মামুনুলের বিরুদ্ধে ডিবির মতিঝিল বিভাগে তদন্তাধীন আটটি মামলা, লালবাগ বিভাগে তদন্তাধীন দুটি মামলা এবং তেজগাঁও বিভাগে তদন্তাধীন একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মামুনুল হক
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল
হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে শুধু ঢাকাতেই ১৭টি মামলা আছে। ২০১৩ সালের
৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় ১৫টি এবং পরবর্তী সময়ে আর দুটি মামলা
হয়। এছাড়াও ঢাকার বাইরে তার বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা রয়েছে। সবগুলো মামলায় ধারাবাহিক
গ্রেপ্তার দেখানো হবে। আজ সোমবার মামুনুলকে আদালতে তোলা হবে।
এর আগে গতকাল রবিবার (১৮ এপ্রিল) মোহাম্মদপুরের
জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ
মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের পর তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ বলেন,
২০২০ সালে মোহাম্মদপুরে একটি ভাঙচুরের মামলায় মামুনুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তার
বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা আছে মতিঝিল, পল্টন ও নারায়ণগঞ্জে। পরে সেসব সমন্বয় করা হবে।
মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের মামলার
নথিতে জানা গেছে, মতিঝিল থানায় দুটি বিস্ফোরক মামলায় ১২৭ ও ১৭২ নম্বর এবং পল্টন থানায়
তিনটি মামলায় ১৯, ৩৩ ও ৩৬ নম্বর আসামি হিসেবে মামুনুল হকের নাম উল্লেখ আছে।
সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে মোহাম্মদপুরের
চাঁন মিয়া হাউজিংয়ের বাসিন্দা জি এম আলমগীর শাহীন বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। তবে ওই
মামলায় সাত নম্বর আসামি মামুনুল হক। মামলার প্রাথমিক তথ্যবিবরণীতে তার বাবার নাম ও
ঠিকানা অজ্ঞাত লেখা আছে। সেখানে এলোপাতাড়ি মারধর, হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে গুরুতর
জখম, চুরি, হুমকি দেওয়া, ধর্মীয় কাজে ইচ্ছাকৃতভাবে গোলযোগ সৃষ্টি ও প্ররোচনা দেওয়ার
অভিযোগ এনেছেন। ওই সময় একটি মুঠোফোন, ৭ হাজার টাকা, ২০০ ডলার এবং ব্র্যাক ব্যাংকের
ডেবিট কার্ড চুরি হয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও মামুনুলের বিরুদ্ধে ডিবির মতিঝিল
বিভাগে তদন্তাধীন আটটি মামলা, লালবাগ বিভাগে তদন্তাধীন দুটি মামলা এবং তেজগাঁও বিভাগে
তদন্তাধীন একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মামুনুল হক। মতিঝিল থানায় তদন্তাধীন একটি
এবং পল্টন থানায় তদন্তাধীন চারটি মামলায় তার নাম রয়েছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর
জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকায় সফরকে কেন্দ্র
করে গত ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের পর পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের
সঙ্গে ধর্মভিত্তিক দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সর্বশেষ ওই ঘটনায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে
৫ এপ্রিল মামলা হয়। এই মামলা করেছেন ঢাকা মহানগর যুবলীগের (দক্ষিণ) উপদপ্তর সম্পাদক
খন্দকার আরিফ উজ জামান। এই মামলার এক নম্বর আসামি মামুনুল হক।
ঢাকা বাদেও মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন
জেলায় অনেকগুলো মামলা রয়েছে। জেলার মামলার বিষয়গুলো নিয়েও মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার
দেখানো হতে পারে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।