![Image](https://cdn.ajkerdarpon.com/images/633dd34aca44ab659548005a26e712f3.jpeg)
সড়কে নৈরাজ্য ও দুর্ঘটনার কারণে চালকদের বদনামের শেষ নেই। ইচ্ছেমতো চালানো, গাড়ির ছাল বাকল না থাকা, বাড়তি ভাড়া আদায়, চালকের লাইসেন্স না থাকা, রেষারেষিসহ চালকদের বিরুদ্ধে হাজারও অভিযোগ। আছে আলোচনা, সমালোচনা। তবুও বদনাম একটুও কমেনি, বরং বাড়ছে। নতুন কিছু যুক্ত হচ্ছে দিনের পর দিন। এসবকিছুর সঙ্গে যোগ হয়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বিভিন্ন এলাকার সড়কে ইচ্ছেমতো বাস পার্কিং করে রাখার ঘটনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ছত্তারহাট-মুরালী সড়কের ওপর সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে বাস। এতে চলাচলে দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
পথচারী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতার সুযোগে সড়কের দুই পাশ দখল করে গড়ে ওঠা এসব স্ট্যান্ডের কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে যানজট। জরুরি রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও আটকে পড়ে অনেক সময়। গত ৫ বছর পূর্বে মাহাতা নাথ পাড়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, তবে সড়কে এলোপাতাড়ি গাড়ী রাখায় ফায়ার সার্ভিস আসতে পারেনি। এসব স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থী ব্যবসায়ী, পথচারী ও সচেতন মহল।
পথচারী আব্দুল্লাহ আল মুহামিন বলেন, সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করতে হয়। নির্ধারিত বাসস্ট্যান্ড না থাকায় যত্রতত্র বাস, ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে। এতে চলাচলে খুবই অসুবিধা হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান বলেন, সড়ক দখল করে দাঁড়িয়ে থাকা বাস-অটোরিকশার কারণে দুটি যানবাহনের পাশাপাশি চলাচলের জায়গা থাকে না। যে কোনো সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। আমরা প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
জানতে চাইলে পরৈকোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজিজুল হক বাবুল বলেন,আপনারা লিখেন এগুলি আমাদের কাজ না।আমি ঐদেরকে সড়কে পার্কিং না করার জন্য বললে ওরা গাড়ি কোথায় রাখবে? ঐ জবাবটা কে দিবে আপনি বলেন? পূর্বে সড়কে বাস, সিএনজি অটোরিকশা দাঁড়িয়ে না রাখার জন্য চালকদের অনেকবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বাস চালকরা আমাকে বলেন,আমাদের একটা বাসস্ট্যান্ড ঠিক করে দিন আমারা ঐখানে চলে যাবো।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। বিষয়টি আমি গুরুত্বসহকারে দেখছি।