আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

উদ্ধারকাজে গিয়ে ফায়ারফাইটারের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পড়ে যাওয়া গাছ কাটার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ফায়ারফাইটারের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার আলুটিলা এলাকায় সোমবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেল।

গুরুতর আহত অবস্থায় ফায়ারফাইটার রাসেল হোসেনকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে মৃত বলে জানান চিকিৎসক।

প্রাণ হারানো রাসেলের বাড়ি ঢাকার ধামরাইয়ের বাসনা গ্রামে। তিনি ২০২৩ সালে একজন ফায়ারফাইটার হিসেবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে যোগদান করেন।

ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল জানায়, গতকাল সারা দেশে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রিমালের ফলে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার আলুটিলা এলাকায় গাছ পড়ে যায়। রাত ১০টার সময় সংবাদ পেয়ে খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায় এবং গাছ অপসারণ করতে থাকে। গাছ অপসারণের একপর্যায়ে আকস্মিক বিদুৎ চলে আসায় ফায়ারফাইটার রাসেল হোসেন বিদ্যুতায়িত হন।


আরও খবর



নওগাঁয় চাঞ্চল্যকর নাজিম হত্যা মামলায় দুই আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফয়সাল আহম্মেদ, নওগাঁ প্রতিনিধি

Image

নওগাঁয় চাঞ্চল্যকর নাজিম উদ্দিন ফকির ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন, জড়িত দুইজনকে প্রেফতার ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার দুপুরে সদর থানা প্রাঙ্গনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্যটি জানিয়েছেন নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: গাজিউর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান সদর উপজেলার বিলভবানীপুর গ্রামের নিহত নাজিম উদ্দীন প্রায় এক বছর আগে মারপিটের ঘটনায় একটি গ্রাম্য সালিশ দরবার করেছিল এলাকায়। সেই শালিসে ৩০হাজার টাকা অর্থ জরিমানা করেন তিনি। ওই গ্রাম্য শালিসে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ক্ষিপ্ত ছিল নাজিমের উপর। তৈরি হয়েছিল শত্রুতা। এছাড়া প্রায় ৬-৭মাস আগে পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি আপস করেন নিহত নাজিমুদ্দিন। এরই জেরে গত সোমবার (১০ জুন) দিবাগত রাত ১০টার দিকে নাজিম উদ্দিন ফকির বিলভবানীপুর মৎস্যজীবী পাড়ায় জনৈক ব্যক্তির শালিস শেষে নিজের বাড়ি ফেরার সময় অজ্ঞাতনামা আসামীরা ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে গুরুত্বর জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে নাজিম উদ্দিনের মৃত্যু হয়।

হত্যাকান্ডের বিষয়টি পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক স্যারকে জানালে স্যারের সার্বিক দিক নির্দেশনায় পুলিশের একটি চৌকস দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তথ্য প্রযুক্তি এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার মাধ্যমে মঙ্গলবার শহরের দপ্তরীপাড়া এলাকা হতে ওই গ্রামের মৃত-আব্দুস সামাদের ছেলে সুজাত আলী (৩২) ও রঘুনাথপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান (২৮) কে গ্রেফতার করা হয়। আটকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পূর্বের রাগ ও ক্ষোভের জ্বেরে দীর্ঘ পরিকল্পনার মাধ্যমে তারা নাজিম উদ্দিন ফকিরকে হত্যা করার বিষয়টি স্বীকার করে।

এসময় তাদের দেয়া তথ্য মোতাবেক বিভিন্ন স্থান থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র চাকু ও ভাঙ্গা হাতুড়ী উদ্ধার করে পুলিশ। আটকৃতদের মঙ্গলবার বিকেলে আইনী প্রক্রিয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এই কত্যাকান্ডের সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছে কি না সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আদালতের কাছে আসামীদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে। রিমান্ডের মাধ্যমে আরো তথ্য জানা জেতে পারে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। এসময় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফৌজিয়া হাবিব খান, সদর থানার ওসি জাহিদুল হকসহ থানার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



মিঠাপানির মাছ আহরণে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মিঠাপানির মাছ আহরণে চীনকে টপকে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান মন্ত্রী।

মো. আব্দুর রহমান বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এক প্রতিবেদন অনুযায়ী মিঠাপানির মাছ আহরণে বাংলাদেশ চীনকে টপকে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। বদ্ধ জলাশয়ে চাষ করা মাছ উৎপাদনে পঞ্চম স্থানের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। ক্রাস্টাশিয়ান্স উৎপাদনে বিশ্বে অষ্টম এবং সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনে ১৪তম স্থান অধিকার করেছে।

মন্ত্রী জানান, দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার ২০২২-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী চীনের মিঠাপানির মৎস্য উৎপাদন ছিল ১ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন টন এবং অবস্থান ছিল বিশ্বে দ্বিতীয়। অপরদিকে বাংলাদেশের উৎপাদন ছিল ১ দশমিক ২৫ মিলিয়ন টন এবং অবস্থান ছিল বিশ্বে তৃতীয়। গত দুই বছরে দেশের মিঠাপানির মৎস্য উৎপাদন ১ দশমিক ২৫ মিলিয়ন টন থেকে বেড়ে ১ দশমিক ৩২ মিলিয়ন টনে উন্নীত হয়েছে। চীনের উৎপাদন ১ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন টন থেকে কমে ১ দশমিক ১৬ মিলিয়ন টন হয়েছে। এ কারণে দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার ২০২৪-এর প্রতিবেদনে চীনকে টপকে দ্বিতীয় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ।

মাছ চাষে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে, এ বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটি একটি চ্যালেঞ্জ। তবে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মন্ত্রণালয় তৎপর রয়েছে। মাছের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য দেশীয় প্রজাতির মাছের জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে, অভয়াশ্রম করা হচ্ছে। উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা অবমুক্ত করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, কারেন্ট জাল গোটা বাংলাদেশকে ছেয়ে ফেলেছে। কারেন্ট জাল দিয়ে মাছের রেণু পোনা পর্যন্ত ধরা হচ্ছে। আমরা দেশে কারেন্ট জাল নিষিদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু উৎপাদনকারীরা কোর্টে রিট করেছে। আমরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছি।

মাছ রফতানির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা মাছ রফতানি করছি। তবে ভবিষ্যতে রফতানি আয় বৃদ্ধির জন্য আরও নিরাপদভাবে মাছ প্রসেসিংয়ের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর।


আরও খবর



চট্টগ্রামে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরের সেন্ট স্কলাসটিকাস্ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হচ্ছেন- মো. রকিব উদ্দিন (৩৫) ও সুরজিত পাল (৩৩)। তবে অভিযোগ বিষয়ে দুই শিক্ষক এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন।

সেন্ট স্কলাসটিকাস্ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীর মা কোতোয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার এজাহারে ছাত্রীর অভিভাবক জানায়, রকিব উদ্দিন চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞানের পাঠদান করেন। আর সুরজিত পাল পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান করেন। এই দুই শিক্ষক তার মেয়ের পরিচিত। গত বছর থেকে দুই শিক্ষক তার মেয়েকে স্কুলের ষষ্ঠ তলার বাথরুমের পা‌শে নিয়ে গিয়ে শরীরে স্পর্শকাতর অংশে স্পর্শ করতেন। তাদের কথামতো ওখানে না গেলে তার মেয়েকে শ্রেণিকক্ষে বকাঝকা করতেন এবং পরীক্ষার খাতায় নম্বর কমিয়ে দেওয়ার ভয় দেখাতেন। প্রায় সময় তার মেয়েকে খারাপ প্রস্তাব দেন ওই দুই শিক্ষক। এতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্নধরনের ভয়ভীতি দেখান। দুইজনই তার মেয়ের মোবাইল নাম্বারে ফোন করে বাজে কথা বলতেন।

পরে গত রোববার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে টিফিন বিরতি দিলে তার মেয়েকে কৌশলে স্কুলের ষষ্ঠ তলার বাথরুমের পাশে নিয়ে যান। তখন দুইজন তার মেয়ের শরীরে স্পর্শকাতর অংশে স্পর্শ করে শ্লীলতাহানি করেন। তাদের এমন আচরণে ভীত হয়ে চিৎকার দিলে এই ঘটনা কাউকে না জানানোর হুমকি দিয়ে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান তারা। তার মেয়ে ভয়ে স্কুলে বিষয়টি কাউকে জানায়নি। স্কুল ছুটির পর বাসায় এসে কান্নাকাটি শুরু করে। তখন তার কাছে জানতে চাইলে সে তার মাকে ঘটনার বিস্তারিত বলে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সেন্ট স্কলাসটিকাস গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সুরজিত পাল বলেন, আমার ফেক আইডি খুলে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্কুল তদন্ত কমিটি করেছে। বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না। আমরাও চাই তদন্তে আসল সত্য বেরিয়ে আসুক।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে সেন্ট স্কলাসটিকাস্ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক শিল্পী সেলিন কস্তার মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক বলেন, সেন্ট স্কলাসটিকাস্ স্কুলের একজন অভিভাবক তার মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত শিক্ষক মো: রকিব উদ্দিনকে থানায় আনা হয়েছে। পরবর্তীতে এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



ঈদের তৃতীয় দিনে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকের ভিড়

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ঈদের তৃতীয় দিনে এসে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে বেড়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। বুধবার (১৯ জুন) পর্যটকের আনাগোনায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকত। গতকাল বিকেল নাগাদ থেকেই সৈকতে এসব পর্যটকের আগমন ঘটে।

গতকাল থেকেই বৃষ্টির দেখা মেলে কলাপাড়ায়। আজ সকাল থেকেই তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে এ অঞ্চলে। আগতরা বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সৈকতের বালিয়াড়িতে ছোট বড় আছড়ে পড়া ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালীতে মেতেছেন। অনেকে সৈকতের বেঞ্চিতে বসে নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।

এ ছাড়া তিন নদীর মোহনা লেম্বুর বন, ঝাউবাগান ও গঙ্গামতি সৈকতসহ সব পর্যটন স্পটে রয়েছে এখন পর্যটকদের বাড়তি উপস্থিতি। পর্যটকদের ভিড়ে বুকিং বেড়েছে আবাসিক হোটেল মোটেলগুলোতে। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।

এদিকে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশের নজরদারি, থাকবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। জোরদার করা হয়েছে উদ্ধার কার্যক্রম।

ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা, সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি। ঈদের দিন থেকে পর্যটক না আসলেও আজ থেকে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে।

তবে তারা মনে করছেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল এবং অতিরিক্ত দাবদাহের প্রভাবে এ বছর আশানুরূপ পর্যটক আসেনি কুয়াকাটায়। বর্ষার আগে ঈদকে কেন্দ্র করে পর্যটক আসবে কুয়াকাটায় এটাই ছিল তাদের আকাঙ্ক্ষা।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, সাগরকন্যার সৌন্দর্য দেখতে এবারের ঈদ মৌসুমে পর্যটকদের আনাগোনা থাকবে। শুরুতে তেমন আনাগোনা না থাকলেও এখন থেকে টানা পর্যটক আসবে কুয়াকাটায়। আমাদের ট্যুর অপারেটররা প্রস্তুত আছেন সেবা প্রদানের জন্য।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, প্রতি বছর এ সময় আমাদের অধিকাংশ হোটেল এবং রিসোর্টগুলোর রুম বুকিং হয়ে যায়। কিন্তু এ বছর এখন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ বুকিং আছে অন এভারেজে। সামনের শুক্রবার ও শনিবার হয়ত শতভাগ রিজার্ভড হয়ে যাবে হোটেল মোটেল ও রিসোর্টগুলো।

কুয়াকাটা সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়তি পর্যটক আগমনের সম্ভাবনা মাথায় রেখে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত তৎপরতার পাশাপাশি তিনজন অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট, স্কাউটের প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও সৈকতে রেসকিউ টিম প্রস্তুত আছে। বাড়তি ভাড়া আদায় প্রতিরোধ ও হয়রানি বন্ধে নজরদারি করা হবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং সেবা দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। লেম্বুরবন থেকে রামনাবাদ চ্যানেল পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। পর্যটকদের সেবায় জল ও স্থলপথে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।


আরও খবর



বেড়েছে আলু-পেঁয়াজ ও ডিমের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আবারও বেড়েছে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম। এছাড়াও দাম বেড়েছে কাঁচামরিচ, আদা রসুনসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের। তবে চাল, ডাল ও আটা-ময়দার দাম আগের মতোই রয়েছে। রাজধানীর মহাখালী, মালিবাগ, সেগুনবাগিচা ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, হিমাগার গেটে আলুর দর বেড়েছে, যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। আর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় কাঁচামরিচ ও সবজির দাম বাড়তি। গরমে মুরগি মারা যাওয়ায় বেড়েছে ডিমের দাম। আর ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি কম হওয়ায় দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেশি বলে দর বেড়েছে।

গত বছরের মে মাসে বাড়তে শুরু করে আলুর দর। এরপর আমদানির আলু আসার পর পণ্যটির দর কিছুটা কমে। এবার মৌসুমেও আলুর দর তেমন কমেনি।

আলু ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান বলেন, হিমাগারের গেটে পাইকারিতে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা দরে। এরপর পরিবহন খরচ ও ঘাটতি আছে। সব হিসাবনিকাশ করে ৫৫ টাকার কমে বেচলে লাভ থাকে না। খুচরায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

সরবরাহে ঘাটতির অজুহাতে এক মাস ধরে কাঁচামরিচের বাজার চড়া। মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা দরে। মাসখানেক আগেও প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ৭০ থেকে ১০০ টাকায়। সেই হিসাবে এক মাসে দর বেড়েছে দ্বিগুণের মতো।

দাম বাড়ায় সপ্তাহখানেক আগে কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এক সপ্তাহে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৩০০ টন কাঁচামরিচ আমদানিও হয়। তবে বাজারে এখনও পণ্যটির দর কমেনি।

এদিকে ডিমের বাজারও চড়া। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা। বাজারে বেশি বেচাকেনা হয় বাদামি রঙের ডিম। খুচরায় এ ধরনের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা দরে। হালি হিসাবে (৪টি) কিনতে গেলে গুনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। এ ছাড়া সাদা রঙের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়।

ডিমের দর বাড়ার জন্য করপোরেটদের দায়ী করছেন ছোট খামারিরা। বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, বড় প্রতিষ্ঠান ও ঢাকার বড় পাইকাররা সিন্ডিকেট করে ডিমের বাজার অস্থিতিশীল করছে। এতে ছোট খামারিরা হুমকির মুখে পড়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানির অনুমতি থাকলেও ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে কম। ফলে দেশি পেঁয়াজের ওপর নির্ভরতা বেড়েছে। এতে দরও বাড়ছে। এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীরা মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।


আরও খবর