আজঃ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

আজ সকালে ঢাকার বাতাস বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ ১৮৭ স্কোর নিয়ে ১ নম্বরে অবস্থান করছে ঢাকা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার এ অবস্থান দেখা গেছে। এই স্কোর বাতাসের মানকে অস্বাস্থ্যকর বলে নির্দেশ করে।

এদিকে, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ ১৭৭ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থান করছে পাকিস্তানের লাহোর। ১৬৩ স্কোর নিয়ে মিশরের কায়রো তৃতীয় এবং ১৬৪ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বাহরাইনের মানামা।

৫১ থেকে ১০০ স্কোর হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়।

এছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলা হয় এবং ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।


আরও খবর



সৌদি পৌঁছেছেন ৫৩ হাজার হজযাত্রী, মক্কা-মদিনায় ৮ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৫৩ হাজার ১৮০ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এসব হজযাত্রীর মধ্যে মারা গেছেন আট বাংলাদেশি। শনিবার (১ জুন) সকালে হজ পোর্টালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাত ২টা পর্যন্ত মোট ৫৩ হাজার ১৮০ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৪৯ হাজার ৪৩৩ জন। এখন পর্যন্ত হজকেন্দ্রিক সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ১৩৬টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত হজযাত্রার এ ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন থেকে শুরু হবে ফিরতি ফ্লাইট। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

এদিকে, এখন পর্যন্ত সব হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন বাংলাদেশি হজ করতে যাবেন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ৮ বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে মারা গেছেন। তাদের সবাই পুরুষ। এর মধ্যে মক্কায় ছয় এবং মদিনায় মারা গেছেন দুজন।


আরও খবর



ধর্মীয় প্রভাব খাঁটিয়ে সরকারি স্থাপনা ও জায়গা দখল, বিপাকে প্রশাসন

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

Image

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠি বাজারে এলজিইডির নিজস্ব এলএসডি ফুড গোডাউন এবং এর পার্শ্ববর্তী সরকারি জায়গা ধর্মীয় প্রভাব খাঁটিয়ে দখল করার অভিযোগ উঠেছে নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রি উপজেলার শ্রীরামকাঠি ইউনিয়নের হিন্দু ধর্মীয় নেতা ও আচার্য্য সংঘের প্রতিষ্ঠাতা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,উপজেলার শ্রীরামকাঠি বন্দরের দক্ষিণ পারে শ্রীরামকাঠি-পাচপাড়া আঞ্চলিক সড়কের পাশে এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত এলএসডি ফুড গোডাউন ও গোডাউন আঙ্গিনার অধিগ্রহনকৃত নিজস্ব ভুমি অবৈধ ভাবে দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস করছে নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রি ও তার পরিবার। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সম্পদ জনস্বার্থে ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন মিয়া  সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করতে বারবার নোটিশ দিলেও কর্নপাত করছেন না অভিযুক্ত নারায়ন মিস্ত্রি। এক্ষেত্রে বিপাকে পরেছেন উপজেলা প্রশাসন।

সরেজমিনে গিয়ে গতকাল মঙ্গলবার (১১ জুন) দেখা যায়, শ্রীরামকাঠি বন্দরের দক্ষিণ পারে উপজেলা এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত এলএসডি ফুড গোডাউন, এর গার্ড রুম, বাথরুম, ইয়ার্ড এবং পার্শ্ববর্তী সরকারি জায়গা দখল করে একটি টিনের ঘর নির্মান করে স্বপরিবার নিয়ে বসবাস করছেন নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন মিয়া বলেন, এলজিইডির প্রতিষ্ঠালগ্নে খাদ্যের বিনিময়ে কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন, ব্রিজ-কালভার্ট ও গ্রোথ সেন্টার নির্মাণ ও উন্নয়ন কাজ করা হয়েছিল। এজন্য সরকারি ভাবে বরাদ্দকৃত গম/চাল সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য প্রকল্প চলমান উপজেলা সমূহে এলজিইডি ফুডগোডাউন নির্মাণ করেন।এরই ধারাবাহিকতায়  আশির দশকের দিকে উপজেলার শ্রীরামকাঠি বন্দরের দক্ষিণ পারে একটি এলজিইডি কর্তৃক ফুড গোডাউন নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে এই কর্মসূচির পরিবর্তে দরপত্র প্রক্রিয়ায় সরকারি অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে উন্নয়ন মূলক কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে বিধায় এই গোডাউনটি পরিত্যক্ত ছিল। বিষয়টি সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুনজরে আসলে উহার যথোপযুক্ত সৎব্যবহারের নিমিত্তে বিএডিসি কর্তৃপক্ষের নিকট লিজ হিসেবে হস্তান্তর করেন। তখন থেকে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ জনগণের সেবা প্রদানের জন্য তাদের সংগ্রহীত উন্নতমানের বীজ উপকরণ ও ঔষধপত্র এই গোডাউনে গুদামজাত ও রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যায়ে সমঝোতা স্মারক চুক্তি ও নির্দেশনা রয়েছে।

মোঃ জাকির হোসেন মিয়া বলেন, অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় এই  স্থাপনার চতুর্দিকে বাউন্ডারি স্থাপনা ও সীমানা পিলার থাকা সত্ত্বেও নারায়ন মিস্ত্রি নামক একজন ভূমিদস্যু স্থানীয় আরও কতিপয় ভূমিদস্যুদের যোগসাজশে এই সরকারি স্থাপনা ও এর জায়গা জমি অবৈধ ভাবে দখল করে বসবাস করছেন এবং সরকারি কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছেন। ইতিপূর্বে তাহাকে এই স্থাপনাস্থল থেকে একবার উচ্ছেদ করা হলেও তিনি পুনরায় অবকাঠামোটি দখল করেছেন। এমতাবস্থায় সরকারি স্বার্থ ও  জনগনের কাঙ্ক্ষিত সেবা পূনপ্রতিষ্ঠর লক্ষে উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি নাজিরপুরের পক্ষ থেকে ভূমিদস্যু নারায়ণ মিস্ত্রিকে সরকারি স্থাপনা থেকে উচ্ছেদ নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। সেচ্ছায় সরকারি স্থাপনা ও জায়গা ছেড়ে না দিলে পরবর্তীতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রি বলেন, আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সত্য নয়, আমি একজন ধর্মীয় নেতা এবং আচার্য্য সংঘের প্রতিষ্ঠাতা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরূপ রতন সিংহ জানান, দুই পক্ষই এ বিষয়ে আমাকে অবগত করেছে। সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে মন্ত্রণালয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যদি কেউ সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ওষুধের দাম বেশি রাখে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ রবিবার সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যখাতের বড় চ্যালেঞ্জ কি জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ক্যানসারসহ অধিকাংশ মরণঘাতী রোগে আক্রান্ত রোগীরা একদম শেষ সময়ে চিকিৎসা নিতে আসে। যার ফলে সময় মত সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় মৃত্যুর হার বাড়ছে। এছাড়া ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর কি করছে, সেটারও মনিটরিং করা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, মাতৃমৃত্যু রোধ করতে হলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে জেলা ও উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান বাড়ালে, সাধারণ মানুষ ঢাকামুখী হবে না। এর ফলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদেরও ভোগান্তি দূর হবে।


আরও খবর



৯৫০ কেজির 'জায়েদ খান'র সঙ্গে ছাগল ফ্রি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

ওজন প্রায় ৯৫০ কেজি। ডিগবাজি দেয় বলে নাম রাখা হয়েছে জায়েদ খান। লাল রঙের শাহিওয়াল জাতের জাহেদ খান নামের ষাঁড়টির দাম হাঁকানো হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। ষাঁড়টির সঙ্গে একটি ছাগল ফ্রি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মালিক। তবে দরকষাকষির মাধ্যমে দাম কমানোর সুযোগ রয়েছে। আরও রয়েছে চাঁদ রাতে ফ্রি হোম ডেলিভারি সুবিধা।

তিন বছর ধরে জায়েদ খান (ষাঁড়) কে লালন-পালন করছেন রমজান আলী বাচ্চু ও আনোয়ার হোসেন। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার দক্ষিণ পরাগলপুর গ্রামে নিরব এগ্রো ফার্মে প্রস্তুত করা হয়েছে এই ষাঁড়টি।

রমজান আলী বাচ্চু বলেন, গম, ভুট্টা, সবুজ ঘাস ও ফলমূল খাওয়ানোর মাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে মোটাতাজা করা হয়েছে ষাঁড়টি। সময়মতো খাবার না পেলে রেগে যায় জায়েদ খান। গরম সহ্য করতে পারে না। এ কারণে সবসময় ফ্যানের বাতাস দিতে হয় তাকে। না হলে শুরু হয় পাগলামি। শরীর ঠান্ডা রাখতে দুবেলা গোসল করাতে হয়।

বিশেষ নামের এই ষাঁড়টির খাবার ও দেখাশোনার জন্য দৈনিক প্রায় ৫০০ টাকা খরচ করতে হয় তার মালিককে। সর্বদা দেখভালের জন্য নিয়োজিত রয়েছেন একজন কর্মচারী।

জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাস্টার বলেন, আমার ইউনিয়নের নিরব এগ্রো বিগত কয়েক বছর ধরে গরু মোটাতাজা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও গরু প্রস্তুত করেছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাকিরুল ফরিদ জানান, খামারি ও প্রান্তিক কৃষক মিলে এবার ৫০ হাজার ৭৩৯টি পশু প্রস্তুত করেছেন। এর মধ্যে ২২ হাজার ৪১৩টি ষাঁড় ও বলদ, ১৪ হাজার ১৫২টি গাভি, চার হাজার ৬১১টি মহিষ, ৯ হাজার ৫৬৩৫টি ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ও চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন হাটে বিক্রি হবে।


আরও খবর



বাজেট: দাম বাড়ছে এসি-ফ্রিজের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এত দিন রেয়াতি হারে কম্প্রেসর আমদানি করতে পারত। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে সেই রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করার সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফ্রিজে ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে পণ্য দুটির দাম বাড়তে পারে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন অনুসারে রেয়াতি হারে কম্প্রেসর আমদানি করতে পারে। এয়ারকন্ডিশনার স্বল্প আয়ের জনগণ ব্যবহার করে না বিধায় এর আমদানি শুল্কে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করার সুপারিশ করছি। এছাড়া বর্তমানে দেশে রেফ্রিজারেটর উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কম্প্রেসর উৎপাদন হয় বিধায় এ ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন হতে কম্প্রেসর প্রত্যাহার করার সুপারিশ করছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান প্রজ্ঞাপনটি জুন, ২০২৬ পর্যন্ত বলবৎ রাখার লক্ষ্যে এর কার্যকারিতার মেয়াদ উল্লেখ করার সুপারিশ করছি। এছাড়া দেশীয় কম্প্রেসর প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে রেফ্রিজারেটর ও এয়ার কন্ডিশনারে ব্যবহৃত কম্প্রেসর আমদানিতে ন্যূনতম মূল্য ধার্য করার প্রস্তাব করছি।

দেশের বাজারে যত ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর বিক্রি হয়, তার ৯০ শতাংশই দেশে উৎপাদিত। দেশীয় ব্র্যান্ডগুলো যেমন দেশে ফ্রিজ উৎপাদন করছে, তেমনি বিদেশি ব্র্যান্ডের কারখানাও হয়েছে। দেশি তৈরি ফ্রিজে ভ্যাট আড়াই শতাংশ বেড়ে সাড়ে ৭ শতাংশ হয়েছে। 


আরও খবর