আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

স্বামীর যে কাজ ঘৃণা করেন স্ত্রীরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দাম্পত্য জীবন সুখের হয় স্বামী-স্ত্রীর ভালো বোঝাপোড়ার মাধ্যমে। কথায় আছে, সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। তবে শুধু রমণীর গুণ থাকলেই হবে না, সংসারে পুরুষের অবদানও অনেক। একজন দায়িত্বশীল ও যত্নবান স্বামীর প্রত্যাশা করেন সব স্ত্রীরাই। তবে বিয়ের পর পুরুষের অনেক আচরণ ও কাজকর্ম দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন নারীরা। এক সময় মনে মনে জীবনসঙ্গীকে ঘৃণা করাও শুরু করেন স্ত্রী। জেনে নিন তেমনই কয়েকটি কাজ সম্পর্কে, যা স্ত্রীরা ঘৃণা করেন-

খারাপ আচরণ ও বকা দেওয়া: অনেক পুরুষ আছেন, যারা রাগ হলে ক্ষিপ্ত হয়ে নানা ধরনের কটূ কথা স্ত্রীকে শোনান। নারীরা স্বামীর এ ধরনের আচরণ একেবারেই সহ্য করতে পারেন না। মুখে অনেক নারী এ বিষয় নিয়ে তেমন কথা না বললেও মনে মনে তারা ব্যাথিত হন। স্বামী যদি নিয়মিত স্ত্রীকে খারাপ কথা শোনান, তার থেকে এক সময় দূরে সরেও যেতে পারেন স্ত্রী।

সময় না দেওয়া: সব স্ত্রীই চান তার স্বামী তাকে যেন সময় দেন। স্বামীর কাছ থেকে কিছুটা ব্যাক্তিগত সময় আশা করেন নারী। যদিও কর্মব্যস্ততার খাতিরে অনেকেই পরিবারকে সময় দিতে পারেন না। তবে দাম্পত্য সম্পর্ক ভালো রাখতে স্ত্রীকে সময় দেওয়া উচিত সব স্বামীরই। যদিও তা অনেক পুরুষই বুঝতে চেষ্টা করেন না। এতেই ঘটে বিপত্তি। এ বিষয় নিয়ে অনেক দম্পতির মধ্যেই দেখা দেয় দন্দ্ব। যা এক সময় গড়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত।

নেশাগ্রস্ত পুরুষ: নেশাগ্রস্ত পুরুষকে বেশিরভাগ নারীই ঘৃণা করেন। এ ধরনের পুরুষরা সংসারের প্রতি দায়িত্বশীল হন না, যা অশান্তির কারণ হতে পারে। আবার নেশাগ্রস্ত পুরুষরা নানাভাবে স্ত্রীর উপর নির্যাতন করেন, এমন ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। এ কারণে নারীরা নেশাগ্রস্ত পুরুষ একবারেই পছন্দ করেন না।

স্ত্রীকে ছোট করা: কিছু কিছু পুরুষ আছেন যারা সব সময় স্ত্রীর ভুল খুঁজে বেড়ান। যে কোনো পরিস্থিতিতেই এ ধরনের পুরুষরা স্ত্রীকে ছোট করতে ছাড়ে না। যদিও এই অভ্যাস দাম্পত্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। নারীরা এ ধরনের পুরুষকে ঘৃণা করেন। আপনার মধ্যেও যদি এ অভ্যাস থাকে তাহলে এখেনই সতর্ক হন।

স্ত্রীর কাছে টাকা ধার চাওয়া: স্ত্রীর কাছে টাকা ধার চাওয়ার অভ্যাস অনেক পুরুষের মধ্যেই আছে। যদি টাকা সঠিক সময়ে ফেরত দেন তাহলে ঠিক আছে, তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি টাকা ফেরত না দেন তাহলে কিন্তু স্ত্রীর কাছে আপনি লোভী ও মিথ্যাবাদী হিসেবে বিবেচিত হবেন। এমন পুরুষকে কোনো নারীই পছন্দ করেন না। এবার থেকে স্ত্রীর কাছে টাকা ধার চাওয়ার আগে এই বিষয় মাথায় রাখুন।

নিউজ ট্যাগ: দাম্পত্য জীবন

আরও খবর



প্লাস্টিক দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী কোকা-কোলা ও পেপসিকো: গবেষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণের অর্ধেকের জন্য দায়ী মাত্র ৫৬টি কোম্পানি। এর মধ্যে কোকা-কোলা একাই মোট ১১ শতাংশ প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। কোকা-কোলা ছাড়াও ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে (শনাক্তকৃত) পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) 'সায়েন্স অ্যাডভান্স' জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় ছয়টি মহাদেশের বেশ কিছু বড় কোম্পানি বা ব্র্যান্ড এর নাম উঠে এসেছে, যারা ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের সাথে জড়িত। গবেষকরা এক লাখের বেশী স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় ১ দশমিক ৮ মিলিয়নের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য তাদের গবেষণার জন্য আলাদা করেছেন।

প্রতি বছর বিভিন্ন কোম্পানি সাড়া পৃথিবীতে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মেট্রিক টন প্লাস্টিক উৎপাদন করে। এই প্লাস্টিকের কিছু নদী বা সমুদ্র সৈকতে জমা হয়ে পানির স্বাভাবিক স্রোতে বাধা সৃষ্টি করে। আবার কিছু প্লাস্টিক ভেঙ্গে অতিক্ষুদ্র মাইক্রোপ্লাস্টিক বা ন্যানোপ্লাস্টিকেও পরিণত হয়। এ ধরনের অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক বাতাসে ভাসতে পারে। এমনকি মানুষের ফুসফুস ও রক্তসহ অন্যান্য অঙ্গে প্রবেশ করতে পারে।

তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্লাস্টিক 'নিরীক্ষা' পরিচালনা করেছেন। তারা সতর্কতার সাথে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, নদী এবং অন্যান্য এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেছেন। তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রতিটি অংশ পরীক্ষা করে দৃশ্যমান ব্র্যান্ড বা ট্রেডমার্ক চিহ্নিত করেছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক নামের সংস্থাটি এক হাজার ৫৭৬টি নিরীক্ষা সমন্বয় করেছে।

পরীক্ষা চালানো ১ দশমিক ৮ মিলিয়নেরও বেশি প্লাস্টিকের মধ্যে প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজার প্লাস্টিকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্ন পাওয়া গেছে। [সূর্যালোক এবং আবহাওয়ার সংস্পর্শে আসার কারণে প্লাস্টিক তার ব্র্যান্ড মার্কারগুলো (চিহ্ন) হারাতে পারে।]  ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্নের ওপর ভিত্তি করে ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলো (শনাক্তকৃত) হলো কোকা-কোলা, পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

কোকা-কোলার একজন মুখপাত্র মেইলে কোম্পানিটির 'ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট' নামক কৌশলের কথা উল্লেখ করে জানান, কোকা-কোলা ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে কোম্পানিটি প্যাকেজিংয়ের জন্য ৫০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করতে চায়।

এ ছাড়া নেসলে জানিয়েছে, নতুন প্লাস্টিকের ব্যবহার এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা এবং প্যাকেজিংয়ের জন্য আরো বেশি করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করা কোম্পানির মূল লক্ষ্য। আর পেপসিকো ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়েছে, কোম্পানিটি প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় একটি বৈশ্বিক নীতি কাঠামোর পক্ষে এবং এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে কাজ করছে যেখানে প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব।

এদিকে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক সমস্যা সমাধানে একটি চুক্তি করার ব্যাপারে আলোচনার জন্য এই সপ্তাহে অটোয়াতে বিশ্ব নেতারা এবং মধ্যস্ততাকারীরা একত্রিত হবেন। অনেক পরিবেশগত সংস্থা এবং দেশগুলো এমন একটি চুক্তি চায় যা প্লাস্টিক উৎপাদন হ্রাস করবে যা মার্কিন মধ্যস্ততাকারীরা প্রতিরোধ করে আসছে। শিল্প গোষ্ঠী এবং সংস্থাগুলো যুক্তি দিয়েছে, বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক উৎপাদন, উন্নত রিসাইকেল ব্যবস্থা এবং উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লাস্টিক উৎপাদন ব্যাহত না করেই এ সমস্যাটির সমাধান করতে পারে।

ওয়ার্ল্ড প্লাস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বেনি মারম্যানস বলেন, "আমাদের সদস্যরা বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের সরবরাহ বাড়াতে বিভিন্ন অবকাঠামোতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে যাতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকগুলো বর্জ্য, ভূমি বা পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে পরিবেশে প্রবেশ করতে না পারে।" তবে প্লাস্টিক শিল্পের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্লাস্টিক বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এর উৎপাদন কমালে তা নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

গবেষকরা শুধু পুনর্ব্যবহার বাড়ানো বা বৃত্তাকার অর্থনীতির গুরুত্বের উপর জোর না দিয়ে প্লাস্টিক উৎপাদন কমানোর বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন। তেল ও গ্যাস উৎপাদনকে লক্ষ্য করে জলবায়ু নীতি থাকা সত্ত্বেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তৈরি হওয়া প্লাস্টিক এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখছে। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা ধারণা করছে, প্লাস্টিকের জন্য এ শতাব্দীর মাঝামাঝি তেলের চাহিদা অর্ধেক বৃদ্ধি পাবে। আর বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, প্লাস্টিক উৎপাদনে বিধিনিষেধ না থাকায় সেটি পরিবেশের ক্ষতি করার পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।


আরও খবর



স্কুল-কলেজের সভাপতি হতে লাগবে এইচএসসি পাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বেসরকারি মাধ্যমিক ও কলেজগুলোর ম্যানেজিং কমিটির নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে গেজেট জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশোধন করা হয়েছে বর্তমান গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালাও।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তুরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা-২০২৪ জারি করা হয়।

এতদিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ সভাপতি ও সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারিত না থাকলেও নতুন নিয়মে হতে হবে উচ্চ মাধ্যমিক পাস। এছাড়া একইসঙ্গে এক ব্যক্তি পরপর দুবারের বেশি সভাপতি হতে পারবেন না বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রবিধানমালা-২০২৪ এর তৃতীয় অধ্যায়ে ম্যানেজিং কমিটি বিষয়ে বলা হয়েছে, নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার দায়িত্ব একটি ম্যানেজিং কমিটির উপর ন্যস্ত থাকিবে।

১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন হবে।

(ক) একজন সভাপতি।

(খ) মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, শিক্ষকের ভোটে নির্বাচিত ২ জন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি। তবে শর্ত থাকে যে, মাধ্যমিক স্তরের কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক স্তর সংযুক্ত থাকলে, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি এবং প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন।

(গ) নিম্নমাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, নিম্নমাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষকের ভোটে নির্বাচিত ২ জন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি।

তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নমাধ্যমিক স্তরের কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক স্তর সংযুক্ত থাকলে, নিম্নমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি এবং প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন।

(ঘ) মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, মাধ্যমিক স্তরের কেবল মহিলা শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত একজন সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি। তবে শর্ত থাকে যে, মাধ্যমিক স্তরের কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক স্তর সংযুক্ত থাকলে, মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি উভয় স্তরের মহিলা শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত হবেন।

(ঙ) নিম্নমাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, নিম্নমাধ্যমিক স্তরের কেবল মহিলা শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত একজন সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি থাকবে।

ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ হবে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী ২ বছর।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ কোনো ব্যক্তি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




ভারতে ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূতের দায়িত্ব পেলেন কারিনা কাপুর

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডে দু'দশক কাটিয়ে ফেলেছেন কারিনা কাপুর খান। অভিনেত্রী, দুই সন্তানের মা, ঘর-সংসার এবং কাজ সবই সমান তালে চালাচ্ছেন। এবার আরও বড় এক দায়িত্ব পেলেন তিনি। ভারতে ইউনিসেফের জাতীয় শুভেচ্ছা দূত হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বলিউডের সুপারস্টার কাপুরকন্যা।

শনিবার নিজেই ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে এ খবর জানান কাপুরকন্যা।

তিনি লেখেন, আমার জন্য খুব আবেগের একটা দিন। ইউনিসেফের দূতের দায়িত্ব পেয়ে আমি ধন্য।

ভারতীয় গণমাধ্যম জিনিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত দশ বছর ধরে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করছেন কারিনা কাপুর। শুরুটা হয়েছিল সেই ২০১৪ সালে সেলেব্রিটি অ্যাডভোকেট হিসেবে। এবার সেই পদ থেকেই উত্তরণ হয়ে সরাসরি ইউনিসেফ-এর ন্যাশনাল অ্যাম্বাসাডরের দায়িত্ব পেলেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে কারিনা বলেন, গত দশ বছর ধরে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করছি। গত বছরগুলোতে দেশের শিশু এবং নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য আমাদের টিম যে কাজগুলো করেছে, তাতে আমি সত্যিই গর্বিত। আমি প্রতিদিন অনুপ্রেরণা পাই সেগুলো থেকে। আশা রাখি ভবিষ্যতেও এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করে যাব।


আরও খবর



কুষ্টিয়ায় গ্যাস লাইট বিস্ফোরণে ঝলসে যাওয়া কিশোরের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ায় গ্যাস লাইট বিস্ফোরণে ঝলসে যাওয়ার দুই সপ্তাহ পর সাজিদ (১৬) নামের এক কিশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালের দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাজিদ মৃত্যুবরণ করে।

মৃত সাজিদ কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক আব্দুর রহিম লাল্টুর ছেলে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল গ্যাস লাইট বিস্ফোরণে ওই কিশোরের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মকভাবে পুড়ে গুরুতর আহত হয় । পরে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাস্থ শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।


আরও খবর



৮ শিক্ষকের মাদ্রাসায় দুই পরীক্ষার্থী, তারাও ফেল

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে অংশ নিয়েছিল দুই পরীক্ষার্থী। তাদের কেউ এবার দাখিল পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি। অথচ তাদের পড়ানোর জন্য ছিল আটজন শিক্ষক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবারের দাখিল পরীক্ষায় বসার জন্য ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ফরমফিলাপ করেছিল মাত্র আটজন। তাদের মধ্য থেকে দুজন সাধারণ বিভাগ থেকে অংশ নেয় দাখিল পরীক্ষায়। কিন্তু তারা সবাই ফেল করেছে।

ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, করোনার প্রাদুর্ভারের পর থেকে ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার মান তলানিতে নেমে যায়। মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তাদের ক্লাস নিতেন না। ফলে তাদের এবার ফলাফল খারাপ হয়ে গেছে।

ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেনটেন্ড এজাজুল হক বলেন, এ প্রতিষ্ঠান থেকে আটজন দাখিল পরীক্ষার জন্য ফরমফিলাপ করে। তাদের মধ্য থেকে দুজন দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। ফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, তারা দুজনই ফেল করেছে।

ফল খারাপ হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানটি এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। এখানে আটজন শিক্ষক আছে, তারা কেউই বেতন-ভাতা পান না। যার কারণে তারা অন্য কাজ করেন। যার কারণে তারা ক্লাস নিতে আগ্রহী নন। যদি মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হয় তাহলে শিক্ষার মান আরও বাড়বে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহমেদ মাহবুব-উল- ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে পর্যবেক্ষণে রাখার পাশাপাশি এবারের ফলাফল কেন এত খারাপ হলো অবশ্যই যাচাই-বাছাই করা হবে।

ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসাটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতাধিক।

নিউজ ট্যাগ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ

আরও খবর