই পোর্টোয়েন্টরোস্টমি (Kasai Portoenterostomy ) ব্যবহার করে সারা পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ বিলিয়ারি অ্যাট্রেসিয়া আক্রান্ত শিশুর জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। বিলিয়ারি আট্রেসিয়া বেগের মূল চিকিৎসা লিভার প্রতিস্থাপন। এ রোগে আক্রান্ত শিশুদের জন্মের ৬০-৭০ দিনের মধ্যে কাসাই অপারেশন করতে পারলে লিভার নষ্ট হওয়ার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়। কাসাই অপারেশন পরবর্তী সময়ে শতকরা ৬০ ভাগ রোগীর ৬ মাসের মধ্যে জন্ডিস কমে যায়। যারা ২ মাসের মধ্যে চিকিৎসা নিতে পারে না অথবা অপারেশন পরবর্তী যাদের জন্ডিস কমে না তাদের দ্রুত লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন এর প্রয়োজন হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অতি অর খরচে দীর্ঘদিন যাবৎ কাসাই অপারেশন সম্পন্ন করে আসছে। যার ফলাফল আশাব্যঞ্জক। ভবিষ্যতে এই সকল শিশুসহ অন্যান্য বিলিয়ারি অ্যাট্রেসিয়ায় আক্রান্ত বাচ্চাদের লিভার প্রতিস্থাপন প্রয়োজন হবে। কিন্তু লিভার প্রতিস্থাপন একটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা। ইউরোগে এর খরচ প্রায় ২ কোটি টাকা, ভারতে প্রায় ৬০-৭০ লক্ষ টাকা এবং বাংলাদেশে অনুমানিক ২০-৩০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। এ কারণে শিশু যকৃত প্রতিস্থাপন আমাদের তথা শিশু সার্জারী বিভাগ এর বর্তমান স্বপ্ন। যা পুরণের জন্য আমাদের দরকার একটি উপযুক্ত অবকাঠামো, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, প্রশিক্ষন, দক্ষ জনশক্তি যা কিনা শিশু বাস্তব।

সেমিনারে আরো বলা হয়, বিএসএমএমইউ এর শিশু সার্জারী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম জাহিদ হোসেন এর সহায়তায় কাসাই অপারেশন এর যাত্রা শুরু। বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় শিশুদের লিভার প্রতিস্থাপন শুরু করতে শিশু সার্জারি বিভাগ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের প্রিয় সন্তানদের হাসিমুখ চিরস্থায়ী হোক। আসুন শিশুদের এই দীর্ঘ ক্লান্তিকর যাত্রায় আমরা সহযাত্রী হই। বিনা চিকিৎসায় কোন শিশুর হাসি মুছে যেতে দেব না। এই আমরা প্রত্যাশা করি।


আরও খবর



দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

যশোরে তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) যশোরে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন দুপুর ২টাই যশোরে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল শতকরা ২২ ভাগ। যশোর মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।

এই মৌসুমে গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। সেটি আজ ছাড়িয়ে যশোরে সর্বোচ্চ পারদ উঠল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রিতে।

তাপদাহের মধ্যেই রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে সেদিন রাতেই যশোরসহ পাঁচ জেলার মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে খোলা থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর এই তীব্র তাপ প্রবাহের মধ্যে জাতীয়ভাবে হিট অ্যালার্ট তিনদিন বৃদ্ধি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গত দুসপ্তাহ ধরে যশোরসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এ বিভাগের যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে।


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, আঘাত হানতে পারে চলতি মাসেই

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টানা বৃষ্টির পর আবারও বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের অধিকাংশ জেলায়। সামনের কয়েক দিনে তাপদাহের বিস্তৃতি বাড়তে পারে আরও। এরই মধ্যে আভাস মিলেছে শক্তিশালী এক ঘূর্ণিঝড়ের।

চলতি মে মাসের শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ণ রূপ নিলে এর নাম হবে রেমাল’। এই নামটি দিয়েছে ওমান।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। এরপর সেটি ক্রমে উত্তর দিকে হয়ে শক্তি বাড়িয়ে ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।

আগামী ২৫ মে সন্ধার পরে এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

এক রিপোর্টের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আগামী ২০ মে থেকে এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ স্পষ্ট হতে পারে। তবে কোথায়, কত গতিতে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। অনুমান করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের মধ্যে কোথাও এটি আছড়ে পড়তে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ২৪ মে রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে উপকূল এলাকায়। বৃষ্টি চলতে পারে ২৬ মে পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ মে সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় আইলা। সেই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ১৫তম বর্ষের সন্ধ্যাতেই ঘূর্ণিঝড় রেমাল’ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েও শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত পূর্ণ বিশ্বাসের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারের হাল ধরতে কাজ করতেন গ্যারেজে মিস্ত্রি হিসেবে। অভাবের সংসারে জম্ম হলেও এই মেধাবী ছাত্র বড় হয়ে একজন ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। বাবা প্রিয়তোষ বিশ্বাস সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে কোনরকমে সংসার চালাতেন।

অভাব অনটনের মাঝে মেধাবী শিক্ষার্থী পূর্ণ বিশ্বাস হাল ছাড়েনি পড়াশোনার। সকালে স্কুলে আর বিকালে স্থানীয় বাজারে একটি দোকানে গাড়ির গ্যারেজে কাজ করতেন। রাতে বাড়ি ফিরে বসে পড়তেন পড়ার টেবিলে। বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখা করা সন্তানকে সামর্থ না থাকায় তাঁর কোনো প্রাইভেট শিক্ষাক দিতে পারেনি বাবা-মা। কিন্তু নিজের অদম্য ইচ্ছা এবং অধ্যবসায় কাজে লাগিয়ে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে অংশ নিয়ে এই দরিদ্র ঘরের সন্তান জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাঁর এই সাফল্য দরিদ্র পরিবারে অসহায় বাবা মায়ের মুখে হাঁসি ফুটেছে।

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের কুলাল পাড়া গ্রামের অটো চালক প্রিয়াতোষ বিশ্বাস ও নন্দিতা বিশ্বাসের সন্তান পূণ (১৬)। উপজেলার এয়াছিননগর আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় সে। গত রবিবার পরীক্ষার ফলাফলে সে জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করেন।

ছেলের সফলতা নিয়ে কথা হয় মা নন্দিতা বিশ্বাসের সাথে তিনি বলেন, আমার ছেলের এই অর্জন এলাকার সবার। আমরা গরীব তার বাবা একজন সাধারণ গাড়ি চালক। কোনো রকমে চলে আমাদের সংসার। সংসার চালাতেই আমরা হিমশিম খাচ্ছি। আমাদের ছেলে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ এ পেয়ে পাস করছেন। আমাদের স্বপ্ন তাকে ডাক্তার বানানো। এই অভাবের সংসারে কলেজে ভর্তি খরচ, পড়াশোনার খরচ আমরা কোথায় পাব। ছেলের এ সাফল্য অর্জনে চিন্তা বেড়েছে হতদরিদ্র মায়ের। তিনি সবার কাছে সন্তানের লেখাপড়া জন্য সহযোগিতা কামনা করেন।

মেধাবী শিক্ষার্থী পূর্ণ বিশ্বাস বলেন, আমার আজকের এ সাফল্যের পেছনে আমার বাবা মায়ের এবং এলাকার ও স্কুলের শিক্ষকদের অনেক বেশি অবদান রয়েছে। আমি ভালো কলেজে পড়ে ডাক্তার হত চাই। মানুষের সেবা করতে চাই। তবে আমাদের অর্থ সংকটের কারণে আমার আর পড়াশোনা করা সম্ভাব হবে কিনা আমি জানিনা। আমি দশম শ্রেণিতে পড়ালেখা করার সময়ে মাঝে মাঝে স্থানীয় একটি গাড়ির গ্যারেজে কাজ কর করি। আমার এসএসসি পরীক্ষার পর থেকে আমি ঐ গ্যারেজে প্রতিদিন কাজ করি।

এলাকার মানুষের সাথে কথা হলে তারা বলেন, পূর্ন বিশ্বাসের মাঝে অন্যরকম প্রতিভা রয়েছে। অভারের সংসারে সেই আজকে যে আলো দেখিয়েছে। তা আমাদের সমাজ ও গ্রামকে উজ্জ্বল করছে। গাড়ির গ্যারেজে কাজ করে এতোবেশি সফলতা অর্জন করেছে। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে পরিবার তার লেখাপড়া চালাতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ করছেন গ্রামের মানুষ। দেশের মানুষকে তার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তার এলাকার লোকজন। যাতে এই মেধাবী ছাত্র টাকা-পয়সার অভাবে পড়াশোনা থেকে বাদ পড়ে না যায়।

আমির হামজা, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



গাজার আল-শিফা হাসপাতালে তৃতীয় গণকবরের সন্ধান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ আগ্রাসন চালাচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। টানা সাত মাসের বেশি সময় ধরে ওই ভূখণ্ডে বর্বরতা ও নৃশংসতা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর সর্বশেষ প্রমাণ মিলল গাজার আল-শিফা হাসপাতালে। সেখানে তৃতীয় গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই গণকবর থেকে ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি মেডিকেল দলগুলো গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালে তৃতীয় গণকবরের সন্ধান পেয়েছে বলে বুধবার গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে।

মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৯ জনের লাশ গণকবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে এবং আরও লাশের খোঁজে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।’

জানা গেছে, এ নিয়ে গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে সাতটি গণকবর পাওয়া গেছে।

গাজার মিডিয়া অফিস বিবৃতিতে জানিয়েছে, আল-শিফা হাসপাতালে তিনটি গণকবর, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে তিনটি এবং উত্তর গাজার কামেল আদওয়ান হাসপাতালে একটি গণকবর পাওয়া গেছে।

এতে আরও বলা হয়, সাতটি গণকবর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫২০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

ওই উপত্যকায় ইতোমধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতায় নিহত হয়েছে ৩৪ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে আরও ৭৮ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ।


আরও খবর



রিকশা চালকদের মাঝে ছাতা বিতরণ করলেন মেয়র আতিক

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র গরমে রোদ থেকে বাঁচতে রিকশা চালকদের মাঝে ছাতা বিতরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

শনিবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশান-২ এর নগর ভবনের সামনে রিকশা চালকদের হাতে ছাতা, খাবার স্যালাইন ও পানির বোতল তুলে দেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম।

ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় সপ্তাহব্যাপী এই কর্মসূচির মাধ্যমে ৩৫ হাজার রিকশা চালকদের মাঝে ছাতা, খাবার স্যালাইন ও পানির বোতল বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।

শুরুতে ডিএনসিসির লাইসেন্সকৃত রিকশা চালকদের ছাতা দেওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় ছাতার সঙ্গে ১২টি করে খাবার স্যালাইন ও একটি করে পানির বোতলও যোগ হয়েছে।

সহযোগিতায় এগিয়ে আসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র আতিক বলেন, তীব্র এই গরম থেকে নগরীকে বাঁচানো শুধু সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সমাজের উচ্চবিত্তদের এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি। আমরা ৩৫ হাজার রিকশা চালককে ছাতা দিচ্ছি কিন্তু শহরে আরও রিকশা রয়েছে যারা তীব্র তাপে জীবিকার তাগিদে অসহনীয় কষ্ট করছে। সবাই এগিয়ে আসলে আমরা তাদের পাশেও দাঁড়াতে পারবো।

তীব্র গরম থেকে নগরবাসীকে কিছুটা স্বস্তি দিতে শহরের বিভিন্ন পার্কে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, এই গরমে শহরের মানুষকে কিছুটা প্রশান্তি দিতে ডিএনসিসি ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে এবং কাজ করছে। তবে পার্কগুলোতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা শহরের মানুষকে আরও কিছুটা প্রশান্তি দিবে। পার্কগুলোতে কৃত্রিম বৃষ্টির জন্য প্রতি মাসে ৩ লাখ টাকা করে প্রয়োজন। এই উদ্যোগ সফল করার জন্য দেশের সরকারি বেসরকারি ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন তিনি।

ডিএনসিসির উদ্যোগে রিকশা চালকদের মাঝে ছাতা বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানসহ পাকিস্তান, আলজেরিয়া ও ফিলিস্তিন দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


আরও খবর