আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

সোনার দাম কমলো, ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮৮ টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৩ টাকা ক‌মিয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম কমানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা। সোমবার (১ জুলাই) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। আজ প্রতি ভরি ভালো মানের সোনা এক লাখ ১৮ হাজার  ৩৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৭৯ হাজার ৩৩৯ টাকায় বিক্রি করা হবে।

সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

রোববার (৩০ জুন) সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৯৭৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৬ হাজার ৮৩৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৮০ হাজার ৬২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।


আরও খবর



জমিকাণ্ডে আলোচিত জামিলসহ পুলিশের ৪০ কর্মকর্তাকে বদলি

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পুলিশ ক্যাডারের ৪০ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০তম বিসিএসের পুলিশ ক্যাডার জামিল হাসানও রয়েছেন, যিনি রিসোর্টের জন্য ১২০ বিঘা জমি কিনে আলোচনায় রয়েছেন।

রোববার (২৩ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব সিরাজাম মুনিরা স্বাক্ষরিত পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে তাদের বদলি-পদায়ন করা হয়।

এতে জানানো হয়, বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ৪০ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি উপপুলিশ মহাপরিদর্শক জামিল হাসানের বিপুল সম্পত্তির সন্ধান নিয়ে একটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, রিসোর্ট করার জন্য তিনি ৪০ একর (১২০ বিঘা) জমি কিনেছেন। পৈতৃক বাড়িটি নতুন করে গড়েছেন ৩০ বিঘা জমির ওপর। পাশেই রয়েছে অন্তত ৩৬ বিঘা জমির ওপর গরুর বিশাল খামার। সঙ্গে আছে গরুর হাট। এই হাট থেকে ইজারা নেয় তারই পরিবার। তার এসব সম্পদের সন্ধান মেলে বরিশালের উজিরপুর উপজেলায়। এ ছাড়া ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট ও চারটি গাড়ি রয়েছে।


আরও খবর



খুলে দেওয়া হচ্ছে বেনজীরের রিসোর্ট: আয় যাবে সরকারি কোষাগারে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

গোপালগঞ্জ সদরে অবস্থিত আলোচিত সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আগামীকাল শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। দর্শনার্থীরা আগামীকাল থেকে ওই পার্কে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন রাইড চালু থাকলেও বন্ধ থাকবে কটেজ। ফলে অবকাশযাপন করতে পারবেন না কোনো দর্শনার্থী।

এদিকে পুলিশ, আনসার ও সাভানা ইকো রিসোর্টের নিরাপত্তা কর্মীরা রিসোর্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। ইতোমধ্যে আনসার ভিডিপি ও রিসোর্টের নিরাপত্তা কর্মীরা সেখানে নিয়োজিত রয়েছেন। আগামীকাল সকাল থেকে পুলিশ মোতায়েন করবে জেলা প্রশাসন।

পর্যবেক্ষণ ও তদারকি কমিটির সদস্য সচিব এবং গোপালগঞ্জ জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আগামীকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে সর্বসাধারণের জন্য পার্কটি খুলে দেওয়া হবে। এতে দর্শনার্থীরা আগের মতো ১০০ টাকা টিকিট কেটে পার্কে প্রবেশ করতে পারবেন। দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য পার্কের বিভিন্ন রাইড খুলে দেওয়া হলেও কটেজ বন্ধ থাকবে। আর এ পার্ক থেকে সকল আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে জমা হবে। পার্কের নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে পুলিশ সদস্য মোতায়েনের জন্য আবেদন জানানো হবে। আশা করি সকাল থেকেই  পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। ইতোমধ্যে রিসোর্টের নিরাপত্তার জন্য আনসার ও সাভানার নিরাপত্তা কর্মীরা দায়িত্বে আছেন।

ক্রোক আদেশের পর পার্কটি চালু থাকলেও গত ৪ জুন সার্ভার জটিলতা দেখিয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল পার্ক কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে পার্কটি বন্ধ ছিল। গত ৭ জুন রাতে আদালতের নির্দেশে রিসিভার নিয়োগের মাধ্যমে পার্কটি নিয়ন্ত্রণে নেয় জেলা প্রশাসন।

গতকাল বৃহস্পতিবার পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সার্বিক তদারকির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও গোপালগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালককে সদস্য সচিব করে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দুদক।

অন্যদিকে ১২ জুন রাতে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের তিনটি কম্পিউটারের সিপিইউ ও একটি মনিটর চুরি হয়। পরদিন ১৩ জুন ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন পার্কের ম্যানেজার মো. সারোয়ার হোসেন।

এছাড়া গত ৭ জুন রাতে গোপনে পার্ক থেকে ধরা ৫৯০ কেজি মাছ বিক্রি করার সময় হাতেহাতে জব্দ করে দুদক। পরে মাছ বিক্রি করে ৮৩ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ৮ জুন দুপুরে গোপনে মাছ বিক্রির দায়ে পার্কের মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের নামে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন দুদকের গোপালগঞ্জে উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান।


আরও খবর



যে পথে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

হারলেই বিদায়। জিতলে টিকে থাকবে বিশ্বকাপ স্বপ্ন। এমন ম্যাচেই অবিশ্বাস্যভাবে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিল আফগানিস্তান। অসিদের বিপক্ষে ২১ রানের জয়ে ইতিহাস গড়ল আফগানরা। সেই সঙ্গে বাংলাদেশকেও সুখবর দিয়েছে রশিদ খানেদ দল।

আফগানদের জয়ে শেষ চারের আশা এখনও বেঁচে রইল বাংলাদেশের। চলুন দেখে নেওয়া যাক শেষ চারে যেতে কোন সমীকরণ মেলাতে হবে বাংলাদেশকে!

আফগানদের জয়ে জমে উঠেছে গ্রুপ ওয়ানের লড়াই। এই গ্রুপে ভারতের দুই জয়ে পয়েন্ট ৪। সেমির পথে এক পা বাড়িয়েই রেখেছেন রোহিতরা। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তান দুদলের পয়েন্টই সমান দুই। এমনকি দুই দলের সামনেই শেষ চারে যাবার সুবর্ন সুযোগ।

অন্যদিকে শূন্য পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে থাকা বাংলাদেশের আশাও এখনও বেঁচে আছে। সেক্ষেত্রে সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে যে করেই হোক আফগানিস্তানকে হারাতেই হবে বাংলাদেশের।

আফগানদের হারালে বাংলাদেশের তাকিয়ে থাকতে হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচের দিকে। ওই ম্যাচে যদি অসিরা হেরে যায় তাহলে বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান তিন দলেরই পয়েন্ট হবে সমান দুই। সেক্ষেত্রে রান রেটে যে এগিয়ে থাকবে সে যাবে ভারতের সঙ্গে সেমিতে। সে জন্য নিজেদের আশা বাঁচাতে যে করেই হোক আফগানদের বিপক্ষে বিশাল ব্যবধানেই জিততে হবে বাংলাদেশকে। কারণ নেট রান রেটে আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া থেকে পিছিয়ে সবার নিচে আছে বাংলাদেশ। তাই বড় ব্যবধানে জিতলেই কেবল সমীকরণ মিলিয়ে শেষ চারে যেতে পারবে বাংলাদেশ। আপাতদৃষ্টিতে যা কঠিন হলেও ক্রিকেটের সবুজ গালিচায় অসম্ভব কিছু নয়। বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ২৫ জুন, বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়!


আরও খবর



বেনজীরের পিএইচডি ডিগ্রি বাতিলে ঢাবি সিনেটে প্রস্তাব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের পিএইচডি ডিগ্রি বাতিলে সিনেটে প্রস্তাব করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্যরা।

বুধবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে বৈঠকে সিনেটের অন্তত তিনজন সদস্য এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

সিনেট সদস্য বলেন, বেনজীর আহমেদ ভর্তির যোগ্যতা পূরণ না করলেও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি পেয়েছেন।

ইতোমধ্যে, বেনজীরের পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বেনজীর আহমেদ ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। ডিগ্রি পাওয়ার পর তিনি তার নামের শুরুতে ড. ব্যবহার শুরু করেন। তবে বেনজীরের পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা ছিল না। তাকে ভর্তির জন্য অনিয়ম করে যোগ্যতার শর্ত শিথিল করা হয়েছিল।

বেনজীর বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ থেকে ডক্টর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিবিএ) ডিগ্রি অর্জন করেন। এই প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য প্রয়োজন স্নাতক ডিগ্রি। এই প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে, যা বেনজীরের ছিল না।

সিনেট সদস্য রণজিৎ কুমার সাহা, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম ওয়াহিদুজ্জামান, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বেনজীরের ডিগ্রি বাতিলের প্রস্তাব করেন।


আরও খবর



হালদা মৎস্য প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী মানবসৃষ্ট দূষণ

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীতে সম্প্রতি বেড়েছে মা মাছ ও ডলফিনের মৃত্যুর ঘটনা। হালদায় দূষণের ফলে গত এক সপ্তাহের মধ্যে ৫টি মৃত মাছ ও ১টি ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে।

সম্প্রতি হালদায় মানবসৃষ্ঠ ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড জন্য মরছে মা মাছ ও ডলফিন বলে জানিয়েছেন হালদা গবেষকরা।

তারা জানায়, হালদা সরাসরি ফেলা হচ্ছে ট্যানারীর বিষাক্ত বর্জ্য ও অন্যান্য শিল্পকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য, পোল্ট্রি বর্জ্য, গৃহস্থালী, মানববর্জ্য, হালদা ও শাখা খালে অবৈধভাবে জাল, বঁড়শি ও বিষ ব্যবহার করে মাছ নিধন, অবৈধ বালু উত্তোলন ইত্যাদি। এতে হালদা নদীকে মা মাছ, ডলফিন ও অন্যান্য জলজ প্রাণির নিরাপদ আবাসস্থল দূষিত পানি জন্য প্রায় হাজার একর জমি নষ্ট হয়ে গেছে।

রবিবার (৩০ জুন) হালদা নদীর আজিমারঘাটে একটি মৃত কাতলা মা মাছ ভেসে ওঠে। মাছটির দৈর্ঘ্য ১১৮ সেমি. ও ওজন প্রায় ১৯ কেজি ৩০০ গ্রাম।

হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৮ জুন হালদা নদীর উত্তর মাদার্শার কুমারখালী ঘাটে একটি মৃত কাতলা মা মাছ ও সুলতানা বাপের ঘাটে আরেকটি মৃত কাতলা মা মাছ ভেসে ওঠে। বিগত এক সপ্তাহে হালদা নদী থেকে ৫টি মৃত মা মাছ ও ১টি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। যা হালদা নদীর জলজ বাস্তুতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত। এমতাবস্থায় হালদা নদীকে মা মাছ, ডলফিন ও অন্যান্য জলজ প্রাণির নিরাপদ আবাসস্থল করতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আগে এক সময় হালদায় প্রতিমাসে কমপক্ষে দুই তিনটি অভিযান হত, যা এখন আর চোখে পড়ছে না।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিসার্চ অ্যান্ড ল্যাবরেটরির হিসাব অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে হালদা নদীতে ৪৩টি ডলফিন এবং ২৫-৩০টি বড় মা মাছের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মা মাছ ও ডলফিনের মৃত্যুর পেছনে মূলত শনাক্ত করা হচ্ছে- আঘাত, শ্বাসকষ্ট ও দূষণ।

এদিকে, হালদা নদীর প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও মানবসৃষ্ট দূষণ, বিষ প্রয়োগ, মাছ ডিম ছাড়া নিয়ে তদারকি করা হবে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা চট্টগ্রামের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ।

তিনি বলেন, হালদা নদীর দূষণ নিয়ে আমরা হাটহাজারী উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ময়েদুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এরপর দূষণের কারণ নির্ধারণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাটহাজারী উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ময়েদুজ্জামানকে বলেন, আমরা সম্প্রতি হালদায় নদীতে মা মাছ ও ডলফিন মৃত্যুর খবর পাচ্ছি। প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও মানবসৃষ্ট দূষণে মূলত হালদা নদীতে মাছের মৃত্যু ঘটনা ঘটছে মনে করছি। হালদায় মানবসৃষ্ট জন্য জন্য নদীর পানি দূষণ হচ্ছে।

হালদা নদীর প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, সম্প্রতি আবারও বেড়েছে মা মাছ ও ডলফিনের মৃত্যুর ঘটনা। গত এক সপ্তাহে নদীতে মৃত মা মাছ  ডলফিন ভেসে উঠেছে, যা উদ্বেগজনক। হালদার দূষণ নিয়ে মৎস্য দপ্তর থেকে থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে তারপর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদী। ৯৮ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীটির জলজ প্রাণি রক্ষায় সরকার ২০০৭ সালে নদীর কর্ণফুলীর মোহনা থেকে ফটিকছড়ি, নাজিরহাট পর্যন্ত এলাকাকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করে। ২০১৮ সালে নদীর সব স্থানে বালুর ইজারা মহাল তুলে নিয়ে বালু উত্তোলন এবং বালুবাহী ড্রেজার, যান্ত্রিক নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এসব উদ্যোগের কারণে মা মাছের মৃত্যু কমে এসেছিল।


আরও খবর