আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

তবে কী শ্রীলঙ্কার পথেই যাচ্ছে পাকিস্তান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিদেশি ঋণে জর্জরিত পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা নজিরবিহীন সংকটের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। বেহাল এই অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করানোর চেষ্টায় দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) আরেক দফা পেট্রল, ডিজেল, কেরোসিনের দাম বৃদ্ধি করেছে। দেশটিতে এখন প্রতি লিটার পেট্র্রল ২৩৪, ডিজেল ২৬৩ আর কেরোসিন ২১২ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। এর পাশাপাশি পাকিস্তানি রুপির দরে একের পর এক পতন ঘটেছে। একই দিনে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে পাকিস্তানি ২০৭ রুপির বিনিময়ে মিলছে ১ ডলার। ১৯৪৭ সালে দেশটি স্বাধীনতা লাভের পর পাকিস্তানি রুপির এমন পতন কখনই দেখেনি। এমন পরিস্থিতিতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, দেউলিয়া হয়ে যাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কার পথে রয়েছে পাকিস্তান।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান বলেছেন, পাকিস্তান যদি বর্তমান অর্থনৈতিক নীতিতে চলতে থাকে, তাহলে শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে আর দেরী নেই। বুধবার রাওয়ালপিণ্ডিতে পিটিআইয়ের এক অনুষ্ঠানে দেশটির ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন তিনি।  পাকিস্তানের রপ্তানি ১০ শতাংশ কমে গেছে। স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে বেরিয়ে গেছে ৭০০ বিলিয়ন রুপি। পাকিস্তানের অর্থনীতি সম্পর্কে রেটিংও কমিয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্রেডিট রেটিং প্রতিষ্ঠান মুডিস। দেশ শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতির পথে রয়েছে। এই দেশকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় আগাম ও স্বচ্ছ নির্বাচন।

পাকিস্তানের বর্তমান সরকারের তীব্র ভর্ৎসনা করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতাসীনরা পাঞ্জাবের ২০টি আসনের আসন্ন উপনির্বাচনে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) সহায়তা চায়। দেশের বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন হতে পারে না। আমি যখনই লংমার্চের ডাক দেব, তখনই আপনাদের পুরোপুরি প্রস্তুত থাকতে হবে। পিটিআইয়ের লং মার্চের সময় লোকজনকে লক্ষ্য করে অপরাধী, সন্ত্রাসীদের মতো গুলি করা হয়েছিল এবং আমরা ইসলামাবাদে অধিকৃত-কাশ্মিরের মতো নৃশংস দৃশ্য দেখেছি। আল্লাহ কাউকে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকার অনুমতি দেননি। যারা সঠিক পথে আছেন আপনাকে তাদের পাশে অথবা অন্য পক্ষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এর আগে, সাবেক এই পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল পাঞ্জাব প্রদেশ একেবারে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শেহবাজের সমালোচনা করে ইমরান খান বলেন, পাঞ্জাবে ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে হামজা শেহবাজ অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশটি রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে। জনগণের দুর্ভোগের মুখোমুখি হয়েছে। কৃষকের ফসল হুমকিতে রয়েছে। কিন্তু মাফিয়ারা সর্বত্রই সরকারের রিটকে চ্যালেঞ্জ করছে এবং ক্ষমতাসীনরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।

ফের বেড়েছে জ্বালানির দাম: পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। বিদেশি ঋণে জর্জরিত দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থার চাপ পড়ছে সাধারণ জনগণের ওপর। অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করাতে এবার জনগণের ওপর আরেক দফা বোঝা চাপিয়ে এক লাফে পেট্রলের দাম বাড়ানো হয়েছে ২৪ রুপি। এছাড়া ডিজেলের দামও ফের বেড়েছে ৫৯ রুপি। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে প্রতি লিটার পেট্রল এবং ডিজেলের দাম যথাক্রমে ২৩৪ এবং ২৬৩ রুপিতে পৌঁছেছে।

পেট্রল, ডিজেলের পাশাপাশি পাকিস্তানে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কেরোসিনের দামও। দেশটিতে বর্তমানে প্রতি লিটার কেরোসিন বিক্রি হচ্ছে ২১১ দশমিক ৪৩ রুপি করে। তবে বর্তমান এই অর্থনৈতিক সংকটের জন্য ইমরান খান সরকারের নীতিকে দায়ী করেছে দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার। ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল বলেছেন, ইমরানের খানের সরকারের নীতির কারণে দেশের অর্থনীতির এই বেহাল দশা।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভর্তুকি দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে পেট্রলের দাম কমিয়েছিলেন এবং বর্তমান সরকারকে সেই সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হচ্ছে। তার মতে, পাকিস্তান প্রতি লিটারে পেট্রলে ২৪ দশমিক ০৩ রুপি, ডিজেলে ৫৯ দশমিক ১৬ রুপি, কেরোসিনে ৩৯ দশমিক ৪৯ রুপি এবং লাইট ডিজেলে ৩৯ দশমিক ১৬ রুপি ভর্তুকি দিচ্ছে। গত মে মাসে জ্বালানি তেল বিক্রিতে যে ক্ষতি হয়েছে, তার পরিমাণ ১২০ বিলিয়ন রুপি ছাড়িয়ে গেছে। যা বর্তমান সরকারের ব্যয়ের চেয়ে তিনগুণ বেশি।

নজিরবিহীন মূল্য পতন পাকিস্তানি রুপির : এদিকে ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির নজিরবিহীন দর পতন ঘটেছে। আগের সব রেকর্ড ভেঙে বৃহস্পতিবার আরেক দফা নেমেছে পাকিস্তানি রুপির মান। বর্তমানে পাকিস্তানের মুদ্রাবাজারে ২০৭ রুপির বিনিময়ে মিলছে ১ ডলার। দেশটির ইংরেজি দৈনিক ডন বলছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাথে পাকিস্তানের চুক্তির বিষয়ে অস্পষ্টতা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যাপক কমে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালের দিকে মার্কিন ডলারের দর পতনের আরেকটি রেকর্ড হয়েছে।  গত মে মাস থেকে হু হু করে হ্রাস পেতে শুরু করে পাকিস্তানি রুপির মান। ১৯ মে পাকিস্তানে ১ ডলারের বিপরীতে রুপির মান পৌঁছায় ২০০-তে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর গত ৭৫ বছরের ইতিহাসে নিজেদের মুদ্রার এই পরিমাণ পতন দেখেনি পাকিস্তান। তবে সেখানেই থেমে থাকেনি রুপির দরপতন, বরং দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নেমেছে মান। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত পাকিস্তানে ১ ডলারের বিপরীতে রুপির মান ছিল ২০৫ দশমিক ২৫। বুধবার তা আরও নেমে পৌঁছায় ২০৬ দশমিক ৫০ রুপিতে। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকালের দিকে তা আগের সব রেকর্ড ভেঙে ২০৭ রুপিতে পৌঁছেছে। তবে এ দিনে খোলা বাজারে ২০৮ দশমিক ৫ রুপিতে মিলেছে ১ ডলার।

মেট্টিস গ্লোবালের পরিচালক সাদ বিন নাসির বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ প্রকল্প স্থবির অবস্থায় থাকা, জঙ্গিবাদে অর্থায়ন পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের (এফএটিএফ) ধূসর তালিকায় থাকা, চীনের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধের চাপ ও জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্য এই চার কারণে ব্যাপক চাপে রয়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। আর তার ফলাফলই হলো রুপির এই ধারাবাহিক দরপতন।

ডন বলছে, ২০১৯ সালের জুলাইয়ে আইএমএফের সঙ্গে একটি ঋণচুক্তি করেছিল পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পিটিআই সরকার। সেই চুক্তি অনুযায়ী, পাকিস্তানকে সাড়ে তিন বছর (৩৯ মাসে) কিস্তিতে ৬০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আইএমএফ। তবে তার বিপরীতে আইএমএফের কিছু শর্ত ছিল। এসবের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি শর্ত ছিল যে, সরকারের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের জ্বালানি খাতে কোনো ভর্তুকি দেওয়া যাবে না। কিন্তু পিটিআই সরকার ২০২১ সালের শুরুর দিকে জ্বালানিতে ভর্তুকি বিষয়ক শর্ত অমান্য করায় ৩০০ কোটি ডলারের ঋণ ছাড়ের পরই সেই প্রকল্প থামিয়ে দেয় আইএমএফ। গত এপ্রিলে পার্লামেন্টে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারান ইমরান খান, নতুন প্রধানমন্ত্রী হন দেশটির সাবেক বিরোধী নেতা শেহবাজ শরিফ। কিন্তু তিনি ক্ষমতায় এসেও পূর্ববর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখায় আইএমফ ঋণ প্রকল্পের অচলাবস্থা আর কাটেনি।

অন্যদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। তাই স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান পরিস্থিতিতে জ্বালানির ওপর ভর্তুকি প্রত্যাহার করা কঠিন দেশটির সরকারের জন্য।

নিউজ ট্যাগ: শ্রীলঙ্কা

আরও খবর



বিশেষ ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৩ বগি লাইনচ্যুত, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী বিশেষ ট্রেনের (ঈদ স্পেশাল) ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় এ লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ওই বিশেষ ট্রেনটি রওনা দেয়। সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় বিকটশব্দে ওই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

চট্টগ্রামে উদ্ধারকারী ট্রেনকে খবর দেওয়া হয়েছে। ট্রেনটি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেরামতের কাজ শেষ করলেই ওই রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে বলে জানান ওই স্টোশন কর্মকতা।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে একাই ১৬টি ভোট দিয়ে জেলে গেলেন যুবক

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁওয়ে ১৬টা জাল ভোট দেওয়ার সময় হৃদয় হোসেন (২৪) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। পরে তাকে সাত দিনের জেল দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারেক হোসেন।

বুধবার (৮ মে) বিকেলে সাড়ে ৩টায় জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মধ্য চাড়োল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ চলাকালে জাল ভোট দেওয়ার সময় প্রিজাইডিং অফিসার গোপাল চন্দ্র বর্মন তাকে আটক করেন।

আটককৃত হৃদয় হোসেন ওই উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের পিয়াজু গ্রামের নাজিম উদ্দীনের ছেলে।

প্রিজাইডিং অফিসার গোপাল চন্দ্র বর্মন জানান, জাল ভোট দেয়ার সময় হৃদয় হোসেন নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। সে ১৬টি জাল ভোট প্রদান করেন। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে রিদয়কে সাত দিনের কারাবাসে পাঠানো হয়।

জেলা নির্বাচন অফিসের দেয়া তথ্য মতে, এ দুটি উপজেলায় মোট ৮ জন চেয়ারম্যান ও ৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

এ দুটি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৮১ হাজার ৩৬০জন। এর মধ্যে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৮৬৩ জন ও হরিপুর উপজেলায় ১ লক্ষ ২০ হাজার ৪৯৭জন। আর দুটি উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৯০টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা ৮০৮টি।


আরও খবর



এবার সমাবেশ স্থগিত করল আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির পর এবার রাজধানীতে সমাবেশ স্থগিত করেছে আওয়ামী লীগ। আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে শান্তি সমাবেশ করার কথা ছিল দলটির।

সোমবার (২২ এপ্রিল) পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এই সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।

তিনি বলেন, ২৬ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সমাবেশ পুলিশ অনুমতি দেয়নি। যার কারণে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।

এর আগে দুপুরে তীব্র দাবদাহের কারণে আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠেয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু সোমবার (২২ এপ্রিল) এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।

এক বার্তায় বিএনপি জানায়, সোমবার (২২ এপ্রিল) নয়াপল্টনস্থ ভাসানী ভবনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এক যৌথসভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সভা থেকে জানানো হয়, দাবদাহ সহনীয় পর্যায়ে আসলে সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচির পরবর্তী তারিখ ও সময়সূচি জানানো হবে।

সভায় দাবদাহের কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ মোকাবিলায় নাগরিকদের পাশে থাকার জন্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

নিউজ ট্যাগ: আওয়ামী লীগ

আরও খবর



আরব আমিরাতের বন্দরে ভিড়েছে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দর জেটিতে ভেড়ানো হয়েছে। সোমালি দস্যুদের কবল থেকে মুক্তির পর ২৩ নাবিককে রিসিভ করতে যাওয়া জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত এ তথ্য জানিয়েছেন।

গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে জাহাজটি বন্দরের জেটিতে ভেড়ানো হয়। এরপর শুরু হবে কয়লা খালাস পর্ব। আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দিনের বেলা খালাস শুরু হবে। সোমালিয়ার উপকূল থেকে মুক্ত হওয়ার ৯ দিনের মাথায় তীরের দেখা পেলেন জাহাজটির ২৩ নাবিক।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বলেন, বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত পৌনে ১০টায় আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে জাহাজটি ভেড়ানো হয়েছে। এরপর শুরু হবে কয়লা খালাসের পর্ব।

এদিকে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি হামরিয়ায় ভেড়ানোর সময় বন্দর জেটিতে আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও শাহরিয়ার জাহান রাহাতের নেতৃত্বে কেএসআরএম গ্রুপের একটি দল উপস্থিত ছিল।

উল্লেখ্য, জিম্মিদশার পর ১৩ মার্চ দিবাগত রাতে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়। এর পরই জাহাজটি আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। ৯ দিনের মাথায় বন্দরে পৌঁছাল জাহাজটি।

জাহাজের ২৩ নাবিকের মধ্যে ২১ জন জাহাজে আর দুজন বিমানে চট্টগ্রামে ফিরবেন বলে জানান মালিকপক্ষের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে জাহাজটি দস্যুদের কবলে পড়েছিল।


আরও খবর



ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ করা উচিত: ন্যান্সি পেলোসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি মনে করেন, ইসরায়েলের কল্যাণের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর শিগগিরই পদত্যাগ করা উচিত। নেতানিয়াহুকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির পথে বাধা বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

আয়ারল্যান্ডভিত্তিক বেতার সংবাদমাধ্যম রেডিও টেইলিফিস ইয়েরেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে পেলোসি বলেন, ইসরায়েলের অবশ্যই আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং আমরা তা স্বীকারও করি; কিন্তু এ অধিকার রক্ষায় নেতানিয়াহু যে নীতি নিয়েছেন এবং যা যা করছেন তা ভয়ঙ্কর এবং আমরা সেসব প্রত্যাখ্যান করছি।

বিশেষ করে (৭ অক্টোবরের) হামলার জবাবে তিনি যা করছেন, তার চেয়ে নিকৃষ্ট আর কী হতে পারে। হামলার দায় স্বীকার করে তার সরকারের গোয়েন্দাপ্রধান পদত্যাগ করেছেন, তারও পদত্যাগ করা উচিত। গত ছয় মাসে যা যা হয়েছে, সেজন্য সম্পূর্ণভাবে তিনি দায়ী।

নেতানিয়াহুকে আল আকসা ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে শান্তি পথে বাধা মনে করেন কি না প্রশ্নের উত্তরে সাবেক হাউস স্পিকার বলেন, অবশ্যই মনে করি। আমি জানি না তিনি শান্তিকে ভয় পান কি না, শান্তিতে বসবাস করতে অক্ষম কি না কিংবা শান্তির প্রতি অনাগ্রহী কি নাকিন্তু তিনি দীর্ঘদিন ধরে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

সাক্ষাৎকারে বাইডেন প্রশাসনকে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বানও জানিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারের গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকজন।

কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা-দূতিয়ালিতে গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস-আইডিএফ। সেই বিরতির সময় নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেকে ১৫০ জনকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছিল ইসরায়েলও।

ওই বিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করছিল মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ। চলতি বছর রমজান মাস থেকে তা শুরু হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু মূলত নেতানিয়াহুর আপত্তির কারণে তা আর হয়নি।

ফলে হামাসের কব্জায় থাকা বাকি ১৩২ জন জিম্মির ভাগ্য কী ঘটেছে এখনও অজানা।

১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্রের ভূমিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের একমাত্র এই ইহুদি রাষ্ট্রকে সামরিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও গোয়েন্দা সহায়তা দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলা ও তার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরুর পর প্রাথমিক পর্যায়ে সেই অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছিলেন মার্কিন রাজনীতিবিদরা। পেলোসিও তাদের মধ্যে ছিলেন।

তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নিষ্ঠুরতা বৃদ্ধি এবং যুদ্ধাবসানের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রতি হতাশ হওয়া শুরু করেন মার্কিন রাজনীতিবিদদের অনেকেই।

কিছুদিন আগে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সরকারি দলের নেতা চাক শুমার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমার ধারণা, নেতানিয়াহু তার পথ হারিয়ে ফেলেছেন এবং ইসরায়েলের জনগণের উচিত নতুন একজন প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নেওয়া।


আরও খবর