বেসরকারি পর্যায়ে
পরিচালিত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মে আনতে দ্বিতীয় দফায় চলা সারা দেশব্যাপী অভিযানে
গত দুই দিনে পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
একই সঙ্গে নিবন্ধন থাকলেও নবায়ন না করা ও আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম
না করাসহ নানা অভিযোগে এসব কয়েক শ প্রতিষ্ঠানকে ৯ লাখের বেশি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০
আগস্ট) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা এই তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বলছে, গত সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সারা দেশে চলমান অভিযানে ৫২৪টি বেসরকারি হাসপাতাল,
ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অবৈধভাবে
কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে এসব প্রতিষ্ঠানকে ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সরকারি সংস্থাটি
বলছে, অভিযানে সবচেয়ে ১৪৯টি বন্ধ হয়েছে খুলনা বিভাগে। এরপর ঢাকা বিভাগে ১৪৫টি, চট্টগ্রাম
বিভাগে ৭৬টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৪টি, রাজশাহী বিভাগে ৫৩টি, রংপুর বিভাগে ১৯টি, ঢাকা
মহানগরে ১৫টি, বরিশাল বিভাগে ১২টি। তবে সর্বনিম্ন একটি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা
হয়েছে সিলেট বিভাগে।
এদিকে জরিমানা
আদায়ে শীর্ষে রয়েছে রাজশাহী বিভাগ, এই বিভাগে সর্বোচ্চ ৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা
আদায় করা হয়েছে। এরপর ঢাকা বিভাগে এক লাখ, খুলনা বিভাগে ৮০ হাজার এবং বরিশাল বিভাগে
জরিমানা আদায় করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা। তবে, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রংপুর, সিলেট বিভাগসহ
ঢাকা মহানগরীতেও কোন জরিমানা আদায় করা হয়নি।
এর আগে গত ২৬
মে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে প্রথম দফায় গত ৩০ মে বেআইনিভাবে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযানে নামে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যেখানে এক হাজার ৬৪১টি প্রতিষ্ঠান
বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবার দ্বিতীয় গত সোমবার থেকে সপ্তাহব্যাপী অভিযানে নামে সরকার।
যেখানে প্রথম দুদিনে ৫২৪ টির কার্যক্রম বন্ধ করতে পেরেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই নিয়ে
গত তিন মাসে দুই হাজার ১৬৫টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হলো।
স্বাস্থ্য হাসপাতাল
ও ক্লিনিক শাখার সহকারী পরিচালক ডা. শেখ দাউদ আদনান বলেন, ‘আমাদের কথা পরিষ্কার,
কার্যক্রম চালাতে হলে নিবন্ধন নিতে হবে। যারাই বেআইনিভাবে কার্যক্রম চালাবেন, তাদের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’