আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানির শীর্ষে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে (জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে সাড়ে ৭০ কোটি (৭০৬.৫৩ মিলিয়ন) ডলারের। এই বাজারটিতে ভিয়েতনাম, পাকিস্তান এবং মেক্সিকোর চেয়ে বেশি পোশাক রপ্তানি করে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে মোট ৩২৪ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার ইউএস ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করা হয়েছে। যা ২০২১ সালের একই সময়ে ছিলো ২৫৪ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

যুক্তরাষ্টের এই বাজারে সবচেয়ে বেশি পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। গত ৯ মাসে ৭৩ কোটি ৮৭ লাখ ইউএস ডলার পণ্য রপ্তানি করেছে। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিলো ৫২ কোটি ১ লাখ ৬০ হাজার ইউএস ডলার। সেই হিসেবে গত বছরের তুলনায় এ বছর পোশাক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ২১ কোটি ৮৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার। যা শতাংশের হিসেবে ৪২ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে।

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মেক্সিকো। দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চলতি বছরের ৫৬ কোটি ১৩ লাখ ৮০ হাজার পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিলো ৪৭ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে ৯ কোটি ডলার বা ১৯ শতাংশ বেড়েছে পোশাক রপ্তানি।

রপ্তানির তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। দেশটি থেকে গত ৯ মাসে ৩৭ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এর আগের বছর একই সময়ে ছিলো ২৭ কোটি ৫৯ লাখ ইউএস ডলার। যা শতাংশের হিসেবে ৩৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়েছে।

৩৪ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। দেশটি বাজারটিতে ২০২১ সালের একই সময়ে পণ্য রপ্তানি করেছে ২৭ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার ডলারের।

এই সময়ে চীনের পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৬ শতাংশ। গত ৯ মাসে দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২৯১ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার ডলারের। যা এর আগের বছর ছিলো ২৭ কোটি ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

এছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৫ কোটি ৭০ লাখ ৯০ হাজার ডলারের। যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিলো ৩ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার ডলার। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।

পোশাকশিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) পরিচালক ও মুখপাত্র মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ডেনিম সেক্টরে ভালো পারফর্ম করেছি এবং যুক্তরাষ্ট্র এখন আমাদের অন্যতম প্রধান বাজার।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে অক্টোবর থেকে আমাদের ডেনিম রপ্তানি আয় কমেছে। এ কারণে চলতি বছর শেষ হওয়ার পর প্রবৃদ্ধির হার কমে যাবে।

পোশাক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ ডেনিম গার্মেন্টস সোর্সিংয়ের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়েছে প্রধানত একটি শক্তিশালী ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ এবং প্রতিযোগিতামূলক দামে পণ্যের প্রাপ্যতার কারণে কম লিড টাইম। এছাড়াও, বাংলাদেশ সবুজ শিল্পে বিনিয়োগ করছে, যা আমদানিকারকদের জন্য আরেকটি প্রণোদনা হিসেবে কাজ করে।


আরও খবর



স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম: শাবিপ্রবি উপাচার্য

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক সফলতার অবদান রাখছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তারা এখন নাসা জয় করেছে। এ সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।

বুধবার (১৫ মে) জেলা স্টেডিয়ামের মোহাম্মদ আলী জিমনেসিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের আয়োজনে সিলেট বিভাগীয় বিজ্ঞান মেলা ২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ একথা বলেন।

বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান, পিপিএম, অতিরিক্ত ডিআইজি হুমায়ুন কবীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হোসাইন মো. আল-জুনায়েদ। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ও পরিচালক, স্থানীয় সরকার) দেবজিৎ সিংহ।    

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীর ভবিষ্যৎ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল কারিগর। এজন্য তাদের আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে যাতে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে অবদান রাখতে পারে। এছাড়াও বর্তমানে সময়ের সাথে টিকে থাকতে হলে বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে তাই শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান চর্চা ও বিজ্ঞানের চর্চার তৃষ্ণা বৃদ্ধি করতে হবে।  

অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষা প্রশাসনের সাথে সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা শিশুদের বিজ্ঞান শিক্ষা ও চর্চায় উৎসাহিত করুন। শিক্ষার্থীদের ওপর জোরপুর্বক পড়াশোনা চাপিয়ে দিবেন না। তিনি আরো বলেন, বিভাগীয় বিজ্ঞান মেলা ২০২৪ শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন এক অভিজ্ঞতার সঞ্চার করবে যাতে তারা ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারে উৎসাহিত হবে।


আরও খবর



জাপানে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জাপানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বনিন দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৫ ছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস। তবে এই ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০৩ দশমিক ২ কিলোমিটার (৩১২.৭ মাইল) গভীরে। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল রাজধানী টোকিও থেকে ৮৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণের পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায়।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র বলেছে, জাপানে আঘাত হানা ভূমিকম্পের কারণে সুনামির কোনো শঙ্কা নেই। জাপানের ভূমিকম্প কেন্দ্র বলেছে, বনিনে আঘাত হানা ভূমিকম্পের ফলে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করার প্রয়োজন হয়নি।

এর আগে ২২ এপ্রিল এক রাতে ৮০ বারেরও বেশি ভূমিকম্প অনুভূত হয় জাপানের প্রতিবেশী তাইওয়ান। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩। তার আগে ৩ এপ্রিল তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে ১৪ জন নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর স্বশাসিত দ্বীপ অঞ্চলটিতে এক হাজারের মতো আফটারশকের ঘটনা ঘটেছে।

তাইওয়ানের মতো জাপানও একটি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। ২০২২ সালের পহেলা জানুয়ারি দেশটিতে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে দেশটির শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।


আরও খবর



তীব্র গরমে প্রাথমিক-মাধ্যমিকে অনলাইনে ক্লাস চালুর চিন্তা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ৭ দিন বন্ধের পর ২৮ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা।

তবে তাপপ্রবাহ না কমায় এ ছুটি বাড়ছে নাকি ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। অভিভাবকদের একটি অংশ এবং অভিভাবক ঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন অনলাইনে ক্লাস চালু রাখার দাবি তুলেছে। অনেকে আবার আরও কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবছে শিক্ষা প্রশাসন? এমন প্রশ্নের অবশ্য সরাসরি জবাব মেলেনি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া এবং বিকল্প উপায় নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালানোর কথা জানিয়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তদারককারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা।

শিক্ষা প্রশাসন বলছে, তীব্র গরমে ছুটি বাড়ানো কিংবা অনলাইনে ক্লাস নেওয়া নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই এখনো হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী বিদেশ সফরে থাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এ নিয়ে আলোচনা করেনি। আলোচনা চললেও প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরও।

তবে মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদরাসা এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে অনলাইনে ক্লাস চালুর বিষয়ে জোর আলোচনা রয়েছে। হাফ পিরিয়ড বা স্বল্প পরিসরে ক্লাস চালু করতেও মত দিচ্ছেন অনেকে। পাশাপাশি অ্যাসাইনমেন্টসহ ঘরে বসেই শিক্ষার্থীরা করতে পারেএমন কাজ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন তারা।

তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে শিশু শিক্ষার্থীরা। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা বা খোলা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শাহ রেজওয়ান হায়াত।

তিনি বলেন, ছুটি বাড়ানো, ক্লাস কমিয়ে হাফ পিরিয়ড বা স্বল্প পরিসরে নেওয়া কিংবা অনলাইনে ক্লাস চালু করাসব বিষয় সামনে রেখেই আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। তবে কোনো সিদ্ধান্তই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। যে সিদ্ধান্তই আসুক, তা শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক হবে। নেতিবাচক সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না।

অন্যদিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি আর বাড়ছে না বলেই জানিয়েছেন শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাপপ্রবাহ যদি না কমে, সেক্ষেত্রে অনলাইনে ক্লাস চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে। শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে অ্যাকটিভ (সক্রিয়) রাখার জন্যও শিক্ষকদের পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। আলাপ-আলোচনা চলছে। ক্লাস একেবারে বন্ধ রাখার চেয়ে অনলাইন ক্লাস কিংবা বাড়ির কাজ (অ্যাসাইনমেন্ট) দিয়ে শিক্ষার্থীদের কীভাবে পড়ালেখার মধ্যে রাখা যায় সেটা নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। তবে কোনো ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




গাজীপুরে ট্রাকচাপায় প্রকৌশলী নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে ট্রাকচাপায় এক প্রকৌশলী নিহত হয়েছে। নিহত প্রকৌশলীর নাম শাহাদাত হোসেন মুন্না।

বুধবার (১ মে) সকাল ৭টার দিকে পূবাইল থানা এলাকার মীরের বাজার চৌরাস্তার কামারগাঁও ফ্লাইওভারের ওপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শাহাদাত হোসেন মুন্না ময়মনসিংহ জেলার নান্দইল থানার রামগাতি খালপাড় গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি মিরপুর-১ লালকুটি তৃতীয় কলোনিতে থাকতেন।

স্থানীয়রা জানান, মুন্না রোড ও ফ্লাইওভার প্রজেক্টের ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। তিনি সকালে মোটরসাইকেলে উলুখোলা থেকে ভোগড়া বাইপাসের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় উল্টো দিক থেকে আসা মালবোঝাই একটি ট্রাক মোটরসাইকেলসহ তাকে চাপা দেয়। এতে মুন্না গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। তবে ট্রাকচালক কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়। সোমবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় রাতের মতো অন্ধকার নেমে আসে সিলেট নগরীতে।

স্থায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুহুর্তের মধ্যে সকালেই যেন রাত নেমে আসে। এর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় বজ্রসহ কালবৈশাখী ঝড়। এছাড়া ঝড়ের তাণ্ডবে বিভিন্ন এলাকায় কাচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়। অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এর আগে রোববার (৫ মে) সন্ধ্যার পর থেকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর, ৭নং দক্ষিণ বানীগ্রাম, ৮নং ঝিংগাবাড়ি ইউনিয়ন ও ৯নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়নে কাল বৈশাখী ঝড়ের সাথে বজ্রবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে প্রচুর গাছপালা ক্ষতি সাধনের পাশাপাশি শিলা বৃষ্টির কারণে ফসলের ও ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা উপচে পড়ার কারণে কানাইঘাট গাজী বোরহান উদ্দিন সড়কের বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

একইদিন সন্ধ্যায় ৭২ ঘণ্টায় সিলেটসহ সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত বেড়ে তাপপ্রবাহ কমার বিষয়ও জানানো হয়।

এ ব্যাপারে কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিলাবৃষ্টিতে গাছপালা ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার ইউনিয়নের অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। শক্তিশালী ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক লাইনে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক দীলিপ বৈষ্ণব বলেন, গতকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সোমবার সকাল ৬টার পর সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ২৮মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।


আরও খবর