আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক মতিউর কন্যা ইপ্সিতা

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাগলকাণ্ডে একে একে বের হতে থাকে মতিউরের দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জন করা কোটি কোটি টাকার সম্পদ। শুধু মতিউর না তার দুই স্ত্রী এবং সন্তানদের নামে বেনামে থাকা সম্পদের তথ্যও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকীর মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতা সম্পদের তথ্য এবার ফাঁস হয়েছে।

মাত্র ৩২ বছর বয়স। নিজেকে মেকআপ আর্টিস্ট হিসাবে পরিচয় দেন এই তরুণী। পড়াশোনা শেষে এই পেশায় যোগ দিয়ে কতই বা আয় করতে পারেন। কিন্তু বিস্ময়কর হলেও সত্যি, এই অল্প বয়সেই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সাততলা বাড়িসহ শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। কানাডায় নিজস্ব ফ্লাটে বসবাস করেন ইপ্সিতা। কানাডায় তার বাড়ি-গাড়িসহ বিলাসী জীবনের ছবি ঘিরে নেট দুনিয়ায় হইচই চলছে। তবে কানাডার চেয়ে দেশেই তার বেশি সম্পদ রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে একজন মেকআপ আর্টিস্ট এত টাকার সম্পদের মালিক হলেন কীভাবে।

ইপ্সিতার সম্পদ নিয়ে একাধিক সূত্রে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য সামনে এসেছে, ২০২৩ সালে মতিউর কন্যার প্রকাশিত আয়কর ফাইলেই ৪২ কোটি টাকার সম্পদ দেখানো হয়েছে। সোনালী সিকিউরিটিজে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, সিনাজি ট্রেডিং লিমিটেডে ৫ লাখ টাকা, গ্লোবাল সুজ কোম্পানিতে ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৫৫ হাজার, ওয়ান্ডার পার্কে ১০ লাখ ও মামুন অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস কোম্পানিতে ৪৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৯০ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে ইপ্সিতার।

আয়কর নথিতে আরও জানা গেছে, বিভিন্ন স্থানে ঋণ ও ধার বাবদ ইপ্সিতার সম্পদ আছে ২২ কোটি টাকার। নরসিংদীতে হেবামূলে দেড় একর জমি আছে তার। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বিলাসবহুল এলাকার সাততলা বাড়ি মালিক তিনি। বাড়িটির মূল্য অন্তত ৫০ কোটি হলেও আয়কর নথিতে তা ৫ কোটি দেখানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, মতিউর রহমান তার অবৈধ পথে আয় করা কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন কৌশলে বৈধ করার অপচেষ্টাও চালিয়েছেন। ইপ্সিতার নামে থাকা বিপুল সম্পদ তারই নমুনা মাত্র।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমে বলেন, বয়স ও পেশার সঙ্গে ইপ্সিতার সম্পদের পরিমাণ স্পষ্টতই অস্বাভাবিক। বাবার প্রভাবে তার আয়কর ফাইল রাজস্ব বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি। বাবার প্রভাবে তিনি আটকাননি। দেশে যারা কর ফাঁকি দিতে চান তারা পার পেয়ে যান, আর স্বচ্ছতার সঙ্গে কর দিতে চাওয়া মানুষেরা নানামুখী হয়রানির শিকার হন। এখন দুদকের উচিত হবে মতিউর রহমান, তার দুই পক্ষের স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোন ও আত্মীয়স্বজনের সম্পদের খোঁজ নেওয়া।


আরও খবর



হঠাৎ অসুস্থ ডেপুটি স্পিকার, ঢাকায় নেয়া হলো হেলিকপ্টারে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নেয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটায় জরুরি চিকিৎসার জন্য তাকে হেলিকপ্টারযোগে রাজধানী ঢাকায় নেয়া হয়েছে। পাবনার বেড়া আব্দুল খালেক স্টেডিয়াম থেকে নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে বেড়া বিপিন বিহারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধন শেষে নিজ বাড়ি সংলগ্ন নৌকা চত্ত্বরে বৃক্ষরোপণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ তিনি অসুস্থবোধ করেন এবং হেলে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কিছুটা সুস্থতাবোধ করায় তাকে নিজ বাসায় নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় নেয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোরশেদুল ইসলাম বলেন, দুপুরে একটি অনুষ্ঠান শেষে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এখন তিনি মোটামুটি সুস্থ আছেন কিন্তু উনার হার্টের অবস্থা ততটা ভাল নয়, এজন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত ঢাকায় নেয়া হলো।


আরও খবর



ভারতে বিষাক্ত মদপানে ৩৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে বিষাক্ত মদপানে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাই থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরবর্তী কল্লাকুরিচি জেলায় গত কয়েকদিন ধরে বিষাক্ত মদপানে আরও কমপক্ষে ৫৫ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মদপানে অসুস্থ হয়ে পড়া এবং মৃত্যু হওয়াদের অধিকাংশই কারুনাপুরাম এলাকার। এক নারী জানান, বিষাক্ত মদপানে তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, তার ছেলের প্রচণ্ড পেটে ব্যথা করছিল এবং সে চোখ খুলতে পারছিল না। মদপানে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালেও ভর্তি করা যায়নি।

অন্য এক মা জানান, তার ছেলের প্রচণ্ড পেটে ব্যথা। সে কিছু দেখতেও পারছে না আর কিছু শুনতেও পাচ্ছে না। তিনি বলেন, এমনটা কারও সঙ্গে যেন না হয়। এ ধরনের বিষাক্ত মদ বিক্রি বন্ধ হওয়া উচিত।

এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে বৃহস্পতিবার কল্লাকুরিচির জেলা প্রশাসক এমএস প্রশান্ত জানিয়েছেন, অসুস্থদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কাছাকাছি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের বিশেষজ্ঞসহ পর্যাপ্ত চিকিৎসাকর্মীদের জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে। লাইফ-সাপোর্ট সিস্টেমসহ বাড়তি অ্যাম্বুলেন্সও মোতায়েন করা হয়েছে। বিষাক্ত মদপানে মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এই ঘটনার এর জের ধরে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। বিষাক্ত মদপানে একসঙ্গে এত মানুষের মৃত্যু ও অসুস্থতা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় ও গাফিলতির অভিযোগে কল্লাকুরচির জেলা প্রশাসককে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া জেলার পুলিশ সুপারসহ একাধিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ২৬ জনের পান করা দেশি মদের প্যাকেট থেকে নমুনা নিয়ে ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং সেখানে বিষাক্ত মিথানলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

এই ঘটনায় নিহতদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। তিনি বলেন, কল্লাকুড়িতে বিষাক্ত মদপানে মৃত্যুর ঘটনায় আমি মর্মাহত ও ব্যথিত হয়েছি। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে গত বছর তামিলনাড়ুর চেঙ্গলপাট্টু এবং ভিল্লুপুরমে বিষাক্ত মদ পান করে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সে সময় একাধিক রিপোর্টে জানা যায় যে, দক্ষিণ ভারতের ওই রাজ্যে বেআইনিভাবে মদ বিক্রির রমরমা ব্যবসার কথা। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ ওঠে।


আরও খবর



চলতি অর্থবছরে ভোগ্যপণ্যের আমদানি কমেছে ১৫ শতাংশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

চাহিদা অনুযায়ী ঋণপত্র (এলসি) খুলতে না পারায় ভোগ্যপণ্যের আমদানি কমেছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই- মার্চ) ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলা কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। পাশাপাশি নিষ্পত্তি কমেছে ২০ শতাংশেরও বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২- ২৩ অর্থবছরের (জুলাই-মার্চ) সময়ে ভোগ্যপণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছিল ৬১৪ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের। যা চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে এসে দাঁড়িয়েছে ৫২৪ কোটি ৭৯ লাখ ডলারে। সে হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে এলসি খোলা কমেছে ৯০ কোটি ৫ লাখ ডলারের। এলসি খোলার হার কমেছে ১৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

এদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছিল ৬০৩ কোটি ২৩ লাখ ডলারের। চলতি ২০২৩- ২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ভোগ্যপণ্যের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৪৮২ কোটি ১৮ লাখ ডলারের। সে হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ১২১ কোটি ৫ লাখ ডলারের এলসি কম নিষ্পত্তি হয়েছে। শতকরা হিসাবে এলসি নিষ্পত্তির হার হ্রাস পেয়েছে ২০ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। আমদানিকারকরা জানান, ডলার-সংকটের চাপ সামলাতে বিলাসী পণ্যের ওপর কড়াকড়ি শর্ত আরোপ করা হলেও তা একটা পর্যায়ে নিত্যপণ্যের ওপরও পড়েছে। ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় আমদানিকারকেরা পণ্য আমদানি করতে পারছেন না। বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দামে ডলার সরবরাহ করে পণ্য আমদানি করা হয়েছে। তবে এত দামে ডলার কিনে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কঠিন। এমন পরিস্থিতিতে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা সত্ত্বেও আমদানির জন্য এলসি খোলা এবং নিষ্পত্তি দুটোই কমেছে। এতে পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষের ওপর বাড়তি দামের প্রভাব পড়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছিল ১ হাজার ৭৯১ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের। আর চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে শিল্পের কাঁচামালের এলসি খোলা হয়েছে ১ হাজার ৭৬৬ কোটি ১২ লাখ ডলারের। সে হিসাবে ২৫ কোটি ২৬ লাখ ডলারের এলসি কম খোলা হয়েছে। একইভাবে গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি নিষ্পত্তি হয়েছিল ২ হাজার ৮২ কোটি ১৪ লাখ ডলারের। আর চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ১ হাজার ৬২৭ কোটি ২৯ লাখ ডলারের। সে হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ৪৫৫ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের এলসি কম নিষ্পত্তি হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: এলসি আমদানি

আরও খবর



সম্পত্তি লিখে নিয়ে মাকে মেরে বের করে দিল সন্তান

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মীর ইমরান, মাদারীপুর

Image

মাদারীপুরের মায়ের সম্পত্তি ও ব্যাংকে থাকা অর্থ হাতিয়ে নিয়ে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বড় ছেলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বৃদ্ধা সৈয়দা শান্তি নাহার (৭০) ছেলেকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ডাসার উপজেলার পূর্ব ডাসার গ্রামের শান্তি নাহার নামে এক বৃদ্ধা তার বড় ছেলে সৈয়দ জানে আলম স্বপনের কাছে ছিলেন। অসুস্থ মাকে দেখশোনা করার কথা বলে তার কাছে বেশ কিছুদিন রাখেন। এ সময় মায়ের নামে থাকা মাদারীপুর শহরের একটি বাড়ির জমি স্বপন লিখে নিয়েছেন। এ ছাড়াও তার জমি বিক্রির ব্যাংকে থাকা অর্থ আত্মসাৎ করছেন তার বড় সন্তান সৈয়দ জানে আলম।

বৃদ্ধা মায়ের অভিযোগ, সম্পত্তি ও টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে তিন দিন খাবার না দিয়ে বড় সন্তান ও তার স্ত্রী বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন।

এ ঘটনায় প্রতারণা করে সম্পত্তি ও টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে মাদারীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন বৃদ্ধা। মামলায় বড় সন্তান সৈয়দ জানে আলম স্বপন ও তার স্ত্রী কাজী শিবলী আক্তার রুমা এবং তার নাতনী সৈয়দ রাহুল আলম শুভকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দা শান্তি নাহার নামে ওই বৃদ্ধার স্বামী বছর তিনেক আগে মারা গিয়েছে। ওয়ারিশ হিসেবে রেখে গেছেন, তিন সন্তান, এক মেয়ে। স্বামীর মৃত্যুর পরে চিকিৎসাজনিত কারণে মাদারীপুর শহরে তার বড় ছেলের বাড়িতে থাকেন তিনি। নগদ টাকার প্রয়োজনে ৫২ লাখ টাকার জমি বিক্রি করেন। সেই টাকা বড় সন্তানের কাছে গচ্ছিত রাখেন। কিছুদিন তিনি অসুস্থবোধ করলে চিকিৎসার কথা বলে বড় ছেলে জানে আলম ও তার স্ত্রী রুমা এবং তার সস্তান শুভ অজ্ঞাত একটি বিল্ডিংয়ে নিয়ে যায়। এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে বলে কিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এর কিছুদিন পরে জানতে পারেন তার বাড়ির তিন শতাংশ জমি হেবা দলিলের মাধ্যমে বড় সন্তান জানে আলম তার নামে লিখে নিয়েছেন।

এ ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে তার একাধিক সম্পত্তি প্রতারণা করে অন্যদের দলিল করিয়ে দেন। বিষয়টি জানার পরে তার বড় ছেলের কাছে জমি বিক্রির টাকাসহ মোট ৭১ লাখ টাকা এবং তিন শতাংশ জমি ফেরত চাইলে টাকা ও জমি ফেরত দিতে অস্বীকার করে। পরে মামলা করা হুমকি দিলে সৈয়দ জানে আলম স্বপন বৃদ্ধা শান্তি নাহারকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি ও লাথি মেরে ঘর থেকে বের করে দেয়।

ঘটনার পরে তার মেঝ ছেলে সৈয়দ মুক্তি তার মাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করেন।

ভুক্তভোগী সৈয়দা শান্তি নাহার বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে আমার ছেলে সৈয়দ জানে আলম ও তার স্ত্রী কাজী শিবলী আক্তার রুমা জায়গাজমি অর্থ সম্পদ আত্মাসাৎ করে, আমাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। এমন কুলাঙ্গার সন্তান আমার দরকার নেই। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধার দেবর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলমগীর বলেন, আমার ভাতিজা স্বপন আমার সামনে ওর মাকে মারধর করেছে। এমন কুলাঙ্গার সন্তান আমি কখনো দেখিনি। ওর দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়ার উচিত। যাতে কেউ মায়ের গায়ে হাত তুলতে না পারে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সৈয়দ জানে আলম স্বপন বলেন, এ ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার মা মিথ্যা কথা বলছে। জমি বিক্রি করে তার টাকা তাকে দেওয়া হয়েছে। সে তার টাকা তুলে চিকিৎসার জন্য খরচ করছে। তার জমি বিক্রির বাকি টাকা তার অ্যাকাউন্টেই আছে।

ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, বৃদ্ধা মাকে পুলিশের পক্ষ থেকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডাসারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কানিজ আফরোজ বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। মাকে তার সন্তান মারধর করবে এটা সভ্য সমাজে মেনে নেওয়ার মতো নয়। অভিযুক্ত সন্তানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: মাদারীপুর

আরও খবর



বিশ্ব শরণার্থী দিবস আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্ব শরণার্থী দিবস আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন)। ২০০১ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হয়।

জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) ২০২৩ সালের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে প্রতি ৭৭ জনে একজন শরণার্থী। চলমান যুদ্ধ, সংঘাত ও জলবায়ু সংকটে বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা আগামী দিনে আরও বাড়বে বলে মনে করে ইউএনএইচসিআর।

গত এক দশক ধরে প্রতি বছর শরণার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে যুদ্ধ, সহিংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, চরমপন্থা, দারিদ্র্য, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও খাদ্য সংকটসহ বিভিন্ন বিষয়কে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয়ে নিয়েছে। দেশটির সেনা নির্যাতন ও গণহত্যা থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে আশ্রয় নেন। এর আগে থেকেই আরও প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে রয়েছে। তাদের মধ্যে ভাসানচরে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দিয়েছে সরকার।


আরও খবর