আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটের সমাধান কী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বের ১৮০ জনেরও বেশি বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ শ্রীলঙ্কার আর্থিক ঋণদাতাদের কাছে দেশটির ঋণ মওকুফের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তবে, অনেক অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ নিশ্চিত নন যে, এই পন্থাটি দ্বীপরাষ্ট্রটির এগিয়ে যাওয়ার সর্বোত্তম উপায়। কিন্তু আপাতত শ্রীলঙ্কার জন্য অন্য কিছু ভাবাও যাচ্ছে না।

বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। এর মধ্যে চীনের কাছ থেকে পেয়েছে ৫২ শতাংশ, জাপানের কাছ থেকে ১৯ শতাংশ এবং ভারত দিয়েছে ১২ শতাংশ। কলম্বো গত বছরের এপ্রিলে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ প্রাপ্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করে। তবে আইএমএফ ততক্ষণ ঋণ দেবে না, যতক্ষণ না তারা মনে করছে যে, দ্বীপদেশটির ঋণ শোধ করার সক্ষমতা রয়েছে।

বহুল বিক্রীত বই ক্যাপিটাল-এর লেখক থমাস পিকেটি জানিয়েছেন, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ দানি রডরিক, ভারতীয় অর্থনীতিবিদ জয়তি ঘোষসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং অর্থনীতিবিদ এক বিবৃতিতে সমস্ত বৈদেশিক ঋণদাতাদের দ্বারা শ্রীলঙ্কার ঋণ মওকুফ করার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যায্য ঋণ এবং দারিদ্র্য ও বৈষম্যের অবসান ঘটনোর লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী আন্দোলন-ডেট জাস্টিস-এর ক্যাম্পেইনে ওই বিবৃতি প্রকাশ করেন তারা।

বিবৃতিতে অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, যেহেতু বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের উচ্চ সুদে ঋণ দিয়েছে, তাই ঋণ মওকুফ করে বিনিয়োগকারীদের পরিণতি ভোগ করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা শ্রীলঙ্কার ঋণ খেলাপিতে অবদান রাখার জন্য প্রথমেই বেসরকারি ঋণদাতাদের অভিযুক্ত করেছেন। কারণ, তারা ঋণ দেওয়ার জন্য প্রিমিয়াম চার্জ করে একটি বিশাল মুনাফা লাভ করেছে। বেসরকারি ঋণদাতারা যেহেতু উচ্চ রিটার্ন থেকে উপকৃত হয়েছে, তাই অবশ্যই তাদের কর্মের পরিণাম মেনে নিতে ইচ্ছুক হতেই হবে। তাদের ঋণ বাতিল করা যেতে পারে বা বাজেয়াপ্ত করা যেতে পারে। তবে সবাই এই পরামর্শের সঙ্গে একমত নন।

শ্রীলঙ্কার সেন্ট্রাল ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ডব্লিউএ উইজেবর্ধনে বলেছেন, ঋণ মওকুফের পরিকল্পনাটি বাস্তবিকভাবে চলতে থাকলে, এটি বর্তমান বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থাকে পতনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেছেন, এটিকে সমালোচনামূলকভাবে মূল্যায়ন করা দরকার। কারণ, যদি এই সুযোগ শ্রীলঙ্কার জন্য গৃহীত হয়, তবে তা মূলত একটি নতুন বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থার নীলনকশা প্রদান করবে। বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পরস্পর নির্ভরশীল, আন্তঃসংযুক্ত। এটা ভেঙে পড়লে পৃথিবীর অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে। আপনি ভাবতে পারবেন না এরপর কী হবে। ধার করা অর্থ শাসকদের দ্বারা নষ্ট হয়েছে। তা থেকে জনগণ উপকৃত হয়নি। সেই শাসকদের ক্ষতির জন্য জবাবদিহি করা উচিত। তাদের অপরাধের জন্য তাদের বিচার করা উচিত। ঋণ মওকুফ করলে জনগণের নয় বরং দুর্নীতিবাজ স্বৈরাচারী নেতাদের উপকার হবে।

দ্বিপক্ষীয় ঋণদাতাদের জন্য মেয়াদ বাড়ানোর আহ্বান: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, দুই দিনের সফরে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে বলেছিলেন, নয়াদিল্লি শ্রীলঙ্কার এগিয়ে যাওয়ার পথ পরিষ্কার করার জন্য আইএমএফকে অর্থায়নের আশ্বাস বাড়িয়েছে।

তবে, সক্রিয় ঋণদাতা হিসেবে ঋণ মওকুফের অনুরোধ চীনের মেনে নেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ, তাহলে একই ধরনের দাবি উন্নয়নশীল বিশ্বের অন্যান্য অংশ থেকে আসতে পারে। শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক নীতিবিষয়ক থিঙ্ক ট্যাংক অ্যাডভোকাটা ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ধননাথ ফার্নান্দো বলেছেন, যখন আপনি একটি দেশকে ঋণ থেকে মুক্তির অফার করেন, তখন অন্য দেশগুলোও একই মুক্তি পেতে চাইবে। তদুপরি, যেকোনো দেশের করদাতারা অন্য কোনো দেশে দেওয়া ঋণ সম্পূর্ণভাবে মওকুফ করে দিলে খুশি হবেন না। এটাই বাস্তবতা।

আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, চীন এখনও একটি উন্নয়নশীল দেশ, তাই তারা ঋণ ফেরত পাওয়ার আশা করে। তবে, চীন সুদের হার হ্রাস বা মওকুফ করে সাহায্যের হাত বাড়াতে পারে। ঋণ মওকুফের আহ্বানকে অবাস্তব বলে প্রত্যাখ্যান করে ফার্নান্দো বলেছেন, পাওনাদারদের শেষ পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের কিস্তির পরিমাণ কমানো, কুপন ক্লিপিং, ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানো- এই তিনটি পদক্ষেপের সমন্বয়কে ভাবতে হবে। তবে, ঋণ মওকুফের বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি জাপান ও ভারত।

নিউজ ট্যাগ: শ্রীলঙ্কা

আরও খবর



সারাদেশে আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবস পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের ৬৪ জেলায় শব্দ দূষণবিরোধী অভিযানের মধ্য দিয়ে পালিত হলো আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবস। দিবসটি উদযাপনের অংশ হিসেবে পরিবেশ অধিদফতর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সারা দেশে একযোগে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে।

প্রতি বছরের মতো এবারও এপ্রিল মাসের শেষ বুধবার (২৪ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস পালন করা হয়েছে। আসুন সবাই শব্দদূষণ হ্রাসে সচেষ্ট হই এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবার দিবসটিতে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর।

দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি নাগরিকদেও দায়িত্বশীলতা ও সচেতনতার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে দেশের প্রথম সারির বাংলা ও ইংরেজী জাতীয় দৈনিকে দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে সচেতনতামূলক রঙিন গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জনসচেতনতামূলক ব্যানার ও ফেস্টুন টানানো হয়েছে। সরকারি সকল ওয়েবসাইটে পপ-আপ প্রদর্শন করা হয়েছে ও বিটিআরসির সহযোগিতায় সকল সেল ফোনে সচেতনতামূলক বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



পাসের হারে শীর্ষে যশোর, সর্বনিম্ন সিলেটে

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে যশোর বোর্ড। আর সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট বোর্ডে।

যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

এ ছাড়াও ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

এর আগে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ফলাফল দেখবেন যেভাবে

পরীক্ষার্থীকে ফল দেখতে ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। সেখানে থাকা Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএনর (EIIN) মাধ্যমে ফল জানা যাবে।

এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। সেক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ-SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে সারা দেশের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ভোট শেষে গণ্ডগোলের শঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

চলছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা নাগাদ শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

এবারের নির্বাচনে গণ্ডগোলের আশঙ্কা রয়েছে বলে ধারণা করে আসছে বিজ্ঞমহল। ভোটের দিন ৫৭০ জন ভোটারের বিপরীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪০০ সদস্যকে দেখা গেছে এফডিসি প্রাঙ্গণে।

শিল্পীরা একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এরপরও ভোটকেন্দ্রে কেন এত কড়াকড়ি নিরাপত্তা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও শিল্পীদের কেউই সাংবাদিকদের এ বিষয়ে যথাযথ উত্তর দিতে পারেননি। এমনকি সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার ও উৎসুক জনতার ভিড় সামলাতেও এবার বাড়তি সতর্কতা দেখা গেছে।

এবারের নির্বাচনে মুখোমুখি হয়েছে মিশা-ডিপজল ও কলি-নিপুণ প্যানেল। রয়েছে ৬ স্বতন্ত্র প্রার্থী। প্রকাশ্যে কোনো কাদা ছোড়াছুড়ি না হলেও সব পক্ষই বিপরীত দলকে চাপে রেখেছে। ইতোমধ্যেই ভোটারদের অর্থ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে দুই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডিপজল ও নিপুণের বিরুদ্ধে। এই নির্বাচনে মূলত ডিপজল ও নিপুণই শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী। কেউই কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। দুজনের বিরুদ্ধেই ভোটারদের অর্থ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। তাই নির্বাচনের শীলত যুদ্ধ আপাতত এক-এক গোলে ড্র। কিন্তু ভোট শেষে এই সাম্য নাও থাকতে পারে। পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে যে কোনো মুহূর্তে।

সূত্রের খবর, ভোট গননার সময় ঘটতে পারে অঘটন। দুই প্যানেলের মধ্যে গণ্ডগোলের আশঙ্কা রয়েছে। ফল প্রকাশ হতে মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। গতরাতে ডিপজলের বিরুদ্ধে অর্থ প্রদানের অভিযোগ সামনে আসে। অন্যদিকে নিপুণও অর্থ দিয়েছেন এমন একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়। তখনই এফডিসি ও এর বাইরে অবস্থান নিয়েছিলেন অনেকেই। সরাসরি কিছু না বললেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু রয়েছেন চাপে। তবে নির্বাচন শেষে জায়েদ-নিপুণের মতো ডিপজল-নিপুণকেও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে আদালতপাড়ায় যেতে হবে তা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট।

এর আগে ২০১৭ সালে মধ্যরাতে ভোট গণনার সময় এফডিসিতে শাকিব এলে তার ওপরে হামলা হয়েছিল। সে সময় নিজে নির্বাচন না করলেও ওমর সানীকে সভাপতি হিসেবে সমর্থন দিয়েছিলেন শাকিব।

মূলত শিল্পী সমিতির নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা পর থেকেই শুরু হয় তর্কবিতর্ক এবং অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। এবারের নির্বাচনে শুরু থেকেই রাজনৈতিক প্রভাবও চলমান। দুই প্যানেল থেকেই গণমাধ্যমে বেশকিছু প্রার্থী এমন অভিযোগ জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থী বলেন, এবারের নির্বাচনে শিল্পীদের পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পরিচয় ও ক্ষমতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে অনেকেই। এরই মধ্যে বিএফডিসির বাইরে বিভিন্ন নেতার অফিসেও করা হয়েছে মিটিং, যা আমাদের মোটেও কাম্য ছিল না। অভিযোগ উঠেছে নিজেদের জয়ী করতে অনেকেই আবার কিনছে ভোট, দেখাচ্ছে ভয়-ভীতি।

এখন পর্যন্ত ভোটারদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠেনি এফডিসি। প্রচণ্ড গরম পড়ায় সকালের দিকে ভোটার সমাগম কম হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কার্যকরী পরিষদ সদস্য প্রার্থী পীরজাদা হারুন দুপুর ১২টার দিকে বলেছেন, গতবার এই সময়ে ভোট কাস্ট হয়েছিল ১৬০টি, এবার ১১টি।

এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু। তার বিরুদ্ধেও নিপুণের জন্য সভাপতি প্রার্থী খোঁজার অভিযোগ উঠেছিল। খসরুর সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এজে রানা ও বিএইচ নিশান।

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল পরিষদের অন্য প্রার্থীরা হলেন সহসভাপতি মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডিএ তায়েব; সহসাধারণ সম্পাদক আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।

এই প্যানেলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন খ্যাতিমান চিত্রনায়িকা সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন ও ফিরোজ মিয়া।

অন্যদিকে মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা হলেন- সহসভাপতি পদে ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান; সহসাধারণ সম্পাদক বাপ্পি চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা আজাদ খান। এ প্যানেলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে প্রার্থীরা হলেন- সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো. সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।


আরও খবর



ছুটির দিনে ‘গ্রহণযোগ্য’ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ ১ মে ৯৬ স্কোর নিয়ে ১৬ নম্বরে অবস্থান করছে ঢাকা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার এ অবস্থান দেখা গেছে। এই স্কোর বাতাসের মানকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য নির্দেশ করে।

এদিকে, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ ১৯০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১৬৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি।

৫১ থেকে ১০০ স্কোর হলে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।


আরও খবর



ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো: গ্রেপ্তার ৯০০

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলন দমাতে শত শত বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ।

গত ১৮ এপ্রিল নিউইয়র্ক পুলিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী একটি শিবির সরিয়ে নেয় এবং শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে। এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলো থেকে অন্তত ৯০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এরপর থেকে কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে শিবির স্থাপন করেছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রিকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে।

আল জাজিরার খবর অনুসারে, শনিবার বোস্টনের নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি, ব্লুমিংটনের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি এবং সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভ থেকে ২৯০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া, জর্জিয়া এবং টেক্সাসের বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ সদস্যরা তাদের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা ভোট গ্রহণ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গণহত্যা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। যেসব প্রতিষ্ঠান অস্ত্র উৎপাদনসহ নানা উপায়ে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় সহযোগিতা করছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের বৃত্তি না দেওয়ার দাবিও তুলেছেন তারা।


আরও খবর