দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন ২৯৮ জন। তাদের মধ্যে ৩০ জন দলের জোটগত হিসাব-নিকাশ শেষে ছিটকে পড়েছেন। তাদের আসনে ছাড় দেওয়া হয়েছে একসময়ের মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি (জাপা) এবং ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) নির্বাচম কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জাপার সঙ্গে ২৬ এবং ১৪ দলীয় জোটের তিন দলের সঙ্গে ৬ আসনে সমঝোতা হয়েছে।
ছাড় দেওয়া ৩২ আসনের মধ্যে কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এবার কাউকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয়নি। বাকি ৩০টি আসনের মধ্যে ২৫টিতে জাপা এবং পাঁচটিতে ১৪ দলের শরিকদের সমর্থন দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছে আওয়ামী লীগ। ফলে ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বি থাকছে ২৬৩ জন, আর শরিকদের দেওয়া ছয় আসন মিলিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী থাকছে ২৬৯ জন।
যে ৩০ আসন থেকে নৌকার প্রার্থিদের সরে দাঁড়াতে হয়েছে, তারা হলেন– মো. ইমদাদুল হক (ঠাকুরগাঁও-৩), মো. গোলাম মোস্তফা (নীলফামারী-৩), মো. জাকির হোসেন বাবুল (নীলফামারী-৪), মো. রেজাউল করিম রাজু (রংপুর-১), তুষার কান্তি মন্ডল (রংপুর-৩), মো. আছলাম হোসেন সওদাগর (কুড়িগ্রাম-১), মো. জাফর আলী (কুড়িগ্রাম-২), আফরুজা বারী (গাইবান্ধা-১), মাহবুব আরা বেগম গিনি (গাইবান্ধা-২), মোহাম্মদ আলী (রাজশাহী-২), তৌহিদুর রহমান মানিক (বগুড়া-২), মো. সিরাজুল ইসলাম খান রাজু (বগুড়া-৩), তালুকদার মো. ইউনুস (বরিশাল-২), কানাই লাল বিশ্বাস (পিরোজপুর-২), মো. হেলালউদ্দিন কবিরাজ (বগুড়া-৪) মো. আসাদুজ্জামান বাবু (সাতক্ষীরা-২), মো. আফজাল হোসেন (পটুয়াখালী-১), সরদার মো. খালেদ হোসেন (বরিশাল-৩), মো. আশরাফুর রহমান (পিরোজপুর-৩), মো. আব্দুল হাই আকন্দ (ময়মনসিংহ-৫), মো. আব্দুছ ছাত্তার, (ময়মনসিংহ-৮), মো. নাসিরুল ইসলাম খান (কিশোরগঞ্জ-৩), মো. আব্দুস সালাম (মানিকগঞ্জ-১), মোহাম্মদ হাবিব হাসান (ঢাকা-১৮), ডা. মো. মুশফিক হুসেন চৌধুরী (হবিগঞ্জ-১), মো. শাহজাহান আলম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২), মো. আবুল বাশার (ফেনী-৩), মোহাম্মদ আবদুস সালাম (চট্টগ্রাম-৫), নোমান আল মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৮) ও ফরিদুন্নাহার লাইলী (লক্ষ্মীপুর-৪)।