আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

শক্তি সঞ্চয় করে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল, উপকূলে বৃষ্টি

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশের স্থলভাগের ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এরই মধ্যে এর অগ্রভাগের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকার আকাশও মেঘলা।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত বহাল রাখা হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে বহাল রয়েছে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত।

রবিবার (২৬ মে) আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৯) সব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় রেমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি গত মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

‘পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিমি) থেকে অতিভারী (৮৯ মিমির বেশি) বর্ষণ হতে পারে। চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস হতে পারে বলেও বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা আরও জানিয়েছেন, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হলো।


আরও খবর



নিত্যপণ্যের বাজারে রেমালের অজুহাত

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

তীব্র তাপদাহের পর নিত্যপণ্যের বাজারে এবার ঘূর্ণিঝড় রেমালের অজুহাত। দাম বেড়ে গেছে সবজিসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের। তবে সামান্য কমেছে মুরগির দাম। ক্রেতাদের দাবি, কোনো একটা অজুহাত পেলেই দাম বেড়ে যায় নিত্যপণ্যের, আর কমলে কমে খুবই সামান্য।

শুক্রবার (৩১ মে) কেরানীগঞ্জের আগানগর, জিনজিরা এবং রাজধানীর নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এমনটি দেখা যায়।

বিক্রেতারা জানান, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে গেছে সবজির দাম। মূলত ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় বাজারে কিছুটা সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে বেড়ে গেছে দাম।

বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৮০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা ও কহি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ধুন্দল ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, লতি ৬০-৮০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও কাঁকরোল ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া, প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। প্রতি আঁটি লালশাক ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।

তবে দাম কমেছে কাঁচা মরিচের। খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা, কোনো কোনো বাজারে অবশ্য এখনও ২০০ টাকা। আর পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত। মূলত ভারত থেকে আমদানি শুরু হওয়ায় লোকসানের ভয়ে দাম কমিয়ে দিয়েছেন আড়তদাররা।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, আমদানির ভয়ে দাম কমাচ্ছেন আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা, যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে খুচরা বাজারেও। আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম আরও কমে আসবে।’

স্বস্তির খবর নেই ডিম ও গরুর মাংসের বাজারেও। তবে দাম কমেছে সব ধরনের মুরগির। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকায়। এছাড়া, প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

বাজারে মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, আর সাদা ডিম ১৪৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা ও কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কমে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০-৩৬০ টাকায়। প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৭০০-৭৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৪০-৩৫০ টাকায়। এছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।

বিক্রেতারা জানান, বৃষ্টি শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে মুরগির বাজারে। তীব্র গরমের কারণে প্রচুর মুরগি মারা গেলেও এর হার এখন কমে এসেছে। এতে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।

তবে ক্রেতাদের দাবি, কোনো একটা কারণ বা অজুহাত পেলেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয় নিত্যপণ্যের। যদিও দাম কমার সময় কমে খুবই সামান্য।

মশিউর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, কোনো একটি পণ্যের দাম ১০ টাকা বাড়লে, কমার সময় কমে মাত্র ১-২ টাকা। আবার যখন বাড়ে, তখন বাড়ে ৫-১০ টাকা। তাহলে ২ টাকা কমিয়ে লাভ কী!

আদনান নামে আরেক ক্রেতা বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার এখন ব্যবসায়ীদের খেয়াল-খুশিমতো চলে। চাহিদা-যোগানের কোনো ভিত্তি নেই। কোনো একটা ছুতো পেলেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে, ইলিশ বাদে স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারে। নতুন করে না বাড়লেও দাম কমেনি। বিক্রেতাদের অজুহাত, ঘূর্ণিঝড় রেমালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মৎস্য খাতে। এর প্রভাবে মাছের দাম একটুও কমেনি।

কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাজারের মাছ বিক্রেতা জয়ন্ত বলেন, মাছের দাম একটু চড়াই। এ সপ্তাহে নতুন করে খুব একটা দাম বাড়েনি। কোনো কোনো মাছের দাম হয়তো ৫-১০ টাকা বেড়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মাছের ঘেরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সামনে দাম বাড়তে পারে।’

বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৬০০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। এছাড়া আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ইলিশের দাম। এ মুহূর্তে প্রতি কেজি ইলিশের দাম পড়ছে ১ হাজার ৭০০ টাকা। যদিও ৮০০-৯০০ গ্রাম ইলিশ ১৫০০ টাকা ও ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১৩০০ টাকায়।

উত্তাপ ছড়াচ্ছে মসলার বাজারও। কোরবানিকে কেন্দ্র করে বাজারে দাম বাড়ছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের। বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায়। এছাড়া কেজিতে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৩০-২৪০ টাকায় ও আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। আর আদা কেজিতে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে আদা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়।

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়।

আর বিক্রেতারা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।


আরও খবর



বিআরটিসির ঈদ স্পেশাল সার্ভিস শুরু বৃহস্পতিবার

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও ঘরমুখী মানুষের জন্য ঈদ স্পেশাল সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে সরকারের পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে বিশেষ এই বাস সেবা চলবে ১৮ জুন পর্যন্ত। এ লক্ষ্যে আজ সোমবার থেকে বিআরটিসির সংশ্লিষ্ট ডিপো থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে।

বিআরটিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকায় মতিঝিল, জোয়ারসাহারা, কল্যাণপুর, গাবতলী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপো (চাষাঢ়া) থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে মতিঝিল বাস ডিপোর অধীন ঢাকা থেকে রংপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, জয়পুরহাট, জামালপুর ও কলমাকান্দা রুটের অগ্রিম টিকেট বিক্রি হচ্ছে।

কল্যাণপুর বাস ডিপো থেকে রাজশাহী, নওগাঁ, নেত্রকোনা, সৈয়দপুর, ঠাকুরগাঁও, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, গাইবান্ধা, বগুড়া, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইলের নাগরপুর, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও শেরপুরের নালিতাবাড়ী পথে চলাচলকারী বাসের টিকেট বিক্রি হচ্ছে। গাবতলী টার্মিনাল থেকে দেওয়া হচ্ছে রংপুর, গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া পথের বাসের টিকেট।

জোয়ারসাহারা বাস ডিপো থেকে রংপুর, দিনাজপুর, নওগাঁ, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও বগুড়ার বাসের টিকেট বিক্রি হচ্ছে। মিরপুর বাস ডিপো থেকে বিক্রি হচ্ছে ঠাকুরগাঁও, রংপুর, পঞ্চগড়, ঝালকাঠির স্বরূপকাঠি, গোপালগঞ্জ ও বগুড়া পথের বাসের টিকেট। মোহাম্মদপুর বাস ডিপো থেকে বিক্রি হচ্ছে রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, বগুড়া, নওগাঁ, বরিশাল, খুলনা, গোপালগঞ্জ ও ময়মনসিংহ পথের বাসের টিকেট।

গাজীপুর বাস ডিপো থেকে বিক্রি করা হচ্ছে খুলনা, বরিশাল, রংপুর, বগুড়া ও ময়মনসিংহ পথের বাসের টিকেট। যাত্রাবাড়ী বাস ডিপোতে বিক্রি হচ্ছে রংপুর, দিনাজপুর, খুলনা, কুড়িগ্রাম, ফরিদপুরের ভাঙা ও বরিশাল পথের বাসের টিকেট। নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপোতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা, বরিশাল, হবিগঞ্জ, রংপুর, লালমনিরহাট, নওগাঁ, নেত্রকোনা ও বগুড়ার পথে চলাচলকারী বাসের টিকেট পাওয়া যাচ্ছে।

এর বাইরে কুমিল্লা, নরসিংদী, সিলেট, দিনাজপুর, বগুড়া, রংপুর, খুলনা, পাবনা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও বরিশাল বাস ডিপো থেকেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচলকারী বিআরটিসির বাসের টিকেট পাওয়া যাবে।


আরও খবর



নবাবগঞ্জে ৫ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আন্তজেলা ডাকাত চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আটককৃত ডাকাত চক্রের ৫ সদস্যরা হলেন, ফরিদপুর জেলার সালথা থানার সুরুপদিয়া এলাকার মো. ইউসুফ মাতবরের ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম(২০) খলিল শেখের ছেলে সুমন শেখ (২৩), মো. ওহাব শেখের ছেলে বাবুল শেখ (৩৬), রশিদ মাতবরের ছেলে সৈয়দ আলী মাতবর(২৭), মো. খোরশেদ মাতবরের স্ত্রী কমলা বেগম(৫৫)। গ্রেফকৃত বাবুল শেখের বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলার সালথা থানায় মামলা আছে।

গত ৪ মে রাতে নবাবগঞ্জের নয়নশ্রী ইউনিয়নের বড় গোল্লা এলাকায় চার্লস জনির বসত বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত করে। পরবর্তী সময়ে চার্লস জনির মামলার ভিত্তিতে নবাবগঞ্জ থানা পলিশ বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে, ওই ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে। এসময় ডাকাতি কাজে ব্যবহারকৃত বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।

দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম এ বিষয়ে বলেন, আটককৃত ডাকাতগণ একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্য। এরা দিনের বেলা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকেন। রাতে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে থাকে।

নিউজ ট্যাগ: ডাকাত

আরও খবর



কলকাতা থেকে দেশে ফিরছে ডিবির প্রতিনিধি দল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার পর দেশে ফিরছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রতিনিধি দল।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে দলে আরও দুই সদস্য রয়েছেন। তারা হলেন- ওয়ারী বিভাগের ডিসি মো. আব্দুল আহাদ ও এডিসি শাহীদুর রহমান।

রোববার (২৬ মে) সকাল ১০টার একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কলকাতায় যায় প্রতিনিধি দলটি। টানা চারদিন ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে তারা দেশে ফিরবে।

ডিবির তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ঢাকায় গ্রেফতার আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভুঁইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ও কলকাতার তদন্ত দলকে সহযোগিতা করার জন্য কলকাতায় যায় ডিবির প্রতিনিধি দল।

প্রতিনিধি দলে থাকা ডিসি মো. আ. আহাদ বলেন, আমাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ও অনুরোধে ২৮ মে রাতে কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংক ভেঙে তিন থেকে চার কেজি মাংসের টুকরো উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ।

জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে আসার পরই যে ফ্ল্যাটে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে সেটা পরিদর্শন করি। এরপর আমরা কলকাতার সিআইডিকে অনুরোধ করি যে বাড়িটির স্যুয়ারেজ লাইন দেখা দরকার। সিআইডি খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশে গ্রেফতার হওয়া ঘাতকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য দিয়ে আমরা সিআইডিকে সহযোগিতা করছি।

হারুন আরও বলেন, সেপটিক ট্যাংক থেকে বেশকিছু মাংসের টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। এই মাংসগুলোকে ফরেনসিকের জন্য রাখা হবে। পাশাপাশি ডিএনএ টেস্টও করা হবে। তারপরে বলা যাবে, এগুলো সংসদ সদস্যের কি না।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনের গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।

বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পরে গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলে না তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। ২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ।


আরও খবর



বাগেরহাটে বাসের ধাক্কায় স্কুলের অফিস সহকারি নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটের ফকিরহাটে বাসের ধাক্কায় খোদেজা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি জামির আলী নিহত হয়েছেন।

রবিবার বেলা ১১টায় খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের ফকিরহাটের আরা পেট্রোল পাম্পের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জামির আলী ফকিরহাট উপজেলা সদরের আট্টাকি গ্রামের মৃত আলীম উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, জামির আলী মোটরসাইকেল চালিয়ে খুলনা যাওয়ার পথে ঘটনাস্থলে পৌছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গ্রীন লাইন পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় গুরুত্বর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পরে তার মৃত্যু হয়। মাথা, পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান থেতলে যাওয়াসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত রয়েছে।

মোল্লাহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুজ্জামান তানু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেছে।


আরও খবর