আজঃ রবিবার ৩০ জুন ২০২৪
শিরোনাম

আজ আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোতে উচ্ছেদ অভিযান চালাবে ডিএনসিসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মের অবৈধ জায়গা উচ্ছেদে অভিযান চালাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। তারা বলছে, সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেড অবৈধভাবে খাল ও সড়কের জায়গা দখল করে আছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই উচ্ছেদ অভিযান চালাতে প্রয়োজনীয় পুলিশ ফোর্স মোতায়েন চেয়ে ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ১০টায় তারা রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেঁড়িবাধসংলগ্ন আশপাশের অবৈধ স্থাপনাসহ খাল ও সড়কের ভূমিতে সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেডের অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ করবে।

ডিএমপিকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটির অধীন অঞ্চল-৫-এর অন্তর্ভুক্ত মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধসংলগ্ন আশপাশের অবৈধ স্থাপনাসহ খাল ও সড়কের জায়গায় সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেডের অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা অপসারণ করা হবে। বৃহস্পতিবার সকালে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। এ সময় তিন প্লাটুন পুরুষ পুলিশ ফোর্স ও এক প্লাটুন নারী পুলিশ ফোর্স প্রয়োজন হবে।

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৫-এর একজন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে, সাদিক অ্যাগ্রো রামচন্দ্রপুর খালের জায়গা ভরাট করে খামার করেছে।

রাস্তার জায়গায় বেড়া দিয়ে গরুর অবৈধ হাট বসিয়েছিল। এর আগেও তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু খামার কর্তৃপক্ষ এসব কোনো বিষয়ে তোয়াক্কা করেনি। তাই এবার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে।


আরও খবর



দুর্নীতি মামলায় ইডি দফতরে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দফতরে হাজির হয়েছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এর আগে রেশন দুর্নীতি মামলায় তদন্তের জন্য অভিনেত্রীকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সেই তলবে সাড়া না দিলেও বুধবার তিনি সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে এসে হাজির হন । দুপুর ১টা নাগাদ আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে ঢুকে যান সিজিও কমপ্লেক্সের ভেতরে।

বুধবার অভিনেত্রীর আসার অনেক আগেই তার হিসাবরক্ষক কাগজপত্র নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিজিওতে। অভিনেত্রীও যে ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে সিজিওতে আসছেন, তা জানা গিয়েছিল তখনই। তিনি আসার পর তাকে সাংবাদিকেরা ঘিরে ধরে নানা প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে অভিনেত্রী বলেন, আগে যাই...

রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া এক অভিযুক্তের সঙ্গে ঋতুপর্ণার আর্থিক লেনদেনের তথ্য তদন্তকারীরা হাতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন এক ইডি কর্মকর্তা। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে সবিস্তারে কিছু জানায়নি ইডি।

ওই সূত্রে আরও জানা যায়, ওই অভিযুক্তের সঙ্গে প্রায় কোটির অঙ্কে আর্থিক লেনদেন হয়েছে একটি সংস্থার, যার প্রোপ্রাইটর হিসাবে নাম রয়েছে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণার। সেই লেনদেন সম্পর্কে জানতেই ঋতুপর্ণাকে তলব করে ইডি।

বুধবার ঋতুপর্ণার হিসাবরক্ষক জানিয়েছিলেন, অভিনেত্রীর কাছে যে সব হিসাব চেয়েছিল ইডি, তা তিনি, অর্থাৎ হিসাবরক্ষকই দেখাশোনা করেন। তাই হিসাব বুঝিয়ে দিতে সুবিধা হবে বলে তিনি এসেছেন।

এর আগে গত ৫ জুন রেশন দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিনেত্রীকে ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল। যদিও সে দিন ঋতুপর্ণা সিজিওতে হাজিরা দেননি।

ওই সূত্রে জানা যায়, বিদেশে থাকার কারণে ইডি দফতরে যেতে পারেননি অভিনেত্রী। এ কথা তিনি ইডি আধিকারিকদের ইমেইল করে জানিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা যায়, তার পরে তাকে আবার ইডি দফতরে যেতে বলা হয়েছিল।

তাই বুধবার তার প্রতিনিধি ইডির দফতরে পৌঁছানোর পরেই অভিনেত্রীর সেখানে যাওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। পরে তার হিসাবরক্ষক বলেন, উনি নিজে যেহেতু হিসাবের বিষয়টি দেখেন না, তাই আমি এ ব্যাপারে সাহায্য করতে এসেছি।


আরও খবর



দোহার পৌরসভার ৫৭ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার দোহার পৌরসভার ২০২৪-২৫ অর্থ বৎসরের ৫৭ কোটি টাকার ২৬ তম বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে দোহার পৌরসভার আয়োজনে পৌরসভার র্কাযালয়ে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়।

দোহার পৌরসভার মেয়র মো. আলমাছ উদ্দিনের সভাপতিত্বে বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন দোহার উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন ও দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন অর রশীদ।

এসময় অনুষ্ঠানে দোহার পৌরসভার মেয়র মো. আলমাছ উদ্দিন বাজেট বাস্তবায়ন করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান এবং নাগরিক সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি মাদকমুক্ত, নারী ও শিশুবান্ধব, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক পৌরসভা গড়ে তোলার দৃঢ় অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন।

উপস্থিত ছিলেন দোহার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এমএম মামুনুর রশিদ, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন জাহান, হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান, হিসাব রক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন, পৌরসভা আওয়ামী লীগের আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন মাঝি, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মুহাম্মদ আলমাছ উদ্দিন, পৌরসভা কাউন্সিলর ইসরাত জাহান বনানী, আব্দুস সালাম শুকুর, আলমগীর মুবিন, হুমায়ুন কবির, শওকত হোসেন, পাভেল মাহমুদ নিজাম, ওয়াসিম চোকদারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, দোহার পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা।


আরও খবর



ধর্মীয় প্রভাব খাঁটিয়ে সরকারি স্থাপনা ও জায়গা দখল, বিপাকে প্রশাসন

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

Image

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠি বাজারে এলজিইডির নিজস্ব এলএসডি ফুড গোডাউন এবং এর পার্শ্ববর্তী সরকারি জায়গা ধর্মীয় প্রভাব খাঁটিয়ে দখল করার অভিযোগ উঠেছে নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রি উপজেলার শ্রীরামকাঠি ইউনিয়নের হিন্দু ধর্মীয় নেতা ও আচার্য্য সংঘের প্রতিষ্ঠাতা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,উপজেলার শ্রীরামকাঠি বন্দরের দক্ষিণ পারে শ্রীরামকাঠি-পাচপাড়া আঞ্চলিক সড়কের পাশে এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত এলএসডি ফুড গোডাউন ও গোডাউন আঙ্গিনার অধিগ্রহনকৃত নিজস্ব ভুমি অবৈধ ভাবে দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস করছে নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রি ও তার পরিবার। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সম্পদ জনস্বার্থে ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন মিয়া  সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করতে বারবার নোটিশ দিলেও কর্নপাত করছেন না অভিযুক্ত নারায়ন মিস্ত্রি। এক্ষেত্রে বিপাকে পরেছেন উপজেলা প্রশাসন।

সরেজমিনে গিয়ে গতকাল মঙ্গলবার (১১ জুন) দেখা যায়, শ্রীরামকাঠি বন্দরের দক্ষিণ পারে উপজেলা এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত এলএসডি ফুড গোডাউন, এর গার্ড রুম, বাথরুম, ইয়ার্ড এবং পার্শ্ববর্তী সরকারি জায়গা দখল করে একটি টিনের ঘর নির্মান করে স্বপরিবার নিয়ে বসবাস করছেন নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন মিয়া বলেন, এলজিইডির প্রতিষ্ঠালগ্নে খাদ্যের বিনিময়ে কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন, ব্রিজ-কালভার্ট ও গ্রোথ সেন্টার নির্মাণ ও উন্নয়ন কাজ করা হয়েছিল। এজন্য সরকারি ভাবে বরাদ্দকৃত গম/চাল সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য প্রকল্প চলমান উপজেলা সমূহে এলজিইডি ফুডগোডাউন নির্মাণ করেন।এরই ধারাবাহিকতায়  আশির দশকের দিকে উপজেলার শ্রীরামকাঠি বন্দরের দক্ষিণ পারে একটি এলজিইডি কর্তৃক ফুড গোডাউন নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে এই কর্মসূচির পরিবর্তে দরপত্র প্রক্রিয়ায় সরকারি অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে উন্নয়ন মূলক কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে বিধায় এই গোডাউনটি পরিত্যক্ত ছিল। বিষয়টি সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুনজরে আসলে উহার যথোপযুক্ত সৎব্যবহারের নিমিত্তে বিএডিসি কর্তৃপক্ষের নিকট লিজ হিসেবে হস্তান্তর করেন। তখন থেকে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ জনগণের সেবা প্রদানের জন্য তাদের সংগ্রহীত উন্নতমানের বীজ উপকরণ ও ঔষধপত্র এই গোডাউনে গুদামজাত ও রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যায়ে সমঝোতা স্মারক চুক্তি ও নির্দেশনা রয়েছে।

মোঃ জাকির হোসেন মিয়া বলেন, অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় এই  স্থাপনার চতুর্দিকে বাউন্ডারি স্থাপনা ও সীমানা পিলার থাকা সত্ত্বেও নারায়ন মিস্ত্রি নামক একজন ভূমিদস্যু স্থানীয় আরও কতিপয় ভূমিদস্যুদের যোগসাজশে এই সরকারি স্থাপনা ও এর জায়গা জমি অবৈধ ভাবে দখল করে বসবাস করছেন এবং সরকারি কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছেন। ইতিপূর্বে তাহাকে এই স্থাপনাস্থল থেকে একবার উচ্ছেদ করা হলেও তিনি পুনরায় অবকাঠামোটি দখল করেছেন। এমতাবস্থায় সরকারি স্বার্থ ও  জনগনের কাঙ্ক্ষিত সেবা পূনপ্রতিষ্ঠর লক্ষে উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি নাজিরপুরের পক্ষ থেকে ভূমিদস্যু নারায়ণ মিস্ত্রিকে সরকারি স্থাপনা থেকে উচ্ছেদ নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। সেচ্ছায় সরকারি স্থাপনা ও জায়গা ছেড়ে না দিলে পরবর্তীতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রি বলেন, আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সত্য নয়, আমি একজন ধর্মীয় নেতা এবং আচার্য্য সংঘের প্রতিষ্ঠাতা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরূপ রতন সিংহ জানান, দুই পক্ষই এ বিষয়ে আমাকে অবগত করেছে। সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



আজিজের ভাইদের এনআইডি জালিয়াতি, সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবে ইসি

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের দুই ভাইয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব শফিউল আজিম। বুধবার (২৬ জুন) সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রতিশ্রুতির কথা বলেন।

ইসি সচিব বলেন, এজন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে। ওনারা প্রথমে কীভাবে ভোটার হয়েছিলেন, কোন কোন তথ্যগুলো এখানে এসেছে, আমরা একেবারে আদ্যোপান্তশুরু কীভাবে হলো, কোথায় উলট-পালট হলো, ডিটেইল তারা তদন্ত করেছে। তদন্ত কমিটি আমাদের কাছে আরও সময় চেয়েছে। আমি মনে করি যে, আরও সময় লাগতে পারে। আমরা আরও বিস্তারিত ও নিঁখুতভাবে তদন্তটা করতে চাই, যাতে কোনো ধরনের ফাঁক-ফোকর না থাকে। তদন্ত কমিটি ওপর আমাদের আস্থা আছে। তারা কাজ করছে। আপনাদের আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। আরও দুই সপ্তাহ সময় চেয়েছে। কারণ ওনারা শুরু থেকে এই পর্যন্ত অনেকগুলো ডকুমেন্ট জমা দিয়েছিলেন। সব ডকুমেন্ট যোগাড় করা, পরীক্ষা করা, সোর্সে গিয়ে এগুলো আবার ভেরিফাই করা, আমরা চাচ্ছি বৈজ্ঞানিকভাবে যাতে কোনো ধরনের কোথাও খুঁত না থাকে। আমরা চাই না, আবার আরেক ধরনের ভুল হোক।

সন্দেহের আওতায় ইসির কর্মকর্তারা বা তাদের যোগসাজশ আছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, যেই থাকুক কেউ সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। আমরা সবাইকেই সন্দেহ করছি। আবার এটা তদন্তেই প্রমাণ করতে হবে। এতটুকু কথা দিতে পারি, বিন্দুমাত্র কারও যদি এখানে ইনভলমেন্ট থাকে, তার আইন অনুযায়ী যে সর্বোচ্চ শাস্তি সেটা আমরা এনশিউর করবো। 

জানা গেছে, আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ (জোসেফ) নিজেদের নামের পাশাপাশি বাবা-মায়ের নামও পরিবর্তন করেছেন। হারিছ আহমেদ তার নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন মোহাম্মদ হাসান। আর জোসেফ নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন তানভীর আহমেদ তানজীল। তাদের এনআইডির তথ্য পরিবর্তনে আজিজ আহমেদ সুপারিশ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

এদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃতি খুনি রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের সন্তানদের এনআইডিতে পিতার নাম পরিবর্তন করার বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে বিভিন্ন নামে তিনি কিন্তু আত্মগোপনে ছিলেন। বিভিন্ন নাম ধারণ করেছেন বলে আমাদের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। কোথায় কোথায় তিনি ছিলেন, কী কী কাজে সেই নামগুলো ব্যবহার করেছেন, তার আত্মীয়-স্বজনটা এটা কোথায় কোথায় ব্যবহার করেছেন; সমস্ত তথ্যগুলো নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত কমিটি এ নিয়ে রাত-দিন পরিশ্রম করছে। পুরোদমে একজন যুগ্ম-সচিবের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি কাজ করছে।

শফিউল আজিম বলেন, এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এটা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে, অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। কোনো ধরনের ফাঁক-ফোকর যেন না থাকে আমরা সেটা নিশ্চিত করবো। আমরা নিখুঁত, পূর্ণাঙ্গ তদন্তত রিপোর্ট উত্থাপন কবো।


আরও খবর



দুদকের কাছে সময় চাইলেন বেনজীরের স্ত্রী ও তিন কন্যা

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সময় চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও দুই মেয়ে। আজ রবিবার দুদকে তাদের পক্ষে এ চিঠি দেওয়া হয়।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরকে আগামী ৯ জুন তলব করে দুদক। এরই পরিপেক্ষিতে দুদকে সময় চেয়ে চিঠি দেন তারা।

গত ১৮ এপ্রিল বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে মাঠে নামে দুদক। ইতোমধ্যে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ফ্রিজের আদেশ দেন আদালত।

এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশ-শামস জগলুল হোসেন বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের স্থাবর সম্পত্তি দেখভালের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন।

আদেশ অনুযায়ী, বেনজীরের সাভারের সম্পত্তি দেখবেন সেখানকার ইউএনও, গোপালগঞ্জের মাছের খামার দেখবেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। এ ছাড়া মাদারীপুর ও কক্সবাজারের সম্পত্তি দেখাশোনা করবেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক।


আরও খবর