আজঃ মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার ওপরে

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটে বৃষ্টিপাত ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উজানের ঢলে আবারও বাড়তে শুরু করছে নদ-নদীর পানি। শনিবার (১৫ জুন) সকাল নয়টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমা ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও সিলেটের সকল নদ-নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় আবারও বন্যার আশঙ্কা করছেন নিম্নাঞ্চলের মানুষজন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, সিলেটে ও উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সিলেটের সবকটি নদ-নদীর পানি আবারো বিপদসীমার উপরে চলে যাবে। এতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের শনিবার সকাল ৯টায় তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার শূন্য দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত কাল সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি ১১ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে, গত কাল সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। ওই পয়েন্ট বিপদসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ৮৬ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে, গত কাল সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ৫৯ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। ওই পয়েন্ট বিপদসীমা ১৫ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। ওই পয়েন্ট বিপদসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার।

কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে পানি ১০ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি ১০ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। ওই পয়েন্ট বিপদসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার। তাছাড়া লোভা নদীর পানি ১৩ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার, সারি নদীর পানি ১২ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার, ডাউকি নদীর পানি ১০ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার ও সারি গোয়াইন নদীর পানি ৯ দশমিক ৯২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২০২ মিলিমিটার এবং আজ সকাল ৬টা থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সিলেটে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এসব নদীর পানি এখনো বিপদসীমার নিচে রয়েছে। আমরা সবাইকে বন্যা সম্পর্কে সতর্কবার্তা প্রচার করছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, জরুরি ভিত্তিতে উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউনিয়নের দুর্যোগ মোকাবেলা কার্যক্রম সমন্বয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট ট্যাগ কর্মকর্তাগণ, ইউপি সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবী দল অগ্রিম লোকজনকে বন্যা সম্পর্কে সতর্কবার্তা প্রচার করছেন। কুইক রেসপন্স ডিজিস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম ৪৭টি নৌকা প্রস্তুত রেখেছে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয়ে। আমাদের পক্ষ থেকে বন্যা পরিস্থিতির মোকাবেলায় সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, বৃষ্টির কিছু পূর্বাভাস রয়েছে, তাছাড়া ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় উপজেলারগুলোর ইউএনওদের সতর্ক করা হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন দপ্তরে আমরা পত্র দিয়েছি, ঈদের সময় যদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাহলে তারা যেন প্রস্তুত থাকেন। তাছাড়া আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ আছে, এরকম পরিস্থিতি হলে আমরা ত্রাণ বিতরণ করতে পারব। পাশাপাশি জেলার সকল আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে ঢাকা প্রায় ফাঁকা

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হবে ১৭ জুন। এরই মধ্যে গ্রামে আপনজনদের সঙ্গে ঈদ কাটাতে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। এবার ঈদের ছুটি শুরুর আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকে আগেই গ্রামে চলে গেছেন। যারা অফিসের কাজ বা কোনো কারণে যেতে পারেননি, তাদের অধিকাংশই ঢাকা ছাড়ছেন আজ।

এদিকে, যাত্রী কমে যাওয়ায় ঢাকার বিভিন্ন রুটে চলাচল করা বাসগুলোও দূরের পথের যাত্রী নিয়ে রাজধানীর বাইরের বিভিন্ন রুটে ছুটছে। এতে ঢাকার ভেতরে গণপরিবহন চলাচল একেবারে কমে গেছে। ফলে যানজটের নগরী ঢাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল, মহাখালী, বিজয়সরণি আগারগাঁও, সায়েন্সল্যাব, শ্যামলী, মতিঝিল, কাকরাইলসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

দুপুর থেকেই এসব এলাকায় মূল সড়কগুলো ফাঁকা ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি কিছুটা বাড়লেও তেমন যানজট হয়নি। শুধুমাত্র সিগন্যালগুলোতে এক সড়ক থেকে অন্য সড়কে গাড়ি যাওয়ার জন্য অল্প সময়ের জন্য আটকে থাকতে হয়। তবে বাণিজ্যিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক এলাকাগুলোতে মানুষের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় কিছুটা ধীরে গাড়ি চলছে।

শনিবার দুপুরে এয়ারপোর্ট থেকে রামপুরা রুটে বিভিন্ন জায়গায় গণপরিবহন সংকটে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। মাঝে মধ্যে দুই-একটা বাসের দেখা মিললেও তাতে ছির উপচেপড়া ভিড়।

নতুনবাজার থেকে সাভার রুটে চলাচল করা বৈশাখী পরিবহনের চালক ইমারুল ইসলাম বলেন, শহরের মধ্যে যাত্রীর তেমন চাপ নেই। কাছাকাছি স্টপেজে মানুষ ওঠানামা করছে। অধিকাংশই ১০-২০ টাকা ভাড়ার যাত্রী। আর রাস্তাও ফাঁকা। গাড়ি এখন ঢাকার মধ্যে কম। সবাই এখন আরিচা ঘাট পর্যন্ত যাত্রী টানছে। কেউ কেউ পদ্মার ওপার পর্যন্তও যাত্রী আনা-নেওয়া করছে।

সায়েন্সল্যাবে যাত্রীর জন্য অপেক্ষায় থাকা সাভার পরিবহনের চালক আজিজুল বলেন, সদরঘাট যাওয়ার সময় গুলিস্তান এবং বাবুবাজার এলাকায় কিছুটা যানজট পেয়েছি। এছাড়া বাকি রাস্তা ফাঁকাই ছিল। আসার সময়ও গুলিস্তানে কিছুটা যানজট ছিল। এছাড়া পুরো রাস্তা এখন ফাঁকা।

এদিকে, রাস্তা ফাঁকা থাকায় স্বস্তিতে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। নতুনবাজার থেকে গুলশানে প্রবেশমুখে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট আসাদুজ্জামান রবিন বলেন, আজকে গাড়ির চাপ নেই। সকাল থেকেই প্রাইভেটকার বা ব্যক্তিগত গাড়ির পরিমাণ অনেক কম। সড়ক অনেকটা ফাঁকা। তারপরও মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা করছি আমরা।

নিউজ ট্যাগ: ঈদুল আজহা

আরও খবর



সাধারণ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটের বিশ্ব রেকর্ড গড়লো ভারত

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সদ্য শেষ হওয়া ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটের বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে ভারত। দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজিব কুমার জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে মোট ভোট দিয়েছেন ৬৪ কোটি ২০ লাখ মানুষ, যার মধ্যে ৩১ কোটি ২০ লাখই নারী। পুরো বিশ্বে কোনো ধরনের নির্বাচনে এত মানুষের ভোট দেওয়ার নজির নেই।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই রেকর্ডের পাশাপাশি ইউরোপের তিন দেশ যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যাকেও টপকে গেছে এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়া নারীদের সংখ্যা। তাই নারীদের ভোটদানের নিরিখেও বিশ্বের বৃহত্তম দেশ এখন ভারত।

এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রাজিব কুমার বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক নির্বাচনে ৬৮ হাজারেরও বেশি মনিটরিং টিম এবং দেড় কোটি পোলিং ও নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত ছিলেন।

এদিকে, এবার ভোট্রগহণ চলাকালীন নির্বাচনে কমিশনারদের লাপাত্তা জেন্টলম্যান আখ্যা দিয়ে মিম ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সাধারণ ভোটারদের অনেকের দাবি, নির্বাচনের মাঠে কমিশনাররা ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন না করায় এই আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

মিমের বিষয়ে ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছি। এখন মিমস শেয়ারকারীরা বলতে পারেন যে লাপাত্তা জেন্টলম্যানরা ফিরে এসেছেন।

রাজিব কুমার আরও বলেন, চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রায় চার লাখ যানবাহন, ১৩৫টি বিশেষ ট্রেন ও ১ হাজার ৬৯২টি প্লেন ব্যবহার করা হয়েছিল। বয়স্ক ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারেন, তা নিশ্চিতেও নেওয়া হয়েছিল যথাযথ ব্যবস্থা।

এদিকে, ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৫৪০টি আসনে পুনঃভোট হয়েছিল। সেখানে ২০২৪ সালের নির্বাচনে মাত্র ৩৯টি আসনে পুনঃভোট হয়েছে। তাছাড়া এবার জম্মু ও কাশ্মিরে চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।

আর ২০১৯ সালে নির্বাচন চলাকালে নগদ অর্থ, বিনামূল্যে দেওয়া ‍কোনো জিনিস, মদসহ অন্যান্য মাদকদ্রব মিলিয়ে ৩ হাজার ৫০০ কোটি রুপি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছি। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে এই অর্থ প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। এবার সবমিলিয়ে ১০ হাজার কোটি রুপি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: লোকসভা নির্বাচন

আরও খবর



নেপালে সিয়ামকে আটকের বিষয়ে যা জানালেন ডিবি হারুন

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে জ‌ড়িত গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের ম‌ধ্যে অনেকে নেপালে রয়েছে বলে ধারণা করছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের মূল প‌রিকল্পনাকারীর আক্তরাজ্জামান শা‌হি‌নের সহ‌যোগী সিয়াম নেপালে আটকের কথা শু‌নেছি।

শনিবার (১ জুন) নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ডি‌এম‌পির ডি‌বির প্রধান হারুন অর র‌শি‌দের নেতৃ‌ত্বে তিনজন ডি‌বি দ‌লের সদস্য ও একজন ন্যাশনাল সেন্টার ব্যুরো (এনসিবি) সদস্যসহ মোট চার জ‌নের এক‌টি দল নেপা‌লে যা‌চ্ছেন। মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, ইদানিং বাংলাদেশের অনেক সন্ত্রাসী নেপালের কাঠমান্ডুর মাটিকে পালানোর রুট হিসেবে ব্যবহার করছেন। এর মধ্যে আমাদের সংসদ সদস্য আনার হত্যার মূল মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহীন কাঠমান্ডুর মাটি ব্যবহার করে অন্য দেশে চলে গেছেন। আরও অনেক আসামি এখানে আত্মগোপনে থাকতে পারে বলে আমাদের কাছে খবর আছে।

তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো ক্রস চেক করতে নেপাল যাচ্ছি।

ডিবি প্রধান বলেন, সিয়ামসহ বেশ কয়েকজনের বিষয়ে আমরা ইন্টারপোলকে চিঠি দিয়েছি। কাঠমান্ডু পুলিশকেও জানিয়েছি। যেসব আসামি নেপালে থাকবে তদের আটক করার জন্য আমরা তাদের অনুরোধ জানিয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নেপাল পুলিশের সঙ্গে কথা বলবো।

আরেক প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার জিহাদ তালুকদারকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। বাংলাদেশে আমাদের মূল আসামি কয়েকজন আছে। তাদের সঙ্গে তো কথাবার্তা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এমপি আনার হত্যায় জড়িতরা ছাড়াও অনেক অপরাধী কিন্তু কলকাতা রুটকে ব্যবহার করছে। সংসদ সদস্য আনার হত্যায় জড়িতরা যে কলকাতা রুট ও কাঠমান্ডু রুট ব্যবহার করেছে সেটা আমরা কলকাতাকে যেমন বলেছি, নেপালকেও বলব।


আরও খবর



বিমানবন্দরে লাগেজের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিলেই লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিদেশ থেকে আসা কোনো যাত্রী নিজের লাগেজ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিলে বা ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য আনলে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে এবং তার লাগেজে থাকা পণ্য রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে। এ ছাড়া নিষিদ্ধ পণ্য বহন করলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

কাস্টমসের নতুন আইন-২০২৩ অনুসারে এমন বিধান রাখা হয়েছে; যা আগামী ৬ জুন থেকে কার্যকর হচ্ছে।

গত ৩০ মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সই করা এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কাস্টমস আইনের ১৫৪ ধারায় বলা আছে, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কাস্টমসের কাছে তার লাগেজ সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে। যাত্রী বা ক্রু লাগেজে রক্ষিত পণ্য সম্পর্কে কাস্টমস কর্মকর্তার কাছে লিখিত বা মৌখিক ঘোষণা দিতে পারবেন ও কাস্টমস কর্মকর্তার প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। লাগেজ তল্লাশির আগে যাত্রী যদি রক্ষিত পণ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হন এবং তল্লাশিকালে ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কাস্টমস কর্মকর্তা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবেন। এ ছাড়া, সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হবে।

এর আগে, ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর জাতীয় সংসদে কাস্টমস আইন-২০২৩ পাস হয়। পুরোনো আইনে ২২৩টি ধারা ছিল। নতুন আইনে ২৬৯টি ধারা রয়েছে। রাজস্ব সংগ্রহ ও বাণিজ্য সহজীকরণের লক্ষ্যে বিশ্ব কাস্টমস সংস্থার (ডব্লিউসিও) অনুমোদিত আন্তর্জাতিক চুক্তি ও কনভেনশন অনুযায়ী এবং আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা, যেমন- অনুমোদিত অর্থনৈতিক অপারেটর (এইও), পারস্পরিক স্বীকৃতি চুক্তি (এমআরএ), ইলেকট্রনিক ঘোষণা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট (পিসিএ) ইত্যাদি নতুন আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কাস্টমস আইন ১৯৬৯ অনুযায়ী, পণ্যের ক্ষেত্রে অসত্য তথ্য দিলে বা কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার অথবা ব্যর্থ হলে, সেক্ষেত্রে যাত্রীকে ওই পণ্য-মূল্যের অনধিক তিনগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডের বিধান ছিল।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে স্বর্ণের পাহাড়ে ১৪৪ ধারা জারি

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

মাটি খুড়লেই পাওয়া যাচ্ছে স্বর্ণ, এ আশায় ছুটছে মানুষ। এতে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল কাতিহার আরবিবি ইটভাটা ও আশপাশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।

শনিবার (২৫) রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে এ আদেশ জারি করেন প্রশাসন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবত থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান।

উল্লেখ্য, সোনা মিলুক আর না মিলুক মাটি খুরলেই পাওয়া যাচ্ছে সোনা এমন খবরে আবারো যেনো প্রতিযোগীতায় নামে স্থানীয়রাসহ উৎসুক জনতা। গত কয়েকদিন ধরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার বাজার এলাকার বাচোর ইউনিয়নের আরবিবি নামে একটি ইটভাটায় ইট প্রস্তুতের জন্য মাটিগুলো সংগ্রহিত করা হয় দীর্ঘ দিন ধরে। গেল এপ্রিলে হঠাৎ স্থানীয় এক ব্যক্তির ফেইসবুকে এমন খবর ছড়িয়ে দেয়।

তারপর থেকেই মাটি খুড়তে স্থানীয়রাসহ উৎসুক জনতা ভিড় করে। মাঝে কয়েকদিন খোড়াখুড়ি বন্ধ হলেও আবারো গেল বুধবার থেকে স্বর্ণের খোঁজে ছুটেন মানুষ।

ইট তৈরি জন্য দুর-দুরান্ত থেকে নিয়ে আসা পাঁকা সড়কের পাশে স্তুপ করে রাখা মাটি খুরতে থাকেন স্বর্ণের লোভে।

তাই কেউ কোদাল হাতে, কেউবা বসিলা, আবার কেউ খন্তি হাতে নিয়ে সোনা পাওয়ার আশায় এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের মাটি খুরেন। এমন পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন উপজেলা প্রশাসন।

এ বিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, মাস খানিক ধরে মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়ে মাটি খুরতে থাকে। যেহেতু সেখানে মাটি খোরার কোদাল, খন্তিসহ সরঞ্জামাদি নিয়ে দলবদ্ধ হচ্ছে। সে কারণে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ইট ভাটার আশপাশ এলাকা ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।


আরও খবর